
আজকের ডিজিটাল যুগে অনলাইন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক অ্যাকাউন্টও এর ব্যতিক্রম নয়। এই প্ল্যাটফরমে ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করা হয়। তাই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি হল ‘টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ চালু করা। অন্য কারও কাছে পাসওয়ার্ডটি চলে গেলেও সুরক্ষার এই অতিরিক্ত স্তরের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবেন এবং পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করতে পারবেন।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কি
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন একটি নিরাপত্তাব্যবস্থা, যা আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি আপনার পরিচয় নিশ্চিত করতে দুটি পৃথক শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া বা আইডেনটিফিকেশন প্রসেস ব্যবহার করে। সাধারণভাবে পাসওয়ার্ড আপনার অ্যাকাউন্টের প্রথম স্তরের সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে। আর দ্বিতীয় স্তরে সুরক্ষা হিসেবে থাকে টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস। এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীর ই-মেইল বা ফোন নম্বরে একটি কোড পাঠানো হয়। পাসওয়ার্ড কাজ না করলেও এই কোড দিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যায়।
ফলে এই যাচাইকরণ প্রক্রিয়া চালু থাকলে পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের কাছে চলে গেলেও নিজের অ্যাকাউন্ট ফিরে পাবেন।
ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করবেন যেভাবে
১. স্মার্টফোন থেকে ফেসবুক চালু করুন।
২. অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ওপরের ডান পাশে থাকা তিনটি অনুভূমিক লাইনে ট্যাপ করুন। আইওএসের ক্ষেত্রে নিচের ডান দিকে থাকা মেনু বাটনে ট্যাপ করুন। এর ফলে একটি মেনু চালু হবে।
৩. মেনু থেকে ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’ বাটনে ট্যাপ করুন। এরপর ‘সেটিংস’ বাটন নির্বাচন করুন।
৪. পেজের ওপরের দিকে থাকা ‘মেটা অ্যাকশন সেন্টারে’ ট্যাপ করুন।
৫. ‘পাসওয়ার্ড অ্যান্ড সিকিউরিটি’ অপশনে ট্যাপ করুন
৬. এবার ‘টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ নির্বাচন করুন।
৭. ফেসবুকের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকলে নতুন পেজে এক বা একাধিক অ্যাকাউন্ট দেখতে পারবেন। এখন কাঙ্ক্ষিত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করুন। এই পর্যায়ে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড দিতে হতে পারে।
৮. এখন সিকিউরিটি মেথড হিসেবে তিনটি অপশনের দেখানো হবে। সেগুলো হলো অথেনটিকেশন অ্যাপ, টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস ও সিকিউরিটি কি। এর মধ্য থেকে পছন্দের পদ্ধতিটি নির্বাচন করতে হবে।
অ্যাকাউন্টে সিকিউরিটি কি যুক্ত করতে হলে থার্ড পার্টি সিকিউরিটি কি কিনতে হয়। এই ফিচারটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় না। অন্যদিকে অথেনটিকেশন অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য প্রথমে ডিভাইসে একটি থার্ড পার্টি অথেনটিকেশন অ্যাপ ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। এর মধ্যে গুগল অথেনটিকেটর সবচেয়ে বিশ্বস্ত অ্যাপ।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত সিকিউরিটি মেথড হচ্ছে টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস। এই পদ্ধতি চালু করতে চাইলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১০. এখন ‘সিলেক্ট সিকিউরিটি মেথড’ থেকে ‘টেক্সট মেসেজ’ (এসএমএস) অপশন নির্বাচন করুন।
১১. ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা ফোন নম্বর দিন বা ভিন্ন নম্বর দিন। এই নম্বরে সিকিউরিটি কোড পাঠানো হবে। এরপর ‘কনটিনিউ’ অপশনে ট্যাপ করুন।
১২. এসএমএসের মাধ্যমে ফেসবুক ৬ অঙ্কের কোড ফোনে পাঠাবে। কোড পাওয়ার পর ফেসবুকে কোডটি টাইপ করুন।
১৩. এখন ‘কনটিনিউ’ অপশনে ট্যাপ করুন।
এই ফিচার চালু থাকলে অন্য কোনো অপরিচিত ডিভাইস থেকে ফেসবুকে লগ ইন এর চেষ্টা করা হলে আপনার ফোনে কোড পাঠানো হবে।
তথ্যসূত্র: জেড নেট ও অ্যান্ড্রয়েড অথোরিটি

আজকের ডিজিটাল যুগে অনলাইন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক অ্যাকাউন্টও এর ব্যতিক্রম নয়। এই প্ল্যাটফরমে ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করা হয়। তাই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি হল ‘টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ চালু করা। অন্য কারও কাছে পাসওয়ার্ডটি চলে গেলেও সুরক্ষার এই অতিরিক্ত স্তরের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবেন এবং পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করতে পারবেন।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কি
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন একটি নিরাপত্তাব্যবস্থা, যা আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি আপনার পরিচয় নিশ্চিত করতে দুটি পৃথক শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া বা আইডেনটিফিকেশন প্রসেস ব্যবহার করে। সাধারণভাবে পাসওয়ার্ড আপনার অ্যাকাউন্টের প্রথম স্তরের সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে। আর দ্বিতীয় স্তরে সুরক্ষা হিসেবে থাকে টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস। এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীর ই-মেইল বা ফোন নম্বরে একটি কোড পাঠানো হয়। পাসওয়ার্ড কাজ না করলেও এই কোড দিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যায়।
ফলে এই যাচাইকরণ প্রক্রিয়া চালু থাকলে পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের কাছে চলে গেলেও নিজের অ্যাকাউন্ট ফিরে পাবেন।
ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করবেন যেভাবে
১. স্মার্টফোন থেকে ফেসবুক চালু করুন।
২. অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ওপরের ডান পাশে থাকা তিনটি অনুভূমিক লাইনে ট্যাপ করুন। আইওএসের ক্ষেত্রে নিচের ডান দিকে থাকা মেনু বাটনে ট্যাপ করুন। এর ফলে একটি মেনু চালু হবে।
৩. মেনু থেকে ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’ বাটনে ট্যাপ করুন। এরপর ‘সেটিংস’ বাটন নির্বাচন করুন।
৪. পেজের ওপরের দিকে থাকা ‘মেটা অ্যাকশন সেন্টারে’ ট্যাপ করুন।
৫. ‘পাসওয়ার্ড অ্যান্ড সিকিউরিটি’ অপশনে ট্যাপ করুন
৬. এবার ‘টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ নির্বাচন করুন।
৭. ফেসবুকের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকলে নতুন পেজে এক বা একাধিক অ্যাকাউন্ট দেখতে পারবেন। এখন কাঙ্ক্ষিত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করুন। এই পর্যায়ে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড দিতে হতে পারে।
৮. এখন সিকিউরিটি মেথড হিসেবে তিনটি অপশনের দেখানো হবে। সেগুলো হলো অথেনটিকেশন অ্যাপ, টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস ও সিকিউরিটি কি। এর মধ্য থেকে পছন্দের পদ্ধতিটি নির্বাচন করতে হবে।
অ্যাকাউন্টে সিকিউরিটি কি যুক্ত করতে হলে থার্ড পার্টি সিকিউরিটি কি কিনতে হয়। এই ফিচারটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় না। অন্যদিকে অথেনটিকেশন অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য প্রথমে ডিভাইসে একটি থার্ড পার্টি অথেনটিকেশন অ্যাপ ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। এর মধ্যে গুগল অথেনটিকেটর সবচেয়ে বিশ্বস্ত অ্যাপ।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত সিকিউরিটি মেথড হচ্ছে টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস। এই পদ্ধতি চালু করতে চাইলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১০. এখন ‘সিলেক্ট সিকিউরিটি মেথড’ থেকে ‘টেক্সট মেসেজ’ (এসএমএস) অপশন নির্বাচন করুন।
১১. ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা ফোন নম্বর দিন বা ভিন্ন নম্বর দিন। এই নম্বরে সিকিউরিটি কোড পাঠানো হবে। এরপর ‘কনটিনিউ’ অপশনে ট্যাপ করুন।
১২. এসএমএসের মাধ্যমে ফেসবুক ৬ অঙ্কের কোড ফোনে পাঠাবে। কোড পাওয়ার পর ফেসবুকে কোডটি টাইপ করুন।
১৩. এখন ‘কনটিনিউ’ অপশনে ট্যাপ করুন।
এই ফিচার চালু থাকলে অন্য কোনো অপরিচিত ডিভাইস থেকে ফেসবুকে লগ ইন এর চেষ্টা করা হলে আপনার ফোনে কোড পাঠানো হবে।
তথ্যসূত্র: জেড নেট ও অ্যান্ড্রয়েড অথোরিটি

আজকের ডিজিটাল যুগে অনলাইন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক অ্যাকাউন্টও এর ব্যতিক্রম নয়। এই প্ল্যাটফরমে ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করা হয়। তাই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি হল ‘টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ চালু করা। অন্য কারও কাছে পাসওয়ার্ডটি চলে গেলেও সুরক্ষার এই অতিরিক্ত স্তরের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবেন এবং পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করতে পারবেন।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কি
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন একটি নিরাপত্তাব্যবস্থা, যা আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি আপনার পরিচয় নিশ্চিত করতে দুটি পৃথক শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া বা আইডেনটিফিকেশন প্রসেস ব্যবহার করে। সাধারণভাবে পাসওয়ার্ড আপনার অ্যাকাউন্টের প্রথম স্তরের সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে। আর দ্বিতীয় স্তরে সুরক্ষা হিসেবে থাকে টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস। এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীর ই-মেইল বা ফোন নম্বরে একটি কোড পাঠানো হয়। পাসওয়ার্ড কাজ না করলেও এই কোড দিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যায়।
ফলে এই যাচাইকরণ প্রক্রিয়া চালু থাকলে পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের কাছে চলে গেলেও নিজের অ্যাকাউন্ট ফিরে পাবেন।
ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করবেন যেভাবে
১. স্মার্টফোন থেকে ফেসবুক চালু করুন।
২. অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ওপরের ডান পাশে থাকা তিনটি অনুভূমিক লাইনে ট্যাপ করুন। আইওএসের ক্ষেত্রে নিচের ডান দিকে থাকা মেনু বাটনে ট্যাপ করুন। এর ফলে একটি মেনু চালু হবে।
৩. মেনু থেকে ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’ বাটনে ট্যাপ করুন। এরপর ‘সেটিংস’ বাটন নির্বাচন করুন।
৪. পেজের ওপরের দিকে থাকা ‘মেটা অ্যাকশন সেন্টারে’ ট্যাপ করুন।
৫. ‘পাসওয়ার্ড অ্যান্ড সিকিউরিটি’ অপশনে ট্যাপ করুন
৬. এবার ‘টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ নির্বাচন করুন।
৭. ফেসবুকের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকলে নতুন পেজে এক বা একাধিক অ্যাকাউন্ট দেখতে পারবেন। এখন কাঙ্ক্ষিত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করুন। এই পর্যায়ে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড দিতে হতে পারে।
৮. এখন সিকিউরিটি মেথড হিসেবে তিনটি অপশনের দেখানো হবে। সেগুলো হলো অথেনটিকেশন অ্যাপ, টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস ও সিকিউরিটি কি। এর মধ্য থেকে পছন্দের পদ্ধতিটি নির্বাচন করতে হবে।
অ্যাকাউন্টে সিকিউরিটি কি যুক্ত করতে হলে থার্ড পার্টি সিকিউরিটি কি কিনতে হয়। এই ফিচারটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় না। অন্যদিকে অথেনটিকেশন অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য প্রথমে ডিভাইসে একটি থার্ড পার্টি অথেনটিকেশন অ্যাপ ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। এর মধ্যে গুগল অথেনটিকেটর সবচেয়ে বিশ্বস্ত অ্যাপ।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত সিকিউরিটি মেথড হচ্ছে টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস। এই পদ্ধতি চালু করতে চাইলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১০. এখন ‘সিলেক্ট সিকিউরিটি মেথড’ থেকে ‘টেক্সট মেসেজ’ (এসএমএস) অপশন নির্বাচন করুন।
১১. ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা ফোন নম্বর দিন বা ভিন্ন নম্বর দিন। এই নম্বরে সিকিউরিটি কোড পাঠানো হবে। এরপর ‘কনটিনিউ’ অপশনে ট্যাপ করুন।
১২. এসএমএসের মাধ্যমে ফেসবুক ৬ অঙ্কের কোড ফোনে পাঠাবে। কোড পাওয়ার পর ফেসবুকে কোডটি টাইপ করুন।
১৩. এখন ‘কনটিনিউ’ অপশনে ট্যাপ করুন।
এই ফিচার চালু থাকলে অন্য কোনো অপরিচিত ডিভাইস থেকে ফেসবুকে লগ ইন এর চেষ্টা করা হলে আপনার ফোনে কোড পাঠানো হবে।
তথ্যসূত্র: জেড নেট ও অ্যান্ড্রয়েড অথোরিটি

আজকের ডিজিটাল যুগে অনলাইন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক অ্যাকাউন্টও এর ব্যতিক্রম নয়। এই প্ল্যাটফরমে ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করা হয়। তাই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি হল ‘টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ চালু করা। অন্য কারও কাছে পাসওয়ার্ডটি চলে গেলেও সুরক্ষার এই অতিরিক্ত স্তরের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবেন এবং পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করতে পারবেন।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কি
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন একটি নিরাপত্তাব্যবস্থা, যা আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি আপনার পরিচয় নিশ্চিত করতে দুটি পৃথক শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া বা আইডেনটিফিকেশন প্রসেস ব্যবহার করে। সাধারণভাবে পাসওয়ার্ড আপনার অ্যাকাউন্টের প্রথম স্তরের সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে। আর দ্বিতীয় স্তরে সুরক্ষা হিসেবে থাকে টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস। এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীর ই-মেইল বা ফোন নম্বরে একটি কোড পাঠানো হয়। পাসওয়ার্ড কাজ না করলেও এই কোড দিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যায়।
ফলে এই যাচাইকরণ প্রক্রিয়া চালু থাকলে পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের কাছে চলে গেলেও নিজের অ্যাকাউন্ট ফিরে পাবেন।
ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করবেন যেভাবে
১. স্মার্টফোন থেকে ফেসবুক চালু করুন।
২. অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ওপরের ডান পাশে থাকা তিনটি অনুভূমিক লাইনে ট্যাপ করুন। আইওএসের ক্ষেত্রে নিচের ডান দিকে থাকা মেনু বাটনে ট্যাপ করুন। এর ফলে একটি মেনু চালু হবে।
৩. মেনু থেকে ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’ বাটনে ট্যাপ করুন। এরপর ‘সেটিংস’ বাটন নির্বাচন করুন।
৪. পেজের ওপরের দিকে থাকা ‘মেটা অ্যাকশন সেন্টারে’ ট্যাপ করুন।
৫. ‘পাসওয়ার্ড অ্যান্ড সিকিউরিটি’ অপশনে ট্যাপ করুন
৬. এবার ‘টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ নির্বাচন করুন।
৭. ফেসবুকের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকলে নতুন পেজে এক বা একাধিক অ্যাকাউন্ট দেখতে পারবেন। এখন কাঙ্ক্ষিত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করুন। এই পর্যায়ে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড দিতে হতে পারে।
৮. এখন সিকিউরিটি মেথড হিসেবে তিনটি অপশনের দেখানো হবে। সেগুলো হলো অথেনটিকেশন অ্যাপ, টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস ও সিকিউরিটি কি। এর মধ্য থেকে পছন্দের পদ্ধতিটি নির্বাচন করতে হবে।
অ্যাকাউন্টে সিকিউরিটি কি যুক্ত করতে হলে থার্ড পার্টি সিকিউরিটি কি কিনতে হয়। এই ফিচারটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় না। অন্যদিকে অথেনটিকেশন অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য প্রথমে ডিভাইসে একটি থার্ড পার্টি অথেনটিকেশন অ্যাপ ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। এর মধ্যে গুগল অথেনটিকেটর সবচেয়ে বিশ্বস্ত অ্যাপ।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত সিকিউরিটি মেথড হচ্ছে টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস। এই পদ্ধতি চালু করতে চাইলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১০. এখন ‘সিলেক্ট সিকিউরিটি মেথড’ থেকে ‘টেক্সট মেসেজ’ (এসএমএস) অপশন নির্বাচন করুন।
১১. ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা ফোন নম্বর দিন বা ভিন্ন নম্বর দিন। এই নম্বরে সিকিউরিটি কোড পাঠানো হবে। এরপর ‘কনটিনিউ’ অপশনে ট্যাপ করুন।
১২. এসএমএসের মাধ্যমে ফেসবুক ৬ অঙ্কের কোড ফোনে পাঠাবে। কোড পাওয়ার পর ফেসবুকে কোডটি টাইপ করুন।
১৩. এখন ‘কনটিনিউ’ অপশনে ট্যাপ করুন।
এই ফিচার চালু থাকলে অন্য কোনো অপরিচিত ডিভাইস থেকে ফেসবুকে লগ ইন এর চেষ্টা করা হলে আপনার ফোনে কোড পাঠানো হবে।
তথ্যসূত্র: জেড নেট ও অ্যান্ড্রয়েড অথোরিটি

গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিয়েছে। এমনটাই জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
১ দিন আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
২ দিন আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
২ দিন আগেদ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিয়েছে। এমনটাই জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
দ্য ইন্টারসেপ্ট বলেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) যেসব ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থা এসব ভিডিও প্রমাণ দিয়েছে, সেগুলোর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে—এ অজুহাতে ইউটিউব ভিডিওগুলো ডিলিট করে দিয়েছে। তদন্তে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তিনটি ফিলিস্তিনি সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কারণ, এসব সংগঠন ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় আইসিসির সঙ্গে কাজ করছে।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সংগঠনগুলো হলো—আল-হক্ক, আল-মিজান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস এবং প্যালেস্টাইনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস। চলতি বছরের অক্টোবরের শুরুতে ভিডিওগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়। এতে গাজা ও দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নৃশংসতার বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষিত নথি হারিয়ে গেছে। সেই ভিডিওগুলোতে ছিল ঘরবাড়ি ধ্বংস, সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নির্যাতনের সাক্ষ্য।
মুছে দেওয়া ভিডিওগুলোর মধ্যে ছিল ফিলিস্তিনি–আমেরিকান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যার তদন্তমূলক ফুটেজ এবং ‘দ্য বিচ’ নামের প্রামাণ্যচিত্র, যেখানে দেখানো হয়েছিল সমুদ্রের ধারে খেলার সময় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুদের মৃত্যু।
ইউটিউব স্বীকার করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গিয়ে তারা ‘বাণিজ্য ও রপ্তানি আইন’ মেনে ভিডিওগুলো সরিয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ইউটিউবের এই পদক্ষেপ কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের সেই প্রচেষ্টাকেই সহায়তা করছে, যার লক্ষ্য ইসরায়েলি অপরাধের প্রমাণ গোপন রাখা।
ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ-এর পরিচালক সারা লিয়া হুইটসন বলেন, ‘এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে এই সংগঠনগুলোর তথ্য শেয়ার করা কোনো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন হতে পারে।’ আরেক মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস ইউটিউবের সিদ্ধান্তকে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে। আর আল-হক্ব জানিয়েছে, এটি মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য এক ‘ভয়ংকর পশ্চাৎপদতা।’
প্যালেস্টাইনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ইউটিউবের পদক্ষেপ অপরাধীদের জবাবদিহি থেকে রক্ষা করছে। তারা গুগলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকারদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে অংশ নেওয়ার অভিযোগ এনেছে। আল-মিজান জানিয়েছে, তাদের চ্যানেল কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই মুছে দেওয়া হয়েছে। তিন সংগঠনই সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও একই ধরনের সেন্সরশিপ আসতে পারে, যাতে আরও অনেক যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ হারিয়ে যেতে পারে।
দ্য ইন্টারসেপ্ট জানিয়েছে, ইউটিউবের এই আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট। প্রো-ইসরায়েল ভিডিওগুলো বেশির ভাগই অক্ষত থাকলেও ফিলিস্তিনি বর্ণনা বা তথ্য নিয়মিতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ইউটিউব সহজেই ট্রাম্প প্রশাসন ও ইসরায়েল—দু’পক্ষের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে।
এই দমন অভিযান শুরু হয় এমন এক সময়, যখন যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইসরায়েলি নেতাদের রক্ষা করতে তৎপর। কারণ, আইসিসি গাজার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির বিচারক ও আদালতের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এদিকে, গত ২৮ অক্টোবর উইকিপিডিয়ায় ‘গাজা গণহত্যা’ শিরোনামের পেজটি সম্পাদনা থেকে লক করে দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস হস্তক্ষেপ করেন। ওয়েলস ওই পেজটিকে ‘বিশেষভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে দাবি করেন এবং বলেন, এটি ‘তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন’ করা দরকার, যাতে ‘নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি’ প্রতিফলিত হয়।
তাঁর এই মন্তব্যের পর সম্পাদকেরা তাঁকে তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁদের অভিযোগ, ওয়েলস রাজনৈতিক চাপে নতি স্বীকার করেছেন এবং জাতিসংঘ ও একাডেমিক গবেষণায় যে প্রমাণে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তা খর্ব করার চেষ্টা করছেন।

গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিয়েছে। এমনটাই জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
দ্য ইন্টারসেপ্ট বলেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) যেসব ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থা এসব ভিডিও প্রমাণ দিয়েছে, সেগুলোর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে—এ অজুহাতে ইউটিউব ভিডিওগুলো ডিলিট করে দিয়েছে। তদন্তে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তিনটি ফিলিস্তিনি সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কারণ, এসব সংগঠন ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় আইসিসির সঙ্গে কাজ করছে।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সংগঠনগুলো হলো—আল-হক্ক, আল-মিজান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস এবং প্যালেস্টাইনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস। চলতি বছরের অক্টোবরের শুরুতে ভিডিওগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়। এতে গাজা ও দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নৃশংসতার বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষিত নথি হারিয়ে গেছে। সেই ভিডিওগুলোতে ছিল ঘরবাড়ি ধ্বংস, সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নির্যাতনের সাক্ষ্য।
মুছে দেওয়া ভিডিওগুলোর মধ্যে ছিল ফিলিস্তিনি–আমেরিকান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যার তদন্তমূলক ফুটেজ এবং ‘দ্য বিচ’ নামের প্রামাণ্যচিত্র, যেখানে দেখানো হয়েছিল সমুদ্রের ধারে খেলার সময় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুদের মৃত্যু।
ইউটিউব স্বীকার করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গিয়ে তারা ‘বাণিজ্য ও রপ্তানি আইন’ মেনে ভিডিওগুলো সরিয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ইউটিউবের এই পদক্ষেপ কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের সেই প্রচেষ্টাকেই সহায়তা করছে, যার লক্ষ্য ইসরায়েলি অপরাধের প্রমাণ গোপন রাখা।
ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ-এর পরিচালক সারা লিয়া হুইটসন বলেন, ‘এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে এই সংগঠনগুলোর তথ্য শেয়ার করা কোনো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন হতে পারে।’ আরেক মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস ইউটিউবের সিদ্ধান্তকে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে। আর আল-হক্ব জানিয়েছে, এটি মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য এক ‘ভয়ংকর পশ্চাৎপদতা।’
প্যালেস্টাইনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ইউটিউবের পদক্ষেপ অপরাধীদের জবাবদিহি থেকে রক্ষা করছে। তারা গুগলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকারদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে অংশ নেওয়ার অভিযোগ এনেছে। আল-মিজান জানিয়েছে, তাদের চ্যানেল কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই মুছে দেওয়া হয়েছে। তিন সংগঠনই সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও একই ধরনের সেন্সরশিপ আসতে পারে, যাতে আরও অনেক যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ হারিয়ে যেতে পারে।
দ্য ইন্টারসেপ্ট জানিয়েছে, ইউটিউবের এই আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট। প্রো-ইসরায়েল ভিডিওগুলো বেশির ভাগই অক্ষত থাকলেও ফিলিস্তিনি বর্ণনা বা তথ্য নিয়মিতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ইউটিউব সহজেই ট্রাম্প প্রশাসন ও ইসরায়েল—দু’পক্ষের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে।
