ম্যাচের ৫৫ মিনিটে লিওনার্দো বোনুচ্চি ব্যাকপাস দিতে গিয়ে নিজেদের জালেই প্রায় বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন। জিয়নলুইজি দোন্নারুম্মা শেষ মুহূর্তে গোল লাইনের ওপর থেকে বল ক্লিয়ার করেন। এই মুহূর্তটিই যেন পুরো ইতালি দলের ৯০ মিনিটের অসহায়ত্বের সচিত্র প্রতিবেদন। দুই মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে শেষপর্যন্ত তারা যে হারের ব্যবধান আরও বড় হতে দেয়নি সেটিই বা কম কীসে। দক্ষিণ আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাছে ইউরোপ সেরারা হেরেছে ৩-০ গোলে।
ওয়েম্বলিতে এই ইতালির খেলা দেখে কে বলবে তারা আগের বছরের ইউরোপ সেরা। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা কাতার বিশ্বকাপ খেলতে না পারার ধকল যে এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি সেটি তাদের খেলায় ফুটে উঠেছে। বিপরীত আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর এক আর্জেন্টিনার দেখা মিলেছে এদিন। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একচেটিয়া দাপট দেখিয়েছে মেসি-দি মারিয়ারা।
মেসি তো আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, আর্জেন্টিনার মানুষ ও সমর্থকদের জন্য আরেকটি শিরোপা এনে দিতে যাচ্ছেন তিনি। মেসি তার দেওয়া কথা রেখেছেন। ইতালিকে হারিয়ে ফিফার স্বীকৃতি ‘ফাইনালিসিমা’ শিরোপা জিতিয়েছে আর্জেন্টিনাকে। দীর্ঘ ২৮ বছর শিরোপা না জেতা আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকার পরের বছর জিতল আরেকটি শিরোপা।
ম্যাচের শুরুতে আকাশি সাদারা নিজেদের গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় নিয়েছে। কিন্তু এরপর ‘আজ্জুরি’রা দাঁড়াতেই পারেনি আর্জেন্টিনার গোছানো ফুটবলের সামনে। মেসি-দি মারিয়ারা মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একের পর এক আক্রমণে তটস্থ করে তোলে ইতালির রক্ষণভাগ। গোল বের করতেও সময় লাগেনি। ম্যাচের ২৬ মিনিটে মেসির বাড়ানো বলে দারুণ প্লেসমেন্টে বল জালে জড়ান লাওতেরো মার্টিনেজ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দি মারিয়া। মধ্যমাঠ থেকে প্রথম গোলদাতা মার্টিনেজের লম্বা থ্রু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দোন্নারুম্মার মাথার ওপর দিতে লক্ষভেদ করেন। ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে ইটালিকে চেপে ধরে স্কালোনির দল। ৫৯ মিনিটে দি মারিয়ার শট দোন্নারুম্মা না রুখে দিলে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলত আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠ থেকে পাওয়া লম্বা থ্রু দারুণভাবে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নিয়েছিলেন ডি মারিয়া। মিনিট দুয়েক পর আবারও জটলার মধ্যে থেকে জোরালো এক ভলি নিয়েছিলেন দি মারিয়া। সে যাত্রায়ও ইতালিকে গোলের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন দোনারুম্মা। মুহুর্মুহু আক্রমণে কেঁপে ওঠে ইতালির রক্ষণ দুর্গ।
খেলা সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
৬৫ মিনিটে তো মেসি শটে আরেকবার ত্রাতার ভূমিকায় ইতালিয়ান গোলরক্ষক। এর কিছুক্ষণ আগে অবশ্য গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে আর্জেন্টিনা। বাঁ দিক থেকে মেসির বাড়ানো বলে ঠিকমতো পা ছোঁয়াতে পারেনি লে সেলসো। বল পোস্টে রাখতে পারলে নিশ্চিতভাবেই লিড বাড়াতে পারত স্কালোনির দল। শেষদিকেও আর্জেন্টিনা গোলের চেষ্টা করে গেছেন। ম্যাচের যোগ করা সময়ে এসেছে সেটির ফল। মেসির বাড়ানো বলে গোল করেন পাওলো দিবালা। শেষপর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় নিয়ে উল্লাসে মাতে আর্জেন্টিনা। এই জয়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে অপরাজিত থাকার ধারা ধরে রাখল আলবেসিলেস্তেরা।
লিওনেল মেসি সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ম্যাচের ৫৫ মিনিটে লিওনার্দো বোনুচ্চি ব্যাকপাস দিতে গিয়ে নিজেদের জালেই প্রায় বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন। জিয়নলুইজি দোন্নারুম্মা শেষ মুহূর্তে গোল লাইনের ওপর থেকে বল ক্লিয়ার করেন। এই মুহূর্তটিই যেন পুরো ইতালি দলের ৯০ মিনিটের অসহায়ত্বের সচিত্র প্রতিবেদন। দুই মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে শেষপর্যন্ত তারা যে হারের ব্যবধান আরও বড় হতে দেয়নি সেটিই বা কম কীসে। দক্ষিণ আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাছে ইউরোপ সেরারা হেরেছে ৩-০ গোলে।
ওয়েম্বলিতে এই ইতালির খেলা দেখে কে বলবে তারা আগের বছরের ইউরোপ সেরা। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা কাতার বিশ্বকাপ খেলতে না পারার ধকল যে এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি সেটি তাদের খেলায় ফুটে উঠেছে। বিপরীত আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর এক আর্জেন্টিনার দেখা মিলেছে এদিন। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একচেটিয়া দাপট দেখিয়েছে মেসি-দি মারিয়ারা।
মেসি তো আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, আর্জেন্টিনার মানুষ ও সমর্থকদের জন্য আরেকটি শিরোপা এনে দিতে যাচ্ছেন তিনি। মেসি তার দেওয়া কথা রেখেছেন। ইতালিকে হারিয়ে ফিফার স্বীকৃতি ‘ফাইনালিসিমা’ শিরোপা জিতিয়েছে আর্জেন্টিনাকে। দীর্ঘ ২৮ বছর শিরোপা না জেতা আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকার পরের বছর জিতল আরেকটি শিরোপা।
ম্যাচের শুরুতে আকাশি সাদারা নিজেদের গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় নিয়েছে। কিন্তু এরপর ‘আজ্জুরি’রা দাঁড়াতেই পারেনি আর্জেন্টিনার গোছানো ফুটবলের সামনে। মেসি-দি মারিয়ারা মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একের পর এক আক্রমণে তটস্থ করে তোলে ইতালির রক্ষণভাগ। গোল বের করতেও সময় লাগেনি। ম্যাচের ২৬ মিনিটে মেসির বাড়ানো বলে দারুণ প্লেসমেন্টে বল জালে জড়ান লাওতেরো মার্টিনেজ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দি মারিয়া। মধ্যমাঠ থেকে প্রথম গোলদাতা মার্টিনেজের লম্বা থ্রু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দোন্নারুম্মার মাথার ওপর দিতে লক্ষভেদ করেন। ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে ইটালিকে চেপে ধরে স্কালোনির দল। ৫৯ মিনিটে দি মারিয়ার শট দোন্নারুম্মা না রুখে দিলে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলত আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠ থেকে পাওয়া লম্বা থ্রু দারুণভাবে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নিয়েছিলেন ডি মারিয়া। মিনিট দুয়েক পর আবারও জটলার মধ্যে থেকে জোরালো এক ভলি নিয়েছিলেন দি মারিয়া। সে যাত্রায়ও ইতালিকে গোলের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন দোনারুম্মা। মুহুর্মুহু আক্রমণে কেঁপে ওঠে ইতালির রক্ষণ দুর্গ।
খেলা সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
৬৫ মিনিটে তো মেসি শটে আরেকবার ত্রাতার ভূমিকায় ইতালিয়ান গোলরক্ষক। এর কিছুক্ষণ আগে অবশ্য গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে আর্জেন্টিনা। বাঁ দিক থেকে মেসির বাড়ানো বলে ঠিকমতো পা ছোঁয়াতে পারেনি লে সেলসো। বল পোস্টে রাখতে পারলে নিশ্চিতভাবেই লিড বাড়াতে পারত স্কালোনির দল। শেষদিকেও আর্জেন্টিনা গোলের চেষ্টা করে গেছেন। ম্যাচের যোগ করা সময়ে এসেছে সেটির ফল। মেসির বাড়ানো বলে গোল করেন পাওলো দিবালা। শেষপর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় নিয়ে উল্লাসে মাতে আর্জেন্টিনা। এই জয়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে অপরাজিত থাকার ধারা ধরে রাখল আলবেসিলেস্তেরা।
লিওনেল মেসি সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
দারুণ এক মৌসুম পার করছেন লামিন ইয়ামাল। নিজের পারফরম্যান্সের সঙ্গে দলকেও এনে দিচ্ছেন সাফল্য। রাতে তাঁর চোখ ধাঁধানো গোল ও অ্যাসিস্টে কাতালান ডার্বিতে স্টেডিয়ামে এস্পানিওলকে ২-০ গোলে হারিয়ে লা লিগার ২৮ তম শিরোপা ঘরে তুলল বার্সেলোনা। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৩ ম্যাচে ১৭ গোল করার
৭ মিনিট আগেরুদ্ধশ্বাস প্রথম দুই ওয়ানডেতে একটি করে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দল। আজ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে অলিখিত ফাইনালে মাঠে নামছে দল দুটি। ফুটবলেও আজ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামছে চেলসি-অ্যাস্টন ভিলার মতো দলগুলো।
১ ঘণ্টা আগেখেলা হবে ৯০ মিনিট। অতিরিক্ত সময়টুকু আমলে নিলে প্রায় ১০০ মিনিটই বলা যায়। তবে বাফুফে প্রস্তুতি নিচ্ছে আটঘাট বেঁধে। শুধু একটি ম্যাচকে ঘিরে দেশের ফুটবলে এমন আয়োজনের পরিকল্পনা শেষ কবে দেখা গেছে, তা বলা মুশকিল।
১ ঘণ্টা আগেজিতলেই শিরোপা জয়ের উদ্যাপন করার সুযোগ, এস্পানিওলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই সমীকরণটা বুঝে নিয়েছে বার্সেলোনা। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া ফুটবলই খেলেছে কাতালানরা। পায়নি কোনো গোলও। শিরোপার অপেক্ষা কি তাহলে বাড়ছে? সমর্থকদের মনে যখন মলিন ছায়া—তখনই ইয়ামালের চোখ ধাঁধানো গোল।
১ ঘণ্টা আগে