অনলাইন ডেস্ক
ভবিষ্যতে এমন একটা সময় আসতে পারে, যখন শারীরিক অস্তিত্ব ছাড়াই কেবল কম্পিউটারের ভেতর ‘ডিজিটাল সত্ত্বা’ হিসেবে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে। এই বিস্ময়কর ও অদ্ভুত ধারণাটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘মাইন্ড আপলোডিং’। তবে এই ধারণা একদিন বাস্তব হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
মাইন্ড আপলোডিং এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে মানুষের মস্তিষ্কের প্রতিটি তথ্য—স্মৃতি, আত্মসচেতনতা, অনুভব এবং চিন্তার ধরণ—কম্পিউটারে হুবহু কপি করে রাখা যাবে। আপনি তখন আর বাস্তব জগতে হেঁটে বেড়াবেন না, বরং ডিজিটাল জগতে চিরজীবী হয়ে যাবেন।
এই ডিজিটাল সত্ত্বা হবে এমন, যার নিজস্ব স্মৃতি থাকবে, নিজেকে নিজেই চিনবে এবং আপনার মনে হবে—এটাই আপনি। পার্থক্য হলো—তখন আর কোনো দেহ থাকবে না।
তবে সেই ডিজিটাল জগতে কোনো সীমা থাকবে না। বরং আপনি খেতে পারবেন, গাড়ি চালাতে পারবেন, খেলাধুলা করতে পারবেন। এমনকি অসম্ভব কাজগুলোও সম্ভব হবে—যেমন দেয়ালের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়া, পাখির মতো উড়ে যাওয়া বা অন্য গ্রহে ভ্রমণ করা। একমাত্র সীমা থাকবে বিজ্ঞানের ক্ষমতার মধ্যে।
এই ধারণাটি বাস্তবায়নযোগ্য কিনা—এ প্রশ্নের উত্তরে জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডব্রোমির রাহনেভ বলছেন, ‘তাত্ত্বিকভাবে, মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও আমাদের বর্তমান বিজ্ঞানের জ্ঞান এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি, তবে বিজ্ঞান ইতিপূর্বে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। মানুষকে চাঁদে পৌঁছে দিয়েছে, মানব জিনোমের রহস্য উন্মোচন করেছে, এবং স্মলপক্সের মতো রোগ নির্মূল করেছে।’
মানব মস্তিষ্ককে অনেক সময় ‘পরিচিত মহাবিশ্বের সবচেয়ে জটিল বস্তু’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়। সেজন্যই মানুষের সম্পূর্ণ মনকে কম্পিউটারে স্থানান্তর করা এক বিশাল প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ।’
বিজ্ঞানের মতে, মস্তিষ্ক আপলোড করলেও সেটি আগের মতো ইনপুট বা অনুভূতির অভিজ্ঞতা চাইবে। অর্থাৎ, আপনার চোখ, কান, ঘ্রাণ, স্পর্শ, ব্যথা-বোধ, নাড়ির গতি বা এমনকি নিদ্রাচক্রও ডিজিটালভাবে সিমুলেট করতে হবে।
তাই এসব অনুভূতি ছাড়াই মস্তিষ্ককে কেবল ‘চিন্তার’ মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। যেমন—অন্ধকার ঘরে, নিঃশব্দে, বা কোনও অনুভব ছাড়া—তাদের মানসিক অবস্থা বিপর্যস্ত হয়। এ ধরনের সেন্সরি ডিপ্রাইভেশন (ইন্দ্রিয় বঞ্চনা) অনেক সময় মানসিক নির্যাতন হিসেবেও বিবেচিত হয়।
এ কারণে সফল মাইন্ড আপলোডিংয়ের জন্য ডিজিটাল পরিবেশ ও অনুভূতি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তৈরি করা প্রয়োজন। সামান্য বিকৃতি হলেও তা মানসিকভাবে বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
মাইন্ড আপলোডিং ধারণাটি বাস্তবে রূপ দিতে বিজ্ঞানীরা কিছু প্রক্রিয়ার কথা বিবেচনায় আনেন। প্রথম ধাপে প্রয়োজন মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরন ও তার সংযোগগুলোকে ত্রিমাত্রিকভাবে স্ক্যান ও ম্যাপিং করা। প্রতিটি মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরন থাকে, প্রতিটি নিউরনের সাইজ একটি অতন্ত্য ক্ষুদ্র। আবার প্রতিটি নিউরন অন্য নিউরনের সঙ্গে অসংখ্য সংযোগ তৈরি করে।
