অনলাইন ডেস্ক
বাজারে আসার চার বছরের মাথায় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের তকমা পেল মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ১১। বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটকাউন্টারের জুলাই মাসের পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বর্তমানে উইন্ডোজ চালিত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে ৫২ শতাংশেই চলছে উইন্ডোজ ১১তে। অন্যদিকে, উইন্ডোজ ১০ রয়েছে ৪৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম্পিউটারে। অথচ গত মাসেও (জুনে) উইন্ডোজ ১০-ই ছিল সামান্য এগিয়ে—৪৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ ব্যবহারে যেখানে উইন্ডোজ ১১ ছিল ৪৭ দশমিক ৯৮ শতাংশে। মাত্র এক মাসেই প্রায় ১০ শতাংশ পয়েন্টের এই পালাবদল অনেককেই চমকে দিয়েছে।
তাই অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা একসঙ্গে উইন্ডোজ ১১তে চলে আসতে পারে। বিশেষ করে সামনে যখন উইন্ডোজ ১০-এর জন্য সময় খুবই সীমিত। আগামী অক্টোবরেই মাইক্রোসফটের সমর্থন দেওয়া শেষ করছে। অর্থাৎ, আর মাত্র তিন মাস বাকি।
তবে সবাই হুড়মুড়িয়ে উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার শুরু করবে, বিষয়টি তাও নয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিষয়টি এতটা সোজাসাপ্টা নয়। কারণ সম্প্রতি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০-এর বর্ধিত সাপোর্ট প্রোগ্রাম নিয়ে একটি বড় ঘোষণা দেয়। আগে যেখানে ২০২৬ সাল পর্যন্ত নিরাপত্তা আপডেট পেতে ব্যবহারকারীকে ৩০ ডলার দিতে হতো, এখন চাইলে তা বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে। তবে একটি শর্তে।
শর্তটি হলো—‘উইন্ডোজ ব্যাকআপ’ অ্যাপের মাধ্যমে আপনার পিসির সেটিংস ক্লাউডে সিংক করতে হবে, আর এ জন্য একটি মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করতে হবে। এ কাজ করলেই যে কেউ বিনা মূল্যে আরও এক বছর নিরাপত্তা আপডেট পাবেন, যা ২০২৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পিসিটি সুরক্ষিত রাখবে। যাঁরা উইন্ডোজ ১১তে ব্যবহার করতে পারছেন না কিংবা যেতে চান না, তাঁদের জন্য এটি বড় স্বস্তির খবর।
তবে ‘বিনা মূল্যে’ বিষয়টি নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এটি মাইক্রোসফটের ‘তথ্য হাতানোর’ কৌশল। তবে স্পষ্ট করে বলা দরকার—ব্যক্তিগত ডেটা নয়, কেবল উইন্ডোজ সেটিংসই সিংক করতে হবে। ফলে ভবিষ্যতে যদি নতুন পিসিতে বা উইন্ডোজ ১১তে যান, তাহলে সেটিংস হুবহু ফিরে পাওয়া যাবে।
এই ফ্রি আপডেটের সুযোগ না নিতে চাইলে ৩০ ডলার দিয়ে বা ১০০০ মাইক্রোসফট রিওয়ার্ডস পয়েন্ট দিয়ে সেবা নেওয়া যাবে। অথবা চাইলে সরাসরি উইন্ডোজ ১১তে আপগ্রেড দিতে পারবেন। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে—২০২৫ সালের অক্টোবরের পর উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করলে নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকবে। কারণ তখন আর কোনো সিকিউরিটি আপডেট আসবে না, যা হ্যাকারদের হ্যাকিংয়ের ভালো সুযোগ হয়ে উঠতে পারে।
তবে ভালো কথা হলো—মাইক্রোসফট শেষ মুহূর্তে এই ফ্রি সিকিউরিটি আপডেট সুবিধা চালু করেছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে ভবিষ্যতে আরও এক বছর সাপোর্ট বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পরিবেশবিদদের চাপ এবং উইন্ডোজ ১১-এর উচ্চতর হার্ডওয়্যার চাহিদার কারণে অনেক পুরোনো পিসির ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি মাইক্রোসফট বিবেচনায় নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া উইন্ডোজ ছেড়ে লিনাক্সে যাওয়ার বিকল্পও রয়েছে। তবে সেখানে সফটওয়্যার সাপোর্ট, বিশেষ করে গেমসের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা মানতে হবে।
সব মিলিয়ে উইন্ডোজ ১১-এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়বে আরও, তবে সেটা হয়তো এতটা দ্রুতগতিতে নয়—কারণ মাইক্রোসফট এখন ব্যবহারকারীদের বিকল্প সুযোগ দিচ্ছে এবং সময়ও কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
তথ্যসূত্র: টেকরেডার
বাজারে আসার চার বছরের মাথায় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের তকমা পেল মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ১১। বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটকাউন্টারের জুলাই মাসের পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বর্তমানে উইন্ডোজ চালিত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে ৫২ শতাংশেই চলছে উইন্ডোজ ১১তে। অন্যদিকে, উইন্ডোজ ১০ রয়েছে ৪৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম্পিউটারে। অথচ গত মাসেও (জুনে) উইন্ডোজ ১০-ই ছিল সামান্য এগিয়ে—৪৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ ব্যবহারে যেখানে উইন্ডোজ ১১ ছিল ৪৭ দশমিক ৯৮ শতাংশে। মাত্র এক মাসেই প্রায় ১০ শতাংশ পয়েন্টের এই পালাবদল অনেককেই চমকে দিয়েছে।
তাই অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা একসঙ্গে উইন্ডোজ ১১তে চলে আসতে পারে। বিশেষ করে সামনে যখন উইন্ডোজ ১০-এর জন্য সময় খুবই সীমিত। আগামী অক্টোবরেই মাইক্রোসফটের সমর্থন দেওয়া শেষ করছে। অর্থাৎ, আর মাত্র তিন মাস বাকি।
তবে সবাই হুড়মুড়িয়ে উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার শুরু করবে, বিষয়টি তাও নয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিষয়টি এতটা সোজাসাপ্টা নয়। কারণ সম্প্রতি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০-এর বর্ধিত সাপোর্ট প্রোগ্রাম নিয়ে একটি বড় ঘোষণা দেয়। আগে যেখানে ২০২৬ সাল পর্যন্ত নিরাপত্তা আপডেট পেতে ব্যবহারকারীকে ৩০ ডলার দিতে হতো, এখন চাইলে তা বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে। তবে একটি শর্তে।
শর্তটি হলো—‘উইন্ডোজ ব্যাকআপ’ অ্যাপের মাধ্যমে আপনার পিসির সেটিংস ক্লাউডে সিংক করতে হবে, আর এ জন্য একটি মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করতে হবে। এ কাজ করলেই যে কেউ বিনা মূল্যে আরও এক বছর নিরাপত্তা আপডেট পাবেন, যা ২০২৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পিসিটি সুরক্ষিত রাখবে। যাঁরা উইন্ডোজ ১১তে ব্যবহার করতে পারছেন না কিংবা যেতে চান না, তাঁদের জন্য এটি বড় স্বস্তির খবর।
তবে ‘বিনা মূল্যে’ বিষয়টি নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এটি মাইক্রোসফটের ‘তথ্য হাতানোর’ কৌশল। তবে স্পষ্ট করে বলা দরকার—ব্যক্তিগত ডেটা নয়, কেবল উইন্ডোজ সেটিংসই সিংক করতে হবে। ফলে ভবিষ্যতে যদি নতুন পিসিতে বা উইন্ডোজ ১১তে যান, তাহলে সেটিংস হুবহু ফিরে পাওয়া যাবে।
এই ফ্রি আপডেটের সুযোগ না নিতে চাইলে ৩০ ডলার দিয়ে বা ১০০০ মাইক্রোসফট রিওয়ার্ডস পয়েন্ট দিয়ে সেবা নেওয়া যাবে। অথবা চাইলে সরাসরি উইন্ডোজ ১১তে আপগ্রেড দিতে পারবেন। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে—২০২৫ সালের অক্টোবরের পর উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করলে নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকবে। কারণ তখন আর কোনো সিকিউরিটি আপডেট আসবে না, যা হ্যাকারদের হ্যাকিংয়ের ভালো সুযোগ হয়ে উঠতে পারে।
তবে ভালো কথা হলো—মাইক্রোসফট শেষ মুহূর্তে এই ফ্রি সিকিউরিটি আপডেট সুবিধা চালু করেছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে ভবিষ্যতে আরও এক বছর সাপোর্ট বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পরিবেশবিদদের চাপ এবং উইন্ডোজ ১১-এর উচ্চতর হার্ডওয়্যার চাহিদার কারণে অনেক পুরোনো পিসির ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি মাইক্রোসফট বিবেচনায় নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া উইন্ডোজ ছেড়ে লিনাক্সে যাওয়ার বিকল্পও রয়েছে। তবে সেখানে সফটওয়্যার সাপোর্ট, বিশেষ করে গেমসের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা মানতে হবে।
সব মিলিয়ে উইন্ডোজ ১১-এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়বে আরও, তবে সেটা হয়তো এতটা দ্রুতগতিতে নয়—কারণ মাইক্রোসফট এখন ব্যবহারকারীদের বিকল্প সুযোগ দিচ্ছে এবং সময়ও কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
তথ্যসূত্র: টেকরেডার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিতে শত শত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মেটা। সোমবার (১৪ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ২০২৬ সালে মেটার প্রথম এআই সুপারক্লাস্টার ‘প্রোমিথিয়াস’ চালু হবে।
১ ঘণ্টা আগেশিশুতোষ টেলিভিশন অনুষ্ঠান সেসেমি স্ট্রিট-এর জনপ্রিয় পাপেট চরিত্র ‘এলমোর’ এক্স অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হ্যাকিংয়ের পর অ্যাকাউন্টটি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘পাপেট’ (হাতের পুতুল) বলাসহ ইহুদি নিধনের ডাক ও জে
২ ঘণ্টা আগেগত মাসের (জুনে) শুরুতে ‘দ্য ভেলভেট সানডাউন’ নামের একটি ব্যান্ড জনপ্রিয় মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাইয়ে প্রোফাইল তৈরি করে। দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাদের গান। তবে পরে জানা যায়, এই ব্যান্ডটি পুরোপুরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-নির্ভর। গান, প্রচারণার ছবি ও ব্যাকস্টোরি-সহ সবকিছুই তৈরি হয়েছে...
৩ ঘণ্টা আগেইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান এক্সএআই-এর সঙ্গে সর্বোচ্চ ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রাণালয়টিকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে এই চুক্তি করা হয়েছে। কোম্পানিটির গ্রোক চ্যাটবটটি সম্প্রতি নিজেকে ‘মেকাহিটলার’ বলে পরিচয় দেওয়ার পর এবং এক্সের
৭ ঘণ্টা আগে