অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপের সরবরাহ সীমিত করতে বাইডেন প্রশাসনের সময়ে জারি হওয়া একটি নিয়মে বড় পরিবর্তনের পথে হাঁটছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘ফ্রেমওয়ার্ক ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডিফিউশন’ নামের নিয়মে থাকা ‘টিয়ারভিত্তিক’ চিপ বিতরণের ব্যবস্থা বাতিল করে বিশ্বব্যাপী দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে লাইসেন্স ব্যবস্থার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ ‘ফ্রেমওয়ার্ক ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডিফিউশন’ নামে একটি নিয়ম জারি করে, যার উদ্দেশ্য হলো উন্নত এআই চিপ ও মডেল ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের মধ্যে উন্নত কম্পিউটিং ক্ষমতা সীমাবদ্ধ রেখে চীনসহ ‘উদ্বেগজনক’ দেশগুলোকে তা থেকে দূরে রাখা হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগে নিয়মটি জারি হয় এবং আগামী ১৫ মে থেকে তা কার্যকর হবে।
এই নিয়ম অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মধ্যে ১৭টি দেশ এবং তাইওয়ান ‘প্রথম স্তরে’ থাকায় তারা অনায়াসে চিপ পেতে পারে। ‘দ্বিতীয় স্তরে’ থাকা প্রায় ১২০টি দেশ নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে চিপ পায় আর ‘তৃতীয় স্তরে’ থাকা চীন, রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলো পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই স্তরভিত্তিক ব্যবস্থা সরিয়ে দিয়ে চিপ রপ্তানি একটি ‘চুক্তিনির্ভর’ কাঠামোয় নিয়ে আসা হতে পারে। এতে করে যুক্তরাষ্ট্র সহজেই চিপ সরবরাহকে বাণিজ্যিক আলোচনায় কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস বলেন, ‘স্তরভিত্তিক ব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে কেউ কেউ সমর্থন দিয়েছেন। এখনো বিষয়টি চূড়ান্ত নয়, তবে দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তির মডেল একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে।’
এদিকে এই নিয়মে আরেকটি পরিবর্তন নিয়ে ভাবা হচ্ছে, যেখানে বর্তমানে ১ হাজার ৭০০টির কম এনভিডিয়ার শক্তিশালী এইচ ১০০ চিপ অর্ডার করলে শুধু সরকারকে জানানো লাগে, লাইসেন্স লাগে না। নতুন প্রস্তাবে এই সীমা ৫০০ চিপে নামিয়ে আনার কথা ভাবছে প্রশাসন।
বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিপণ্য সরবরাহে মার্কিন আধিপত্য রক্ষায় এ ধরনের বিধিনিষেধ গুরুত্বপূর্ণ হলেও সমালোচকদের মতে এতে অনেক দেশ চীনের ‘অবাধ, সস্তা বিকল্পের’ দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। ওরাকলের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট কেন গ্লুয়েক বলেন, ‘বর্তমান স্তরভিত্তিক ব্যবস্থা অযৌক্তিক। ইসরায়েল ও ইয়েমেনকে একই স্তরে রাখা সত্যিই প্রশ্নবিদ্ধ।’
এ ছাড়া চিপ নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত নিয়ম নিয়ে গত জানুয়ারিতে সমালোচনা করে এনভিডিয়া ও ওরাকল। যুক্তরাষ্ট্রের কমার্স ডিপার্টমেন্ট এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটর সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিককে চিঠি দিয়ে এই নিয়ম তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘সরল কিন্তু শক্তিশালী’ নিয়ম তৈরি করতেই নতুন এই উদ্যোগ।
বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপের সরবরাহ সীমিত করতে বাইডেন প্রশাসনের সময়ে জারি হওয়া একটি নিয়মে বড় পরিবর্তনের পথে হাঁটছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘ফ্রেমওয়ার্ক ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডিফিউশন’ নামের নিয়মে থাকা ‘টিয়ারভিত্তিক’ চিপ বিতরণের ব্যবস্থা বাতিল করে বিশ্বব্যাপী দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে লাইসেন্স ব্যবস্থার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ ‘ফ্রেমওয়ার্ক ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডিফিউশন’ নামে একটি নিয়ম জারি করে, যার উদ্দেশ্য হলো উন্নত এআই চিপ ও মডেল ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের মধ্যে উন্নত কম্পিউটিং ক্ষমতা সীমাবদ্ধ রেখে চীনসহ ‘উদ্বেগজনক’ দেশগুলোকে তা থেকে দূরে রাখা হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগে নিয়মটি জারি হয় এবং আগামী ১৫ মে থেকে তা কার্যকর হবে।
এই নিয়ম অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মধ্যে ১৭টি দেশ এবং তাইওয়ান ‘প্রথম স্তরে’ থাকায় তারা অনায়াসে চিপ পেতে পারে। ‘দ্বিতীয় স্তরে’ থাকা প্রায় ১২০টি দেশ নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে চিপ পায় আর ‘তৃতীয় স্তরে’ থাকা চীন, রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলো পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই স্তরভিত্তিক ব্যবস্থা সরিয়ে দিয়ে চিপ রপ্তানি একটি ‘চুক্তিনির্ভর’ কাঠামোয় নিয়ে আসা হতে পারে। এতে করে যুক্তরাষ্ট্র সহজেই চিপ সরবরাহকে বাণিজ্যিক আলোচনায় কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস বলেন, ‘স্তরভিত্তিক ব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে কেউ কেউ সমর্থন দিয়েছেন। এখনো বিষয়টি চূড়ান্ত নয়, তবে দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তির মডেল একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে।’
এদিকে এই নিয়মে আরেকটি পরিবর্তন নিয়ে ভাবা হচ্ছে, যেখানে বর্তমানে ১ হাজার ৭০০টির কম এনভিডিয়ার শক্তিশালী এইচ ১০০ চিপ অর্ডার করলে শুধু সরকারকে জানানো লাগে, লাইসেন্স লাগে না। নতুন প্রস্তাবে এই সীমা ৫০০ চিপে নামিয়ে আনার কথা ভাবছে প্রশাসন।
বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিপণ্য সরবরাহে মার্কিন আধিপত্য রক্ষায় এ ধরনের বিধিনিষেধ গুরুত্বপূর্ণ হলেও সমালোচকদের মতে এতে অনেক দেশ চীনের ‘অবাধ, সস্তা বিকল্পের’ দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। ওরাকলের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট কেন গ্লুয়েক বলেন, ‘বর্তমান স্তরভিত্তিক ব্যবস্থা অযৌক্তিক। ইসরায়েল ও ইয়েমেনকে একই স্তরে রাখা সত্যিই প্রশ্নবিদ্ধ।’
এ ছাড়া চিপ নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত নিয়ম নিয়ে গত জানুয়ারিতে সমালোচনা করে এনভিডিয়া ও ওরাকল। যুক্তরাষ্ট্রের কমার্স ডিপার্টমেন্ট এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটর সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিককে চিঠি দিয়ে এই নিয়ম তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘সরল কিন্তু শক্তিশালী’ নিয়ম তৈরি করতেই নতুন এই উদ্যোগ।
বিশ্বজুড়ে ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বড় ভাষা মডেল (এলএলএম) মানুষের দৈনন্দিন কথাবার্তার ধরন বদলে দিচ্ছে এবং একঘেয়ে করে তুলছে বলে সতর্ক করেছে জার্মানির এক গবেষক দল।
১ দিন আগেবিশ্বের ইন্টারনেট গতির নতুন রেকর্ড গড়েছে জাপান। দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির (এনআইসিটি) গবেষকেরা দাবি করেছে, তাঁরা প্রতি সেকেন্ডে ১ লাখ ২৫ হাজার গিগাবাইট ডেটা স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন, যা প্রায় ১ হাজার ১২০ মাইল (১ হাজার ৮০২ কিলোমিটার) দূরত্ব অতিক্রম...
১ দিন আগেমাইক্রোসফট তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সহকারী কোপাইলট ভিশনের নতুন আপডেট চালু করেছে, যা এখন ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের পুরো স্ক্রিন বা পর্দা স্ক্যান করতে পারবে। আগে এই টুলটি একসঙ্গে দুইটি অ্যাপ দেখতে পারত এবং সে অনুযায়ী বিশ্লেষণ করত। তবে নতুন আপডেটের ফলে এটি এখন সম্পূর্ণ ডেস্কটপ কিংবা নির্দিষ্ট
১ দিন আগেডিজিটাল কনটেন্টের যুগে ইউটিউব কেবল একটি ভিডিও প্ল্যাটফর্ম নয়—এটি এখন এক বড় ক্যারিয়ার অপশন, ব্র্যান্ড তৈরির মাধ্যম, এমনকি অনেকের স্বপ্নপূরণের জায়গা। আপনি যদি ইউটিউবে চ্যানেল খোলার কথা ভাবেন, তবে নিশ্চয়ই অনেক ধরনের আইডিয়া মাথায় ঘুরছে। তবে এতগুলো আইডিয়ার ভিড়ে কোনটা দিয়ে শুরু করবেন, সেটাই সবচেয়ে কঠিন
২ দিন আগে