ছয় বছর ধরে প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোসফটের প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করছিলেন রুচিত গর্গ। বছরে ১ কোটি রুপি বেতন পেতেন তিনি। চাকরি আকর্ষণীয় হলেও এক সময় রুচিতকে একঘেয়েমি পেয়ে বসে। তখন তিনি উদ্যোক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকেন। এক পর্যায়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে কৃষি স্টার্টআপ শুরু করেন গর্গ। হার্ভেস্টিং নামে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের হস্তক্ষেপ দূর করে ক্ষুদ্র কৃষক ও ভোক্তার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করছেন তিনি।
ভারতের লক্ষ্ণৌয়ের অধিবাসী রুচিত গর্গের চাকরি ছেড়ে স্টার্টআপটি শুরুর গল্প তুলে ধরেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে অর্থপূর্ণ কিছু করতে চাচ্ছিলেন রুচিত। এজন্য সর্বশেষ কর্মস্থল যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০১১ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ভারতে ফিরে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেন। মাইক্রোসফটে ছয় বছর ধরে কর্মজীবনের প্রথম তিন বছর হায়দরাবাদে এবং পরের তিন বছর ওয়াশিংটনের রেডমন্ড সদর দপ্তরে টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কাজ করছিলেন।
চাকরি ছাড়ারর বিষয়ে রুচিত গর্গ বলেন, ‘এই চাকরিতে আমার একঘেয়েমি লাগছিল; নিজেকে বেমানান মনে হচ্ছিল। আমি সব সময়ই ব্যবসা করতে চেয়েছিলাম।’
অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন গর্গ। তাঁর দাদা ছিলেন উত্তর প্রদেশের কৃষক। তার কাছে থেকে তিনি কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণা পান। কিন্তু সেই অনুপ্রেরণা বাস্তবে রূপ পেতে নানা ধরনের বই, বিশেষ করে হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ পড়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে মায়ের কর্মস্থল তাকে বড় সহায়তা দিয়েছে। তাঁর মা ছিলেন লক্ষ্ণৌ রেলওয়ের লাইব্রেরির কেরানি। সেই লাইব্রেরিতে বসে বসেই তিনি এসব পড়তেন। কারণ, বাবার মৃত্যুর পর আর্থিক সংকট ছিল, এতো বই কেনার সামর্থ্য ছিল না।
তার কষ্ট ও পরিশ্রম বৃথা যায়নি। গর্গ এখন কৃষি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের একজন সফল উদ্যোক্তায় পরিণত হয়েছেন। বিদেশেও তার নামডাক হয়েছে। ক্ষুদ্র কৃষকদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কথা বলতে ২০১৮ সালে গর্গকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ের একটি কপি কেনার সামর্থ্য ছিল না তার। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখলেও তা পূরণ হয়নি। কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলেছে তিনি। অনেক সংগ্রামের পর পাওয়া জীবনের সাফল্য নিয়ে অনেক গর্বিত তিনি।
গর্গ বলেন, হার্ভেস্টিং প্ল্যাটফর্ম ক্ষুদ্র কৃষকদের উপার্জন বাড়াতে সহায়তা করে। এটিকে পরের প্রজন্মের আমুল (গুজরাট মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন নামে ভারতীয় বহুজাতিক সমবায় সমিতির সংক্ষিপ্ত রূপ) ভাবা যেতে পারে। কৃষকদের ফসল ফলানোর জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো সহায়তা দেয় এই প্ল্যাটফর্ম। সেই সঙ্গে তাদের উৎপাদিত পণ্য অনলাইন ও অফলাইনে বিক্রিতেও সাহায্য করে হার্ভেস্টিং।
করপোরেট এক্সিকিউটিভ থেকে কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার গর্গের এই যাত্রা সহনশীলতা ও সংকল্পের উদাহরণ হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ছয় বছর ধরে প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোসফটের প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করছিলেন রুচিত গর্গ। বছরে ১ কোটি রুপি বেতন পেতেন তিনি। চাকরি আকর্ষণীয় হলেও এক সময় রুচিতকে একঘেয়েমি পেয়ে বসে। তখন তিনি উদ্যোক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকেন। এক পর্যায়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে কৃষি স্টার্টআপ শুরু করেন গর্গ। হার্ভেস্টিং নামে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের হস্তক্ষেপ দূর করে ক্ষুদ্র কৃষক ও ভোক্তার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করছেন তিনি।
ভারতের লক্ষ্ণৌয়ের অধিবাসী রুচিত গর্গের চাকরি ছেড়ে স্টার্টআপটি শুরুর গল্প তুলে ধরেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে অর্থপূর্ণ কিছু করতে চাচ্ছিলেন রুচিত। এজন্য সর্বশেষ কর্মস্থল যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০১১ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ভারতে ফিরে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেন। মাইক্রোসফটে ছয় বছর ধরে কর্মজীবনের প্রথম তিন বছর হায়দরাবাদে এবং পরের তিন বছর ওয়াশিংটনের রেডমন্ড সদর দপ্তরে টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কাজ করছিলেন।
চাকরি ছাড়ারর বিষয়ে রুচিত গর্গ বলেন, ‘এই চাকরিতে আমার একঘেয়েমি লাগছিল; নিজেকে বেমানান মনে হচ্ছিল। আমি সব সময়ই ব্যবসা করতে চেয়েছিলাম।’
অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন গর্গ। তাঁর দাদা ছিলেন উত্তর প্রদেশের কৃষক। তার কাছে থেকে তিনি কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণা পান। কিন্তু সেই অনুপ্রেরণা বাস্তবে রূপ পেতে নানা ধরনের বই, বিশেষ করে হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ পড়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে মায়ের কর্মস্থল তাকে বড় সহায়তা দিয়েছে। তাঁর মা ছিলেন লক্ষ্ণৌ রেলওয়ের লাইব্রেরির কেরানি। সেই লাইব্রেরিতে বসে বসেই তিনি এসব পড়তেন। কারণ, বাবার মৃত্যুর পর আর্থিক সংকট ছিল, এতো বই কেনার সামর্থ্য ছিল না।
তার কষ্ট ও পরিশ্রম বৃথা যায়নি। গর্গ এখন কৃষি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের একজন সফল উদ্যোক্তায় পরিণত হয়েছেন। বিদেশেও তার নামডাক হয়েছে। ক্ষুদ্র কৃষকদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কথা বলতে ২০১৮ সালে গর্গকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ের একটি কপি কেনার সামর্থ্য ছিল না তার। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখলেও তা পূরণ হয়নি। কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলেছে তিনি। অনেক সংগ্রামের পর পাওয়া জীবনের সাফল্য নিয়ে অনেক গর্বিত তিনি।
গর্গ বলেন, হার্ভেস্টিং প্ল্যাটফর্ম ক্ষুদ্র কৃষকদের উপার্জন বাড়াতে সহায়তা করে। এটিকে পরের প্রজন্মের আমুল (গুজরাট মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন নামে ভারতীয় বহুজাতিক সমবায় সমিতির সংক্ষিপ্ত রূপ) ভাবা যেতে পারে। কৃষকদের ফসল ফলানোর জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো সহায়তা দেয় এই প্ল্যাটফর্ম। সেই সঙ্গে তাদের উৎপাদিত পণ্য অনলাইন ও অফলাইনে বিক্রিতেও সাহায্য করে হার্ভেস্টিং।
করপোরেট এক্সিকিউটিভ থেকে কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার গর্গের এই যাত্রা সহনশীলতা ও সংকল্পের উদাহরণ হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
বিশ্বে প্রতি বছর কোটি কোটি স্মার্টফোন পরিত্যক্ত হয়ে ই-বর্জ্যে পরিণত হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে এস্তোনিয়ার টারটু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা উদ্ভাবন করেছেন এমন এক পদ্ধতি, যাতে মাত্র ৮ ইউরো ব্যয়ে পুরোনো স্মার্টফোনকে ক্ষুদ্র ডেটা সেন্টারে রূপান্তর করা সম্ভব। এই প্রোটোটাইপ শহর ও পানির নিচে নানা পরিবেশবান্ধব
৩ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ডেটা সেন্টার চালানোর জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারমাণবিক এক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মার্কিন টেক জায়ান্ট মেটা। এ জন্য বিলিয়ন ডলার খরচ করতে চাচ্ছে কোম্পানিটি। গত মঙ্গলবার মেটা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের অঙ্গরাজ্যের একটি পারমাণবিক চুল্লি ২০ বছর
৮ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে জেমিনিকে আরও কার্যকর করা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গুগল। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে এবার ‘শিডিউলড অ্যাকশনস’ নামে একটি ফিচার চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করতে পারবে জেমিনি।
১০ ঘণ্টা আগেইনস্টাগ্রাম স্টোরি এখন শুধু ব্যক্তিগত মুহূর্ত ভাগাভাগির জায়গা নয়, বরং নিজের ভাবনা, সৃজনশীলতা ও স্টাইল প্রকাশের একটি মাধ্যম। শক্তিশালী ব্র্যান্ড, তারকা, প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং সাধারণ ব্যবহারকারীরা—সবাই তাঁদের ফলোয়ারদের সঙ্গে খবর ও আপডেট শেয়ার করতে স্টোরির সাহায্য নেন। এই স্টোরিগুলোতে ব্যাকগ্রাউন্ড রং
১৫ ঘণ্টা আগে