নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: ২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল। ১১৮ মিনিটে মতিউর মুন্নার গোল্ডেন গোলে ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। ওই শেষ। ভারতের বিপক্ষে আর জয় পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। কাল দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে সেই আক্ষেপ মেটানোর লড়াই নেমেছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। আক্ষেপটা পূরণ হয়নি। ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রির জোড়া গোলে ২-০ গোলে হেরে ১৮ বছরের জয় না পাওয়ার আক্ষেপটা দীর্ঘ হলো বাংলাদেশের।
ভারতের কাছে হেরে এখন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ‘ই’ গ্রুপে তলানিতেই রইল বাংলাদেশ। সাত ম্যাচে জামালদের পয়েন্ট এখনো আগের মতোই—২। সমান ম্যাচে আফগানিস্তানকে টপকে গ্রুপের তিনে উঠে গেছে ভারত। এই জয়ে ২০২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় পর্বে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে দলটি।
আফগানিস্তান ম্যাচটিতে ৪-২-৩-১ ফরমেশনে খেলেছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ফরমেশনটা একই থেকেছে। পরিবর্তন শুধু একটি। রক্ষণে সেন্টার ব্যাক হিসেবে যথারীতি তপু বর্মণ ও রিয়াদুল হাসান রাফি। রাইটব্যাকে তারিক কাজী। লেফটব্যাক রহমত মিয়া। আফগান ম্যাচে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার খেলেছিলেন মাসুক মিয়া জনি। এখানেই হয়েছে পরিবর্তন। সোহেল রানার চোটে জনি ওপরে ওঠে গেছেন। জামালের সঙ্গী হয়েছেন মানিক হোসেন মোল্লা। জনিকে মাঝে রেখে দুই পাশে বিপলু আহমেদ ও মতিন মিয়া। দলের একমাত্র ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন।
একই ফর্মেশনে আগের ম্যাচ থেকে ভারত দলে পাঁচ পরিবর্তন। বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন পাঁচ মিডফিল্ডার। আক্রমণাত্মক ফরমেশনে রক্ষণে লেফটব্যাকে শুভাশিস বোসের সঙ্গে সেন্টারব্যাক চিংগেলসানা, রাইটব্যাকে সন্দেশ ঝিঙ্গান। একটু ওপরে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে বিপিন সিং। মাঝমাঠে ব্রেন্ডন ফার্নান্দেজের সঙ্গে গ্লেন মার্টিনস। বামে বিপিন সিং ও ডানে উদন্ত সিং। প্লে-মেকার হিসেবে খেলেছেন সুনীল ছেত্রি। ওপরে একমাত্র ফরোয়ার্ড মানভির সিং।
ফর্মেশনে এক হলেও ভারতের ৭১ শতাংশ বলের দখলই বলে দেয়, প্রতিবেশীদের কাছে প্রথমার্ধে কতটা কোণঠাসা ছিল বাংলাদেশ। ভুল পাসের ছড়াছড়ি, বারবার বল হারিয়েছেন জামালরা। মাঝমাঠে খুঁজেই পাওয়া যায়নি বাংলাদেশকে। বাধ্য হয়ে ম্যাচের মাত্র ৩৫ মিনিটেই জনির জায়গায় উইঙ্গার মো. ইব্রাহিমকে নামান কোচ জেমি ডে।
৩৫ মিনিটেই প্রথমার্ধে নিজেদের সেরা সুযোগটা পেয়েছিল ভারত। ব্রেন্ডন ফার্নান্দেজের কর্নার থেকে দৌড়ে হেড নিয়েছিলেন ডিফেন্ডার চিংগেলসানা। গোললাইন থেকে সেই হেডে প্রথমার্ধে বাংলাদেশকে পিছিয়ে পড়তে দেননি রিয়াদুল হাসান রাফি। গোললাইন থেকে উদ্ধার করেন বাংলাদেশকে।
বিপদে হতে পারত ৬৩ মিনিটেও। ব্রেন্ডন ফার্নান্দেজের সেট পিস থেকে বাংলাদেশের ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন ছেত্রি। ভারত অধিনায়কের হেড লক্ষ্যে না থাকায় সে যাত্রায় রক্ষা জেমি ডের দলের। ৭৩ মিনিটে কর্নার থেকে শুভাশিস বোসের হেডও ছিল একইভাবে সমান বিপজ্জনক।
মাটিতে কামড়ানো বলে দৃঢ়তার পরিচয় রাখলেও ভাসানো বলে বাংলাদেশকে কঠিন পরীক্ষায় রেখেছিল ভারত। সেই ভাসানো বলেই শেষ পর্যন্ত জয়সূচক গোলটা করেন সুনীল ছেত্রি। ডি-বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে অধিনায়কের দিকে বল উড়িয়ে দিয়েছিলেন বদলি খেলোয়াড় আশিক কুরুনিয়ান। এবারও ফাঁকায় ছিলেন ছেত্রি। অনেকটা দৌড়ে তপু বর্মণকে এড়িয়ে আড়াআড়ি হেডে বল বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজের তৃতীয় গোল তুলে নেন ভারত অধিনায়ক।
সুনীল ছেত্রির আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ গোল ছিল বিজয়াননের। খেলার একেবারে শেষ সময়ে সেই রেকর্ড ছুঁয়েছেন ছেত্রি। আবারও বাংলাদেশের রক্ষণের ভুল। অতিরিক্ত সময়ে ডি-বক্সের ডান প্রান্ত ধরে বাংলাদেশের দুই খেলোয়াড়কে বোকা বানান সুরেশ ওয়াংঙ্গাম। কাট ব্যাক করেন অধিনায়কের দিকে। ফাঁকায় দাঁড়ানো ছেত্রি এবার সেন্টার বক্স দিয়ে ডানপায়ের শটে বল পাঠান জালে।
হেরে যাওয়া এই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ফিনল্যান্ডপ্রবাসী ডিফেন্ডার তারিক কাজী। নিজের পজিশনে তারিক ভালোই ভুগিয়েছেন ভারতকে। গোলরক্ষক জিকো দেখিয়েছেন নিজের দক্ষতা। তবে অতি রক্ষণ যে ফল এনে দেওয়ার মোক্ষম কৌশল না, বাংলাদেশ কাল আরেকবার বুঝেছে।
ঢাকা: ২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল। ১১৮ মিনিটে মতিউর মুন্নার গোল্ডেন গোলে ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। ওই শেষ। ভারতের বিপক্ষে আর জয় পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। কাল দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে সেই আক্ষেপ মেটানোর লড়াই নেমেছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। আক্ষেপটা পূরণ হয়নি। ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রির জোড়া গোলে ২-০ গোলে হেরে ১৮ বছরের জয় না পাওয়ার আক্ষেপটা দীর্ঘ হলো বাংলাদেশের।
ভারতের কাছে হেরে এখন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ‘ই’ গ্রুপে তলানিতেই রইল বাংলাদেশ। সাত ম্যাচে জামালদের পয়েন্ট এখনো আগের মতোই—২। সমান ম্যাচে আফগানিস্তানকে টপকে গ্রুপের তিনে উঠে গেছে ভারত। এই জয়ে ২০২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় পর্বে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে দলটি।
আফগানিস্তান ম্যাচটিতে ৪-২-৩-১ ফরমেশনে খেলেছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ফরমেশনটা একই থেকেছে। পরিবর্তন শুধু একটি। রক্ষণে সেন্টার ব্যাক হিসেবে যথারীতি তপু বর্মণ ও রিয়াদুল হাসান রাফি। রাইটব্যাকে তারিক কাজী। লেফটব্যাক রহমত মিয়া। আফগান ম্যাচে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার খেলেছিলেন মাসুক মিয়া জনি। এখানেই হয়েছে পরিবর্তন। সোহেল রানার চোটে জনি ওপরে ওঠে গেছেন। জামালের সঙ্গী হয়েছেন মানিক হোসেন মোল্লা। জনিকে মাঝে রেখে দুই পাশে বিপলু আহমেদ ও মতিন মিয়া। দলের একমাত্র ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন।
একই ফর্মেশনে আগের ম্যাচ থেকে ভারত দলে পাঁচ পরিবর্তন। বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন পাঁচ মিডফিল্ডার। আক্রমণাত্মক ফরমেশনে রক্ষণে লেফটব্যাকে শুভাশিস বোসের সঙ্গে সেন্টারব্যাক চিংগেলসানা, রাইটব্যাকে সন্দেশ ঝিঙ্গান। একটু ওপরে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে বিপিন সিং। মাঝমাঠে ব্রেন্ডন ফার্নান্দেজের সঙ্গে গ্লেন মার্টিনস। বামে বিপিন সিং ও ডানে উদন্ত সিং। প্লে-মেকার হিসেবে খেলেছেন সুনীল ছেত্রি। ওপরে একমাত্র ফরোয়ার্ড মানভির সিং।
ফর্মেশনে এক হলেও ভারতের ৭১ শতাংশ বলের দখলই বলে দেয়, প্রতিবেশীদের কাছে প্রথমার্ধে কতটা কোণঠাসা ছিল বাংলাদেশ। ভুল পাসের ছড়াছড়ি, বারবার বল হারিয়েছেন জামালরা। মাঝমাঠে খুঁজেই পাওয়া যায়নি বাংলাদেশকে। বাধ্য হয়ে ম্যাচের মাত্র ৩৫ মিনিটেই জনির জায়গায় উইঙ্গার মো. ইব্রাহিমকে নামান কোচ জেমি ডে।
৩৫ মিনিটেই প্রথমার্ধে নিজেদের সেরা সুযোগটা পেয়েছিল ভারত। ব্রেন্ডন ফার্নান্দেজের কর্নার থেকে দৌড়ে হেড নিয়েছিলেন ডিফেন্ডার চিংগেলসানা। গোললাইন থেকে সেই হেডে প্রথমার্ধে বাংলাদেশকে পিছিয়ে পড়তে দেননি রিয়াদুল হাসান রাফি। গোললাইন থেকে উদ্ধার করেন বাংলাদেশকে।
বিপদে হতে পারত ৬৩ মিনিটেও। ব্রেন্ডন ফার্নান্দেজের সেট পিস থেকে বাংলাদেশের ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন ছেত্রি। ভারত অধিনায়কের হেড লক্ষ্যে না থাকায় সে যাত্রায় রক্ষা জেমি ডের দলের। ৭৩ মিনিটে কর্নার থেকে শুভাশিস বোসের হেডও ছিল একইভাবে সমান বিপজ্জনক।
মাটিতে কামড়ানো বলে দৃঢ়তার পরিচয় রাখলেও ভাসানো বলে বাংলাদেশকে কঠিন পরীক্ষায় রেখেছিল ভারত। সেই ভাসানো বলেই শেষ পর্যন্ত জয়সূচক গোলটা করেন সুনীল ছেত্রি। ডি-বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে অধিনায়কের দিকে বল উড়িয়ে দিয়েছিলেন বদলি খেলোয়াড় আশিক কুরুনিয়ান। এবারও ফাঁকায় ছিলেন ছেত্রি। অনেকটা দৌড়ে তপু বর্মণকে এড়িয়ে আড়াআড়ি হেডে বল বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজের তৃতীয় গোল তুলে নেন ভারত অধিনায়ক।
সুনীল ছেত্রির আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ গোল ছিল বিজয়াননের। খেলার একেবারে শেষ সময়ে সেই রেকর্ড ছুঁয়েছেন ছেত্রি। আবারও বাংলাদেশের রক্ষণের ভুল। অতিরিক্ত সময়ে ডি-বক্সের ডান প্রান্ত ধরে বাংলাদেশের দুই খেলোয়াড়কে বোকা বানান সুরেশ ওয়াংঙ্গাম। কাট ব্যাক করেন অধিনায়কের দিকে। ফাঁকায় দাঁড়ানো ছেত্রি এবার সেন্টার বক্স দিয়ে ডানপায়ের শটে বল পাঠান জালে।
হেরে যাওয়া এই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ফিনল্যান্ডপ্রবাসী ডিফেন্ডার তারিক কাজী। নিজের পজিশনে তারিক ভালোই ভুগিয়েছেন ভারতকে। গোলরক্ষক জিকো দেখিয়েছেন নিজের দক্ষতা। তবে অতি রক্ষণ যে ফল এনে দেওয়ার মোক্ষম কৌশল না, বাংলাদেশ কাল আরেকবার বুঝেছে।
অধিনায়ক হিসেবে গত ২১০ দিনে পাঁচটি আন্তর্জাতিক সিরিজে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন দাস। এর মধ্যে শুধু শেষ দুই মাসেই চারটি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। জয় এসেছে দুটি সিরিজে। এখন আপাতত কিছুটা বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন লিটনরা।
৮ ঘণ্টা আগেএশিয়ান ক্রিকেটকে এক করেছে ঢাকা—এশিয়ান ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর শীর্ষ কর্তাদের ছবি আজ নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এমন এক ক্যাপশন দিয়ে পোস্ট করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে যেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এশিয়ান ক্রিকেটের শীর্ষ কর্তাদের মিলনমেলা বসেছে।
১০ ঘণ্টা আগে৪১ রানে নেই ৭ উইকেট। মিরপুরে ৯ বছর আগের সেই লজ্জার রেকর্ড চোখরাঙানি দিচ্ছিল বাংলাদেশকে। ২০১৬ সালে ইডেন গার্ডনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই সংস্করণে নিজেদের সর্বনিম্ন ৭০ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড গড়েছিল। তবে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে ব্যাটিং আরও ভয়ংকর খারাপ ছিল, ৪১ রানে ৭ উইকেট হারায়...
১০ ঘণ্টা আগেসাত বছর আগে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। আজ তিনি খেলছেন ১২তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। ২০১৮ সালে অভিষেক হওয়ার পর মাঝে পাঁচ বছর দলেই সুযোগ পাননি সাহিবজাদা ফারহান। তবে নিজের কৌশল, ধারাবাহিকতা আর শটের রেঞ্জ ও বৈচিত্র্যে বাড়িয়ে ২০২৪ সালে আবারও সাহিবজাদা ফেরেন পাকিস্তান দলে। তবে গত বছর তেমন ভালো
১১ ঘণ্টা আগে