মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা
একসময় কনটেন্ট তৈরি বিষয়টি ছিল ব্যয়বহুল। ক্যামেরা, স্টুডিও আর পেশাদার টিম নিয়ে কাজ করতে হতো। কিন্তু প্রযুক্তি সে অবস্থাকে একেবারে মিনিমাল জায়গায় নিয়ে এসেছে। এখন একটি স্মার্টফোন দিয়েই কনটেন্ট নির্মাণ সম্ভব। সঙ্গে কিছু গ্যাজেট আর গিয়ার থাকলে তো কথাই নেই।
সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, ২০২২ সালের পর মোবাইলে কনটেন্ট দেখার হার বেড়েছে ৭৩ শতাংশ। টিকটকে ৮৭ শতাংশ শীর্ষ কনটেন্ট স্মার্টফোনেই ধারণ করা হয়। ইনস্টাগ্রামের তথ্য অনুযায়ী, স্মার্টফোনে ধারণ করা রিলস প্রফেশনাল ক্যামেরার চেয়ে প্রায় দেড় গুণ বেশি এনগেজমেন্ট পায়। তাই এখন আর বড় পরিসরের আয়োজন না করে হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়েই সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়া সম্ভব। তবে এর আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি।
কনটেন্ট নির্মাণের মানসিকতা
যাঁরা কনটেন্ট নির্মাণে নিয়মিত এবং সফল, তাঁদের একটি বিষয় সব সময় দেখা যায়, তাঁরা কাজটিকে পেশাদারিভাবে নেন শুরু থেকে। তাঁরা কনটেন্টে গুরুত্ব দেওয়াকেই প্রধান লক্ষ্য ঠিক করেন। নিখুঁত হতেই হবে এমনটা না ভেবে বরং নিয়মিত এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এরপর দর্শকের প্রতিক্রিয়া জেনে কনটেন্টে পরিবর্তন আনতে হবে এবং নতুন কৌশল শেখার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। এই মানসিকতা না থাকলে কোনো টুল বা অ্যাপ দিয়েই সফলতা আনা সম্ভব নয়।
শুরুতেই যা দরকার
আপনার স্মার্টফোনই হলো এই যাত্রার প্রধান হাতিয়ার। তবে ভিডিও বা অডিওর মান আরও উন্নত করতে কিছু অতিরিক্ত উপকরণ রাখা যেতে পারে। একটি ফোনহোল্ডার আপনাকে স্থির ভিডিও ধারণে সাহায্য করবে। রিং লাইট আপনার ভিডিওর আলোর ভারসাম্য ঠিক রাখবে এবং পরিষ্কার শব্দ নিশ্চিত করতে মাইক্রোফোন ব্যবহার করুন।
কনটেন্ট সম্পাদনার জন্য সেরা মোবাইল অ্যাপ
বর্তমানে মোবাইল ফোনভিত্তিক এডিটিং অ্যাপগুলো আরও বেশি কার্যকর হয়ে উঠেছে। ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য ‘ক্যাপকাট’ এখন বেশ জনপ্রিয়। এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় এবং এতে প্রচুর ট্রানজিশন, টেক্সট ও ইফেক্ট ফিচার আছে। প্রিমিয়াম ট্রানজিশন ও ইফেক্ট ব্যবহার করতে চাইলে ‘ইনশট’ আরেকটি চমৎকার অ্যাপ। ছবি ঠিক করার জন্য ‘স্ন্যাপসিড’ এবং গ্রাফিকস তৈরির জন্য ‘ক্যানভা’ এখন বেশি ব্যবহৃত অ্যাপ। আর কনটেন্ট আগেভাগেই তৈরি করে সময়মতো পোস্ট করতে চাইলে ‘লেটার’ অ্যাপ আপনার ক্যালেন্ডার প্ল্যানিংয়ে দারুণ সাহায্য করবে।
স্মার্টফোনের ন্যূনতম প্রযুক্তির চাহিদা
সর্বাধুনিক স্মার্টফোনের কোনো প্রয়োজন নেই কনটেন্ট তৈরিতে। ক্যামেরা ভালো, আলো কম হলেও ভিডিও ধারণ করতে পারে, অন্তত ১২৮ জিবি স্টোরেজ আছে বা ক্লাউড সেবা ব্যবহার করা যায় এবং ব্যাটারি লাইফ ভালো, এমন একটি স্মার্টফোন যথেষ্ট এ ক্ষেত্রে। আপনার স্মার্টফোনের সক্ষমতা যতক্ষণ না কনটেন্ট কোয়ালিটির বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়, ততক্ষণ নতুন ডিভাইস কেনার প্রয়োজন নেই।
কোন প্ল্যাটফর্মে শুরু করবেন
শুরুতে সব জায়গায় না গিয়ে একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম বেছে নিন। যেমন ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউব শর্টস। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব কনটেন্ট দৈর্ঘ্য ও উপস্থাপনের নিয়ম রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা চলে, টিকটকে ২১ থেকে ৩৪ সেকেন্ডের ভিডিও বেশি জনপ্রিয়, ইনস্টাগ্রামে ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড এবং ইউটিউব শর্টসে ৪৫ থেকে ৬০ সেকেন্ডের ভিডিও ভালো পারফর্ম করে।
একটি ভিডিও থেকে তৈরি করুন অনেক কনটেন্ট
একটি ভালো ভিডিও ধারণ করে সেটিকে ছোট ছোট ক্লিপে ভাগ করুন। এই ভিডিও থেকে আপনি পেতে পারেন তিন থেকে চারটি শর্ট ভিডিও, দুই থেকে তিনটি কোট বা ইনফোগ্রাফিকস, এমনকি একটি ব্লগ পোস্টও। একই কনটেন্টের পুনর্ব্যবহার সময় বাঁচায় এবং ফলাফল বাড়ায়।
আপনি যদি কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে কোনো অজুহাতই আপনাকে থামিয়ে রাখতে পারবে না। আপনার সবচেয়ে বড় টুল আজ আপনার হাতেই। সেটি আপনার স্মার্টফোন। তাই আজ থেকে সেই ফোনটিকে শুধু স্ক্রল করার জন্য নয়, বরং কনটেন্ট তৈরি, যোগাযোগ ও নিজের ক্যারিয়ার গড়ার বড় টুল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র: মিডিয়াম
একসময় কনটেন্ট তৈরি বিষয়টি ছিল ব্যয়বহুল। ক্যামেরা, স্টুডিও আর পেশাদার টিম নিয়ে কাজ করতে হতো। কিন্তু প্রযুক্তি সে অবস্থাকে একেবারে মিনিমাল জায়গায় নিয়ে এসেছে। এখন একটি স্মার্টফোন দিয়েই কনটেন্ট নির্মাণ সম্ভব। সঙ্গে কিছু গ্যাজেট আর গিয়ার থাকলে তো কথাই নেই।
সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, ২০২২ সালের পর মোবাইলে কনটেন্ট দেখার হার বেড়েছে ৭৩ শতাংশ। টিকটকে ৮৭ শতাংশ শীর্ষ কনটেন্ট স্মার্টফোনেই ধারণ করা হয়। ইনস্টাগ্রামের তথ্য অনুযায়ী, স্মার্টফোনে ধারণ করা রিলস প্রফেশনাল ক্যামেরার চেয়ে প্রায় দেড় গুণ বেশি এনগেজমেন্ট পায়। তাই এখন আর বড় পরিসরের আয়োজন না করে হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়েই সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়া সম্ভব। তবে এর আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি।
কনটেন্ট নির্মাণের মানসিকতা
যাঁরা কনটেন্ট নির্মাণে নিয়মিত এবং সফল, তাঁদের একটি বিষয় সব সময় দেখা যায়, তাঁরা কাজটিকে পেশাদারিভাবে নেন শুরু থেকে। তাঁরা কনটেন্টে গুরুত্ব দেওয়াকেই প্রধান লক্ষ্য ঠিক করেন। নিখুঁত হতেই হবে এমনটা না ভেবে বরং নিয়মিত এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এরপর দর্শকের প্রতিক্রিয়া জেনে কনটেন্টে পরিবর্তন আনতে হবে এবং নতুন কৌশল শেখার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। এই মানসিকতা না থাকলে কোনো টুল বা অ্যাপ দিয়েই সফলতা আনা সম্ভব নয়।
শুরুতেই যা দরকার
আপনার স্মার্টফোনই হলো এই যাত্রার প্রধান হাতিয়ার। তবে ভিডিও বা অডিওর মান আরও উন্নত করতে কিছু অতিরিক্ত উপকরণ রাখা যেতে পারে। একটি ফোনহোল্ডার আপনাকে স্থির ভিডিও ধারণে সাহায্য করবে। রিং লাইট আপনার ভিডিওর আলোর ভারসাম্য ঠিক রাখবে এবং পরিষ্কার শব্দ নিশ্চিত করতে মাইক্রোফোন ব্যবহার করুন।
কনটেন্ট সম্পাদনার জন্য সেরা মোবাইল অ্যাপ
বর্তমানে মোবাইল ফোনভিত্তিক এডিটিং অ্যাপগুলো আরও বেশি কার্যকর হয়ে উঠেছে। ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য ‘ক্যাপকাট’ এখন বেশ জনপ্রিয়। এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় এবং এতে প্রচুর ট্রানজিশন, টেক্সট ও ইফেক্ট ফিচার আছে। প্রিমিয়াম ট্রানজিশন ও ইফেক্ট ব্যবহার করতে চাইলে ‘ইনশট’ আরেকটি চমৎকার অ্যাপ। ছবি ঠিক করার জন্য ‘স্ন্যাপসিড’ এবং গ্রাফিকস তৈরির জন্য ‘ক্যানভা’ এখন বেশি ব্যবহৃত অ্যাপ। আর কনটেন্ট আগেভাগেই তৈরি করে সময়মতো পোস্ট করতে চাইলে ‘লেটার’ অ্যাপ আপনার ক্যালেন্ডার প্ল্যানিংয়ে দারুণ সাহায্য করবে।
স্মার্টফোনের ন্যূনতম প্রযুক্তির চাহিদা
সর্বাধুনিক স্মার্টফোনের কোনো প্রয়োজন নেই কনটেন্ট তৈরিতে। ক্যামেরা ভালো, আলো কম হলেও ভিডিও ধারণ করতে পারে, অন্তত ১২৮ জিবি স্টোরেজ আছে বা ক্লাউড সেবা ব্যবহার করা যায় এবং ব্যাটারি লাইফ ভালো, এমন একটি স্মার্টফোন যথেষ্ট এ ক্ষেত্রে। আপনার স্মার্টফোনের সক্ষমতা যতক্ষণ না কনটেন্ট কোয়ালিটির বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়, ততক্ষণ নতুন ডিভাইস কেনার প্রয়োজন নেই।
কোন প্ল্যাটফর্মে শুরু করবেন
শুরুতে সব জায়গায় না গিয়ে একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম বেছে নিন। যেমন ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউব শর্টস। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব কনটেন্ট দৈর্ঘ্য ও উপস্থাপনের নিয়ম রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা চলে, টিকটকে ২১ থেকে ৩৪ সেকেন্ডের ভিডিও বেশি জনপ্রিয়, ইনস্টাগ্রামে ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড এবং ইউটিউব শর্টসে ৪৫ থেকে ৬০ সেকেন্ডের ভিডিও ভালো পারফর্ম করে।
একটি ভিডিও থেকে তৈরি করুন অনেক কনটেন্ট
একটি ভালো ভিডিও ধারণ করে সেটিকে ছোট ছোট ক্লিপে ভাগ করুন। এই ভিডিও থেকে আপনি পেতে পারেন তিন থেকে চারটি শর্ট ভিডিও, দুই থেকে তিনটি কোট বা ইনফোগ্রাফিকস, এমনকি একটি ব্লগ পোস্টও। একই কনটেন্টের পুনর্ব্যবহার সময় বাঁচায় এবং ফলাফল বাড়ায়।
আপনি যদি কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে কোনো অজুহাতই আপনাকে থামিয়ে রাখতে পারবে না। আপনার সবচেয়ে বড় টুল আজ আপনার হাতেই। সেটি আপনার স্মার্টফোন। তাই আজ থেকে সেই ফোনটিকে শুধু স্ক্রল করার জন্য নয়, বরং কনটেন্ট তৈরি, যোগাযোগ ও নিজের ক্যারিয়ার গড়ার বড় টুল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র: মিডিয়াম
বিশ্বজুড়ে ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বড় ভাষা মডেল (এলএলএম) মানুষের দৈনন্দিন কথাবার্তার ধরন বদলে দিচ্ছে এবং একঘেয়ে করে তুলছে বলে সতর্ক করেছে জার্মানির এক গবেষক দল।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বের ইন্টারনেট গতির নতুন রেকর্ড গড়েছে জাপান। দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির (এনআইসিটি) গবেষকেরা দাবি করেছে, তাঁরা প্রতি সেকেন্ডে ১ লাখ ২৫ হাজার গিগাবাইট ডেটা স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন, যা প্রায় ১ হাজার ১২০ মাইল (১ হাজার ৮০২ কিলোমিটার) দূরত্ব অতিক্রম...
৮ ঘণ্টা আগেমাইক্রোসফট তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সহকারী কোপাইলট ভিশনের নতুন আপডেট চালু করেছে, যা এখন ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের পুরো স্ক্রিন বা পর্দা স্ক্যান করতে পারবে। আগে এই টুলটি একসঙ্গে দুইটি অ্যাপ দেখতে পারত এবং সে অনুযায়ী বিশ্লেষণ করত। তবে নতুন আপডেটের ফলে এটি এখন সম্পূর্ণ ডেস্কটপ কিংবা নির্দিষ্ট
১০ ঘণ্টা আগেডিজিটাল কনটেন্টের যুগে ইউটিউব কেবল একটি ভিডিও প্ল্যাটফর্ম নয়—এটি এখন এক বড় ক্যারিয়ার অপশন, ব্র্যান্ড তৈরির মাধ্যম, এমনকি অনেকের স্বপ্নপূরণের জায়গা। আপনি যদি ইউটিউবে চ্যানেল খোলার কথা ভাবেন, তবে নিশ্চয়ই অনেক ধরনের আইডিয়া মাথায় ঘুরছে। তবে এতগুলো আইডিয়ার ভিড়ে কোনটা দিয়ে শুরু করবেন, সেটাই সবচেয়ে কঠিন
১২ ঘণ্টা আগে