নিজস্ব প্রতিবেদক, বেঙ্গালুরু থেকে
গত ভুটান ম্যাচের পর মিক্সড জোন দিয়ে বাসে উঠছিলেন ফুটবলাররা। সংবাদ সম্মেলন শেষ করে শিষ্যদের একই পথে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও। টিম বাসে ওঠার সময় বাংলাদেশ কোচের মন্তব্য, ‘দুই ম্যাচে ৬ গোল। ইটজ নট আ ম্যাটার অব জোক (এটা মোটেও ছোট কোনো বিষয় নয়!) ’
কাবরেরার কথাটি দুই দশক আগে হলে হয়তো হেসেই উড়িয়ে দেওয়া যেত। পরিসংখ্যান বলে, এর আগেও প্রতিপক্ষকে দুই ম্যাচে গুনে গুনে ৮ ও ৭ গোল দেওয়ার বেশ কয়েকটি কীর্তি আছে বাংলাদেশের। ১৯৮৪ সাফ গেমসে তিন ম্যাচে বাংলাদেশের গোল ছিল ১২টি। ভুটানকে ২, মালদ্বীপ ও নেপালকে ৫টি করে গোলের মালা পরিয়েছিল সোনালি দিনের বাংলাদেশ দল। এক বছর পর ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের দুই ম্যাচে গোল ১০টি। পাকিস্তানের সঙ্গে সেই দলটার জয়ের ব্যবধান ছিল ২-১ আর মালদ্বীপের সঙ্গে জয়টা ছিল ১০-০ গোলে।
একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের ফুটবল পথ হারালেও টানা ম্যাচে ৬-৭ গোলের পরিসংখ্যান কিন্তু একেবারে থেমে যায়নি। পরপর দুই আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের ৬ গোলের সবশেষ কীর্তি ২০১৯ সালে ভুটানের বিপক্ষে। এবারের সাফের আগে টানা দুই ম্যাচে জয় সেবারই শেষবারের মতো পেয়েছিল বাংলাদেশ দল।
কিন্তু এরপরও বর্তমান পরিস্থিতিতে কাবরেরার কথার অর্থ বুঝতে না পারার কোনো কারণ নেই। এ বছরও বাংলাদেশ সিশেলসের মতো অপেশাদার দলের সঙ্গে জিততে পারেনি দলে গোল করতে পারা স্ট্রাইকার না থাকায়। অসংখ্য সুযোগ পেয়েও অতীতে বাংলাদেশ দল বঞ্চিত হয়েছে দলের স্ট্রাইকারদের গোল করার অভ্যাস না থাকায়। যে দলটা গোল করতে পারে না, সেই দলটা সাফে এসে দুই ম্যাচে ৬ গোল করবে, কেউ কি এমনটা ভাবতে পেরেছিল আগে!
একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, যতবারই ৬ বা তার বেশি গোলে জিতেছে বাংলাদেশ, তার অন্তত একটি হলেও গোল করেছেন কোনো না কোনো স্ট্রাইকার। অথবা করিয়েছেন। কিন্তু এবারই সম্ভবত প্রথমবারের মতো কোনো স্ট্রাইকারের অবদান ছাড়াই ৬ গোল দেওয়ার ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। মালদ্বীপ ম্যাচে ৩ গোলের ২টি করেছেন শেখ মোরসালিন ও রাকিব হোসেন। আরেকটি গোল ডিফেন্ডার তারিক কাজীর। ভুটান ম্যাচেও গোল পেয়েছেন মোরসালিন-রাকিব জুটি। ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি হয়েছিল আত্মঘাতী।
মালদ্বীপ-ভুটান ম্যাচে ২টি করে গোল করা মোরসালিন ও রাকিব কিন্তু প্রথাগত স্ট্রাইকার নন। মোরসালিন খেলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পজিশনে, রাকিব উইঙ্গার। বাংলাদেশ দলে যিনি প্রথাগত স্ট্রাইকার, সেই সুমন রেজা মালদ্বীপ-ভুটানের বিপক্ষে শুরুর একাদশে জায়গাই পাননি। অর্থাৎ, কাবরেরার বাংলাদেশ দল ৬ গোল পেয়েছে কোনো স্ট্রাইকারের অবদান ছাড়াই! অবশ্য আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্ট্রাইকারের সাহায্য লম্বা সময় ধরেই পায় না বাংলাদেশ। গত পাঁচ বছরে লাল-সবুজদের বেশির ভাগ জয় এসেছে হয় ডিফেন্ডার, নয়তো কোনো উইঙ্গারের গোল থেকে।
একজন স্ট্রাইকার ছাড়া বাংলাদেশ দলটা চমক দেখাচ্ছে তাদের খেলার ধরনে। প্রতি আক্রমণে খেলার অভ্যাস থেকে বের হয়ে নিচ থেকে আক্রমণ গড়ার ধরনটা বাংলাদেশ দল যে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছে, সেটা দেখা সাফের শেষ দুই ম্যাচে। দুই ম্যাচেই অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া খেলেছেন ‘ফলস নাইন’ পজিশনে। মূলত ফুটবলারদের চাপেই বিল্ডআপ ফুটবলে মনোযোগী হয়েছেন কাবরেরা। সেই বিল্ডআপ ফুটবলের ক্যারিশমাতেই শেষ চারে বাংলাদেশ। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর কাছ থেকে শুরুটা হয় আক্রমণের। এরপর মাঝমাঠে চার মিডফিল্ডার জামাল, মোহাম্মদ সোহেল রানা, সোহেল রানা ও মোহাম্মদ হৃদয় চেষ্টা করেন খেলাটা গড়ে দেওয়ার। আক্রমণের ভারটা মালদ্বীপ ম্যাচে শুরুতে সামলেছেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রাকিব হোসেন, ভুটান ম্যাচে রাকিব ও মোরসালিন।
ভুটানের বিপক্ষে মাঝমাঠ খানিকটা নড়বড়ে থাকলেও আক্রমণভাগে মোরসালিন-রাকিব জুটি বুঝতেই দেননি সেই অভাবটা। ভুটান ম্যাচে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথমবারের মতো দুজনের বোঝাপড়াটা বাংলাদেশকে আরও সাহস দিচ্ছে প্রথাগত কোনো স্ট্রাইকার ছাড়াই মাঠে নামার। বক্সের বাইরে থেকে মোরসালিনের ‘অন টার্গেটে’ শট রাখতে পারার সক্ষমতা রাকিবকে দিচ্ছে তার মতো খেলার স্বাধীনতা। ক্লাব ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলায় দুজনেরই বোঝাপড়াটা ভালো হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে। মাত্র চার ম্যাচেই ২ গোল করা মোরসালিন এ ক্ষেত্রে কৃতিত্বটা রাকিবকেই দিলেন বেশি, ‘রাকিব ভাই খুবই ভালো ফুটবলার। একজন অভিজ্ঞ ফুটবলার। আমাকে নিজের ভাগ্যবান মনে হয় যে তাঁদের মতো ফুটবলারদের সঙ্গে খেলতে পারছি।''
গত ভুটান ম্যাচের পর মিক্সড জোন দিয়ে বাসে উঠছিলেন ফুটবলাররা। সংবাদ সম্মেলন শেষ করে শিষ্যদের একই পথে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও। টিম বাসে ওঠার সময় বাংলাদেশ কোচের মন্তব্য, ‘দুই ম্যাচে ৬ গোল। ইটজ নট আ ম্যাটার অব জোক (এটা মোটেও ছোট কোনো বিষয় নয়!) ’
কাবরেরার কথাটি দুই দশক আগে হলে হয়তো হেসেই উড়িয়ে দেওয়া যেত। পরিসংখ্যান বলে, এর আগেও প্রতিপক্ষকে দুই ম্যাচে গুনে গুনে ৮ ও ৭ গোল দেওয়ার বেশ কয়েকটি কীর্তি আছে বাংলাদেশের। ১৯৮৪ সাফ গেমসে তিন ম্যাচে বাংলাদেশের গোল ছিল ১২টি। ভুটানকে ২, মালদ্বীপ ও নেপালকে ৫টি করে গোলের মালা পরিয়েছিল সোনালি দিনের বাংলাদেশ দল। এক বছর পর ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের দুই ম্যাচে গোল ১০টি। পাকিস্তানের সঙ্গে সেই দলটার জয়ের ব্যবধান ছিল ২-১ আর মালদ্বীপের সঙ্গে জয়টা ছিল ১০-০ গোলে।
একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের ফুটবল পথ হারালেও টানা ম্যাচে ৬-৭ গোলের পরিসংখ্যান কিন্তু একেবারে থেমে যায়নি। পরপর দুই আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের ৬ গোলের সবশেষ কীর্তি ২০১৯ সালে ভুটানের বিপক্ষে। এবারের সাফের আগে টানা দুই ম্যাচে জয় সেবারই শেষবারের মতো পেয়েছিল বাংলাদেশ দল।
কিন্তু এরপরও বর্তমান পরিস্থিতিতে কাবরেরার কথার অর্থ বুঝতে না পারার কোনো কারণ নেই। এ বছরও বাংলাদেশ সিশেলসের মতো অপেশাদার দলের সঙ্গে জিততে পারেনি দলে গোল করতে পারা স্ট্রাইকার না থাকায়। অসংখ্য সুযোগ পেয়েও অতীতে বাংলাদেশ দল বঞ্চিত হয়েছে দলের স্ট্রাইকারদের গোল করার অভ্যাস না থাকায়। যে দলটা গোল করতে পারে না, সেই দলটা সাফে এসে দুই ম্যাচে ৬ গোল করবে, কেউ কি এমনটা ভাবতে পেরেছিল আগে!
একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, যতবারই ৬ বা তার বেশি গোলে জিতেছে বাংলাদেশ, তার অন্তত একটি হলেও গোল করেছেন কোনো না কোনো স্ট্রাইকার। অথবা করিয়েছেন। কিন্তু এবারই সম্ভবত প্রথমবারের মতো কোনো স্ট্রাইকারের অবদান ছাড়াই ৬ গোল দেওয়ার ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। মালদ্বীপ ম্যাচে ৩ গোলের ২টি করেছেন শেখ মোরসালিন ও রাকিব হোসেন। আরেকটি গোল ডিফেন্ডার তারিক কাজীর। ভুটান ম্যাচেও গোল পেয়েছেন মোরসালিন-রাকিব জুটি। ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি হয়েছিল আত্মঘাতী।
মালদ্বীপ-ভুটান ম্যাচে ২টি করে গোল করা মোরসালিন ও রাকিব কিন্তু প্রথাগত স্ট্রাইকার নন। মোরসালিন খেলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পজিশনে, রাকিব উইঙ্গার। বাংলাদেশ দলে যিনি প্রথাগত স্ট্রাইকার, সেই সুমন রেজা মালদ্বীপ-ভুটানের বিপক্ষে শুরুর একাদশে জায়গাই পাননি। অর্থাৎ, কাবরেরার বাংলাদেশ দল ৬ গোল পেয়েছে কোনো স্ট্রাইকারের অবদান ছাড়াই! অবশ্য আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্ট্রাইকারের সাহায্য লম্বা সময় ধরেই পায় না বাংলাদেশ। গত পাঁচ বছরে লাল-সবুজদের বেশির ভাগ জয় এসেছে হয় ডিফেন্ডার, নয়তো কোনো উইঙ্গারের গোল থেকে।
একজন স্ট্রাইকার ছাড়া বাংলাদেশ দলটা চমক দেখাচ্ছে তাদের খেলার ধরনে। প্রতি আক্রমণে খেলার অভ্যাস থেকে বের হয়ে নিচ থেকে আক্রমণ গড়ার ধরনটা বাংলাদেশ দল যে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছে, সেটা দেখা সাফের শেষ দুই ম্যাচে। দুই ম্যাচেই অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া খেলেছেন ‘ফলস নাইন’ পজিশনে। মূলত ফুটবলারদের চাপেই বিল্ডআপ ফুটবলে মনোযোগী হয়েছেন কাবরেরা। সেই বিল্ডআপ ফুটবলের ক্যারিশমাতেই শেষ চারে বাংলাদেশ। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর কাছ থেকে শুরুটা হয় আক্রমণের। এরপর মাঝমাঠে চার মিডফিল্ডার জামাল, মোহাম্মদ সোহেল রানা, সোহেল রানা ও মোহাম্মদ হৃদয় চেষ্টা করেন খেলাটা গড়ে দেওয়ার। আক্রমণের ভারটা মালদ্বীপ ম্যাচে শুরুতে সামলেছেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রাকিব হোসেন, ভুটান ম্যাচে রাকিব ও মোরসালিন।
ভুটানের বিপক্ষে মাঝমাঠ খানিকটা নড়বড়ে থাকলেও আক্রমণভাগে মোরসালিন-রাকিব জুটি বুঝতেই দেননি সেই অভাবটা। ভুটান ম্যাচে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথমবারের মতো দুজনের বোঝাপড়াটা বাংলাদেশকে আরও সাহস দিচ্ছে প্রথাগত কোনো স্ট্রাইকার ছাড়াই মাঠে নামার। বক্সের বাইরে থেকে মোরসালিনের ‘অন টার্গেটে’ শট রাখতে পারার সক্ষমতা রাকিবকে দিচ্ছে তার মতো খেলার স্বাধীনতা। ক্লাব ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলায় দুজনেরই বোঝাপড়াটা ভালো হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে। মাত্র চার ম্যাচেই ২ গোল করা মোরসালিন এ ক্ষেত্রে কৃতিত্বটা রাকিবকেই দিলেন বেশি, ‘রাকিব ভাই খুবই ভালো ফুটবলার। একজন অভিজ্ঞ ফুটবলার। আমাকে নিজের ভাগ্যবান মনে হয় যে তাঁদের মতো ফুটবলারদের সঙ্গে খেলতে পারছি।''
মিরপুরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিলেন না তাসকিনরা। ১৯.৩ ওভারে ১১০ রানেই গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা। পাকিস্তানের তিন ব্যাটারই শুধু দুই অঙ্কের ঘরে পোঁছাতে পেরেছেন।
১৬ মিনিট আগেমিরপুরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাওয়ার-প্লেতে পাকিস্তানকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ৬ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৪১ রান পাকিস্তানের। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শেখ মেহেদী, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিব।
১ ঘণ্টা আগেশূন্যে কয়েন ছুড়লেন স্বাগতিক অধিনায়ক লিটন দাস। সফরকারী দল পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলী আঘা ‘কল’ দিলেন। এবার ভাগ্য লিটনের পক্ষে কথা বলেছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে টসে জিতেছে বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। টানা ৯ ম্যাচে টস হারের পর অবশেষে এবার জিতলেন লিটন। দলের একাদশে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খেলেছিলেন তিনি। সিরিজ জয়ের পরের দুই ম্যাচে ছিলেন না একাদশে।
২ ঘণ্টা আগে