Ajker Patrika

‘নাচ চলবেই’—ব্রাজিল তারকার পাল্টা জবাব

আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ২৩: ২০
‘নাচ চলবেই’—ব্রাজিল তারকার পাল্টা জবাব

আগুনটা জ্বেলেছিলেন সাবেক আইরিশ ফুটবলার রয় কিন। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের সাম্বা নাচের সমালোচনা করে নিজেই এখন তোপের মুখে সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা। যাদেরকে নিয়ে রয় কিনের সমালোচনা, দেখার ছিল কী জবাব আসে সেই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের কাছ থেকে। 

প্রত্যাশিতভাবেই রয় কিনের পাল্টা জবাব দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনহা। আইরিশ ফুটবলারের ইটের জবাবে পাটকেল ছুড়ে বার্সা তারকা জানিয়ে দিয়েছেন, মাঠে তাদের ‘জেগো বনিতা’র নাচ চলবেই। 

গতকাল রাতে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে উঠে গেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। শুধু ম্যাচ জিতেই নয়, গতকালকের ম্যাচকে উপভোগ্য করে তুলেছিলেন ব্রাজিলের ফুটবলাররা। প্রতি গোলের পর নেচেছেন সেলেসাও ফুটবলাররা। মাঠে ফিরিয়ে এনেছেন হারিয়ে যেতে বসা সাম্বার ছন্দ। শুধু ফুটবলাররাই নন, সাম্বার তালে ফুটবলারদের সঙ্গে নেচেছেন ব্রাজিলিয়ান কোচ তিতেও। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের এই উদ্‌যাপনকে একদমই ভালো লাগেনি রয় কিনের। 

যুক্তরাজ্যের ব্রডকাস্ট টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভিকে সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমি আমার চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না। এতটা নাচ আমি কখনো দেখিনি। এটা “স্ট্রিক্টলি কাম ড্যান্সিং” (ব্রিটিশ টেলিভিশনের একটি নাচের অনুষ্ঠান) দেখার মতো। আমি জানি এতে সংস্কৃতির একটা চিহ্ন আছে, কিন্তু এটা প্রতিপক্ষের জন্য সত্যিই অসম্মানজনক।’ 

কিনের এমন মন্তব্যের জবাবে রাফিনহা বলেছেন, ‘কারও সমস্যা হলে কিছু করার নেই, কারণ আমাদের নাচ চলতেই থাকবে। নাচ গোলের পর আনন্দের প্রতীক। কাউকে অশ্রদ্ধা করার জন্য এমনটা করিনি, আমরা প্রতিপক্ষের সামনে গিয়ে নাচিনি। আমরা এক হয়েছি, একসঙ্গে উদ্‌যাপন করেছি। কারণ এটা আমাদের মুহূর্ত ছিল, এটা ছিল ব্রাজিলের উদ্‌যাপন। কারও যদি ভালো না লাগে, তাদের উদ্দেশে আমার কিছু বলার নেই। আমাদের নাচ চলতেই থাকবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

ফখরুলের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর: সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় চার কোটির সেতুতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লিটনদের ব্যাটিং নিয়েই সবার চিন্তা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফরএম নেই জাকের আলী, নুরুল হাসান সোহানরা। ছবি: বিসিবি
ফরএম নেই জাকের আলী, নুরুল হাসান সোহানরা। ছবি: বিসিবি

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ আগে কখনো ধবলধোলাই হয়নি, তা তো নয়। তবে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে যেভাবে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ, তাতে লজ্জার চেয়ে চিন্তাই যেন বাড়ছে। চিন্তাটা ব্যাটিং নিয়ে। তিন মাস পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে ব্যাটাররা যেভাবে ‘ঘুমিয়ে’ পড়েছেন, উদ্বেগ বাড়াই স্বাভাবিক।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ধবলধোলাইয়ের ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলছিলেন, ‘একসঙ্গে একাধিক ক্রিকেটার ছন্দ হারিয়ে ফেললে এ রকম ফলই হবে। আরও দুই-একটা ব্যাটার রানে থাকলে ফল অন্যরকম হতে পারত।’ ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের রানখরার একটা চিত্র তুলে ধরা যাক। পুরো টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। ৩ ম্যাচে ৫৫ গড়ে ১৬৫ রান করে তিনি শুধু বাংলাদেশ দলেরই নয়, সিরিজেরই সেরা ব্যাটার। কিন্তু তাঁর সঙ্গে সতীর্থদের দূরত্বটা দেখুন। এই সিরিজে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা ব্যাটার হচ্ছেন পেসার তানজিম সাকিব, যাঁর রান ৪১। দলের ব্যাটিং স্তম্ভ তাওহীদ হৃদয়, সাইফ হাসান, লিটন দাসের রান ৩ ম্যাচে ৪০ পেরোতে পারেনি।

দলের ব্যাটারদের ছন্দ নিয়ে চিন্তিত মনে হলো সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনকে। গতকাল আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না। ব্যাটিং আরেকটু ভালো করতে হবে। যে সিরিজগুলো জিতেছি, সেখানেও খুব যে ভালো ব্যাটিং হয়েছে, তা নয়। আমাদের বোলাররা খুব ভালো করছে বলে জিতে গেছি। এখন আমাদের বোলাররা যে বোলিংটা করছে, এটা বিশ্বমানের বলব। তবে ব্যাটিং ভালো না করলে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে ভালো করা কঠিন। ইম্প্যাক্টফুল ব্যাটিং একজন করছে, বাকিরা করছে না। এটা আমাদের ব্যাটিংয়ের অনেকটা প্যাটার্ন হয়ে যাচ্ছে। বড় খেলায় একজনের ইম্প্যাক্টফুল ইনিংস দিয়ে তো হবে না। একসঙ্গে দুই-তিনজনের ইম্প্যাক্টফুল ইনিংস লাগবে।’

বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে গতকাল মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সর্বশেষ সিরিজটায় আমাদের একটু ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ল। টানা চারটি সিরিজ জিতেছে আমাদের দল। সেখানে কিছু ছেদ ঘটল। এটা কিছুটা হতাশার। যে ধারায় ছিল দল, আরও ফল আশা করেছিলাম। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে যে রান করার সুযোগ ছিল, সেটা আমরা করতে পারিনি। ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি, কিছুটা উদ্বেগের। মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারে রান পাচ্ছিলাম, যেটা এবার পাইনি।’ ব্যর্থতার পেছনে টানা সূচি সামনে এনেছেন ফাহিম, ‘অনেক ক্রিকেটার টানা ক্রিকেট খেলছি, কিছুটা বিশ্রাম দরকার। এটা কিছুতেই অজুহাত নয়।’

তবে ফাহিম কিছুতেই মনে করেন না ক্যারিবীয়দের কাছে ধবলধোলাই হয়ে এলোমেলো হয়ে গেছে, ‘দল এলোমেলো হয়ে গেছে বিষয়টা এমন কিছু না। এই দলটাই তো টানা চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে। অনেক দিন পর একটা (টি-টোয়েন্টি) সিরিজ হারল, মনে হয় না তারা এলোমেলো।’ সিরিজে ব্যর্থ হলেও হাবিবুল বাশার সুমনও ফাহিমের সুরেই বলেছেন, ‘বেশি ক্রিটিক্যাল হতে চাই না। কিছুদিন আগে এ দলটাই চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল। একটা সিরিজ হেরেছে বলে গেল-গেল রব তোলাও ঠিক না। ফাহিম মনে করেন, এ মাসে আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে ১০-১২ দিনের বিরতিতেই সতেজ হয়ে উঠবে দল, ‘সামনে যে বিরতি পাব, আশা করি তাতে আমরা আবার উঠে দাঁড়াতে পারব।’

উঠে দাঁড়ানোর আগে ব্যাটিংয়ের কিছু জায়গায় সমাধান খুঁজতে হবে বাংলাদেশ দলকে। বিশেষ করে জাকের আলীর মতো তরুণ মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যাটিংয়ের টেকনিক প্রশ্নবিদ্ধ। তরুণদের ব্যর্থতার ব্যাখ্যায় ফাহিম বলেছেন, ‘কেউ যখন নতুন আসে, তখন ফ্রি-মাইন্ডে খেলতে পারে। তাদের ব্যাপারে প্রতিপক্ষ দলেরও কম জানাশোনা থাকে। ধীরে ধীরে সাফল্য একটা প্রত্যাশা তৈরি করে। প্রতিপক্ষ দলও তাদের নিয়ে অনেক গবেষণা করে। সব মিলিয়ে একধরনের চাপ তৈরি হয়। মান ভালো থাকলে তারা পথ তৈরি করে নিতে পারে। আশা করি জাকের আলীও সেটা পারবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

ফখরুলের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর: সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় চার কোটির সেতুতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাক্ষাৎকার

খ্যাতি না পেলে দাবাড়ুদের ভবিষ্যৎ নেই

জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নোশিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার। এর আগে পেরোতে হবে আন্তর্জাতিক মাস্টারের পথ। সেসব নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ২১ বছর বয়সী ফিদেমাস্টার নোশিন আনজুম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ

আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা

প্রশ্ন: জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হলেন, তিন শিরোপার মধ্যে কোনটি এগিয়ে রাখবেন?

নোশিন আনজুম: প্রথমবার। আসলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা স্পেশাল, ওটা কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তবে এবারেরটা কঠিন ছিল। ১২ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৯ জনই তরুণ ছিল এবং সবার রেটিং প্রায় কাছাকাছি। তো এমন একটা অবস্থা ছিল, যে কেউ যে কারোর সঙ্গে হারতে পারে। তাই আমার মনে হয়েছিল যে এবার একটু কঠিন ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেহেতু সামনে অলিম্পিয়াড আছে, সুতরাং জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আসলে।

প্রশ্ন: আপনার খেলায় সিসিলিয়ান ডিফেন্স কৌশলের ছাপ দেখা যায়?

নোশিন: আসলে সিসিলিয়ান কৌশলে আমি এই টুর্নামেন্টে প্রথম খেলেছি। দাবার ১০ বছরের ক্যারিয়ারে আমি রুই লোপেজ কৌশলে খেলেছি। সিসিলিয়ান কৌশলে শুরু করেছি, দেখা যাক সামনে কেমন করি। সিসিলিয়ান দেখতে ভালো লাগে আরকি। কিন্তু আমি ওই রকম ভালো খেলিনি কখনো। আমি আসলে ভার্সেটাইল খেলোয়াড়।

প্রশ্ন: আপনি অনেকটা সময় নেন, তারপরই আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করেন...

নোশিন: হ্যাঁ, শুরুতে আক্রমণাত্মক থাকলে সেটা অনেক সময় বিফলে যায়। আগে নিজের পজিশন বুঝে নিতে হয় এবং আক্রমণের সুযোগ থাকলে তখন আক্রমণে যাওয়া উচিত। না হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।

প্রশ্ন: আপনার খেলার ধরনে ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন আছে কি না?

নোশিন: মানুষ বলে যে আমি শান্তশিষ্ট। তো খেলার বোর্ডে আমি এ রকমই থাকার চেষ্টা করি। খেলোয়াড়েরা বলেছে যে আমি বোর্ডে এত কুল থাকি কীভাবে? আসলে ভেতরে ভেতরে কিন্তু অনেক নার্ভাস থাকি, সেটা দেখাই না আরকি।

প্রশ্ন: নার্ভাসনেসটা কীভাবে সামলান?

নোশিন: আমি খেলার দুই-এক দিন আগে থেকে মানে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করি। নিজেকে নিজে কথা বলা। মোটিভেট করা। কিছু বিশেষ বিষয় খেলার আগে মাথায় রাখা। খেলার মাঝখানে হাঁটাহাঁটি করা। চা-কফি খাওয়া। এগুলোর ফলে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। মেডিটেশনও হেল্প করে অনেকটা।

প্রশ্ন: ওয়ালিজার বিপক্ষে সপ্তম রাউন্ডে কালো ঘুঁটি ছিল আপনার। ৮৯ চালের পর জেতার অনুভূতিটা কেমন ছিল?

