ক্রীড়া ডেস্ক
কথাটা পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন পিএফএর প্রধান নির্বাহী মাহেতা মোলাঙ্গোর। অভিযোগও বলা যায়। কিন্তু এই অভিযোগ পিএফএ প্রধানের।
চলতি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের প্রেক্ষাপটে এই অভিযোগ তুলেছেন পিএফএর প্রধান। হাঁসফাঁস করা গরমের মধ্যে খেলতে হচ্ছে ফুটবলারদের। কিন্তু তাঁদের এত কষ্ট করা সার। মাঠে যে দর্শক নেই। দর্শক থাকলে না হয় খেলোয়াড়েরা সান্ত্বনা পেতেন এই ভেবে যে তাঁদের কষ্ট হলেও দর্শকেরা আনন্দ পাচ্ছেন।
শেষ ষোলোয় গত মঙ্গলবার রিয়াল মাদ্রিদ আর জুভেন্টাসের ম্যাচের সময় মায়ামির তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতা ৭০ শতাংশ। এই গরমে ঘেমে একাকার মাঠের ফুটবলাররা। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ছিল, সেটা ম্যাচ শেষে উঠে আসে ইগোর তুদোরের কথায়। তিনি জানিয়েছেন, ১১ খেলোয়াড়ের ১০ জনই বদলি হয়ে মাঠ থেকে উঠে আসতে চেয়েছিলেন।
এমন সময়ে হচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ, যখন মৌসুমের শেষে এসে খেলোয়াড়েরা ক্লান্ত, রিক্ত ও নিঃশেষিত। এর প্রভাব পড়ছে ম্যাচের ফলাফলে। টুর্নামেন্টের শুরুতে বেশ চমক দেখিয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ক্লাবগুলো। বোতাফোগো গ্রুপ পর্বে হারিয়ে দিয়েছিল ইউরোপসেরা পিএসজিকে। ফ্ল্যামেঙ্গোর কাছে ধরাশায়ী হয়েছে চেলসি। বোকা জুনিয়র্স ২-২ গোলে রুখে দিয়েছিল বেনফিকাকে। শুরুর এই চমকের মূল কারণ ছিল—গরমের মধ্যে খেলে অভ্যস্ত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ক্লাবগুলো। আর এই গরমের সঙ্গে খেলে অভ্যস্ত নয় ইউরোপীয় ক্লাব কিংবা ইউরোপের তারকারা। দক্ষিণ আফ্রিকান ক্লাব মামেলোদি সানডাউনের বিপক্ষের ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বদলি খেলোয়াড়েরা মাঠে অবস্থান না করে ড্রেসিংরুমে সময় কাটিয়েছেন।
শুধু অসহনীয় গরম নয়, রয়েছে ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতের উৎপাত। বজ্রঝড়ের কারণে ছয়টি ম্যাচ স্থগিত করতে হয়েছে আয়োজকদের। ক্লাব বিশ্বকাপে যখন এই অবস্থা, তখন আগামী বছর জুন-জুলাইয়ে ফিফা বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মোলাঙ্গো। তিনি বলেন, ‘আমরা ফুটবলের মান কমিয়ে ফেলছি, এটা দুঃখজনক। যদি আমি একজন মার্কিন দর্শক হই এবং এটি হয় আমার প্রথম ফুটবল অভিজ্ঞতা, তাহলে সেটা ভালো হতে পারে না।’ পিএফএর প্রধান নির্বাহী এরপর বললেন আসল কথা, ‘বিনোদনদায়ী অন্য খেলাগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে আমাদের। তাই সেসব খেলার তুলনায় অবস্থানটা শক্ত নয়। আমরা এমন এক পর্যায়ে উপনীত, যেখানে খেলার মান কমে যাচ্ছে। মেক্সিকোয় বিকেল ৪টায় যদি খেলা হয়, তাহলে আপনি ভালো ম্যাচ আশা করতে পারেন না। কারণ, খেলোয়াড়েরা আপনাকে বলবে, আমি পারছি না। আমাকে শক্তি বাঁচিয়ে খেলতে হচ্ছে। তার মানে আপনি মাঠে যা দেখছেন, তা ভালো কিছু নয়; দর্শকও কমে যায়। ব্যাপারটা খুবই পরিষ্কার, সবকিছু এখন টাকার খেলা।’
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আগেও ছিল, কিন্তু তখন সেটি হতো ছোট পরিসরে। ২০২৩ সালে ক্লাব বিশ্বকাপে যেখানে ম্যাচের সংখ্যা ছিল ৭ টি, সেখানে এবার ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩। আর টুর্নামেন্টের বর্ধিত এই কলেবরের ধকল টানতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। লিভারপুলের সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ এই প্রতিযোগিতাকে ‘ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ধারণা’ বলেছেন। টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েক দিন আগে আন্তর্জাতিক ফুটবলারদের সংগঠন ফিফপ্রো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, যেখানে খেলোয়াড়দের অন্তত চার সপ্তাহের ছুটির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়।
ফিফা যুক্তি দেখাচ্ছে, এই টুর্নামেন্টে প্রতি চার বছরে দুটি দল সর্বোচ্চ সাতটি ম্যাচ খেলবে এবং এটি পুরোনো ফিফা কনফেডারেশনস কাপের জায়গায় যুক্ত হয়েছে। কিন্তু ফিফার এই যুক্তিও অযৌক্তিক মনে হয়েছে পিএফএ, ফ্রেঞ্চ ও ইতালিয়ান ফুটবলারদের ইউনিয়নগুলোর কাছে। তাই ঘিঞ্জি সূচি নিয়ে ইউনিয়নগুলো যৌথভাবে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে ফিফার বিরুদ্ধে, যে মামলার শুনানি শুরু হতে পারে আগামী বছর। এর আগে ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলো ও ফিফপ্রো বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফার বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান কমিশনে আইনি অভিযোগ করেছে, যেখানে তারা দাবি করেছে, বিশ্ব ফুটবলে একচেটিয়া প্রভাবের অপব্যবহার করা হয়েছে। এটি ‘সাধারণ বিষয়’ নয় বলে মনে করেন মোলাঙ্গো। তাঁর বিশ্বাস, কমিশন এই মামলায় আগ্রহ দেখাবে।
কথাটা পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন পিএফএর প্রধান নির্বাহী মাহেতা মোলাঙ্গোর। অভিযোগও বলা যায়। কিন্তু এই অভিযোগ পিএফএ প্রধানের।
চলতি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের প্রেক্ষাপটে এই অভিযোগ তুলেছেন পিএফএর প্রধান। হাঁসফাঁস করা গরমের মধ্যে খেলতে হচ্ছে ফুটবলারদের। কিন্তু তাঁদের এত কষ্ট করা সার। মাঠে যে দর্শক নেই। দর্শক থাকলে না হয় খেলোয়াড়েরা সান্ত্বনা পেতেন এই ভেবে যে তাঁদের কষ্ট হলেও দর্শকেরা আনন্দ পাচ্ছেন।
শেষ ষোলোয় গত মঙ্গলবার রিয়াল মাদ্রিদ আর জুভেন্টাসের ম্যাচের সময় মায়ামির তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতা ৭০ শতাংশ। এই গরমে ঘেমে একাকার মাঠের ফুটবলাররা। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ছিল, সেটা ম্যাচ শেষে উঠে আসে ইগোর তুদোরের কথায়। তিনি জানিয়েছেন, ১১ খেলোয়াড়ের ১০ জনই বদলি হয়ে মাঠ থেকে উঠে আসতে চেয়েছিলেন।
এমন সময়ে হচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ, যখন মৌসুমের শেষে এসে খেলোয়াড়েরা ক্লান্ত, রিক্ত ও নিঃশেষিত। এর প্রভাব পড়ছে ম্যাচের ফলাফলে। টুর্নামেন্টের শুরুতে বেশ চমক দেখিয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ক্লাবগুলো। বোতাফোগো গ্রুপ পর্বে হারিয়ে দিয়েছিল ইউরোপসেরা পিএসজিকে। ফ্ল্যামেঙ্গোর কাছে ধরাশায়ী হয়েছে চেলসি। বোকা জুনিয়র্স ২-২ গোলে রুখে দিয়েছিল বেনফিকাকে। শুরুর এই চমকের মূল কারণ ছিল—গরমের মধ্যে খেলে অভ্যস্ত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ক্লাবগুলো। আর এই গরমের সঙ্গে খেলে অভ্যস্ত নয় ইউরোপীয় ক্লাব কিংবা ইউরোপের তারকারা। দক্ষিণ আফ্রিকান ক্লাব মামেলোদি সানডাউনের বিপক্ষের ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বদলি খেলোয়াড়েরা মাঠে অবস্থান না করে ড্রেসিংরুমে সময় কাটিয়েছেন।
শুধু অসহনীয় গরম নয়, রয়েছে ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতের উৎপাত। বজ্রঝড়ের কারণে ছয়টি ম্যাচ স্থগিত করতে হয়েছে আয়োজকদের। ক্লাব বিশ্বকাপে যখন এই অবস্থা, তখন আগামী বছর জুন-জুলাইয়ে ফিফা বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মোলাঙ্গো। তিনি বলেন, ‘আমরা ফুটবলের মান কমিয়ে ফেলছি, এটা দুঃখজনক। যদি আমি একজন মার্কিন দর্শক হই এবং এটি হয় আমার প্রথম ফুটবল অভিজ্ঞতা, তাহলে সেটা ভালো হতে পারে না।’ পিএফএর প্রধান নির্বাহী এরপর বললেন আসল কথা, ‘বিনোদনদায়ী অন্য খেলাগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে আমাদের। তাই সেসব খেলার তুলনায় অবস্থানটা শক্ত নয়। আমরা এমন এক পর্যায়ে উপনীত, যেখানে খেলার মান কমে যাচ্ছে। মেক্সিকোয় বিকেল ৪টায় যদি খেলা হয়, তাহলে আপনি ভালো ম্যাচ আশা করতে পারেন না। কারণ, খেলোয়াড়েরা আপনাকে বলবে, আমি পারছি না। আমাকে শক্তি বাঁচিয়ে খেলতে হচ্ছে। তার মানে আপনি মাঠে যা দেখছেন, তা ভালো কিছু নয়; দর্শকও কমে যায়। ব্যাপারটা খুবই পরিষ্কার, সবকিছু এখন টাকার খেলা।’
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আগেও ছিল, কিন্তু তখন সেটি হতো ছোট পরিসরে। ২০২৩ সালে ক্লাব বিশ্বকাপে যেখানে ম্যাচের সংখ্যা ছিল ৭ টি, সেখানে এবার ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩। আর টুর্নামেন্টের বর্ধিত এই কলেবরের ধকল টানতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। লিভারপুলের সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ এই প্রতিযোগিতাকে ‘ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ধারণা’ বলেছেন। টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েক দিন আগে আন্তর্জাতিক ফুটবলারদের সংগঠন ফিফপ্রো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, যেখানে খেলোয়াড়দের অন্তত চার সপ্তাহের ছুটির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়।
ফিফা যুক্তি দেখাচ্ছে, এই টুর্নামেন্টে প্রতি চার বছরে দুটি দল সর্বোচ্চ সাতটি ম্যাচ খেলবে এবং এটি পুরোনো ফিফা কনফেডারেশনস কাপের জায়গায় যুক্ত হয়েছে। কিন্তু ফিফার এই যুক্তিও অযৌক্তিক মনে হয়েছে পিএফএ, ফ্রেঞ্চ ও ইতালিয়ান ফুটবলারদের ইউনিয়নগুলোর কাছে। তাই ঘিঞ্জি সূচি নিয়ে ইউনিয়নগুলো যৌথভাবে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে ফিফার বিরুদ্ধে, যে মামলার শুনানি শুরু হতে পারে আগামী বছর। এর আগে ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলো ও ফিফপ্রো বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফার বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান কমিশনে আইনি অভিযোগ করেছে, যেখানে তারা দাবি করেছে, বিশ্ব ফুটবলে একচেটিয়া প্রভাবের অপব্যবহার করা হয়েছে। এটি ‘সাধারণ বিষয়’ নয় বলে মনে করেন মোলাঙ্গো। তাঁর বিশ্বাস, কমিশন এই মামলায় আগ্রহ দেখাবে।
কলম্বোয় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হলে ঘুরেফিরে আসে ২০১৮ নিদাহাস ট্রফির স্মৃতি। সেবার লঙ্কানদের বিপক্ষে দুবারের লড়াইয়ে দুবারই জিতেছিল বাংলাদেশ। সাত বছর পর সেই প্রেমাদাসায় রচিত হলো ইতিহাস। ৮ উইকেটে জিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগেলর্ডসে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ‘লো-স্কোরিং থ্রিলারে’ ভারত হারলেও রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। মোহাম্মদ সিরাজ, জসপ্রীত বুমরাদের নিয়ে প্রাণপণে লড়ে গেছেন জাদেজা। তবে পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার কামরান আকমলের মতে জাদেজার আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে খেলা উচিত ছিল।
২ ঘণ্টা আগেসিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে তেমন কিছুই করতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। কলম্বোর প্রেমাদাসায় আজ সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জায়গা মেলেনি তাঁদের। একাদশে দুই পরিবর্তন আনতেই বাজিমাত বাংলাদেশের। মিরাজের পরিবর্তে একাদশে এসেই শেখ মেহেদী হাসান দেখালেন তাঁর ঘূর্ণিজাদু।
২ ঘণ্টা আগেঅনেক দিন ধরেই বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার বেহাল দশা। তার ওপর এখন বর্ষাকালে নিয়মিত বৃষ্টির কারণে স্টেডিয়ামের অবস্থা হয়েছে আরও বাজে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ফুটবল সংস্থা (সাফ) এবার চারটি ম্যাচের ভেন্যু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ।
৩ ঘণ্টা আগে