এই দমন অভিযান শুরু হয় এমন এক সময়, যখন যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইসরায়েলি নেতাদের রক্ষা করতে তৎপর। কারণ, আইসিসি গাজার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির বিচারক ও আদালতের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এদিকে, গত ২৮ অক্টোবর উইকিপিডিয়ায় ‘গাজা গণহত্যা’ শিরোনামের পেজটি সম্পাদনা থেকে লক করে দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস হস্তক্ষেপ করেন। ওয়েলস ওই পেজটিকে ‘বিশেষভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে দাবি করেন এবং বলেন, এটি ‘তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন’ করা দরকার, যাতে ‘নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি’ প্রতিফলিত হয়।
তাঁর এই মন্তব্যের পর সম্পাদকেরা তাঁকে তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁদের অভিযোগ, ওয়েলস রাজনৈতিক চাপে নতি স্বীকার করেছেন এবং জাতিসংঘ ও একাডেমিক গবেষণায় যে প্রমাণে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তা খর্ব করার চেষ্টা করছেন।

আজকের ডিজিটাল যুগে অনলাইন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক অ্যাকাউন্টও এর ব্যতিক্রম নয়। এই প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করা হয়। তাই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপ
৩০ আগস্ট ২০২৪
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
১ দিন আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
২ দিন আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে। বিভাগের ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কেউ প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশের খসড়া দেখতে পারবে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে মতামত জানাতে পারবে।
আজ বুধবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। তবে ইন্টারনেট সেবাদাতাসহ টেলিযোগাযোগ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি পক্ষের এই অধ্যাদেশ নিয়ে ভিন্নমত করেছে।
অধ্যাদেশের ওপর মতামত পাঠানো যাবে:
ই-মেইল: [email protected] - এই ইমেইলের মাধ্যমে। এ ছাড়া চিঠি পাঠিয়েও মতামত জানানো যাবে। ঠিকানা: সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে। বিভাগের ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কেউ প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশের খসড়া দেখতে পারবে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে মতামত জানাতে পারবে।
আজ বুধবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। তবে ইন্টারনেট সেবাদাতাসহ টেলিযোগাযোগ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি পক্ষের এই অধ্যাদেশ নিয়ে ভিন্নমত করেছে।
অধ্যাদেশের ওপর মতামত পাঠানো যাবে:
ই-মেইল: [email protected] - এই ইমেইলের মাধ্যমে। এ ছাড়া চিঠি পাঠিয়েও মতামত জানানো যাবে। ঠিকানা: সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

আজকের ডিজিটাল যুগে অনলাইন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক অ্যাকাউন্টও এর ব্যতিক্রম নয়। এই প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করা হয়। তাই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপ
৩০ আগস্ট ২০২৪
গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিয়েছে। এমনটাই জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
২ দিন আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
২ দিন আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির দক্ষিণ এশিয়ার হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মার্কেটিং তানভীর আহমেদের মুখোমুখি হয়েছে আজকের পত্রিকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু।
মোস্তাফিজ মিঠু

বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকেরা স্মার্টফোন দিয়ে হুয়াওয়েকে চেনে। যদিও এটি হুয়াওয়ের একটি অংশমাত্র। পুরো প্রতিষ্ঠান নিয়ে শুরুতে সংক্ষেপে জানতে চাইব।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে হুয়াওয়ের জনপ্রিয়তা আসে মোবাইল ফোন দিয়েই। আমাদের হ্যান্ডসেটগুলো বরাবরই জনপ্রিয়। ডিভাইসের ডিজাইন, টেক্সচার, ক্যামেরা কোয়ালিটি—সবকিছুই গ্রাহকের কাছে আকর্ষণীয় ছিল। আমি বহু মানুষকে এখনো হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখছি। কিন্তু হুয়াওয়ের যাত্রাটা আসলে মোবাইল ফোন দিয়ে শুরু হয়নি। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র তিন লাখের মতো টাকা দিয়ে চীনে হুয়াওয়ের যাত্রা শুরু করেন। আমাদের মূল ব্যবসা টেলিকম নেটওয়ার্ক সল্যুশন। টেলিকম প্রযুক্তি আর প্রজন্ম নিয়ে আমরা কাজ করি। এই যে টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জি, ফাইভ-জি বা সিক্স-জি—এমন প্রতিটি টেলিকম জেনারেশন উদ্ভাবনে আমরা সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখি এবং এই প্রযুক্তিগুলো সরবরাহ করি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে আমাদের সরঞ্জাম প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে মোবাইল টাওয়ারগুলোয় জিএসএম সল্যুশন ব্যবহার করা হয়।
এখন তো বাংলাদেশের বাজারে হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন নেই। বর্তমানে আপনারা কোন সেবাগুলো নিয়ে কাজ করছেন?
নেটওয়ার্ক সল্যুশন থেকে প্রযুক্তি, বিভিন্ন খাতে হুয়াওয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট ক্যামেরা সল্যুশন দিয়েছি; যার মাধ্যমে পুলিশ কন্ট্রোল রুম মনিটর করতে পারছে, কোনো নির্দিষ্ট রুটে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটল কি না, কোনো আইন কেউ ভাঙল কি না ইত্যাদি বিষয়। আমরা শুধু হার্ডওয়্যারই দিই না। এর সঙ্গে সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, ডেটা সেন্টার, ক্লাউড সল্যুশনসহ কাস্টমাইজড সমাধান দিয়ে থাকি। যেমন বিকাশকে আমরা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সরবরাহ করছি। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেটওয়ার্কিং ল্যাব গড়ে তুলেছি। মেডিকেল সেক্টরে ডেটাবেইস ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট দিয়ে থাকি; যাতে হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট সেবা আরও দক্ষভাবে পরিচালিত হয়।
আপনারা দেশের সৌরবিদ্যুৎ খাতেরও একটি সহযোগী। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে প্রযুক্তি সরবরাহ করাও আমাদের বড় একটি ব্যবসায়িক দিক। ২০২০ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশের তৎকালীন সবচেয়ে বড় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়। আমরা সেই প্রকল্পে পিভি ইনভার্টার প্রযুক্তি ও সমাধান দিয়েছি। সেখানে এখন প্রতিদিন প্রায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে রুফটপ সোলার সল্যুশন, পিভি ইনভার্টার এবং এনার্জি স্টোরেজ সল্যুশন সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে আমরা ইউআইইউ ও সিইআরের সঙ্গে ইউআইইউতে সম্মিলিতভাবে একটি সোলার পাওয়ার ল্যাব চালু করেছি। সেখানে শিক্ষানবিশ ও পেশাদারেরা সোলার এনার্জি উৎপাদন, প্রকল্পের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে টেলিকম অপারেটরদের যে টাওয়ারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে সৌরবিদ্যুৎনির্ভর করে তুলতে আমরা অনেক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় ও তরুণদের জন্য আপনাদের কয়েকটি উদ্যোগ রয়েছে। সেগুলোর উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাই।
সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। আমরা এ ক্ষেত্রে তরুণদের উন্নয়নের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মাধ্যমে যেন তারা একটি গাইডলাইন বা প্ল্যাটফর্ম পায়। এ রকম আমাদের বেশ কিছু আয়োজন আছে। সেগুলোর মধ্যে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বেশ জনপ্রিয় একটি উদ্যোগ। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ থেকে ১২ জনের একটি ব্যাচ বেছে নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য চীনে পাঠানো হয়। এখানে নারী-পুরুষের সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ডিজাইন থিংকিং, ডিপ-থিংকিং মেথডোলজি, টিমওয়ার্ক, সেলফ প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে উৎকর্ষ অর্জন করেন। এগুলো ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ারে কাজে লাগে। সাবেক অংশগ্রহণকারীরা গ্লোবাল এবং রিজিওনাল রাউন্ডে অংশ নেয়। অন্যদিকে আমরা নিয়মিত ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম করি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটরা এতে অংশ নেন।

বাংলাদেশে এখন ফাইভ-জি চলে এসেছে। এর সঙ্গেও হুয়াওয়ের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। আপনাদের ভূমিকার বিষয়টি পাঠকদের জানাতে চাই।
সম্প্রতি বাংলাদেশে দুটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইভ-জি ঘোষণার পর মূলত এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে; যাদের সল্যুশন দিচ্ছে হুয়াওয়ে। যদিও এই আলোচনার শুরু ২০১৮ সালে। বাংলাদেশে প্রথম ফাইভ-জি ট্রায়াল পরিচালনা করে হুয়াওয়ে। তখন আমাদের
সঙ্গে ছিল রবি। ২০২০ সালে আমরা এক প্রদর্শনীতে ফাইভ-জি নিয়ে জনসমক্ষে এর অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেছিলাম। সম্প্রতি দুই টেলিকম অপারেটর বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি বাজারে নিয়ে আসে। এখন যেকোনো অপারেটরকেই ফাইভ-জি প্রযুক্তির সাপোর্ট দিতে হুয়াওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এআইকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে। আপনারা কোন ধরনের কাজে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন?
এখন আসলে এআইয়ের সময়। আমাদের বিভিন্ন সমাধানের উচ্চক্ষমতা নিশ্চিত করতে সেগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী এআই রয়েছে। যেমন সোলার পাওয়ার সিস্টেমে পিভি
ইনভার্টার ও উৎপাদন ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্টের অ্যালগরিদমগুলো এআইভিত্তিক। এতে উৎপাদন, ম্যানেজমেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউশন আরও দক্ষভাবে পরিচালনা করা যায়। হুয়াওয়ে ক্লাউডেও অনেক রকম এআইয়ের ইন্টিগ্রেশন রয়েছে, যা এর ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা ও নিরাপত্তা দেয়।
বাংলাদেশে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? নতুন বছরে বিশেষ কিছু আসছে?
বাংলাদেশের প্রযুক্তি অবকাঠামো, বিশেষত ক্লাউড, নবায়নযোগ্য শক্তি, এআই ও শিক্ষা খাতে আরও অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্টার্টআপ ও শিল্প খাতের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়িয়ে বিভিন্ন সল্যুশন নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। লক্ষ্য হচ্ছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো। আমরা প্রথম থেকে বাংলাদেশের আইসিটির অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চেয়েছি। আমাদের মূল ভিশন হলো ‘বিল্ডিং আ ফুললি কানেক্টেড, ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ’। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাব।
বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকেরা স্মার্টফোন দিয়ে হুয়াওয়েকে চেনে। যদিও এটি হুয়াওয়ের একটি অংশমাত্র। পুরো প্রতিষ্ঠান নিয়ে শুরুতে সংক্ষেপে জানতে চাইব।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে হুয়াওয়ের জনপ্রিয়তা আসে মোবাইল ফোন দিয়েই। আমাদের হ্যান্ডসেটগুলো বরাবরই জনপ্রিয়। ডিভাইসের ডিজাইন, টেক্সচার, ক্যামেরা কোয়ালিটি—সবকিছুই গ্রাহকের কাছে আকর্ষণীয় ছিল। আমি বহু মানুষকে এখনো হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখছি। কিন্তু হুয়াওয়ের যাত্রাটা আসলে মোবাইল ফোন দিয়ে শুরু হয়নি। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র তিন লাখের মতো টাকা দিয়ে চীনে হুয়াওয়ের যাত্রা শুরু করেন। আমাদের মূল ব্যবসা টেলিকম নেটওয়ার্ক সল্যুশন। টেলিকম প্রযুক্তি আর প্রজন্ম নিয়ে আমরা কাজ করি। এই যে টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জি, ফাইভ-জি বা সিক্স-জি—এমন প্রতিটি টেলিকম জেনারেশন উদ্ভাবনে আমরা সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখি এবং এই প্রযুক্তিগুলো সরবরাহ করি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে আমাদের সরঞ্জাম প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে মোবাইল টাওয়ারগুলোয় জিএসএম সল্যুশন ব্যবহার করা হয়।
এখন তো বাংলাদেশের বাজারে হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন নেই। বর্তমানে আপনারা কোন সেবাগুলো নিয়ে কাজ করছেন?
