Ajker Patrika

মানহীন ব্যাটারির কারণে বিদ্যুৎ গেলেই নেটওয়ার্ক টাওয়ার অচল হচ্ছে: মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ মে ২০২৪, ২২: ০৬
মানহীন ব্যাটারির কারণে বিদ্যুৎ গেলেই নেটওয়ার্ক টাওয়ার অচল হচ্ছে: মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন 

দেশের টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় গ্রাহকের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও মানহীন সেবার কারণে গ্রাহকের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। এ জন্য দায়ী অপর্যাপ্ত টাওয়ার, মানহীন মাইক্রোওয়েভ, মানহীন ব্যাটারি, ওভার হেড ফাইবার ও জেনারেটর না থাকা।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এমনটি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে সক্রিয় সিমকার্ডধারী গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি ২৬ লাখ অথচ এর বিপরীতে যেখানে টাওয়ার থাকার কথা প্রায় লক্ষাধিক, সেখানে আছে মাত্র ৪৫ হাজার ২৩১টি। এর মধ্যে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ২ হাজার ২৯৬টি, গ্রামীণফোনের ১২ হাজার ৫২৬টি, বাংলালিংকের ৪ হাজার ৬টি, টেলিটকের ৬২১টি এবং এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের ৮৬০টি, ইউডট কো লিমিটেডের ১৬ হাজার ৬৮৩টি, সামিট ৪ হাজার ৩৮৮টি, ও কীর্তনখোলার ৬২১টি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিটিসিএলের ৫১৪টি।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বিটিআরসি বেসরকারি চারটি টাওয়ারকো কোম্পানির লাইসেন্স প্রদান করে যে নীতিমালা তৈরি করেছে সেখানে বলা আছে, মোবাইল অপারেটর নতুন করে আর টাওয়ার তৈরি করতে পারবে না। অর্থাৎ টাওয়ার কোম্পানি থেকে তাদের অর্থের বিনিময়ে সার্ভিস নিতে হবে। এই টাওয়ার কোম্পানিগুলো মূলত মোবাইল অপারেটর থেকে টাওয়ারগুলো কিনেছে। এই টাওয়ারগুলোর মাইক্রোওয়েভ মানসম্মত নয়, সেই সঙ্গে ব্যাটারিগুলো মানহীন হয়ে পড়েছে। তা না হলে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেখানে ৬ ঘণ্টা পাওয়ার ব্যাকআপ দেওয়ার কথা সেখানে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটওয়ার্ক অচল হওয়ার কারণ কি?

তিনি আরও বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির কাছে আমাদের অনুরোধ, মাইক্রোওয়েভের মান এবং ব্যাটারির ধরন পর্যবেক্ষণ করা। সেই সঙ্গে দেশের ফাইবার অপটিক্যাল এখনো ৬৫ শতাংশ ওভারহেড থাকায় ঝড়বৃষ্টি এলেই কেটে যাচ্ছে ফাইবার। ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে নেটওয়ার্ক। বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান করার জন্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট মহল উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আমরা মনে করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত