Ajker Patrika

ইনজাঘির ‘ইন্টার’—পাস করা সহজ নয়

ক্রীড়া ডেস্ক    
সিমোন ইনজাঘির অধীনে দুর্দান্ত ইন্টার মিলান। ছবি: এএফপি
সিমোন ইনজাঘির অধীনে দুর্দান্ত ইন্টার মিলান। ছবি: এএফপি

রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ নিয়ে যতটা হাইপ—ইন্টার মিলান ঠিক বিপরীত মেরুতে। নিভৃতে যেন বাধা ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে ছুটছে সিমোন ইনজাঘির ‘আন্ডাররেটেড মাস্টারপিস’। যারা ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইন্টারের খেলা দেখেন তাঁরা হয়তো ইনজাঘির মধ্যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল স্কালোনিরও মাঝে মাঝে সমন্বয়ও খুঁজে পেতে পারেন।

ইন্টারকে দারুণ সময়ে এনে দেওয়া ইনজাঘিও রীতিমতো মাস্টারমাইন্ড! ২০২৩ ফিফা বেস্ট মেন্স কোচের তালিকায় তিন নম্বর হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু খেলোয়াড় জীবনে ক্লাব ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় ধারে খেলে কেটেছিল ইনজাঘির। ইতালির জাতীয় দলেও তাঁর সমৃদ্ধ কোনো ক্যারিয়ার ছিল না। এ স্ট্রাইকারের খেলার সুযোগই হয়েছিল তিন ম্যাচে।

ইনজাঘির কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুটাও দীপ্তহীন। ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত লাৎসিও তাঁর অধীনে খেলেছে। খেলোয়াড় জীবনে যেটুকু নাম কুড়িয়েছিলেন ক্লাবটির হয়ে, কোচ হিসেবে পাঁচ বছরে ট্রফির ক্যাবিনেটটা ফাঁকা রেখেই বিদায় নেন। তবু ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার আলো জ্বালিয়েছেন লাৎসিওতেই। ক্লাবটিকে সুপারকোপা ইতালিয়ানায় দুবার ফাইনালে গেছেন। দুই বারই জুভেন্টাসের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপে সন্তুষ্ট থাকতে হলো। ১২ মৌসুম পর ২০২০-২১ চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো লাৎসিও শেষ ষোলোয় খেলেছে তাঁর অধীনে।

বিদায় মানে বিদায় নয়, নতুন করে শুরু। কথাটা দৃঢ় সংকল্পের ইনজাঘিরাই বেশ ভালো জানেন। লাৎসিও থেকে ইন্টার মিলানে যোগ দিয়েই ক্যাবিনেটে ট্রফি সাজানোর উন্মাদনায় মাতলেন এ ইতালিয়ান কোচ। ২০২১-২২ প্রথম মৌসুমেই অধরা সুপারকোপা ইতালিয়ানা জিতলেন ইন্টারের হয়ে। ২০২২ ও ২০২৩ সালে জিতলেন কোপা ইতালিয়া।

এ পর্যন্ত ইনজাঘির সবচেয়ে বড় অর্জন ২০২৩-২৪ মৌসুমে ইন্টারকে জেতালেন সিরি আ। ২০২২-২৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলান তাঁর অধীনে খেলেছে ফাইনাল। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের পর ১-০ গোলে হেরেছিল তাঁর দল। না হলে ক্লাব ফুটবলের বড় অর্জনটা সেদিনই হয়ে যেত।

২০০৯-১০ সালে হোসে মরিনহো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছিলেন ইন্টারকে। ১২ মৌসুম পর ইনজাঘি আবারও তাদের তুলেছিলেন ফাইনালে। এবার এই ইন্টার যেন আরও অপ্রতিরোধ্য। চলতি মৌসুমেও সিরি আ’য় শিরোপার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দলটি চ্যাম্পিয়নস লিগে জাদুকরী ফুটবলে মেতেছে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আলিয়াঞ্জ এরেনায় বায়ার্ন মিউনিখের ডেরা থেকে ২-১ গোলে জিতে কাল তারা সান সিরোতে নামবে দ্বিতীয় লেগে।

টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে এসে ইন্টারের ছাপ যেন স্পষ্ট হতে শুরু করল। দলের প্রতিটা খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ট্যাকটিক্স সবকিছুতেই যেন তাদের এক ধরনের ভারসাম্য আর গভীরতা আছে, যেটা যেকোনো বড় দলের জন্য ভয়ংকর হতে পারে। কোয়ার্টারের প্রথম লেগে এরই মধ্যে টের পেয়েছে বায়ার্ন।

সিমোন ইনজাঘির মতো এক এক ক্লাসি মাস্টারমাইন্ড ডাগআউটে দাঁড়ালে, যেকোনো দলের জন্যই মাঠে মাইর খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাইড লাইনের বাইরে দাঁড়ানো ইনজাঘিই ইন্টারের বড় অস্ত্র বললে ভুল হবে না। মানুষটা কৌশলগতভাবে তাঁর মেধার বিস্তার যেভাবে ঘটান, ম্যাচের ভেতর ভেতরেই পুরো গেমপ্ল্যান ঘুরিয়ে দেওয়ার দারুণ দক্ষতা তাঁর।

সম্প্রতি লিওনেল স্কালোনি ব্রাজিলকে ‘মধ্যে মাঠেই’ গিলে ফেলেছিলেন। আর্জেন্টাইন কোচের ফরমেশন এক না হলেও ইনজাঘিও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে চলেছেন মাঝমাঠে। ৩-৫-২ ফরমেশনকে যেন শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ব্যাক-থ্রি দিয়ে ডিফেন্সে দেয়াল তৈরি করে ফেলেন, আর মিডে পাঁচজনকে দিয়ে এমনভাবে প্রেস করে, প্রতিপক্ষ বক্সেই যেতে পারে না সহজে। বারেল্লা, চালহানোগলু, মিখিতারিয়ান–এদের মতো মিডফিল্ডাররা শুধু বল কন্ট্রোল করে না, বরং প্রতিপক্ষের পাসিং লাইন ব্লক করে দেয়, আর সুযোগ পেলেই ফরোয়ার্ডদের জন্য খুনে থ্রু পাস দেন।

ডিফেন্সে আছে ‘দ্য ওয়াল’ আলেসান্দ্রো বাস্তোনি—বর্তমান ফুটবলের আদর্শ সেন্টার-ব্যাক। ফিজিক্যাল উপস্থিতি, আছে বল পায়ে আত্মবিশ্বাস, আর আছে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। প্রতিপক্ষের আক্রমণ আটকে দেওয়ার পাশাপাশি বাস্তোনির পাসগুলো এতটাই নিখুঁত হয়। ইন্টার অনেক সময় সেখান থেকেই আক্রমণ সাজায়।

বাস্তোনি, বেনজামিন পাভার্ড, স্টেফান ডেভ্রিজ ও ডেনজেল ডামফ্রিজ বিসেকের মতো স্কিলফুল ডিফেন্ডাররা আছেন। ডেভ্রাই যেখানে বক্সে ট্যাকলিং আর ব্লকে ভয়ংকর, পাভার্ড ঠিক তেমনই দারুণ পজিশনিং আর বল প্রগ্রেশনেও পারদর্শী। বাস্তোনি, বেনজামিন পাভার্ড, স্টেফান ডেভ্রিজ মিলে গড়ে তুলেছেন এমন এক ডিফেন্সিভ ইউনিট, যেটা শুধু গোল ঠেকাতেই নয়, আক্রমণ গড়তেও ভূমিকা রাখে।

ইন্টারের বড় হাইলাইট হচ্ছে ওদের উইং-ব্যাক সিস্টেম। ফেদেরিকো দিমার্কো আর ডামফ্রিজ কতটা ভয়ংকর, বেশ ভালো জনার কথা ফুটবল ভক্তদের। ওরা শুধু লাইন ধরে দৌড়ায় না, বরং ক্রস দেয়, কাটব্যাক দেয়, এমনকি সুযোগ পেলে নিজেরাও শট নেয়। ইনজাঘির সিস্টেমে এরা পুরো এক্স-ফ্যাক্টর।

ফরোয়ার্ডে লাউতারো মার্তিনেজ-মার্কাস থুরাম জুটি দারুণ ছন্দে রয়েছেন। ইন্টার মিলান মানেই যেন লাউতারো। গত কয়েক মৌসুম ধরেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আক্রমণভাগের মেরুদণ্ডে তিনি। এবার তাঁর সঙ্গে যোগ হয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার থুরাম, আর এই নতুন জুটিটা যেন মাঠে চোখে লেগে থাকার মতো। মার্তিনেজ বল ধরে রেখে খেলাটা গড়ে তোলেন, আর থুরামের দারুণ টাইমিং। বল পায়ে থুরামের গতিও বেশ। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা প্রায়ই তাল হারিয়ে ফেলে। মার্তিনেজ-থুরামের বোঝাপড়া, মুভমেন্ট, আর স্পেস খোঁজার দক্ষতা ইন্টারের আক্রমণকে করে তুলেছে আরও ভয়ংকর।

ইনজাঘির ট্যাকটিক্স, বারেল্লার রান, থুরাম-মার্তিনেজ জুটি, দিমার্কো-ডামফ্রিজের উইং প্লে—সব মিলিয়ে এই ডার্ক হর্স ইন্টারের বিস্ফোরণে যেকোনো দলই পুড়তে পারে। নিজেদের মাঠে হেরে সান সিরোতে বায়ার্নের ‘ইন্টার’ পাশ তাই করা সহজ হওয়ার কথা নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিপর্যয় সামলে মিচেল–ব্রেসওয়েলের ব্যাটে জিতল নিউজিল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হারল ইংল্যান্ড। ছবি: ক্রিকইনফো (জিতেছে নিউজিল্যান্ড)
ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হারল ইংল্যান্ড। ছবি: ক্রিকইনফো (জিতেছে নিউজিল্যান্ড)

ব্রাইডন কার্সের করা ১২ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে টম লাথাম এলবিডব্লু হয়ে ফিরলে ৬৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রাপ্তি বলতে ওই ওতটুকুই। এরপর সফরকারী বোলারদের হতাশা উপহার দেন ড্যারেল মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। এই দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কিউইরা।

মাউন্ট মঙ্গাননুইয়ের বে ওভালে এদিন বোলারাই নিউজিল্যান্ডের জয়ের ভীত গেড় দেন। জাকারি ফোকস, জ্যাকব ডাফিদের বোলিং তোপে পড়ে ৩৫.২ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮০ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় মিচেল সান্টনারের দল। দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী ২৯ অক্টোবর মাঠে নামবে দুই দল।

সহজ লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। ১২ রানে উইল ইয়ং ও কেইন উইলিয়ামসনকে হারায় স্বাগতিকরা। সাড়ে সাত মাস পর খেলতে নেমে রানের খাতা খুলতে পারেননি সাবেক অধিনায়ক। দলীয় ২৪ রানে ফেরেন রাচিন রবীন্দ্র। চতুর্থ উইকেটে লাথামকে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মিচেল।

তবে ব্রেসওয়েল ও সান্টনারকে নিয়ে দুটি জুটি গড়ে শঙ্কা উড়িয়ে দলকে জয় এন দেন মিচেল। ৯২ রান যোগ করে ফেরেন ব্রেসওয়েল। ৫১ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে সান্টনারের (২৭) সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন মিচেল। শেষ পর্যন্ত ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। তাঁর ৯১ বলের ইনিংস সাজানো ৭ চার ও ২ ছয়ে। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নেন কার্স।

এর আগে ইংল্যান্ডের ইনিংসে একাই ১৩৫ রান এনে দেন হ্যারি ব্রুক। সফরকারীদের অধিনায়কের ১০১ বল ও ১৩৩.৬৬ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজানো ৯ চার ও ১১ ছয়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন জেমি ওভারটন। বাকিদের মধ্যে আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। ইংল্যান্ডকে হাতের নাগালে রাখার কাজটা সামনে থেকে করেছেন ফোকস। ৪১ রানে তাঁর শিকার ৪ উইকেট। ৫৫ রানে ৩ ব্যাটারকে ফেরান ডাফি। ম্যাট হেনরি নেন ২ উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এমন বাজে সময় আশা করেননি লিভারপুল কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক    
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচ হেরে গেছে লিভারপুল। ছবি: এক্স
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচ হেরে গেছে লিভারপুল। ছবি: এক্স

লিভারপুলের শুরুটা হয়েছিল এককথায় দুর্দান্ত। এরপর হঠাৎই ছন্দপতন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচে হেরে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে অলরেডরা। যেটা মেনে নিতে পারছেন না দলটির কোচ আর্নে স্লট। হারের দুষ্টচক্রে আটকে হতাশায় পুড়ছেন তিনি।

লিগে সবশেষ ব্রেন্টফোর্ডের মাঠ জিটেক কমিউনিটি স্টেডিয়াম থেকে ৩–২ গোলের হার নিয়ে ফিরেছে লিভারপুল। এই হারে টেবিলের ছয়ে নেমে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তাদের সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট। শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর গত মৌসুমে চার ম্যাচ হেরে যায় লিভারপুল। এবার প্রথম ৯ ম্যাচেই পেল সমান হারের দেখা। তাতে শিরোপা ধরে রাখার পথটা কঠিন হয়ে গেল জায়ান্টদের। লিভারপুলের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্সেনাল।

গত গ্রীষ্মকালীন দলবদলে স্কোয়াডের শক্তি বাড়াতে বেশকিছু ফুটবলার টেনেছে লিভারপুল। নতুনরা দলে এসে এখনো নিজেদের সেরাটা দিতে পারছেন না। যেটাকে টানা হারের একটা কারণ বলে মনে করছেন স্লট। টিএনটি স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘দলবদলে স্কোয়াডে বেশকিছু নতুন খেলোয়াড় যোগ করলে মাঠের পারফরম্যান্স সেটার প্রভাব পড়ে। তাই বলে আমি আশা করিনি যে পরপর চারটি ম্যাচ হেরে যাব।’

ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হার সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে স্লটকে, ‘সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো টানা চার ম্যাচে হেরে যাওয়া। আপনি টানা চারবার হেরেছেন। ফলাফলটাই তো আসল। এরপর পারফরম্যান্স নিয়ে বিচার করা যেতে পারে। আমার মতে, আমাদের চারটি হারের মধ্যে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হারটি সবচেয়ে খারাপ ছিল।’

বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও ব্রেন্টফোর্ডের ফুটবলাররা লিভারপুলের চেয়ে ভালো খেলেছে বলেই মনে করেন স্লট, ‘মাঠে ছেলেরা নিজেদের মৌলিক বিষয়গুলো সঠিকভাবে করতে পারেনি। এটা দুই অর্ধের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সেই সুযোগে প্রতিপক্ষ দল আমাদের সঙ্গে বলেই লড়াইয়ে জিতেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কবে ও কোথায় পাওয়া যাবে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ০৯
বাছাইপর্বের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ছবি: এক্স
বাছাইপর্বের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ছবি: এক্স

এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে ওঠা হচ্ছে না বাংলাদেশের। বাছাইপর্বে প্রথম ৪ ম্যাচের একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি হাভিয়ের কাবরেরার দল। পরবর্তী ম্যাচে আগামী ১৮ নভেম্বর নিজেদের মাঠে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। মূল পর্বে ওঠার আশা না থাকলেও আসন্ন ম্যাচকে ঘিরে উন্মাদনার কমতি নেই ভক্তদের মধ্যে।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের ভেন্যু ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে। দুই প্রতিবেশী দেশের ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৯ নভেম্বর দুপুর ২ টা থেকে। টিকিট পাওয়া যাবে অনলাইন মাধ্যম কুইকেটে।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গত মার্চে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব শুরু করে বাংলাদেশ। শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ১-১ গোল ড্র করে সফরকারী দল। এরপর ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচে সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের কাছে হেরে যায় তারা। সর্বশেষ ম্যাচে হংকংয়ের মাঠ থেকে পয়েন্ট ভাগ করে ফেরে বাংলাদেশ। এই ড্র ছিল অতিথিদের জন্য জয় সমতুল্য। পিছিয়ে পড়ার পর শেষ দিকে রাকিবের গোলে হার এড়ায় দলটি।

হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহামিদুল ইসলামদের মতো খেলোয়াড়দের আগমনে জেগে উঠেছে দেশের ফুটবল। এদের পেয়ে শক্তি বেড়েছে বাংলাদেশ দলের। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের প্রতি ম্যাচে লড়াকু পারফরম্যান্স তারই প্রমাণ। প্রবাসী খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তিতে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে প্রতি ম্যাচেই জাতীয় স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। জয় উপহার দিতে না পারলেও মাঠের পারফরম্যান্সে হতাশ করেননি হামজা, জামাল, রাকিবরা।

বাছাইপর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হলেও ভারত ম্যাচকে হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ। নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভারতকে হারাতে মুখিয়ে আছেন হামজারা। হংকংয়ের বিপক্ষে ড্রয়ের পর ভারত ম্যাচ নিয়ে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন ফুটবলাররা। এবার মাঠের লড়াইয়ের অপেক্ষা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রুক দেখালেন কীভাবে একলা চলতে হয়

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ২১
বাকিদের ব্যর্থতার দিনে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ব্রুক। ছবি: এক্স
বাকিদের ব্যর্থতার দিনে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ব্রুক। ছবি: এক্স

‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানটির সঙ্গে হ্যারি ব্রুকের পরিচিতি থাকার কথা না। এই গান না শুনলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে একাই চললেন তারকা ব্যাটার। ব্যাট হাতে অসামান্য দৃঢ়তায় দলকে এনে দিলেন সম্মানজনক পুঁজি।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভার টিকতে পারেনি ইংল্যান্ড। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৩৫.২ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয়েছে ইংলিশরা। এর মধ্যে ব্রুক একাই করেছেন ১৩৫ রান। টস হারা সফরকারী দল শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। দলীয় ৩৩ রানেই তাদের ইনিংসের অর্ধেক সাজঘরে হাঁটে।

জেমি স্মিথ, বেন ডাকেট, জো রুট, জ্যাকব বেথেল, জস বাটলার–দলকে বিপদে রেখে একে একে বিদায় নেন সবাই। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে একপ্রান্ত আগলে রাখেন ব্রুক। সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাট করেন ইংলিশ দলপতি। ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন অর্ধশতক করেও থামেননি। ৮২ বলে তিন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান। ১৩৫ রানের ইনিংসে ১০১ বল খেলেন তিনি।

ব্রুকের ১৩৩.৬৬ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজানো ৯ চার ও ১১ ছয়ে। নিউজিল্যান্ডের মাঠে সফরকারীদের ব্যাটারদের মধ্যে এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি ছয় আছেন কেবল থিসারা পেরেরারা। ২০১৯ সালে ১৪০ রানের ইনিংস খেলার পথে ১৩ বার বলকে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেন এই লঙ্কান ক্রিকেটার। ব্রুকের সমান এক ইনিংসে ১১টি ছয় মেরেছেন মার্কাস স্টয়নিস।

মিচেল সান্টনারের বলে নাথান স্মিথের হাতে ধরা পড়ে শেষ ব্যাটার হিসেবে প্যাভিলিয়নে হাঁটেন ব্রুক। সেঞ্চুরি করার পথে এই সংস্করণে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। সপ্তম উইকেটে জিমে ওভারটনকে নিয়ে যোগ করেন মূল্যবান ৮৭ রান। ওভারটনের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান। বাকিদের মধ্যে আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত