Ajker Patrika

মোহনবাগানকে হারিয়ে নিজেদের মাঠে অপরাজিত বসুন্ধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মোহনবাগানকে হারিয়ে নিজেদের মাঠে অপরাজিত বসুন্ধরা

নিজেদের মাঠে কিংস অ্যারেনায় কখনোই হারেনি বসুন্ধরা কিংস। তবে ড্রয়ের রেকর্ড আছে। কিন্তু আজ ভারতের মোহনবাগানের বিপক্ষে ড্র হলেও চলতো না বসুন্ধরার, সমীকরণ ছিল একটাই। জিততেই হবে। কোণঠাসা অবস্থায় সাড়ে ৬ হাজার দর্শকের সামনে জ্বলে উঠল বাংলাদেশের লিগ চ্যাম্পিয়নরা। এশিয়ান মঞ্চে প্রথম বাংলাদেশি দল হিসেবে মোহনবাগানকে দিল পরাজয়ের স্বাদ।

আজ এএফসি কাপের ‘ডি’ গ্রুপে দিনের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের মাজিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বসুন্ধরাকে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছিল ভারতের আরেক ক্লাব ওডিশা এফসি। তিনে নেমে যাওয়ার চাপ তো ছিলই, হেরে গেলে এবারও গ্রুপ পর্বেই থেমে যেত বসুন্ধরার এএফসি কাপ যাত্রা। ‘বাঁচা-মরা’র ম্যাচে মোহনবাগানকে ২-১ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে অস্কার ব্রুজোনের দল।

‘ডি’ গ্রুপে বসুন্ধরা-মোহনবাগান, দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ৭। তবে বসুন্ধরার কাছে হারায় দুইয়ে নেমে গেছে মোহনবাগান। ৬ পয়েন্টে তিনে ওডিশা।

নিজেদের মাঠে আজ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক বসুন্ধরা। ম্যাচের ৭ মিনিটে দরিয়েলতন বলে শট নিতে পারলে গোল পেতে পারত বসুন্ধরা। মিগেল দামাশিনার রক্ষণচেরা পাসে দরিয়েলতন শট নেওয়ার আগেই বল গ্লাভসে নেন মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইত। পরের মিনিটে দরিয়েলতনের আরেকটি শটও ঠেকান মোহনবাগান গোলরক্ষক।

সাত মিনিট পর আবারও আক্রমণ বাংলাদেশি দলটির। ১৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শট নেন রবসন রবিনহো। তার ডান পায়ের বাঁকানো শট অল্পের জন্য খুঁজে পায়নি জাল।

বসুন্ধরার আক্রমণ ঠেকিয়েই ১৭ মিনিটে মোহনবাগানকে এগিয়ে নেন লিস্টন কোলাচো। বাঁ প্রান্ত থেকে অস্ট্রেলিয়ান জেসন কামিন্সের শট ফিস্ট করে ফেরান বসুন্ধরা গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণ। বল তার হাতে লেগে চলে যায় ফাঁকায় দাঁড়ানো কোলাচোর পায়ে। ফাঁকা পোস্টে ঠান্ডা মাথায় বল পাঠান মোহনবাগান ফরোয়ার্ড।

সেই গোল শোধ দেওয়ার সুযোগটাকে পোস্টের ওপর দিয়ে শট দিয়ে নষ্ট করেন দরিয়েলতন। ২১ মিনিটে চার্লস দিদিয়েরের রক্ষণ চেরা পাসে গোলরক্ষককে একা পেয়েও ক্রসবারের ওপর দিয়ে শট নেন দরিয়েলতন।

৩১ মিনিটে আবারও ব্যর্থ বসুন্ধরা। বাঁ প্রান্ত রাকিবের ক্রস থেকে বল ভলি করতে গিয়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে মারেন মিগেল দামাশিনা।

গোলরক্ষক শ্রাবণ দেয়াল হয়ে না দাঁড়ালে ৩৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটা হজম করতেই হতো বসুন্ধরাকে। বক্সের বাইরে থেকে প্রথম শটে নেন আরমান্দো সাদেকু। শ্রাবণ ফেরান সেই শট। ফিরতি বলে শট নেন কামিন্স। শ্রাবণ ঠেকান সেই শটও।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে দারুণ এক শটে বসুন্ধরাকে সমতায় ফেরান মিগেল দামাশিনা। ৪৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রাকিবের পাসে  দিদিয়েরের পা হয়ে বল পান ব্রাজিলিয়ান মিগেল। শট নেওয়ার মতো সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলেন না বলে শরীরটাকে খানিকটা বাঁকিয়ে বাঁ পায়ের শট নিলেন মিগেল। তাঁর শট মোহনবাগান গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে সোজা জালে।

বিরতির পর বসুন্ধরাকে গোল বঞ্চিত করে গোলপোস্ট। ৫১ মিনিটে বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে রবসনের শট আটকায় সাইড পোস্টে। ৫৮ মিনিটে তাঁর মাটি কামড়ানো শটও হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।

সময় কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার অবস্থায় চলে যাচ্ছিল বসুন্ধরা। ম্যাচ যখন হাতছাড়া হচ্ছে তখন ৮০ মিনিটে এগিয়ে এলেন অধিনায়ক রবসন। চার্লস দিদিয়েরের পাস থেকে দরিয়েলতনের কাট ব্যাকে মাটি কামড়ানো শট নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। মোহনবাগান গোলরক্ষককে দর্শক বানিয়ে সেই শট জড়িয়ে যায় জালে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত