অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন জগতের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে তরুণদের মধ্যেও। যুক্তরাজ্যের ১৬ থেকে ২১ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের প্রায় অর্ধেকই (৪৬ শতাংশ) মনে করেন, তাঁরা ইন্টারনেটবিহীন পৃথিবীতে বসবাস করতে চান। সম্প্রতি পরিচালিত এক জরিপে এই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।
ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউট পরিচালিত এই জরিপে অংশ নেয় যুক্তরাজ্যের ১ হাজার ২৯৩ জন তরুণ-তরুণী। জরিপে দেখা গেছে, ৭০ শতাংশের কাছাকাছি উত্তরদাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানোর পর নিজেদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। অর্ধেক (৫০ শতাংশ) তরুণ ‘ডিজিটাল কারফিউ’র পক্ষে মত দিয়েছেন—অর্থাৎ, রাত ১০টার পর নির্দিষ্ট অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চান তাঁরা।
তরুণদের এক-চতুর্থাংশ প্রতিদিন চার ঘণ্টা বা তার বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটান। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪২ শতাংশ স্বীকার করেছেন, তাঁরা তাঁদের অভিভাবকদের কাছে অনলাইনে কী করেন তা নিয়ে মিথ্যা বলেন।
জরিপে আরও জানা যায়, অনলাইনে ৪২ শতাংশ তাঁদের বয়স সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। আর ৪০ শতাংশের ‘বার্নার’ বা বিকল্প অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং ২৭ শতাংশ সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিচয়ে নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থাপন করেছেন।
এই জরিপ প্রকাশের পর যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিবিষয়ক সচিব পিটার কাইল জানিয়েছেন, সরকার কিছু অ্যাপ যেমন টিকটক ও ইনস্টাগ্রামের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের পর ব্যবহারে বাধা দেওয়ার বিষয়ে ভাবছে।
এদিকে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা এনএসপিসিসির নীতিনির্ধারক রানি গোভিন্দর বলেন, ‘শুধু ডিজিটাল কারফিউ দিয়ে শিশুদের অনলাইন ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা যাবে না। দিনের অন্য সময়গুলোতেও তারা একই ধরনের ক্ষতিকর কনটেন্টের মুখোমুখি হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, সরকার ও প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিশুদের জন্য ‘আরও নিরাপদ ও কম আসক্তিকর’ প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করা।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা ইন্টারনেটে অচেনা ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের অবস্থান (লোকেশন) শেয়ার করেছেন।
অন্যদিকে, তিন-চতুর্থাংশ তরুণ জানিয়েছেন, করোনা মহামারির সময় তাঁরা অনলাইনে আরও বেশি সময় কাটিয়েছেন। ৬৮ শতাংশের মতে, এই অনলাইন সময় তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করা দাতব্য সংস্থা মলি রোজ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বারো বলেন, ‘তরুণেরা অনলাইনের ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে সচেতন এবং তাঁরা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ চায়।’
তিনি আরও বলেন, অ্যালগরিদমের মাধ্যমে তরুণদের সামনে এমন সব কনটেন্ট হাজির হয়, যা দ্রুত নেতিবাচক ও উদ্বেগজনক পথে ঠেলে দেয়। এই সমস্যার সমাধানে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর স্বার্থ প্রাধান্য দেওয়ার আগে সমাজ ও শিশুদের কল্যাণকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন আইন তৈরি করা দরকার।
আরও খবর পড়ুন:
অনলাইন জগতের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে তরুণদের মধ্যেও। যুক্তরাজ্যের ১৬ থেকে ২১ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের প্রায় অর্ধেকই (৪৬ শতাংশ) মনে করেন, তাঁরা ইন্টারনেটবিহীন পৃথিবীতে বসবাস করতে চান। সম্প্রতি পরিচালিত এক জরিপে এই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।
ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউট পরিচালিত এই জরিপে অংশ নেয় যুক্তরাজ্যের ১ হাজার ২৯৩ জন তরুণ-তরুণী। জরিপে দেখা গেছে, ৭০ শতাংশের কাছাকাছি উত্তরদাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানোর পর নিজেদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। অর্ধেক (৫০ শতাংশ) তরুণ ‘ডিজিটাল কারফিউ’র পক্ষে মত দিয়েছেন—অর্থাৎ, রাত ১০টার পর নির্দিষ্ট অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চান তাঁরা।
তরুণদের এক-চতুর্থাংশ প্রতিদিন চার ঘণ্টা বা তার বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটান। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪২ শতাংশ স্বীকার করেছেন, তাঁরা তাঁদের অভিভাবকদের কাছে অনলাইনে কী করেন তা নিয়ে মিথ্যা বলেন।
জরিপে আরও জানা যায়, অনলাইনে ৪২ শতাংশ তাঁদের বয়স সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। আর ৪০ শতাংশের ‘বার্নার’ বা বিকল্প অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং ২৭ শতাংশ সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিচয়ে নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থাপন করেছেন।
এই জরিপ প্রকাশের পর যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিবিষয়ক সচিব পিটার কাইল জানিয়েছেন, সরকার কিছু অ্যাপ যেমন টিকটক ও ইনস্টাগ্রামের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের পর ব্যবহারে বাধা দেওয়ার বিষয়ে ভাবছে।
এদিকে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা এনএসপিসিসির নীতিনির্ধারক রানি গোভিন্দর বলেন, ‘শুধু ডিজিটাল কারফিউ দিয়ে শিশুদের অনলাইন ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা যাবে না। দিনের অন্য সময়গুলোতেও তারা একই ধরনের ক্ষতিকর কনটেন্টের মুখোমুখি হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, সরকার ও প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিশুদের জন্য ‘আরও নিরাপদ ও কম আসক্তিকর’ প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করা।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা ইন্টারনেটে অচেনা ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের অবস্থান (লোকেশন) শেয়ার করেছেন।
অন্যদিকে, তিন-চতুর্থাংশ তরুণ জানিয়েছেন, করোনা মহামারির সময় তাঁরা অনলাইনে আরও বেশি সময় কাটিয়েছেন। ৬৮ শতাংশের মতে, এই অনলাইন সময় তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করা দাতব্য সংস্থা মলি রোজ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বারো বলেন, ‘তরুণেরা অনলাইনের ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে সচেতন এবং তাঁরা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ চায়।’
তিনি আরও বলেন, অ্যালগরিদমের মাধ্যমে তরুণদের সামনে এমন সব কনটেন্ট হাজির হয়, যা দ্রুত নেতিবাচক ও উদ্বেগজনক পথে ঠেলে দেয়। এই সমস্যার সমাধানে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর স্বার্থ প্রাধান্য দেওয়ার আগে সমাজ ও শিশুদের কল্যাণকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন আইন তৈরি করা দরকার।
আরও খবর পড়ুন:
ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহক বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট ডেটা পাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত বুধবার সব অপারেটরকে এই নির্দেশনা দেয়।
১ দিন আগেমহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের ব্যবসা পরিচালনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ারের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল শুক্রবার ঢাকায় আসছে।
২ দিন আগেতবে সমঝোতার নির্দিষ্ট শর্তাবলি আদালতে প্রকাশ করা হয়নি। বিচারকের সামনে বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরাও কোনো বক্তব্য দেননি। বিচারক ম্যাককরমিক যখন মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই হঠাৎ তিনি মামলাটি মুলতবি ঘোষণা করেন এবং উভয় পক্ষকে অভিনন্দন জানান।
২ দিন আগেবিশ্বজুড়ে ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বড় ভাষা মডেল (এলএলএম) মানুষের দৈনন্দিন কথাবার্তার ধরন বদলে দিচ্ছে এবং একঘেয়ে করে তুলছে বলে সতর্ক করেছে জার্মানির এক গবেষক দল।
৩ দিন আগে