Ajker Patrika

মোহামেডানের জয় ছাপিয়ে বিতর্কে রেফারির সিদ্ধান্ত 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ২০: ১২
Thumbnail image

চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-১ গোলে হারিয়ে দুই বছর পর আজ ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে স্বাধীনতা কাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বাদ পড়া মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু সাদা-কালোদের জয় ছাপিয়ে বিতর্কে ম্যাচের রেফারি আনিসুর রহমানের এক ‘হলুদ’ কার্ড!  

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিট পর্যন্ত যেন ঘুমপাড়ানি ফুটবল খেলছিল মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনী। ঝিমাতে থাকা ম্যাচটাকে জীবন্ত করে তুললেন মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেন। 

ম্যাচের বয়স তখন ৩৫ মিনিট। মাঝমাঠে সতীর্থের কাছ থেকে বল পায়ে মোহামেডান ডি-বক্সের দিকে ছুটছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক কৌশিক বড়ুয়া। তাঁর সামনে তখন কেবল মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন। বিপদ বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক বক্স ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসেন তিনি। গায়ে লেগে গতিরোধ হয় বলের। 

ডি-বক্সের বাইরে এসে হাত দিয়ে বল থামিয়েছেন সুজন, চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলোয়াড়দের এমন দাবিতে সুজনকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি আনিসুর রহমান। তাতেই শুরু বিতর্কের। টিভি রিপ্লেতে মনে হয়েছে, বল ছুঁয়েছে সুজনের হাত। গত অক্টোবরের সাফে নেপালের বিপক্ষে ডি-বক্সের বাইরে এসে হাত দিয়ে বল ধরার অপরাধে লাল কার্ড দেখেছিলেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। বক্সের বাইরে হ্যান্ডবল করায় সুজন লাল কার্ড পেতে পারতেন কি না, এমন প্রশ্নে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম আবাহনীর ডাগআউট। 

ডাগআউট ছেড়ে প্রেসবক্সে এসে ম্যাচ কমিশনার সুজিত কুমার ব্যানার্জীর কাছে প্রতিবাদ করেছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার আরমান আজিজ। ম্যাচ শেষেও ছিল এর প্রভাব। ডাগআউটের সামনে ম্যাচ কমিশনারের সঙ্গে বাক্যবিনিময় হয়েছে আরমান আজিজের। আজকের পত্রিকাকে তিনি বললেন, ‘বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে একই ভুলে আমাদের গোলরক্ষককে লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি। একই দেশে দুই রকম নিয়ম কেন? যদি সুজন হ্যান্ডবল না-ই করত, তবে কেন কার্ড দেখালেন রেফারি? ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করব কি না।’ 

আন্তর্জাতিক ম্যাচে যেখানে একই ভুলে লাল কার্ড দেখেছেন, বাংলাদেশের গোলরক্ষক সেখানে ঘরোয়া লিগে ম্যাচ রেফারি কেন দেখালেন হলুদ কার্ড? এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের হেড অব রেফারিজ আজাদ রহমান। ম্যাচ কমিশনারের প্রতিবেদন পাওয়ার পর করণীয় ঠিক হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

এমন ঘটনার পর ম্যাচেও বড় ধাক্কা খেয়েছে মারুফুল হকের দল। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর আত্মঘাতী গোলে ৬৫ মিনিটে এগিয়ে যায় মোহামেডান। নাইজেরিয়ান ওবি মোনাকের ক্রস থেকে অনিক হোসেনের পাসে শাহেদ মিয়ার শট চট্টগ্রাম মিডফিল্ডার আরাফাত হোসেনের পায়ে লেগে জড়ায় জালে। 

এর নয় মিনিট বাদেই চট্টগ্রামকে ম্যাচ ছিটকে দেয় ডিফেন্ডার কামরুল ইসলামের ভুল। ৭৪ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বল বিপন্মুক্ত করার সময় কামরুলের শটে মোহামেডান মিডফিল্ডার শাহরিয়ার ইমনের পায়ে লেগে গোলরক্ষক সাইফুলের চোখের সামনে দিয়ে ধীরে ধীরে জড়ায় জালে। ম্যাচের ৯০ মিনিটে কামরুলের কর্নার থেকে নাইজেরিয়ান এবিমোবোওয়েই থ্যাংকগডের হেডে এক গোল শোধ দিলেও ম্যাচে আর সমতা ফেরানো হয়নি চট্টগ্রাম আবাহনীর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত