Ajker Patrika

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাকআপ: গুগল স্টোরেজ নিয়ে দুশ্চিন্তার শুরু 

আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯: ৪৩
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাকআপ: গুগল স্টোরেজ নিয়ে দুশ্চিন্তার শুরু 

গুগল ড্রাইভের স্টোরেজ দখল শুরু করল হোয়াটসঅ্যাপ। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপের ডেটা ব্যাকআপের জন্য গ্রাহকেরা গুগলের যে ফ্রি স্টোরেজ পেত, তা আর পাবে না। ফলে হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট ও মিডিয়ার ব্যাকআপ নিয়ে ব্যবহারকারীদের দুশ্চিন্তা শুরু হলো।

গুগলের মাত্র ১৫ জিবি স্টোরেজ বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। গুগল ফটোজ, ড্রাইভ, জিমেইল, ডকস, ড্রাইভ, মিট, ক্যালেন্ডারের মতো গুগলের বিভিন্ন সেবার ক্ষেত্রে এই স্টোরেজ ব্যবহৃত হয়। এখন হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাকআপও যদি এই জায়গা দখল করে, তাহলে গুগল ড্রাইভের স্টোরেজ খুব তাড়াতাড়ি পূর্ণ হয়ে যাবে।

প্রতিদিন অনেক মিডিয়া ও চ্যাটের আদান-প্রদান হয় হোয়াটসঅ্যাপে। আর এগুলো ব্যাকআপ না করা হলে ডিভাইস পরিবর্তন করলে এসব ডেটা আর পাওয়া যাবে না। যাঁরা ব্যক্তিগত কাজের বাইরেও পেশাদারি কাজে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য তা আরও দুর্ভাগ্যজনক।

বিপুলসংখ্যক হোয়াটসঅ্যাপের ডেটা ব্যাকআপ রাখা একান্ত জরুরি হলে গুগল স্টোরেজ থেকে অন্যান্য ফাইল সরিয়ে ফেলতে হবে অথবা গুগলের অতিরিক্ত স্টোরেজ প্ল্যান কিনতে হবে। আর স্টোরেজের দাম খুব একটা সাশ্রয়ী নয়। বর্তমানে গুগল অ্যাকাউন্টের ১০০ জিবি স্টোরেজের জন্য ১৫০ টাকা এবং ২০০ জিবি ও ২ টিবি স্টোরেজের জন্য যথাক্রমে ২৫০ টাকা ও ৭০০ টাকা প্রতি মাসে দিতে হবে।

এ ছাড়া টাকা খরচ না করতে চাইলে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাকআপ বন্ধ করে দিতে পারেন। ব্যাকআপ বন্ধ করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—

১. ডিভাইসের হোয়াটসঅ্যাপ প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করুন।
২. প্ল্যাটফর্মটির সেটিংসে যান।
৩. এরপর চ্যাট অপশনে খুঁজে বের করুন এবং ব্যাকআপ অপশনে যান।
৪.  ব্যাকআপ অপশনটি বন্ধ করে দিন।

আইফোনের গ্রাহকেরা হোয়াটসঅ্যাপের মিডিয়া ও চ্যাট ব্যাকআপের জন্য আইক্লাউড স্টোরেজের ওপর নির্ভর করে। গত বছরেই গুগল স্টোরজের এই সুবিধা বন্ধের ঘোষণা দেয় কোম্পানিটি কর্তৃপক্ষ। আর এই জানুয়ারিতেই সুবিধাটি বন্ধ করল হোয়াটসঅ্যাপ।
 
এ ছাড়া ‘থার্ড পার্টি চ্যাট’ সেকশন নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে হোয়াটসঅ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ডাব্লুএবেটাইনফো বলেছে, আইওএসের বেটা ভার্সনে এই নতুন ফিচার দেখা গেছে। এই ফিচারের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে টেলিগ্রাম ও ডিসকর্ডের মতো অন্যান্য ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মও বার্তা আদান-প্রদান করতে পারবে। মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল মার্কেট অ্যাক্টের (ডিএমএ) নীতিমালা অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নিয়েছে অ্যাপল।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত