নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খেলা শেষ হয়েছে গত পরশু রাতে। পরদিন সকালেই প্রিয় শহর বরিশালে চলে গেছেন রাকিব হোসেন। বদলে যাওয়া যোগাযোগব্যবস্থার সুফল পাচ্ছে মানুষ, অল্প সময়ে যাওয়া যায় বরিশালে। রাকিবের বদলে যাওয়ার ফলও পাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল।
রাকিবের প্রতিভা নিয়ে কখনোই প্রশ্ন ছিল না। জোর গতিতে ছুটতে পারেন। পরিশ্রমী। মাঝমাঠে নেমে রক্ষণের কাজ করতে পারেন। আক্রমণে প্রান্ত বদল করে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ত্রাস ছড়াতে পারেন। দুর্বলতা ছিল একটা জায়গাতেই। ২০২১ সালে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচের দায়িত্বে থাকা মারুফুল হক তখন বলেছিলেন, ‘রাকিব পরিশ্রমী। তবে ওকে ধৈর্য ধরা শিখতে হবে। বল পায়ে রাখতে হবে।’ মারুফের অধীনে চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে সেই মৌসুমে ৭ গোল করেছিলেন রাকিব। পাঁচ মৌসুমের পেশাদার ফুটবল লিগে সেটাই ছিল এক মৌসুমে তাঁর সর্বোচ্চ গোল।
২০২০-২১ মৌসুমের কীর্তি ভেঙে এবারের মৌসুমে নিজেকে নতুন করে যেন চেনাচ্ছেন রাকিব। গতকাল শেষ হয়েছে ২০২৩-২৪ বিপিএল ফুটবলের প্রথম পর্ব। লিগের প্রথম ৯ ম্যাচেই ৬ গোল করেছেন বসুন্ধরা কিংসের ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। রাকিবের ভাষায়, ‘সেরা মৌসুম’ যাচ্ছে তাঁর। প্রথম পর্ব শেষে ৮ গোলে শীর্ষে রাকিবের ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সতীর্থ দরিয়েলতন গোমেজ। ৭ গোলে দুইয়ে আবাহনীর কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট। প্রথম পর্বে বাংলাদেশি ফুটবলারদের মধ্যে ৫ গোল আছে শুধু রাব্বি হোসেন রাহুলের।
রাকিবের সুযোগ থাকছে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে লিগ শেষ করারও। যদি করতে পারেন, বিদেশিদের দাপট যে লিগে, সেই বিপিএল ফুটবলে এটা হবে বিরল এক কীর্তি। রাকিব নিজের লক্ষ্য নিয়ে মোবাইল ফোনে বললেন, ‘আমি কখনো এমন লক্ষ্য নিয়ে খেলি না। এভাবে লক্ষ্য নিয়ে নামলে ফুটবল খেলা সম্ভব না। আমি শুধু চেষ্টা করি নিজের ভুলগুলো শুধরে নিতে।’ আর নিজের ভুল বলতে রাকিব বোঝেন, বক্সের ভেতরে শট নিতে গিয়ে অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করা। বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ রবসনের পরামর্শে এখন বুঝেশুনে ঠান্ডা মাথায় শট নিচ্ছেন লক্ষ্যে। তিন বছর আগে মারুফুল হকের পরামর্শ এখন সুন্দরভাবে কাজেও লাগাতে পারছেন মাঠে।
রাকিবের ৬ গোলের তাৎপর্য অন্যরকম। ঘরোয়া ফুটবলে অধিকাংশ বাংলাদেশি ফরোয়ার্ডের যে ভূমিকা, সেটাই বসুন্ধরার হয়ে করার চেষ্টা করেন রাকিব; উইঙ্গার হিসেবে গোল করার চেয়ে বিদেশি সতীর্থদের নিয়ে গোল বানিয়ে দেওয়াই মূলত তাঁর কাজ। বাংলাদেশি ফুটবলাররা লিগে গোলের সুযোগ পান তুলনামূলক কম। গোল করার অভ্যাস না থাকায় সুযোগ কাজে লাগানোর হার ভীষণ রকম কম। রাকিব এখানেই এবার বাকিদের চেয়ে আলাদা। বসুন্ধরায় ব্রাজিলের আক্রমণত্রয়ী দরিয়েলতন-রবসন আর মিগেল দামাশিনার সঙ্গে মূল একাদশে রাকিব এখন অস্কার ব্রুজোনের প্রথম পছন্দ। গোল তো বানিয়ে দিচ্ছেনই, ঠিকঠাক কাজে লাগাচ্ছেন নিজের সুযোগগুলোও। ৬ গোলের প্রতিটিতেই ঠিকরে উঠেছে তাঁর প্রবল আত্মবিশ্বাস। রাকিব এই আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন গত বছর বেঙ্গালুরুর সাফ থেকে।
বিনয়ী রাকিব নিজেকে আলাদা ভাবতে চান না। কেন চান না, তার ব্যাখা দিলেন এভাবে, ‘নিজেকে আমি আলাদা বলতে চাই না। কেউ পরিপূর্ণ না। বিদেশিদের কারণে আমরা হয়তো গোল করতে পারি না। একেকজনের একেক সমস্যা থাকে। তবে সবাই সমান। শেষ পর্যন্ত যে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে, সেই সবার থেকে আলাদা হয়ে যায়। চাইলেই সম্ভব।’
খেলা শেষ হয়েছে গত পরশু রাতে। পরদিন সকালেই প্রিয় শহর বরিশালে চলে গেছেন রাকিব হোসেন। বদলে যাওয়া যোগাযোগব্যবস্থার সুফল পাচ্ছে মানুষ, অল্প সময়ে যাওয়া যায় বরিশালে। রাকিবের বদলে যাওয়ার ফলও পাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল।
রাকিবের প্রতিভা নিয়ে কখনোই প্রশ্ন ছিল না। জোর গতিতে ছুটতে পারেন। পরিশ্রমী। মাঝমাঠে নেমে রক্ষণের কাজ করতে পারেন। আক্রমণে প্রান্ত বদল করে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ত্রাস ছড়াতে পারেন। দুর্বলতা ছিল একটা জায়গাতেই। ২০২১ সালে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচের দায়িত্বে থাকা মারুফুল হক তখন বলেছিলেন, ‘রাকিব পরিশ্রমী। তবে ওকে ধৈর্য ধরা শিখতে হবে। বল পায়ে রাখতে হবে।’ মারুফের অধীনে চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে সেই মৌসুমে ৭ গোল করেছিলেন রাকিব। পাঁচ মৌসুমের পেশাদার ফুটবল লিগে সেটাই ছিল এক মৌসুমে তাঁর সর্বোচ্চ গোল।
২০২০-২১ মৌসুমের কীর্তি ভেঙে এবারের মৌসুমে নিজেকে নতুন করে যেন চেনাচ্ছেন রাকিব। গতকাল শেষ হয়েছে ২০২৩-২৪ বিপিএল ফুটবলের প্রথম পর্ব। লিগের প্রথম ৯ ম্যাচেই ৬ গোল করেছেন বসুন্ধরা কিংসের ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। রাকিবের ভাষায়, ‘সেরা মৌসুম’ যাচ্ছে তাঁর। প্রথম পর্ব শেষে ৮ গোলে শীর্ষে রাকিবের ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সতীর্থ দরিয়েলতন গোমেজ। ৭ গোলে দুইয়ে আবাহনীর কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট। প্রথম পর্বে বাংলাদেশি ফুটবলারদের মধ্যে ৫ গোল আছে শুধু রাব্বি হোসেন রাহুলের।
রাকিবের সুযোগ থাকছে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে লিগ শেষ করারও। যদি করতে পারেন, বিদেশিদের দাপট যে লিগে, সেই বিপিএল ফুটবলে এটা হবে বিরল এক কীর্তি। রাকিব নিজের লক্ষ্য নিয়ে মোবাইল ফোনে বললেন, ‘আমি কখনো এমন লক্ষ্য নিয়ে খেলি না। এভাবে লক্ষ্য নিয়ে নামলে ফুটবল খেলা সম্ভব না। আমি শুধু চেষ্টা করি নিজের ভুলগুলো শুধরে নিতে।’ আর নিজের ভুল বলতে রাকিব বোঝেন, বক্সের ভেতরে শট নিতে গিয়ে অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করা। বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ রবসনের পরামর্শে এখন বুঝেশুনে ঠান্ডা মাথায় শট নিচ্ছেন লক্ষ্যে। তিন বছর আগে মারুফুল হকের পরামর্শ এখন সুন্দরভাবে কাজেও লাগাতে পারছেন মাঠে।
রাকিবের ৬ গোলের তাৎপর্য অন্যরকম। ঘরোয়া ফুটবলে অধিকাংশ বাংলাদেশি ফরোয়ার্ডের যে ভূমিকা, সেটাই বসুন্ধরার হয়ে করার চেষ্টা করেন রাকিব; উইঙ্গার হিসেবে গোল করার চেয়ে বিদেশি সতীর্থদের নিয়ে গোল বানিয়ে দেওয়াই মূলত তাঁর কাজ। বাংলাদেশি ফুটবলাররা লিগে গোলের সুযোগ পান তুলনামূলক কম। গোল করার অভ্যাস না থাকায় সুযোগ কাজে লাগানোর হার ভীষণ রকম কম। রাকিব এখানেই এবার বাকিদের চেয়ে আলাদা। বসুন্ধরায় ব্রাজিলের আক্রমণত্রয়ী দরিয়েলতন-রবসন আর মিগেল দামাশিনার সঙ্গে মূল একাদশে রাকিব এখন অস্কার ব্রুজোনের প্রথম পছন্দ। গোল তো বানিয়ে দিচ্ছেনই, ঠিকঠাক কাজে লাগাচ্ছেন নিজের সুযোগগুলোও। ৬ গোলের প্রতিটিতেই ঠিকরে উঠেছে তাঁর প্রবল আত্মবিশ্বাস। রাকিব এই আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন গত বছর বেঙ্গালুরুর সাফ থেকে।
বিনয়ী রাকিব নিজেকে আলাদা ভাবতে চান না। কেন চান না, তার ব্যাখা দিলেন এভাবে, ‘নিজেকে আমি আলাদা বলতে চাই না। কেউ পরিপূর্ণ না। বিদেশিদের কারণে আমরা হয়তো গোল করতে পারি না। একেকজনের একেক সমস্যা থাকে। তবে সবাই সমান। শেষ পর্যন্ত যে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে, সেই সবার থেকে আলাদা হয়ে যায়। চাইলেই সম্ভব।’
দুজন একে অপরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। খেলা বাদে একসঙ্গে খুব একটা দেখাও যায় না। তবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না থাকলেও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এসেছেন বরাবর। লিওনেল মেসিকে ভালো লাগার এটাই কারণ বলে জানিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের কাছে গত মাসে প্রথম ম্যাচ হেরেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ঐতিহাসিক এই জয়ে মুহাম্মদ ওয়াসিম ছিলেন। ‘ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) পুরস্কার পেলেন আমিরাত অধিনায়ক।
৩ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ মৌসুমটা রাফিনিয়া কাটিয়েছেন মনে রাখার মতো। স্প্যানিশ সুপার কাপ, লা লিগা, কোপা দেল রে—বার্সেলোনার তিনটি মেজর শিরোপা জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড।
৩ ঘণ্টা আগেগত বছর জিততে পারেননি একটি গ্র্যান্ড স্ল্যামও। এবারও পথটা এরকমই মনে হচ্ছে। তবে কি নোভাক জোকোভিচের দাপট শেষ হতে চলল। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকেও গতকাল সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছেন রেকর্ড ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী এই তারকা। ইতালির ইয়ানিক সিনারের কাছে ৬-৪,৭-৫, ৭-৬ (৭-৩) গেমে হারেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে