প্রযুক্তি ডেস্ক
ইথেরিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক জ্যেষ্ঠ গবেষক ভার্জিল গ্রিফিথ গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। উত্তর কোরিয়াকে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে তিনি সহায়তা করেছিলেন। পিয়ংইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত 'ব্লকচেইন অ্যান্ড ক্রিপ্টোকারেন্সি' সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি বক্তব্য রেখেছিলেন। ভার্জিল গ্রিফিথের বক্তব্যের বিষয় ছিল 'ব্লকচেইন অ্যান্ড পিস'। সেই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন ১০০ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের আদালত বলেছে, ভার্জিল গ্রিফিথের এমন কাজে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছিল।
গ্রিফিথের আইনজীবী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, 'গ্রিফিথ এ ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত।'
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিফিথ উত্তর কোরিয়ায় ভ্রমণের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু গ্রিফিথ অন্য উপায় অবলম্বন করে উত্তর কোরিয়ায় যান। তিনি চীন হয়ে উত্তর কোরিয়ায় পাড়ি জমান। সাত মাস পরে সিঙ্গাপুরে বসবাসকারী গ্রিফিথকে লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসিকিউটর বলেন, 'গ্রিফিথ ব্লকচেইন অ্যান্ড ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে উত্তর কোরিয়ায় আয়োজিত সম্মেলনে প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলেন। আলোচনার বিষয়টি উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করেছিল। নিষেধাজ্ঞা ও অর্থ পাচার এড়াতে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তি ব্যবহার করা নিয়ে তিনি আলোচনা করেছিলেন।'
ভার্জিল গ্রিফিথ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইথেরিয়াম ক্রিপ্টোকারেন্সির সহপ্রতিষ্ঠাতা ভিটালিক বুটেরিন বলেন, 'উত্তর কোরিয়ায় গ্রিফিথের কার্যক্রমকে ফাউন্ডেশন সমর্থন করেনি।' এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, 'এটি ভার্জিল গ্রিফিথের ব্যক্তিগত সফর ছিল। অনেকেই তাঁকে এর বিরুদ্ধে পরামর্শ দিয়েছিল।'
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, উত্তর কোরিয়াকে সেবা প্রদান করে ভার্জিল গ্রিফিথ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন লঙ্ঘন করেছেন। এ কারণ তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তিনি নিষেধাজ্ঞা এড়াতে উত্তর কোরিয়াকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেন।
গ্রিফিথের প্রেজেন্টেশন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানায়, গ্রিফিথের আলোচনায় কীভাবে স্মার্ট চুক্তির মতো ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপকৃত হওয়া যায়, সে বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছিল। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ে দেনদরবারের বিষয়ও আলোচনায় তুলে আনেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি অড্রে স্ট্রস বলেছেন, 'গ্রিফিথ আমাদের দেশের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিদেশি প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়াকে সাহায্য করতে সম্মত হয়েছিলেন।'
আগামী জানুয়ারিতে গ্রিফিথকে সাজা দেওয়া হবে। তাঁর ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। যদিও দোষ স্বীকার করায় সাজা কমে হতে পারে সাড়ে ছয় বছর।
উত্তর কোরিয়ার সেই সম্মেলনে অংশ নেওয়া সাংবাদিক ইথান ল টুইটারে বলেন, 'গ্রিফিথ যখন কথা বলছিলেন, তখন তাঁকে আবেগাপ্লুত মনে হয়েছে।'
উল্লেখ্য, গ্রিফিথ ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তিনি ইথেরিয়াম ফাউন্ডেশনের বিশেষ প্রজেক্ট গ্রুপে কর্মরত ছিলেন। টেলিভিশন অনুষ্ঠানেও তাঁকে দেখা যেত। তাঁর আইনজীবী ব্রায়ান ক্লেইন বলেন, 'তাঁর অনেক গুণ রয়েছে। তাঁকে শুধু তাঁর এই ভুল দিয়ে বিচার করলে হবে না।'
ইথেরিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক জ্যেষ্ঠ গবেষক ভার্জিল গ্রিফিথ গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। উত্তর কোরিয়াকে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে তিনি সহায়তা করেছিলেন। পিয়ংইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত 'ব্লকচেইন অ্যান্ড ক্রিপ্টোকারেন্সি' সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি বক্তব্য রেখেছিলেন। ভার্জিল গ্রিফিথের বক্তব্যের বিষয় ছিল 'ব্লকচেইন অ্যান্ড পিস'। সেই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন ১০০ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের আদালত বলেছে, ভার্জিল গ্রিফিথের এমন কাজে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছিল।