তাই নিউরন স্ক্যান ও ম্যাপিংয়ের জন্য প্রয়োজন অত্যন্ত উন্নত এক ধরনের ‘মেগা-এমআরআই’, যা এখনও তৈরি হয়নি। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা কেবল একটি মাছির পুরো মস্তিষ্ক ও একটি ইঁদুরের সামান্য অংশ স্ক্যান করতে সক্ষম হয়েছেন।
আর স্ক্যান করেই কাজ শেষ নয়। প্রতিটি নিউরন কীভাবে কাজ করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে নিজের কার্যপ্রণালী বদলায়—সেটাও ডিজিটালভাবে পুনর্নির্মাণ করতে হবে।
মাইন্ড আপলোডিংয়ের জন্য শুধু কোষীয় স্তর পর্যন্ত মডেল তৈরি করলেই চলবে, নাকি তার চেয়েও নিচের—আণবিক স্তর পর্যন্ত যেতে হবে তা এখনো জানেন বিজ্ঞানীরা।
অপরদিকে কিছু বিজ্ঞানী বলছেন, যদি আমরা বুঝতে পারি মস্তিষ্ক কীভাবে চিন্তা তৈরি করে—তাহলে পুরোটা স্ক্যান না করেও কেবল প্রয়োজনীয় অংশগুলো মডেল করেই কাজ চলতে পারে। যেমন: একটি গাড়ি কীভাবে কাজ করে, তা জানলে নতুন গাড়ি বানানো সহজ হয়। তবে জানাশুনা ছাড়াই হুবহু একটি পুরোনো গাড়ি কপি করতে গেলে কাজটি ভয়ংকর কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে এই পদ্ধতির প্রধান বাধা হলো—আমরা এখনো জানি না, কয়েক হাজার বা লাখ নিউরন মিলে কীভাবে চিন্তা বা মন তৈরি করে।
আরেকটি পদ্ধতি হলো—মানব মস্তিষ্কের ৮৬ বিলিয়ন নিউরনকে একে একে কৃত্রিম নিউরনে বদলে ফেলা। তাহলে ধীরে ধীরে পুরো মস্তিষ্ক কৃত্রিম হয়ে উঠবে।
তবে সমস্যাটা হলো—এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা একটিও বাস্তব নিউরনকে কৃত্রিম নিউরনে বদলাতে পারেননি।
সবচেয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা বলেন, ২০৪৫ সালের মধ্যেই মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলেন, এটি এই শতকের শেষের আগে সম্ভব নয়।
তবে রাহনেভ বলেন, ‘এই শতকের মধ্যে মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব হবে—এ কথা আমি বিশ্বাস করি না। যদি এটি হয়ও, তবে সম্ভবত ২০০ বছরের মধ্যে হবে।’
তিনি আরও বলেন, অর্থাৎ যিনি একদিন চিরজীবী হবেন, এমন একজন মানুষ হয়তো এখনই জন্ম নিচ্ছেন।’
অবশ্য প্রযুক্তির অগ্রগতি এখন এক্সপোনেনশিয়াল বা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। কম্পিউটিং শক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও অসাধারণ উন্নয়ন হচ্ছে। এ ছাড়া মাইন্ড আপলোডিংয়ের মতো প্রকল্পে বিলিয়নিয়ারদের উৎসাহ কোনো অংশে কম নয়। অনেকেই চিরজীবনের আশায় কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।
রাহনেভের মতে, যেহেতু এটা তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব, তাই একদিন বাস্তবেও সম্ভব হবে। তার মতে, মানুষ একদিন কম্পিউটারের ভেতর চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
ভবিষ্যতে এমন একটা সময় আসতে পারে, যখন শারীরিক অস্তিত্ব ছাড়াই কেবল কম্পিউটারের ভেতর ‘ডিজিটাল সত্ত্বা’ হিসেবে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে। এই বিস্ময়কর ও অদ্ভুত ধারণাটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘মাইন্ড আপলোডিং’। তবে এই ধারণা একদিন বাস্তব হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
মাইন্ড আপলোডিং এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে মানুষের মস্তিষ্কের প্রতিটি তথ্য—স্মৃতি, আত্মসচেতনতা, অনুভব এবং চিন্তার ধরণ—কম্পিউটারে হুবহু কপি করে রাখা যাবে। আপনি তখন আর বাস্তব জগতে হেঁটে বেড়াবেন না, বরং ডিজিটাল জগতে চিরজীবী হয়ে যাবেন।
এই ডিজিটাল সত্ত্বা হবে এমন, যার নিজস্ব স্মৃতি থাকবে, নিজেকে নিজেই চিনবে এবং আপনার মনে হবে—এটাই আপনি। পার্থক্য হলো—তখন আর কোনো দেহ থাকবে না।
তবে সেই ডিজিটাল জগতে কোনো সীমা থাকবে না। বরং আপনি খেতে পারবেন, গাড়ি চালাতে পারবেন, খেলাধুলা করতে পারবেন। এমনকি অসম্ভব কাজগুলোও সম্ভব হবে—যেমন দেয়ালের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়া, পাখির মতো উড়ে যাওয়া বা অন্য গ্রহে ভ্রমণ করা। একমাত্র সীমা থাকবে বিজ্ঞানের ক্ষমতার মধ্যে।
এই ধারণাটি বাস্তবায়নযোগ্য কিনা—এ প্রশ্নের উত্তরে জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডব্রোমির রাহনেভ বলছেন, ‘তাত্ত্বিকভাবে, মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও আমাদের বর্তমান বিজ্ঞানের জ্ঞান এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি, তবে বিজ্ঞান ইতিপূর্বে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। মানুষকে চাঁদে পৌঁছে দিয়েছে, মানব জিনোমের রহস্য উন্মোচন করেছে, এবং স্মলপক্সের মতো রোগ নির্মূল করেছে।’
মানব মস্তিষ্ককে অনেক সময় ‘পরিচিত মহাবিশ্বের সবচেয়ে জটিল বস্তু’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়। সেজন্যই মানুষের সম্পূর্ণ মনকে কম্পিউটারে স্থানান্তর করা এক বিশাল প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ।’
বিজ্ঞানের মতে, মস্তিষ্ক আপলোড করলেও সেটি আগের মতো ইনপুট বা অনুভূতির অভিজ্ঞতা চাইবে। অর্থাৎ, আপনার চোখ, কান, ঘ্রাণ, স্পর্শ, ব্যথা-বোধ, নাড়ির গতি বা এমনকি নিদ্রাচক্রও ডিজিটালভাবে সিমুলেট করতে হবে।
তাই এসব অনুভূতি ছাড়াই মস্তিষ্ককে কেবল ‘চিন্তার’ মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। যেমন—অন্ধকার ঘরে, নিঃশব্দে, বা কোনও অনুভব ছাড়া—তাদের মানসিক অবস্থা বিপর্যস্ত হয়। এ ধরনের সেন্সরি ডিপ্রাইভেশন (ইন্দ্রিয় বঞ্চনা) অনেক সময় মানসিক নির্যাতন হিসেবেও বিবেচিত হয়।
এ কারণে সফল মাইন্ড আপলোডিংয়ের জন্য ডিজিটাল পরিবেশ ও অনুভূতি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তৈরি করা প্রয়োজন। সামান্য বিকৃতি হলেও তা মানসিকভাবে বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
মাইন্ড আপলোডিং ধারণাটি বাস্তবে রূপ দিতে বিজ্ঞানীরা কিছু প্রক্রিয়ার কথা বিবেচনায় আনেন। প্রথম ধাপে প্রয়োজন মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরন ও তার সংযোগগুলোকে ত্রিমাত্রিকভাবে স্ক্যান ও ম্যাপিং করা। প্রতিটি মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরন থাকে, প্রতিটি নিউরনের সাইজ একটি অতন্ত্য ক্ষুদ্র। আবার প্রতিটি নিউরন অন্য নিউরনের সঙ্গে অসংখ্য সংযোগ তৈরি করে।
তাই নিউরন স্ক্যান ও ম্যাপিংয়ের জন্য প্রয়োজন অত্যন্ত উন্নত এক ধরনের ‘মেগা-এমআরআই’, যা এখনও তৈরি হয়নি। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা কেবল একটি মাছির পুরো মস্তিষ্ক ও একটি ইঁদুরের সামান্য অংশ স্ক্যান করতে সক্ষম হয়েছেন।
আর স্ক্যান করেই কাজ শেষ নয়। প্রতিটি নিউরন কীভাবে কাজ করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে নিজের কার্যপ্রণালী বদলায়—সেটাও ডিজিটালভাবে পুনর্নির্মাণ করতে হবে।
মাইন্ড আপলোডিংয়ের জন্য শুধু কোষীয় স্তর পর্যন্ত মডেল তৈরি করলেই চলবে, নাকি তার চেয়েও নিচের—আণবিক স্তর পর্যন্ত যেতে হবে তা এখনো জানেন বিজ্ঞানীরা।
অপরদিকে কিছু বিজ্ঞানী বলছেন, যদি আমরা বুঝতে পারি মস্তিষ্ক কীভাবে চিন্তা তৈরি করে—তাহলে পুরোটা স্ক্যান না করেও কেবল প্রয়োজনীয় অংশগুলো মডেল করেই কাজ চলতে পারে। যেমন: একটি গাড়ি কীভাবে কাজ করে, তা জানলে নতুন গাড়ি বানানো সহজ হয়। তবে জানাশুনা ছাড়াই হুবহু একটি পুরোনো গাড়ি কপি করতে গেলে কাজটি ভয়ংকর কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে এই পদ্ধতির প্রধান বাধা হলো—আমরা এখনো জানি না, কয়েক হাজার বা লাখ নিউরন মিলে কীভাবে চিন্তা বা মন তৈরি করে।
আরেকটি পদ্ধতি হলো—মানব মস্তিষ্কের ৮৬ বিলিয়ন নিউরনকে একে একে কৃত্রিম নিউরনে বদলে ফেলা। তাহলে ধীরে ধীরে পুরো মস্তিষ্ক কৃত্রিম হয়ে উঠবে।
তবে সমস্যাটা হলো—এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা একটিও বাস্তব নিউরনকে কৃত্রিম নিউরনে বদলাতে পারেননি।
সবচেয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা বলেন, ২০৪৫ সালের মধ্যেই মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলেন, এটি এই শতকের শেষের আগে সম্ভব নয়।
তবে রাহনেভ বলেন, ‘এই শতকের মধ্যে মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব হবে—এ কথা আমি বিশ্বাস করি না। যদি এটি হয়ও, তবে সম্ভবত ২০০ বছরের মধ্যে হবে।’
তিনি আরও বলেন, অর্থাৎ যিনি একদিন চিরজীবী হবেন, এমন একজন মানুষ হয়তো এখনই জন্ম নিচ্ছেন।’
অবশ্য প্রযুক্তির অগ্রগতি এখন এক্সপোনেনশিয়াল বা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। কম্পিউটিং শক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও অসাধারণ উন্নয়ন হচ্ছে। এ ছাড়া মাইন্ড আপলোডিংয়ের মতো প্রকল্পে বিলিয়নিয়ারদের উৎসাহ কোনো অংশে কম নয়। অনেকেই চিরজীবনের আশায় কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।
রাহনেভের মতে, যেহেতু এটা তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব, তাই একদিন বাস্তবেও সম্ভব হবে। তার মতে, মানুষ একদিন কম্পিউটারের ভেতর চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
প্রযুক্তি দুনিয়ার শীর্ষ ব্যক্তিত্ব ও মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস আগামী ২০ বছরে তাঁর বিপুল সম্পদের বড় একটি অংশ আফ্রিকায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন। ৬৯ বছর বয়সী এই ধনকুবের বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের সম্ভাবনা মুক্ত করলেই আফ্রিকার প্রতিটি দেশ সমৃদ্ধির
১ ঘণ্টা আগেমস্তিষ্কে চিপ স্থাপন করে ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তিকে বাস্তবে রূপ দিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ইলন মাস্কের নিউরালিংক। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ধাপে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিষ্ঠানটি ৬৫০ মিলিয়ন বা ৬৫ কোটি মার্কিন ডলারের একটি বিশাল তহবিল সংগ্রহ করেছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন এই তহবিল
৩ ঘণ্টা আগেনতুন প্রজন্মের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম তার ফিচারগুলো আরও উন্নত করেছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো ‘কোলাবোরেশন’ বা ‘কোলাব’ ফিচার। এই ফিচার মূলত কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ব্র্যান্ড ও সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য একটি কার্যকরী উপায়,
৫ ঘণ্টা আগেআজকের দিনে ব্যবসা-বাণিজ্য হোক কিংবা ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং—সব ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে শুধু ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট খুলে ছবি অথবা ভিডিও পোস্ট করলেই হবে না; আপনি কী পোস্ট করছেন, কবে করছেন, কে দেখছে—সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে এক জটিল প্রক্রিয়া, যার নাম অ্যালগরিদম।
৫ ঘণ্টা আগে