নেটওয়ার্ক সল্যুশন থেকে প্রযুক্তি, বিভিন্ন খাতে হুয়াওয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট ক্যামেরা সল্যুশন দিয়েছি; যার মাধ্যমে পুলিশ কন্ট্রোল রুম মনিটর করতে পারছে, কোনো নির্দিষ্ট রুটে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটল কি না, কোনো আইন কেউ ভাঙল কি না ইত্যাদি বিষয়। আমরা শুধু হার্ডওয়্যারই দিই না। এর সঙ্গে সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, ডেটা সেন্টার, ক্লাউড সল্যুশনসহ কাস্টমাইজড সমাধান দিয়ে থাকি। যেমন বিকাশকে আমরা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সরবরাহ করছি। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেটওয়ার্কিং ল্যাব গড়ে তুলেছি। মেডিকেল সেক্টরে ডেটাবেইস ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট দিয়ে থাকি; যাতে হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট সেবা আরও দক্ষভাবে পরিচালিত হয়।
আপনারা দেশের সৌরবিদ্যুৎ খাতেরও একটি সহযোগী। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে প্রযুক্তি সরবরাহ করাও আমাদের বড় একটি ব্যবসায়িক দিক। ২০২০ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশের তৎকালীন সবচেয়ে বড় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়। আমরা সেই প্রকল্পে পিভি ইনভার্টার প্রযুক্তি ও সমাধান দিয়েছি। সেখানে এখন প্রতিদিন প্রায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে রুফটপ সোলার সল্যুশন, পিভি ইনভার্টার এবং এনার্জি স্টোরেজ সল্যুশন সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে আমরা ইউআইইউ ও সিইআরের সঙ্গে ইউআইইউতে সম্মিলিতভাবে একটি সোলার পাওয়ার ল্যাব চালু করেছি। সেখানে শিক্ষানবিশ ও পেশাদারেরা সোলার এনার্জি উৎপাদন, প্রকল্পের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে টেলিকম অপারেটরদের যে টাওয়ারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে সৌরবিদ্যুৎনির্ভর করে তুলতে আমরা অনেক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় ও তরুণদের জন্য আপনাদের কয়েকটি উদ্যোগ রয়েছে। সেগুলোর উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাই।
সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। আমরা এ ক্ষেত্রে তরুণদের উন্নয়নের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মাধ্যমে যেন তারা একটি গাইডলাইন বা প্ল্যাটফর্ম পায়। এ রকম আমাদের বেশ কিছু আয়োজন আছে। সেগুলোর মধ্যে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বেশ জনপ্রিয় একটি উদ্যোগ। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ থেকে ১২ জনের একটি ব্যাচ বেছে নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য চীনে পাঠানো হয়। এখানে নারী-পুরুষের সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ডিজাইন থিংকিং, ডিপ-থিংকিং মেথডোলজি, টিমওয়ার্ক, সেলফ প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে উৎকর্ষ অর্জন করেন। এগুলো ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ারে কাজে লাগে। সাবেক অংশগ্রহণকারীরা গ্লোবাল এবং রিজিওনাল রাউন্ডে অংশ নেয়। অন্যদিকে আমরা নিয়মিত ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম করি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটরা এতে অংশ নেন।

বাংলাদেশে এখন ফাইভ-জি চলে এসেছে। এর সঙ্গেও হুয়াওয়ের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। আপনাদের ভূমিকার বিষয়টি পাঠকদের জানাতে চাই।
সম্প্রতি বাংলাদেশে দুটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইভ-জি ঘোষণার পর মূলত এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে; যাদের সল্যুশন দিচ্ছে হুয়াওয়ে। যদিও এই আলোচনার শুরু ২০১৮ সালে। বাংলাদেশে প্রথম ফাইভ-জি ট্রায়াল পরিচালনা করে হুয়াওয়ে। তখন আমাদের
সঙ্গে ছিল রবি। ২০২০ সালে আমরা এক প্রদর্শনীতে ফাইভ-জি নিয়ে জনসমক্ষে এর অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেছিলাম। সম্প্রতি দুই টেলিকম অপারেটর বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি বাজারে নিয়ে আসে। এখন যেকোনো অপারেটরকেই ফাইভ-জি প্রযুক্তির সাপোর্ট দিতে হুয়াওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এআইকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে। আপনারা কোন ধরনের কাজে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন?
এখন আসলে এআইয়ের সময়। আমাদের বিভিন্ন সমাধানের উচ্চক্ষমতা নিশ্চিত করতে সেগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী এআই রয়েছে। যেমন সোলার পাওয়ার সিস্টেমে পিভি
ইনভার্টার ও উৎপাদন ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্টের অ্যালগরিদমগুলো এআইভিত্তিক। এতে উৎপাদন, ম্যানেজমেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউশন আরও দক্ষভাবে পরিচালনা করা যায়। হুয়াওয়ে ক্লাউডেও অনেক রকম এআইয়ের ইন্টিগ্রেশন রয়েছে, যা এর ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা ও নিরাপত্তা দেয়।
বাংলাদেশে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? নতুন বছরে বিশেষ কিছু আসছে?
বাংলাদেশের প্রযুক্তি অবকাঠামো, বিশেষত ক্লাউড, নবায়নযোগ্য শক্তি, এআই ও শিক্ষা খাতে আরও অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্টার্টআপ ও শিল্প খাতের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়িয়ে বিভিন্ন সল্যুশন নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। লক্ষ্য হচ্ছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো। আমরা প্রথম থেকে বাংলাদেশের আইসিটির অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চেয়েছি। আমাদের মূল ভিশন হলো ‘বিল্ডিং আ ফুললি কানেক্টেড, ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ’। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাব।

আজকের ডিজিটাল যুগে অনলাইন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক অ্যাকাউন্টও এর ব্যতিক্রম নয়। এই প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করা হয়। তাই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপ
৩০ আগস্ট ২০২৪
গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিয়েছে। এমনটাই জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
১ দিন আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
২ দিন আগেটি এইচ মাহির

সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটগুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা। নতুন এই কৌশল ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো থেকে ৩০ সেকেন্ডের কম সময়ে তারা তথ্য চুরি করতে সক্ষম।
‘পিক্সন্যাপিং’ নামে নতুন ধরনের এই হ্যাকিং কীভাবে হচ্ছে, তা আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ও কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাইওয়ানের ৩২তম এসিএম কম্পিউটার ও যোগাযোগ সুরক্ষা সম্মেলনে এই গবেষণা প্রকাশ করেন তাঁরা।
অনুমতি ছাড়া তথ্য চুরি সম্ভব
পিক্সন্যাপিং নামে এই নতুন হ্যাকিং কৌশলে একধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দিয়ে তথ্য চুরি করা হয়। অ্যাপটির জন্য মোবাইল ফোনসেটের কোনো সিস্টেমের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। এই ক্ষতিকর অ্যাপ ডিভাইসে থাকা অন্যান্য অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ভিজিটের তথ্য পড়তে পারে। পাশাপাশি জিমেইল ও গুগল অথেনটিকেটরের মতো নন-ব্রাউজার অ্যাপ থেকেও তথ্য চুরি করতে পারে। গবেষকেরা পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটকে গবেষণায় ব্যবহার করেছেন। গুগল পিক্সেল সিরিজের ৬, ৭, ৮, ৯ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫, এই ডিভাইসগুলোতে ঝুঁকি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। অন্যান্য ফোনসেট এখনো আক্রমণের শিকার হয়নি। কিন্তু হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেননি গবেষকেরা। গুগল ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিলেও গবেষকেরা বলছেন, হ্যাকাররা পরিবর্তিত কৌশল ব্যবহার করতে পারে।
লিংক পাঠানোর কৌশল
হ্যাকাররা এই আক্রমণ করার সময় প্রথমে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহার করে। এই অ্যাপ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য মাধ্যমে লিংক পাঠিয়ে এই অ্যাপ ডাউনলোড করানো হতে পারে। ভুক্তভোগী এসব লিংকে ক্লিক করলে ফোনসেটে অ্যাপ ইনস্টল হয়ে যাবে। কখনো নকল অ্যাপ স্টোর, বিজ্ঞাপন, কিউআর কোডের মাধ্যমেও ফোনসেট ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করা হতে পারে। মোবাইল ফোনসেটে হ্যাকারদের অ্যাপ ইনস্টল হলে তার পিক্সেলের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তথ্য চুরি করা হয়।
পিক্সন্যাপিং হলো একটি চতুর কৌশল, যেখানে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ফোনসেটের গ্রাফিকস সিস্টেম থেকে ক্ষুদ্র সংকেতগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং ধাপে ধাপে অন্য অ্যাপগুলো স্ক্রিনে কী করছে তা বের করে।
এটি টু ফ্যাক্টর কোড বা মেসেজ প্রিভিউর
মতো সংক্ষিপ্ত এবং সংবেদনশীল জিনিসগুলো দেখতে পারে। এটি সিস্টেমের কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই কাজ করে। এই সাইবার আক্রমণ অনেকটা ২০২৩ সালের জিপিইউ ডট জিপ আক্রমণের মতো।
পিক্সন্যাপিং নামে নতুন এই সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অ্যান্ড্রয়েডের নতুন প্যাচ, আপডেট বা সিকিউরিটি আপডেট এলে তা ইনস্টল করা উচিত। বেনামি অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। ফোনসেট ডাউনলোড করা সব অ্যাপের সিস্টেম পারমিশন যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং অ্যাপগুলোতে একাধিক সিকিউরিটি ব্যবহার করতে হবে। যেমন পিন বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি আলাদা একটি অ্যাপ লক ব্যবহার করা যায়। যদি সম্ভব হয়, তাহলে ফিজিক্যাল কি ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ, দ্য রেজিস্ট্রার

সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটগুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা। নতুন এই কৌশল ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো থেকে ৩০ সেকেন্ডের কম সময়ে তারা তথ্য চুরি করতে সক্ষম।
‘পিক্সন্যাপিং’ নামে নতুন ধরনের এই হ্যাকিং কীভাবে হচ্ছে, তা আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ও কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাইওয়ানের ৩২তম এসিএম কম্পিউটার ও যোগাযোগ সুরক্ষা সম্মেলনে এই গবেষণা প্রকাশ করেন তাঁরা।
অনুমতি ছাড়া তথ্য চুরি সম্ভব
পিক্সন্যাপিং নামে এই নতুন হ্যাকিং কৌশলে একধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দিয়ে তথ্য চুরি করা হয়। অ্যাপটির জন্য মোবাইল ফোনসেটের কোনো সিস্টেমের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। এই ক্ষতিকর অ্যাপ ডিভাইসে থাকা অন্যান্য অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ভিজিটের তথ্য পড়তে পারে। পাশাপাশি জিমেইল ও গুগল অথেনটিকেটরের মতো নন-ব্রাউজার অ্যাপ থেকেও তথ্য চুরি করতে পারে। গবেষকেরা পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটকে গবেষণায় ব্যবহার করেছেন। গুগল পিক্সেল সিরিজের ৬, ৭, ৮, ৯ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫, এই ডিভাইসগুলোতে ঝুঁকি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। অন্যান্য ফোনসেট এখনো আক্রমণের শিকার হয়নি। কিন্তু হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেননি গবেষকেরা। গুগল ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিলেও গবেষকেরা বলছেন, হ্যাকাররা পরিবর্তিত কৌশল ব্যবহার করতে পারে।
লিংক পাঠানোর কৌশল
হ্যাকাররা এই আক্রমণ করার সময় প্রথমে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহার করে। এই অ্যাপ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য মাধ্যমে লিংক পাঠিয়ে এই অ্যাপ ডাউনলোড করানো হতে পারে। ভুক্তভোগী এসব লিংকে ক্লিক করলে ফোনসেটে অ্যাপ ইনস্টল হয়ে যাবে। কখনো নকল অ্যাপ স্টোর, বিজ্ঞাপন, কিউআর কোডের মাধ্যমেও ফোনসেট ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করা হতে পারে। মোবাইল ফোনসেটে হ্যাকারদের অ্যাপ ইনস্টল হলে তার পিক্সেলের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তথ্য চুরি করা হয়।
পিক্সন্যাপিং হলো একটি চতুর কৌশল, যেখানে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ফোনসেটের গ্রাফিকস সিস্টেম থেকে ক্ষুদ্র সংকেতগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং ধাপে ধাপে অন্য অ্যাপগুলো স্ক্রিনে কী করছে তা বের করে।
এটি টু ফ্যাক্টর কোড বা মেসেজ প্রিভিউর
মতো সংক্ষিপ্ত এবং সংবেদনশীল জিনিসগুলো দেখতে পারে। এটি সিস্টেমের কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই কাজ করে। এই সাইবার আক্রমণ অনেকটা ২০২৩ সালের জিপিইউ ডট জিপ আক্রমণের মতো।
পিক্সন্যাপিং নামে নতুন এই সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অ্যান্ড্রয়েডের নতুন প্যাচ, আপডেট বা সিকিউরিটি আপডেট এলে তা ইনস্টল করা উচিত। বেনামি অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। ফোনসেট ডাউনলোড করা সব অ্যাপের সিস্টেম পারমিশন যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং অ্যাপগুলোতে একাধিক সিকিউরিটি ব্যবহার করতে হবে। যেমন পিন বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি আলাদা একটি অ্যাপ লক ব্যবহার করা যায়। যদি সম্ভব হয়, তাহলে ফিজিক্যাল কি ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ, দ্য রেজিস্ট্রার

আজকের ডিজিটাল যুগে অনলাইন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক অ্যাকাউন্টও এর ব্যতিক্রম নয়। এই প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করা হয়। তাই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপ
৩০ আগস্ট ২০২৪
গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিয়েছে। এমনটাই জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
১ দিন আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
২ দিন আগে