গ্রিফিথের আইনজীবী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, 'গ্রিফিথ এ ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত।'
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিফিথ উত্তর কোরিয়ায় ভ্রমণের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু গ্রিফিথ অন্য উপায় অবলম্বন করে উত্তর কোরিয়ায় যান। তিনি চীন হয়ে উত্তর কোরিয়ায় পাড়ি জমান। সাত মাস পরে সিঙ্গাপুরে বসবাসকারী গ্রিফিথকে লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসিকিউটর বলেন, 'গ্রিফিথ ব্লকচেইন অ্যান্ড ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে উত্তর কোরিয়ায় আয়োজিত সম্মেলনে প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলেন। আলোচনার বিষয়টি উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করেছিল। নিষেধাজ্ঞা ও অর্থ পাচার এড়াতে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তি ব্যবহার করা নিয়ে তিনি আলোচনা করেছিলেন।'
ভার্জিল গ্রিফিথ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইথেরিয়াম ক্রিপ্টোকারেন্সির সহপ্রতিষ্ঠাতা ভিটালিক বুটেরিন বলেন, 'উত্তর কোরিয়ায় গ্রিফিথের কার্যক্রমকে ফাউন্ডেশন সমর্থন করেনি।' এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, 'এটি ভার্জিল গ্রিফিথের ব্যক্তিগত সফর ছিল। অনেকেই তাঁকে এর বিরুদ্ধে পরামর্শ দিয়েছিল।'
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, উত্তর কোরিয়াকে সেবা প্রদান করে ভার্জিল গ্রিফিথ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন লঙ্ঘন করেছেন। এ কারণ তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তিনি নিষেধাজ্ঞা এড়াতে উত্তর কোরিয়াকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেন।
গ্রিফিথের প্রেজেন্টেশন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানায়, গ্রিফিথের আলোচনায় কীভাবে স্মার্ট চুক্তির মতো ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপকৃত হওয়া যায়, সে বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছিল। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ে দেনদরবারের বিষয়ও আলোচনায় তুলে আনেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি অড্রে স্ট্রস বলেছেন, 'গ্রিফিথ আমাদের দেশের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিদেশি প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়াকে সাহায্য করতে সম্মত হয়েছিলেন।'
আগামী জানুয়ারিতে গ্রিফিথকে সাজা দেওয়া হবে। তাঁর ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। যদিও দোষ স্বীকার করায় সাজা কমে হতে পারে সাড়ে ছয় বছর।
উত্তর কোরিয়ার সেই সম্মেলনে অংশ নেওয়া সাংবাদিক ইথান ল টুইটারে বলেন, 'গ্রিফিথ যখন কথা বলছিলেন, তখন তাঁকে আবেগাপ্লুত মনে হয়েছে।'
উল্লেখ্য, গ্রিফিথ ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তিনি ইথেরিয়াম ফাউন্ডেশনের বিশেষ প্রজেক্ট গ্রুপে কর্মরত ছিলেন। টেলিভিশন অনুষ্ঠানেও তাঁকে দেখা যেত। তাঁর আইনজীবী ব্রায়ান ক্লেইন বলেন, 'তাঁর অনেক গুণ রয়েছে। তাঁকে শুধু তাঁর এই ভুল দিয়ে বিচার করলে হবে না।'
বিশ্বজুড়েই ম্যারাথনে মানুষই দৌড়ায়। তবে চীনে দেখা গেল ভিন্ন দৃশ্য। সেখানে হাফ ম্যারাথনে দৌড়াল রোবট। একটি কিংবা দুটি নয়, ২০টি রোবট দৌড়াল সেই ম্যারাথনে।
৭ ঘণ্টা আগেবর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসার প্রসারে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী ও জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, যেখানে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ সক্রিয় থাকেন। ব্যবসাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও পণ্য বা সেবার ব্যাপারে বিশ্বাস তৈরি করতে ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করা
১৭ ঘণ্টা আগেআগাগোড়াই স্মার্টফোনের সঙ্গে বড় হওয়া প্রথম প্রজন্ম জেনারেশন জেড বা জেন-জি। যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। নতুন এক গবেষণা বলছে, ভুল তথ্যে বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে যেসব শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মানুষেরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তাদের মধ্যে প্রযুক্তির আশীর্বাদ নিয়ে জন্ম নেওয়া জেন-জি প্রজন্ম অন্যতম। সম্প্রতি কানাডা
১৭ ঘণ্টা আগেচাকরির বাজারে এক নতুন হুমকির নাম—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এই প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে প্রতারকেরা এখন তৈরি করছে ভুয়া প্রোফাইল। এসব ভুয়া প্রোফাইল দিয়ে অনলাইন ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে দূর থেকে কাজ করার সুযোগ পেতে চায় প্রতারকেরা।
১৭ ঘণ্টা আগে