Ajker Patrika

এআই বিষয়ে গবেষণা বাড়ানোর পরামর্শ অংশীজনদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১: ৫৭
Thumbnail image

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিষয়ে প্রায়োগিক গবেষণা বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন অংশীজনেরা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে গতকাল বুধবার এআই নীতিমালার খসড়া নিয়ে বৈঠকে এমন সুপারিশ করেন সংশ্লিষ্টরা। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, দপ্তরের কর্মকর্তা, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বৈঠকে অংশ নেন।

এ ছাড়া আজ বৃহস্পতিবার এআই আইনের খসড়ার বিষয়ে বিটিআরসি ভবনে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা হওয়ার কথা আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, খসড়া নীতিমালা নিয়ে গতকালের বৈঠক থেকে পরবর্তী সভায় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিসহ এআই ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত সব অংশীজনের অংশগ্রহণের সুপারিশ এসেছে। বৈঠকে মিস ইনফরমেশন, ডিস ইনফরমেশনের বিষয়ে আলোচনা হয়। কোনটি মিস ইনফরমেশন আর কোনটি ডিস ইনফরমেশন, সেটি বোঝার মতো সক্ষমতা এআইয়ের থাকতে হবে বলে সভায় সুপারিশ এসেছে।

সভায় কেউ কেউ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কারিগরি শিক্ষাক্রমে এআই কাজে লাগতে পারে। কেউ কেউ বলেছেন, ‘যেহেতু নতুন টেকনোলজি আমরা ভালোমতো বুঝি না, তাই বিষয়টি এত তাড়াহুড়োর দরকার নেই।’

সভায় সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে তেমন কোনো প্রায়োগিক গবেষণা হয় না। এআইয়ের প্রায়োগিক গবেষণা না করলে টেকনোলজির উন্নয়ন হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রায়োগিক গবেষণার ব্যবস্থা করতে হবে।’

বৈঠকের বিষয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এআইয়ের খসড়া নিয়ে প্রাথমিক সভা হয়েছে। সামনে এ বিষয়ে আরও সভা হবে। এআইয়ের আইন, নীতিমালা ও কৌশল—এই তিন জিনিসের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। এআই রিসার্চের জন্য ইন্ডাস্ট্রি, একাডেমি এবং সরকারেরও সমন্বয় বাড়াতে হবে বলেও জানান তিনি।

টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিনের উদ্বেগ 
দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ওপর সুদূরপ্রসারী ও ব্যাপক বিস্তৃত প্রভাব রয়েছে এমন একটি নীতির খসড়া প্রস্তুত ও পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার আগে নাগরিক অধিকার ও আইনের শাসন নিয়ে কাজ করে এমন কোনো নাগরিক সংস্থাকে যুক্ত না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও আর্টিকেল নাইনটিন। এ নীতি প্রণয়নের প্রতিটি ধাপে নাগরিক অধিকার সংস্থাসহ সব অংশীজনকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থা দুটি।

গতকাল বিবৃতিতে সংস্থা দুটি বলেছে, খসড়াটি মূলত বিভিন্ন দেশের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে করা হয়েছে। দেশের নাগরিকের ওপর বহুমুখী প্রভাব সম্পর্কে সুস্পষ্ট আলোচনা করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত