ক্রীড়া ডেস্ক
রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ নিয়ে যতটা হাইপ—ইন্টার মিলান ঠিক বিপরীত মেরুতে। নিভৃতে যেন বাধা ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে ছুটছে সিমোন ইনজাঘির ‘আন্ডাররেটেড মাস্টারপিস’। যারা ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইন্টারের খেলা দেখেন তাঁরা হয়তো ইনজাঘির মধ্যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল স্কালোনিরও মাঝে মাঝে সমন্বয়ও খুঁজে পেতে পারেন।
ইন্টারকে দারুণ সময়ে এনে দেওয়া ইনজাঘিও রীতিমতো মাস্টারমাইন্ড! ২০২৩ ফিফা বেস্ট মেন্স কোচের তালিকায় তিন নম্বর হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু খেলোয়াড় জীবনে ক্লাব ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় ধারে খেলে কেটেছিল ইনজাঘির। ইতালির জাতীয় দলেও তাঁর সমৃদ্ধ কোনো ক্যারিয়ার ছিল না। এ স্ট্রাইকারের খেলার সুযোগই হয়েছিল তিন ম্যাচে।
ইনজাঘির কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুটাও দীপ্তহীন। ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত লাৎসিও তাঁর অধীনে খেলেছে। খেলোয়াড় জীবনে যেটুকু নাম কুড়িয়েছিলেন ক্লাবটির হয়ে, কোচ হিসেবে পাঁচ বছরে ট্রফির ক্যাবিনেটটা ফাঁকা রেখেই বিদায় নেন। তবু ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার আলো জ্বালিয়েছেন লাৎসিওতেই। ক্লাবটিকে সুপারকোপা ইতালিয়ানায় দুবার ফাইনালে গেছেন। দুই বারই জুভেন্টাসের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপে সন্তুষ্ট থাকতে হলো। ১২ মৌসুম পর ২০২০-২১ চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো লাৎসিও শেষ ষোলোয় খেলেছে তাঁর অধীনে।
বিদায় মানে বিদায় নয়, নতুন করে শুরু। কথাটা দৃঢ় সংকল্পের ইনজাঘিরাই বেশ ভালো জানেন। লাৎসিও থেকে ইন্টার মিলানে যোগ দিয়েই ক্যাবিনেটে ট্রফি সাজানোর উন্মাদনায় মাতলেন এ ইতালিয়ান কোচ। ২০২১-২২ প্রথম মৌসুমেই অধরা সুপারকোপা ইতালিয়ানা জিতলেন ইন্টারের হয়ে। ২০২২ ও ২০২৩ সালে জিতলেন কোপা ইতালিয়া।
এ পর্যন্ত ইনজাঘির সবচেয়ে বড় অর্জন ২০২৩-২৪ মৌসুমে ইন্টারকে জেতালেন সিরি আ। ২০২২-২৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলান তাঁর অধীনে খেলেছে ফাইনাল। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের পর ১-০ গোলে হেরেছিল তাঁর দল। না হলে ক্লাব ফুটবলের বড় অর্জনটা সেদিনই হয়ে যেত।
২০০৯-১০ সালে হোসে মরিনহো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছিলেন ইন্টারকে। ১২ মৌসুম পর ইনজাঘি আবারও তাদের তুলেছিলেন ফাইনালে। এবার এই ইন্টার যেন আরও অপ্রতিরোধ্য। চলতি মৌসুমেও সিরি আ’য় শিরোপার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দলটি চ্যাম্পিয়নস লিগে জাদুকরী ফুটবলে মেতেছে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আলিয়াঞ্জ এরেনায় বায়ার্ন মিউনিখের ডেরা থেকে ২-১ গোলে জিতে কাল তারা সান সিরোতে নামবে দ্বিতীয় লেগে।
টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে এসে ইন্টারের ছাপ যেন স্পষ্ট হতে শুরু করল। দলের প্রতিটা খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ট্যাকটিক্স সবকিছুতেই যেন তাদের এক ধরনের ভারসাম্য আর গভীরতা আছে, যেটা যেকোনো বড় দলের জন্য ভয়ংকর হতে পারে। কোয়ার্টারের প্রথম লেগে এরই মধ্যে টের পেয়েছে বায়ার্ন।
সিমোন ইনজাঘির মতো এক এক ক্লাসি মাস্টারমাইন্ড ডাগআউটে দাঁড়ালে, যেকোনো দলের জন্যই মাঠে মাইর খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাইড লাইনের বাইরে দাঁড়ানো ইনজাঘিই ইন্টারের বড় অস্ত্র বললে ভুল হবে না। মানুষটা কৌশলগতভাবে তাঁর মেধার বিস্তার যেভাবে ঘটান, ম্যাচের ভেতর ভেতরেই পুরো গেমপ্ল্যান ঘুরিয়ে দেওয়ার দারুণ দক্ষতা তাঁর।
সম্প্রতি লিওনেল স্কালোনি ব্রাজিলকে ‘মধ্যে মাঠেই’ গিলে ফেলেছিলেন। আর্জেন্টাইন কোচের ফরমেশন এক না হলেও ইনজাঘিও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে চলেছেন মাঝমাঠে। ৩-৫-২ ফরমেশনকে যেন শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ব্যাক-থ্রি দিয়ে ডিফেন্সে দেয়াল তৈরি করে ফেলেন, আর মিডে পাঁচজনকে দিয়ে এমনভাবে প্রেস করে, প্রতিপক্ষ বক্সেই যেতে পারে না সহজে। বারেল্লা, চালহানোগলু, মিখিতারিয়ান–এদের মতো মিডফিল্ডাররা শুধু বল কন্ট্রোল করে না, বরং প্রতিপক্ষের পাসিং লাইন ব্লক করে দেয়, আর সুযোগ পেলেই ফরোয়ার্ডদের জন্য খুনে থ্রু পাস দেন।
ডিফেন্সে আছে ‘দ্য ওয়াল’ আলেসান্দ্রো বাস্তোনি—বর্তমান ফুটবলের আদর্শ সেন্টার-ব্যাক। ফিজিক্যাল উপস্থিতি, আছে বল পায়ে আত্মবিশ্বাস, আর আছে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। প্রতিপক্ষের আক্রমণ আটকে দেওয়ার পাশাপাশি বাস্তোনির পাসগুলো এতটাই নিখুঁত হয়। ইন্টার অনেক সময় সেখান থেকেই আক্রমণ সাজায়।
বাস্তোনি, বেনজামিন পাভার্ড, স্টেফান ডেভ্রিজ ও ডেনজেল ডামফ্রিজ বিসেকের মতো স্কিলফুল ডিফেন্ডাররা আছেন। ডেভ্রাই যেখানে বক্সে ট্যাকলিং আর ব্লকে ভয়ংকর, পাভার্ড ঠিক তেমনই দারুণ পজিশনিং আর বল প্রগ্রেশনেও পারদর্শী। বাস্তোনি, বেনজামিন পাভার্ড, স্টেফান ডেভ্রিজ মিলে গড়ে তুলেছেন এমন এক ডিফেন্সিভ ইউনিট, যেটা শুধু গোল ঠেকাতেই নয়, আক্রমণ গড়তেও ভূমিকা রাখে।
ইন্টারের বড় হাইলাইট হচ্ছে ওদের উইং-ব্যাক সিস্টেম। ফেদেরিকো দিমার্কো আর ডামফ্রিজ কতটা ভয়ংকর, বেশ ভালো জনার কথা ফুটবল ভক্তদের। ওরা শুধু লাইন ধরে দৌড়ায় না, বরং ক্রস দেয়, কাটব্যাক দেয়, এমনকি সুযোগ পেলে নিজেরাও শট নেয়। ইনজাঘির সিস্টেমে এরা পুরো এক্স-ফ্যাক্টর।
ফরোয়ার্ডে লাউতারো মার্তিনেজ-মার্কাস থুরাম জুটি দারুণ ছন্দে রয়েছেন। ইন্টার মিলান মানেই যেন লাউতারো। গত কয়েক মৌসুম ধরেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আক্রমণভাগের মেরুদণ্ডে তিনি। এবার তাঁর সঙ্গে যোগ হয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার থুরাম, আর এই নতুন জুটিটা যেন মাঠে চোখে লেগে থাকার মতো। মার্তিনেজ বল ধরে রেখে খেলাটা গড়ে তোলেন, আর থুরামের দারুণ টাইমিং। বল পায়ে থুরামের গতিও বেশ। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা প্রায়ই তাল হারিয়ে ফেলে। মার্তিনেজ-থুরামের বোঝাপড়া, মুভমেন্ট, আর স্পেস খোঁজার দক্ষতা ইন্টারের আক্রমণকে করে তুলেছে আরও ভয়ংকর।
ইনজাঘির ট্যাকটিক্স, বারেল্লার রান, থুরাম-মার্তিনেজ জুটি, দিমার্কো-ডামফ্রিজের উইং প্লে—সব মিলিয়ে এই ডার্ক হর্স ইন্টারের বিস্ফোরণে যেকোনো দলই পুড়তে পারে। নিজেদের মাঠে হেরে সান সিরোতে বায়ার্নের ‘ইন্টার’ পাশ তাই করা সহজ হওয়ার কথা নয়।
রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ নিয়ে যতটা হাইপ—ইন্টার মিলান ঠিক বিপরীত মেরুতে। নিভৃতে যেন বাধা ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে ছুটছে সিমোন ইনজাঘির ‘আন্ডাররেটেড মাস্টারপিস’। যারা ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইন্টারের খেলা দেখেন তাঁরা হয়তো ইনজাঘির মধ্যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল স্কালোনিরও মাঝে মাঝে সমন্বয়ও খুঁজে পেতে পারেন।
ইন্টারকে দারুণ সময়ে এনে দেওয়া ইনজাঘিও রীতিমতো মাস্টারমাইন্ড! ২০২৩ ফিফা বেস্ট মেন্স কোচের তালিকায় তিন নম্বর হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু খেলোয়াড় জীবনে ক্লাব ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় ধারে খেলে কেটেছিল ইনজাঘির। ইতালির জাতীয় দলেও তাঁর সমৃদ্ধ কোনো ক্যারিয়ার ছিল না। এ স্ট্রাইকারের খেলার সুযোগই হয়েছিল তিন ম্যাচে।
ইনজাঘির কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুটাও দীপ্তহীন। ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত লাৎসিও তাঁর অধীনে খেলেছে। খেলোয়াড় জীবনে যেটুকু নাম কুড়িয়েছিলেন ক্লাবটির হয়ে, কোচ হিসেবে পাঁচ বছরে ট্রফির ক্যাবিনেটটা ফাঁকা রেখেই বিদায় নেন। তবু ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার আলো জ্বালিয়েছেন লাৎসিওতেই। ক্লাবটিকে সুপারকোপা ইতালিয়ানায় দুবার ফাইনালে গেছেন। দুই বারই জুভেন্টাসের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপে সন্তুষ্ট থাকতে হলো। ১২ মৌসুম পর ২০২০-২১ চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো লাৎসিও শেষ ষোলোয় খেলেছে তাঁর অধীনে।
বিদায় মানে বিদায় নয়, নতুন করে শুরু। কথাটা দৃঢ় সংকল্পের ইনজাঘিরাই বেশ ভালো জানেন। লাৎসিও থেকে ইন্টার মিলানে যোগ দিয়েই ক্যাবিনেটে ট্রফি সাজানোর উন্মাদনায় মাতলেন এ ইতালিয়ান কোচ। ২০২১-২২ প্রথম মৌসুমেই অধরা সুপারকোপা ইতালিয়ানা জিতলেন ইন্টারের হয়ে। ২০২২ ও ২০২৩ সালে জিতলেন কোপা ইতালিয়া।
