Ajker Patrika

ইউটিউব মিউজিকের ওয়েবসাইট থেকে গান ডাউনলোড করা যাবে

ইউটিউব মিউজিকের ওয়েবসাইট থেকে গান ডাউনলোড করা যাবে

ওয়েবসাইট থেকে গান ডাউনলোড করার সুবিধা পাওয়া যাবে স্পটিফাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব মিউজিকে। ফলে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই অফলাইনে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন প্লে লিস্টের গান ও মিউজিক শুনতে পারবে। এর আগে মোবাইল অ্যাপে ব্যবহারের জন্য ফিচারটি উন্মোচন করা হয়েছিল। 

ফিচারটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই কাজ করছিল ইউটিউব। তবে ২৯ মার্চ থেকে ফিচারটি পুরোপুরি প্ল্যাটফর্মটিতে ছাড়া হয়েছে। তবে সব ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে ফিচারটি এখনো দেখা যাচ্ছে। তবে কিছু ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্টে নতুন ফিচারটি নিয়ে নোটিফিকেশন দেখানো হচ্ছে। এই মেসেজ প্ল্যাটফর্মটির লাইব্রেরি ট্যাবে দেখানো হচ্ছে। 

ডেস্কটপের জন্য ইউটিউব মিউজিকের কোনো আলাদা অ্যাপ নেই। তাই ডেস্কটপ থেকে ইউটিউবের মিউজিক ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্যবহারকারীদের এই ফিচার ব্যবহার করতে হবে। ডাউনলোড করা মিউজিকগুলো অ্যাকাউন্টের লাইব্রেরি অপশনে ‘ডাউনলোড’ ট্যাবে পাওয়া যাবে। 

ডাউনলোড করা মিউজিকগুলো অ্যাকাউন্টের লাইব্রেরি অপশনে ‘ডাউনলোড’ ট্যাবে পাওয়া যাবেফিচারটি ধীরে ধীরে সকল ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে পাওয়া যাবে। 

ডেস্কটপে ইউটিউব মিউজিকে যেভাবে গান ডাউনলোড করবেন-
১. ইউটিউব মিউজিকের ওয়েবসাইটে নিজের গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে প্রবেশ করুন। 
২. কোনো অ্যালবাম বা মিউজিক চালু করুন। 
৩. ‘সেভ লাইব্রেরি’ ও তিন ডট অপশনে মাঝখানে নিচের দিকে তীর চিহ্ন সংবলিত একটি বাটন খুঁজে বের করুন। 
৪. বাটনটিতে ট্যাপ করুন। এর মাধ্যমে একটি মিউজিক বা পুরো অ্যালবামটি ডাউনলোড করা যাবে। 

একটি ইউটিউব মিউজিক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০টি ডিভাইসে অফলাইন ডাউনলোড করা যাবে। মোবাইল অ্যাপের মতোই ৩০ দিনের মধ্যে একদিন ডিভাইসটি ইন্টারনেট সংযোগ না পেলে ডাউনলোডগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ অফলাইনে শোনার জন্য মিউজিকগুলো পুনরায় ডাউনলোড করতে হবে। 

‘সেভ লাইব্রেরি’ ও তিন ডট অপশনে মাঝখানে নিচের দিকে তীর চিহ্ন সংবলিত একটি বাটন খুঁজে বের করুনডাউনলোড অপশনে ফিল্টার করার অপশন রয়েছে। এর মাধ্যমে ডাউনলোড করা প্লে লিস্ট, পড কাস্ট, গান বা অ্যালবামগুলো ফিল্টার করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উদ্ভাবন নাকি অশনিসংকেত—ওপেনএআইয়ের ‘সোরা ২’ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ভিডিও তৈরির নতুন টুল ‘সোরা ২’ প্রকাশের পর থেকেই প্রযুক্তি জগতে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি করেছে। মাত্র কয়েকটি লাইনের টেক্সট লিখেই বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম এই অ্যাপটি দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এর পাশাপাশি বাড়ছে সমালোচনার ঝড়—বিশেষ করে, কপিরাইট লঙ্ঘন, ভুয়া ভিডিও ছড়ানো ও নৈতিকতার প্রশ্নে ওপেনএআইকে এখন কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে এই টুল।

২০২৪ সালের সীমিত সংস্করণের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ‘সোরা ২’ উন্মোচন করে ওপেনএআই। নতুন সংস্করণে ব্যবহারকারীরা নিজেদের মুখের ছবি ও কণ্ঠের রেকর্ড আপলোড করে পছন্দের যে কোনো দৃশ্যে নিজেদের উপস্থিত করতে পারেন। প্রযুক্তির এই সহজলভ্যতা যেমন সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণীয়, তেমনি এটি অপব্যবহারের আশঙ্কাও বাড়িয়েছে।

অল্প সময়েই দেখা গেছে, ‘সোরা ২’ ব্যবহার করে কেউ কেউ ড. মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রকে নিয়ে বর্ণবাদী ও আক্রমণাত্মক ভিডিও তৈরি করেছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাঁর পরিবার তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিতে ওপেনএআইয়ের কাছে দাবি জানায়। একইভাবে, ‘ব্রেকিং ব্যাড’-এর অভিনেতা ব্রায়ান ক্র্যানস্টন অভিযোগ করেছেন, তাঁর মুখ ও কণ্ঠ ব্যবহার করে অনুমতি ছাড়াই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে।

বিতর্ক বাড়তে থাকায় ওপেনএআই দ্রুত নীতি পরিবর্তন করে। শুরুতে সংস্থাটি কপিরাইটকৃত কনটেন্ট ব্যবহার করতে দিত, যদি কপিরাইটধারীরা আপত্তি না জানায়। কিন্তু সমালোচনার মুখে এখন সেই নীতি বদলে দিয়ে বলা হয়েছে—কোনো কনটেন্ট ব্যবহারের আগে অবশ্যই কপিরাইটধারীর ‘অপ্ট-ইন’ অনুমতি লাগবে। কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, ভবিষ্যতে তারা আরও সূক্ষ্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা যোগ করবেন যাতে ব্যক্তির চেহারা বা কণ্ঠ ব্যবহার নিয়ে কারও অধিকার লঙ্ঘিত না হয়।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক এলিসা রেডমাইলস বলেছেন, ‘এই প্রযুক্তি এখনো অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এটি সহজেই ডিপফেক তৈরি করতে সক্ষম, যেখানে কাউকে তাঁর অমতে ব্যবহার করা হতে পারে।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘সোরা ২’ এর মতো টুল শিশু ও তরুণীদের প্রতি অপব্যবহারের অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।

আরেক অধ্যাপক সারা বারগাল মনে করেন, এই প্রযুক্তি পূর্বের যে কোনো ফটো এডিটিং সফটওয়্যারের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী ও বিপজ্জনক। তিনি বলেন, ‘আগে ছবি সম্পাদনার জন্য দক্ষতা দরকার হতো, এখন শুধু কয়েকটি বাক্য লিখেই এমন ভিডিও তৈরি করা যায়, যা অভিজ্ঞরাও আসল বলে ভুল করতে পারেন।’

ভবিষ্যতে ভুয়া ভিডিও শনাক্তের প্রযুক্তি উন্নত হবে বলে আশা করা হলেও বারগাল সতর্ক করেছেন—আইন, নৈতিকতা ও সামাজিক সচেতনতা সেই গতিতে এগোচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ এখন এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে যেখানে ভিডিও আর প্রমাণ হিসেবে ধরা যায় না।’

এদিকে বিতর্কের মধ্যেও ‘সোরা ২’ অ্যাপ স্টোরের শীর্ষে উঠে এসেছে। স্যাম অল্টম্যান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, ইন্টারনেটে এখন অনেক ভুয়া ভিডিও থাকবে—কিন্তু সমাজকে এই বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’

প্রযুক্তি কি তবে সত্যের সীমা মুছে দিচ্ছে, নাকি আমরা এক নতুন বাস্তবতার দিকে এগোচ্ছি—‘সোরা ২’ সেই প্রশ্নই সামনে এনে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অবৈধ ও নকল মোবাইল চিহ্নিত করবে এনইআইআর, চালু হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিটিআরসি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিটিআরসি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ছবি: আজকের পত্রিকা

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের কেনাবেচা বন্ধ করতে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার) ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ বলেন, এনইআইআর সিস্টেম আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হবে। এনইআইআর এমন একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা, যা প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত আইএমইআই নম্বরকে ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ব্যবহৃত সিমের সঙ্গে যুক্ত করে নিবন্ধিত করবে। ফলে বৈধ ও অবৈধ হ্যান্ডসেট সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এই সিস্টেম চালু হলে অবৈধভাবে আমদানি করা বা নকল মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ হবে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বিভিন্ন সংস্থার তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে এনইআইআর কার্যকর করার বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল জালিয়াতি ঘটে অবৈধ বা অনিবন্ধিত ডিভাইস থেকে। এনইআইআর চালু হলে নেটওয়ার্কে আর এ ধরনের ডিভাইস কাজ করবে না।

বিটিআরসি ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইকেওয়াইসি জালিয়াতির ৮৫ শতাংশ ঘটেছিল অনিবন্ধিত বা পুনঃপ্রোগ্রাম করা হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে প্রায় ১ দশমিক ৮ লাখ ফোন চুরি সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া যায়। এনইআইআর চালু হলে এসব ডিভাইস স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক করা যাবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর অনুমান অনুযায়ী, অবৈধ ফোন আমদানির কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়। এনইআইআর কার্যকর হলে এই ক্ষতি রোধ সম্ভব বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।

তৈয়্যব আশা প্রকাশ করে বলেন, এনইআইআরের মাধ্যমে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে এবং দেশীয় মোবাইল উৎপাদন শিল্প আরও সুরক্ষিত হবে। একই সঙ্গে এটি অপরাধ দমনেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে। কারণ, চুরি বা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত ডিভাইস সহজেই শনাক্ত ও ব্লক করা সম্ভব হবে।

ফয়েজ আহমদ বলেন, এনইআইআর শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নয়, এটি নাগরিকের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা এবং টেলিযোগাযোগ খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার একটি জাতীয় অঙ্গীকার।

বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী জানান, এনইআইআরের মাধ্যমে মোবাইলে যে সিম ব্যবহার করা হবে, তার তথ্যও পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে মোবাইল ট্রেস করা সম্ভব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়েরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৫৯
গ্রামীণ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর অধিকাংশ কর্মীই নারী। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
গ্রামীণ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর অধিকাংশ কর্মীই নারী। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

একসময় বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলোই ছিল ভারতের আউটসোর্সিং আইটি হাব। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র পাল্টেছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এখন তাদের কাজ এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কর্মীর বেতন এবং অফিসের খরচ তুলনামূলক কম। এই নতুন প্রবণতাটি ‘ক্লাউড ফার্মিং’ নামে পরিচিত, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর আগমন এই ধারায় নতুন গতি এনেছে।

মোহান কুমারের মতো কর্মীরা এই পরিবর্তনের সুফল পাচ্ছেন। তামিলনাড়ুর ছোট শহর টিএন পালায়ামের বাসিন্দা তিনি। তাঁর কাজ হলো এআই অ্যানোটেশন।

মোহান কুমার বলেন, ‘আমার কাজ হলো এআই অ্যানোটেশন। আমি বিভিন্ন সোর্স থেকে ডেটা সংগ্রহ করি, সেগুলোতে লেবেল লাগাই এবং মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দিই, যাতে তারা বস্তুকে চিনতে পারে এবং ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মডেলগুলো স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে।’

মেট্রো শহরে না থাকার কারণে কোনো পেশাগত ক্ষতি হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পেশাগতভাবে কোনো পার্থক্য নেই। ছোট শহরে থেকেও আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একই বৈশ্বিক ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করি। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতার মানও একই।’

২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ডেসিক্রু হলো ক্লাউড ফার্মিং-এর অন্যতম পথিকৃৎ। চেন্নাইয়ে সদর দপ্তর থাকলেও এই প্রতিষ্ঠান প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ ছড়িয়ে দিয়েছে।

ডেসিক্রুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মান্নিভান্নান জে কে বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, চাকরির খোঁজে মানুষকে শহরে যেতে বাধ্য করার বদলে, যেখানে মানুষ থাকে সেখানেই কাজ নিয়ে যাওয়া সম্ভব। দীর্ঘদিন ধরে সুযোগগুলো কেবল শহরেই কেন্দ্রীভূত ছিল, যার ফলে গ্রামের যুবসমাজ পিছিয়ে যাচ্ছিল। আমাদের লক্ষ্য সব সময়ই ছিল মানুষের দোরগোড়ায় বিশ্বমানের ক্যারিয়ার তৈরি করা।’

ডেসিক্রুর মোট কাজের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশই বর্তমানে এআই সম্পর্কিত। মান্নিভান্নান জে কে আশা করেন, খুব শিগগিরই তা বেড়ে ৭৫ থেকে ১০০ শতাংশে পৌঁছাবে। এই কাজগুলোর একটি বড় অংশ হলো ট্রান্সক্রিপশন বা অডিও থেকে টেক্সটে রূপান্তর, যা মানুষের কথা বলার বৈচিত্র্য বুঝতে এআইকে সহায়তা করে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘অনেকেই ধরে নেন যে গ্রাম মানেই অনুন্নত। কিন্তু আমাদের কেন্দ্রগুলো শহুরে আইটি হাবগুলোর মতোই—সুরক্ষিত ডেটা অ্যাকসেস, নির্ভরযোগ্য সংযোগ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ রয়েছে। পার্থক্য কেবল ভৌগোলিক অবস্থানে।’ তাঁদের প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মীই নারী, যাদের জন্য এটি আর্থিক নিরাপত্তা এনে দিয়েছে।

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত নেক্সটওয়েলথ ক্লাউড ফার্মিংয়ে আরও একটি অগ্রণী সংস্থা। বেঙ্গালুরুতে সদর দপ্তর থাকা সত্ত্বেও, ভারতের ছোট শহরগুলোতে তাদের ১১টি অফিসে ৫ হাজার কর্মী কাজ করেন।

নেক্সটওয়েলথ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিথিলি রমেশের মতে, ‘ভারতের ৬০ শতাংশ স্নাতক ছোট শহর থেকে আসে, অথচ বেশির ভাগ আইটি কোম্পানি শুধু মেট্রো শহর থেকে নিয়োগ করে। এটি বিপুলসংখ্যক স্মার্ট স্নাতকের সম্ভাবনাকে অব্যবহৃত রেখে দেয়।’ তিনি জানান, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত অ্যালগরিদমগুলো ভারতের ছোট শহরগুলোতেই প্রশিক্ষণ ও যাচাই করা হচ্ছে।

মিথিলি রমেশের অনুমান, আগামী ৩ থেকে ৫ বছরে এআই এবং জেনারেটিভ এআই প্রশিক্ষণ, যাচাই এবং রিয়েল-টাইম হ্যান্ডলিং-এর ক্ষেত্রে প্রায় ১০ কোটি নতুন কাজের সৃষ্টি করবে। ভারতের ছোট শহরগুলো এই বিশাল কর্মবাহিনীর মেরুদণ্ড হতে পারে। তিনি মনে করেন, এআই আউটসোর্সিংয়ে ভারতের প্রাথমিক সূচনা এবং কাজের বিশাল ব্যাপ্তি দেশটিকে পাঁচ থেকে সাত বছরের সুবিধা দিয়েছে।

এআই-এর জন্য সিলিকন ভ্যালি ইঞ্জিন তৈরি করলেও, সেই ইঞ্জিনকে সচল রাখার দৈনন্দিন কাজ এখন ক্রমবর্ধমানভাবে ভারতের ক্লাউড ফার্মিং শিল্প থেকে আসছে বলে মনে করেন প্রযুক্তি উপদেষ্টা কে এস বিশ্বনাথন। তিনি এটিকে একটি ‘টিপিং পয়েন্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তবে এই সাফল্যের পথ চ্যালেঞ্জমুক্ত নয়। ডেসিক্রু ও নেক্সটওয়েলথ নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগের কথা বললেও, বিশ্বনাথন স্বীকার করেন, ভারতের ছোট শহরগুলোতে উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং সুরক্ষিত ডেটা সেন্টারের মান এখনো মেট্রো শহরগুলোর সমতুল্য নয়।

এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের মধ্যে একটি বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে যে ছোট শহরগুলো ডেটা সুরক্ষার মান পূরণ করতে পারবে না। এই ধারণা কাটিয়ে ওঠা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

নেক্সটওয়েলথ-এর কর্মী ধনলক্ষ্মী বিজয়, যিনি এআই ‘ফাইন টিউন’ করার কাজ করেন (যেমন, নীল ডেনিম জ্যাকেট এবং নেভি শার্টের মতো দেখতে দুটি কাছাকাছি বস্তুকে চিনিয়ে দেওয়া), তিনি বলেন, ‘এই সংশোধনগুলো সিস্টেমে পাঠানো হয়, যা মডেলটিকে আরও নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে। আপনার অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতা সহজ ও ঝামেলামুক্ত করার জন্য পরোক্ষভাবে আমার দলই এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অস্ট্রেলিয়ায় কিশোরীদের সহিংস কাজ করিয়ে মজা নিচ্ছে অনলাইন অপরাধী চক্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ২১
নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে অনলাইন অপরাধ চক্রগুলো। ছবি: জেমিনি
নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে অনলাইন অপরাধ চক্রগুলো। ছবি: জেমিনি

অনলাইন অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীরা। দেশটির পুলিশ সতর্ক করেছে, অনলাইন অপরাধী চক্রগুলো অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীদের নিজেদের, ভাইবোনের বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে। পুলিশ একে ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’ বলে অভিহিত করেছে।

এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় তিনজন এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে আরও ৯ জনকে এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ (এএফপি) কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট জানিয়েছেন, এই নতুন ও উদ্বেগজনক ‘লিঙ্গভিত্তিক’ সহিংসতার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার এক ভাষণে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন তিনি।

টার্গেট করা কিশোরীদের দিয়ে কী ধরনের কাজ করানো হচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে কমিশনার ব্যারেট বলেছেন, অভিযুক্ত অপরাধীরা সহিংস উগ্রবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং ‘মজা করার জন্য’ মানুষকে আঘাত করতে চায়।

অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বিশের ঘরে থাকা তরুণ। যাদের বেশির ভাগ পশ্চিমা পটভূমি থেকে এসেছে। তারা রোবলক্সের মতো গেমিং প্ল্যাটফর্ম বা ডিসকর্ড ও টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে কিশোরী বা প্রাক্‌-কিশোরী মেয়েদের টার্গেট করে।

কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট এদের ‘ক্রাইমফ্লুয়েন্সার’ (crimefluencer) বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই ব্যক্তিরা নানা ধরনের মতাদর্শে বিশ্বাসী, যার মধ্যে নিহিলিজম (জীবনের অর্থ অস্বীকার), স্যাডিজম (অন্যকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পাওয়া), নাৎসিবাদ ও শয়তানবাদ অন্তর্ভুক্ত।

ব্যারেট বলেন, এই দলগুলোর সংস্কৃতি অনেকটা মাল্টিপ্লেয়ার বা অনলাইন গেমিং সংস্কৃতির মতো। তারা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শিকার খোঁজে, অনুসরণ করে এবং ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের টেনে আনে।। তারা হয়তো তাদের আচরণের পরিণতি পুরোপুরি বোঝে না।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এই নেটওয়ার্কগুলোর সদস্যদের প্রেরণা অর্থনৈতিক নয়, যৌন তৃপ্তির জন্যও নয়, একেবারেই তাদের বিনোদনের জন্য, মজা করার জন্য কিংবা অনলাইনে জনপ্রিয় হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকেই তারা এসব করছে।’

কমিশনার ব্যারেট জানান, শুধু অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৬০ জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া পুলিশ এখন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, কানাডাসহ ফাইভ আইজ (Five Eyes) জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মিলে এই গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১৬ বছরের নিচের শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন সময়ে এই ঘোষণা এল। তবে ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই নিষেধাজ্ঞা থেকে বাইরে থাকবে গেমিং ও মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত