ফিচার ডেস্ক
পরিবেশ বিপর্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তনের এই সংকটময় সময়ে বন পুনরুদ্ধার জরুরি হয়ে উঠেছে। এই কাজকে দ্রুত, কার্যকর ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে করার জন্য বিশ্বজুড়ে নানা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হচ্ছে। যেমন এখন বীজ ছড়ানোর জন্য ড্রোন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঠিক তেমনি এক অভিনব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে ব্রাজিলের একটি স্টার্টআপ। তারা তৈরি করেছে ‘ফরেস্ট বট’ নামের এক রোবট।
এই বৈদ্যুতিক রোবট প্রতিদিন ১৪ হাজার গাছের চারা রোপণ করতে পারে। শুধু চারা রোপণ নয়, তাদের যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে পোকামাকড়ের আক্রমণ ঠেকানো পর্যন্ত সব কাজই পারে রোবটটি।
ফরেস্ট বটের জন্ম হয়েছিল খুব সাধারণ একটি সমস্যা থেকে। রোরাইমা প্রদেশে নিজস্ব খামারে আফ্রিকান মেহগনিগাছ চাষের সময় চারা রোপণের কাজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে করার প্রয়োজন অনুভব করেন উদ্যোক্তা মার্সেলো গিমারায়েস। সেই ভাবনা আজ পরিণত হয়েছে বাস্তবতায়। তাঁর প্রতিষ্ঠান অটো অ্যাগ্রোমেশিনস সম্পূর্ণ স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে ৯ টনের এক চাষি রোবট, যা এরই মধ্যে নজর কেড়েছে ব্রাজিলের বৃহৎ বন সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠান সুজানো ও এলডোরাডোর।
এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব বন পুনর্বিন্যাস প্রকল্পে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা শুরু করেছে রোবটটি। এমন করপোরেট ব্যবহারকারীদের অংশগ্রহণ ফরেস্ট বটের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
ফরেস্ট বট চারা রোপণের পাশাপাশি সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতেও সক্ষম। রোপণের পর রোবটটি আবার মাঠে ফিরে এসে নিয়মিত চারাগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে, প্রয়োজনে পানি দেয় এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।
রোবটটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর বিশেষ স্লাইডিং প্ল্যান্টিং সিস্টেম। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চারাগুলো মাটিতে এমনভাবে রোপণ করা হয়, যাতে সেগুলোর টানাহেঁচড়া বা যেকোনো ধরনের শারীরিক ক্ষতি না হয়। ফলে চারাগুলো নিরাপদে মাটির সঙ্গে মিশে যায় এবং দ্রুত শিকড় বিস্তার করতে পারে।
এ ছাড়া ফরেস্ট বট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে প্রতিটি রোপণের মান যাচাই করে তাৎক্ষণিক তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর সেই ডেটার ভিত্তিতে একটি ভৌগোলিক মানচিত্র তৈরি হয়, যা বন ব্যবস্থাপনায় সেচ, কীটনাশক প্রয়োগ এবং অন্যান্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে ব্যাপক সহায়তা করে।
ফরেস্ট বট প্রতি ঘণ্টায় ১ হাজার ৮০০ চারা রোপণ করতে পারে। একটানা ২৪ ঘণ্টা কাজ করলে এটি ৮৬ হাজার পর্যন্ত চারা রোপণে সক্ষম।
বন পুনরুদ্ধারের বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আজকের সময়ের দুই প্রধান প্রযুক্তি হলো ড্রোন ও রোবট। যদিও ড্রোন দ্রুত বীজ ছড়িয়ে অগমনযোগ্য ও দূরবর্তী অঞ্চলে কাজ করতে পারে, তবে ‘ফরেস্ট বট’-এর মতো রোবট নির্ভুলভাবে গাছের চারা মাটিতে রোপণ করে দীর্ঘ মেয়াদে সফলতার নিশ্চয়তা দেয়।
২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ হেক্টর বনাঞ্চল পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিল সরকারের। পরিকল্পনায়
এ ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সেই সঙ্গে, দেশের ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ প্রোগ্রামের আওতায় ২ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে এই প্রকল্পের বিস্তার ও উন্নয়নে গতিশীলতা আনা হয়েছে।
সূত্র: অটো অ্যাগ্রো মেশিন ও গ্রিন মি
পরিবেশ বিপর্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তনের এই সংকটময় সময়ে বন পুনরুদ্ধার জরুরি হয়ে উঠেছে। এই কাজকে দ্রুত, কার্যকর ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে করার জন্য বিশ্বজুড়ে নানা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হচ্ছে। যেমন এখন বীজ ছড়ানোর জন্য ড্রোন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঠিক তেমনি এক অভিনব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে ব্রাজিলের একটি স্টার্টআপ। তারা তৈরি করেছে ‘ফরেস্ট বট’ নামের এক রোবট।
এই বৈদ্যুতিক রোবট প্রতিদিন ১৪ হাজার গাছের চারা রোপণ করতে পারে। শুধু চারা রোপণ নয়, তাদের যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে পোকামাকড়ের আক্রমণ ঠেকানো পর্যন্ত সব কাজই পারে রোবটটি।
ফরেস্ট বটের জন্ম হয়েছিল খুব সাধারণ একটি সমস্যা থেকে। রোরাইমা প্রদেশে নিজস্ব খামারে আফ্রিকান মেহগনিগাছ চাষের সময় চারা রোপণের কাজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে করার প্রয়োজন অনুভব করেন উদ্যোক্তা মার্সেলো গিমারায়েস। সেই ভাবনা আজ পরিণত হয়েছে বাস্তবতায়। তাঁর প্রতিষ্ঠান অটো অ্যাগ্রোমেশিনস সম্পূর্ণ স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে ৯ টনের এক চাষি রোবট, যা এরই মধ্যে নজর কেড়েছে ব্রাজিলের বৃহৎ বন সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠান সুজানো ও এলডোরাডোর।
এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব বন পুনর্বিন্যাস প্রকল্পে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা শুরু করেছে রোবটটি। এমন করপোরেট ব্যবহারকারীদের অংশগ্রহণ ফরেস্ট বটের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
ফরেস্ট বট চারা রোপণের পাশাপাশি সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতেও সক্ষম। রোপণের পর রোবটটি আবার মাঠে ফিরে এসে নিয়মিত চারাগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে, প্রয়োজনে পানি দেয় এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।
রোবটটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর বিশেষ স্লাইডিং প্ল্যান্টিং সিস্টেম। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চারাগুলো মাটিতে এমনভাবে রোপণ করা হয়, যাতে সেগুলোর টানাহেঁচড়া বা যেকোনো ধরনের শারীরিক ক্ষতি না হয়। ফলে চারাগুলো নিরাপদে মাটির সঙ্গে মিশে যায় এবং দ্রুত শিকড় বিস্তার করতে পারে।
এ ছাড়া ফরেস্ট বট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে প্রতিটি রোপণের মান যাচাই করে তাৎক্ষণিক তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর সেই ডেটার ভিত্তিতে একটি ভৌগোলিক মানচিত্র তৈরি হয়, যা বন ব্যবস্থাপনায় সেচ, কীটনাশক প্রয়োগ এবং অন্যান্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে ব্যাপক সহায়তা করে।
ফরেস্ট বট প্রতি ঘণ্টায় ১ হাজার ৮০০ চারা রোপণ করতে পারে। একটানা ২৪ ঘণ্টা কাজ করলে এটি ৮৬ হাজার পর্যন্ত চারা রোপণে সক্ষম।
বন পুনরুদ্ধারের বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আজকের সময়ের দুই প্রধান প্রযুক্তি হলো ড্রোন ও রোবট। যদিও ড্রোন দ্রুত বীজ ছড়িয়ে অগমনযোগ্য ও দূরবর্তী অঞ্চলে কাজ করতে পারে, তবে ‘ফরেস্ট বট’-এর মতো রোবট নির্ভুলভাবে গাছের চারা মাটিতে রোপণ করে দীর্ঘ মেয়াদে সফলতার নিশ্চয়তা দেয়।
২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ হেক্টর বনাঞ্চল পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিল সরকারের। পরিকল্পনায়
এ ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সেই সঙ্গে, দেশের ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ প্রোগ্রামের আওতায় ২ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে এই প্রকল্পের বিস্তার ও উন্নয়নে গতিশীলতা আনা হয়েছে।
সূত্র: অটো অ্যাগ্রো মেশিন ও গ্রিন মি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিতে শত শত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মেটা। সোমবার (১৪ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ২০২৬ সালে মেটার প্রথম এআই সুপারক্লাস্টার ‘প্রোমিথিয়াস’ চালু হবে।
১ ঘণ্টা আগেশিশুতোষ টেলিভিশন অনুষ্ঠান সেসেমি স্ট্রিট-এর জনপ্রিয় পাপেট চরিত্র ‘এলমোর’ এক্স অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হ্যাকিংয়ের পর অ্যাকাউন্টটি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘পাপেট’ (হাতের পুতুল) বলাসহ ইহুদি নিধনের ডাক ও জে
১ ঘণ্টা আগেগত মাসের (জুনে) শুরুতে ‘দ্য ভেলভেট সানডাউন’ নামের একটি ব্যান্ড জনপ্রিয় মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাইয়ে প্রোফাইল তৈরি করে। দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাদের গান। তবে পরে জানা যায়, এই ব্যান্ডটি পুরোপুরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-নির্ভর। গান, প্রচারণার ছবি ও ব্যাকস্টোরি-সহ সবকিছুই তৈরি হয়েছে...
২ ঘণ্টা আগেইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান এক্সএআই-এর সঙ্গে সর্বোচ্চ ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রাণালয়টিকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে এই চুক্তি করা হয়েছে। কোম্পানিটির গ্রোক চ্যাটবটটি সম্প্রতি নিজেকে ‘মেকাহিটলার’ বলে পরিচয় দেওয়ার পর এবং এক্সের
৬ ঘণ্টা আগে