এ পর্যন্ত ইনজাঘির সবচেয়ে বড় অর্জন ২০২৩-২৪ মৌসুমে ইন্টারকে জেতালেন সিরি আ। ২০২২-২৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলান তাঁর অধীনে খেলেছে ফাইনাল। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের পর ১-০ গোলে হেরেছিল তাঁর দল। না হলে ক্লাব ফুটবলের বড় অর্জনটা সেদিনই হয়ে যেত।
২০০৯-১০ সালে হোসে মরিনহো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছিলেন ইন্টারকে। ১২ মৌসুম পর ইনজাঘি আবারও তাদের তুলেছিলেন ফাইনালে। এবার এই ইন্টার যেন আরও অপ্রতিরোধ্য। চলতি মৌসুমেও সিরি আ’য় শিরোপার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দলটি চ্যাম্পিয়নস লিগে জাদুকরী ফুটবলে মেতেছে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আলিয়াঞ্জ এরেনায় বায়ার্ন মিউনিখের ডেরা থেকে ২-১ গোলে জিতে কাল তারা সান সিরোতে নামবে দ্বিতীয় লেগে।
টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে এসে ইন্টারের ছাপ যেন স্পষ্ট হতে শুরু করল। দলের প্রতিটা খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ট্যাকটিক্স সবকিছুতেই যেন তাদের এক ধরনের ভারসাম্য আর গভীরতা আছে, যেটা যেকোনো বড় দলের জন্য ভয়ংকর হতে পারে। কোয়ার্টারের প্রথম লেগে এরই মধ্যে টের পেয়েছে বায়ার্ন।
সিমোন ইনজাঘির মতো এক এক ক্লাসি মাস্টারমাইন্ড ডাগআউটে দাঁড়ালে, যেকোনো দলের জন্যই মাঠে মাইর খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাইড লাইনের বাইরে দাঁড়ানো ইনজাঘিই ইন্টারের বড় অস্ত্র বললে ভুল হবে না। মানুষটা কৌশলগতভাবে তাঁর মেধার বিস্তার যেভাবে ঘটান, ম্যাচের ভেতর ভেতরেই পুরো গেমপ্ল্যান ঘুরিয়ে দেওয়ার দারুণ দক্ষতা তাঁর।
সম্প্রতি লিওনেল স্কালোনি ব্রাজিলকে ‘মধ্যে মাঠেই’ গিলে ফেলেছিলেন। আর্জেন্টাইন কোচের ফরমেশন এক না হলেও ইনজাঘিও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে চলেছেন মাঝমাঠে। ৩-৫-২ ফরমেশনকে যেন শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ব্যাক-থ্রি দিয়ে ডিফেন্সে দেয়াল তৈরি করে ফেলেন, আর মিডে পাঁচজনকে দিয়ে এমনভাবে প্রেস করে, প্রতিপক্ষ বক্সেই যেতে পারে না সহজে। বারেল্লা, চালহানোগলু, মিখিতারিয়ান–এদের মতো মিডফিল্ডাররা শুধু বল কন্ট্রোল করে না, বরং প্রতিপক্ষের পাসিং লাইন ব্লক করে দেয়, আর সুযোগ পেলেই ফরোয়ার্ডদের জন্য খুনে থ্রু পাস দেন।
ডিফেন্সে আছে ‘দ্য ওয়াল’ আলেসান্দ্রো বাস্তোনি—বর্তমান ফুটবলের আদর্শ সেন্টার-ব্যাক। ফিজিক্যাল উপস্থিতি, আছে বল পায়ে আত্মবিশ্বাস, আর আছে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। প্রতিপক্ষের আক্রমণ আটকে দেওয়ার পাশাপাশি বাস্তোনির পাসগুলো এতটাই নিখুঁত হয়। ইন্টার অনেক সময় সেখান থেকেই আক্রমণ সাজায়।
বাস্তোনি, বেনজামিন পাভার্ড, স্টেফান ডেভ্রিজ ও ডেনজেল ডামফ্রিজ বিসেকের মতো স্কিলফুল ডিফেন্ডাররা আছেন। ডেভ্রাই যেখানে বক্সে ট্যাকলিং আর ব্লকে ভয়ংকর, পাভার্ড ঠিক তেমনই দারুণ পজিশনিং আর বল প্রগ্রেশনেও পারদর্শী। বাস্তোনি, বেনজামিন পাভার্ড, স্টেফান ডেভ্রিজ মিলে গড়ে তুলেছেন এমন এক ডিফেন্সিভ ইউনিট, যেটা শুধু গোল ঠেকাতেই নয়, আক্রমণ গড়তেও ভূমিকা রাখে।
ইন্টারের বড় হাইলাইট হচ্ছে ওদের উইং-ব্যাক সিস্টেম। ফেদেরিকো দিমার্কো আর ডামফ্রিজ কতটা ভয়ংকর, বেশ ভালো জনার কথা ফুটবল ভক্তদের। ওরা শুধু লাইন ধরে দৌড়ায় না, বরং ক্রস দেয়, কাটব্যাক দেয়, এমনকি সুযোগ পেলে নিজেরাও শট নেয়। ইনজাঘির সিস্টেমে এরা পুরো এক্স-ফ্যাক্টর।
ফরোয়ার্ডে লাউতারো মার্তিনেজ-মার্কাস থুরাম জুটি দারুণ ছন্দে রয়েছেন। ইন্টার মিলান মানেই যেন লাউতারো। গত কয়েক মৌসুম ধরেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আক্রমণভাগের মেরুদণ্ডে তিনি। এবার তাঁর সঙ্গে যোগ হয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার থুরাম, আর এই নতুন জুটিটা যেন মাঠে চোখে লেগে থাকার মতো। মার্তিনেজ বল ধরে রেখে খেলাটা গড়ে তোলেন, আর থুরামের দারুণ টাইমিং। বল পায়ে থুরামের গতিও বেশ। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা প্রায়ই তাল হারিয়ে ফেলে। মার্তিনেজ-থুরামের বোঝাপড়া, মুভমেন্ট, আর স্পেস খোঁজার দক্ষতা ইন্টারের আক্রমণকে করে তুলেছে আরও ভয়ংকর।
ইনজাঘির ট্যাকটিক্স, বারেল্লার রান, থুরাম-মার্তিনেজ জুটি, দিমার্কো-ডামফ্রিজের উইং প্লে—সব মিলিয়ে এই ডার্ক হর্স ইন্টারের বিস্ফোরণে যেকোনো দলই পুড়তে পারে। নিজেদের মাঠে হেরে সান সিরোতে বায়ার্নের ‘ইন্টার’ পাশ তাই করা সহজ হওয়ার কথা নয়।
বিসিবি সভাপতি হিসেবে ফারুক আহমেদ গত আগস্টে দায়িত্ব নেওয়ার পর আর সব খাতের মতো সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রায় আট মাস আগে দায়িত্ব নিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, আগের বোর্ড পরিচালনায় পাওয়া কিছু অসংগতির তদন্তে একটি বেসরকারি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অডিট করাবেন।
২ ঘণ্টা আগেএকের পর এক রেকর্ড গড়েই চলেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। আর তাতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নতুন উচ্চতায় দল। প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর, রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েন মেয়েরা। রেকর্ড গড়ার এই জয়ের ধারা ধরে রেখে
৮ ঘণ্টা আগেস্টেডিয়ামের উন্নয়ন ও সংস্কার প্রকল্পের জন্য এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) কাছ থেকে বাড়তি ২৫ লাখ ডলার (৩০ কোটি ৪০ লাখ টাকা) পাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে গত ১২ এপ্রিল হয়েছে এএফসির কংগ্রেস। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল...
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখে সফরকারীরা। জানা গেছে, রাতে ঢাকায় থেকে আগামীকাল আবার সিলেটে যাবে ক্রেইগ এরভিনের দল। সিলেটে পরশু থেকে প্রথম টেস্টের প্রস্তুতি শুরু করবেন তাঁরা।
১১ ঘণ্টা আগে