নোশিন: ম্যাচে জেতার সুবাস আমি পাই অনেক আগেই। কিন্তু তা কনভার্ট করা অতটা সহজ ছিল না। কাপাব্লাঙ্কা গেম আমাকে এখানে সহায়তা করেছে। কালো ঘুঁটি নিয়ে বিশেষ করে জেতাটা কঠিন। এটা অন্যতম কঠিন রাউন্ড ছিল আমার জন্য।

প্রশ্ন: গুকেশ দোম্মারাজু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন, ফেসবুকে দেখলাম। তাঁকেই কি আদর্শ মানেন?

নোশিন: তাঁর গেম সেন্সটা নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করি। আমার আসলে বর্তমান খেলোয়াড়দের থেকে পুরোনো খেলোয়াড়দেরই ভালো লাগে বেশি। তাঁদের খেলা ফলো করি, বই পড়ি। বিশেষ করে কাপাব্লাঙ্কা (সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন) গেম আমার প্রিয়। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যেও আমি তাঁর বই পড়েছি। তিনি তো এন্ডগেমের মাস্টার ছিলেন। আমার পক্ষে তো মাস্টার হওয়া সম্ভব না, কিন্তু তাঁর মতো সরলতা রাখার চেষ্টা করতাম।

প্রশ্ন: ‘কুইন গ্যাম্বিট’ ওয়েব সিরিজটা নিশ্চয় দেখেছেন। সেখানে নিজের মধ্যে কি কোনো মিল খুঁজে পান?

নোশিন: অনেক প্রেরণাদায়ক একটা সিরিজ আসলে। কয়েক দিন আগেও আবার দেখেছি নিজেকে মোটিভেট করার জন্য। নারী খেলোয়াড়দের অনেকে অবহেলা করে। আসলে ছেলেরা ভাবে যে আমরা তাদের সঙ্গে পারবই না। কুইন গ্যাম্বিটে যেটা দেখায়, মেয়ে হয়েও সে ওপেন লেভেলে যেভাবে লড়াই করে এবং তো ওইটা অনেক প্রেরণাদায়ক আমার কাছে। আমিও চাই ওপেন লেভেলে এ রকম লড়াই করতে, রেটিং বাড়াতে চাই।

প্রশ্ন: মেয়েরা কোথায় পিছিয়ে আছে?

নোশিন: আমাদের দেশে এমনিতে নারী খেলোয়াড় কম। ওপেন টুর্নামেন্ট হলে আসলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করে না। ৪০ ছেলের মধ্যে হয়তো ৫ নারী খেলোয়াড় থাকে। তো মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আমাদের ফেডারেশনের ভেন্যুটা ছোট। ছোট জায়গায় আসলে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের খেলা একটু অস্বস্তিকর হতে পারে।

প্রশ্ন: প্রতিপক্ষের খেলা বোঝার জন্য আপনি কোন জিনিসগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি নজর দেন?

নোশিন: খেলার আগে ওই প্রতিপক্ষের গেমগুলো ভালোভাবে ফলো করি। সে অ্যাটাকিং নাকি পজিশনাল খেলোয়াড়, সে কী ধরনের ভুল করে থাকে; সেসব

মাথায় রেখে খেলার চেষ্টা করি।

প্রশ্ন: আপনার জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত কোনটা ছিল? যেটা পেরিয়ে আজকের নোশিন হয়ে উঠলেন?

নোশিন: প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা। কারণ সেবার আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। কোয়ালিফাই করাটা আমার কাছে অনেক কঠিন ছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আসলে প্রত্যাশার বাইরে ছিল। আর সেটাও চ্যাম্পিয়ন হয়েও গেলাম।

প্রশ্ন: আপনি এখনো আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে পারেননি, বিষয়টা কতটুকু হতাশার?

নোশিন: হতাশার তো অবশ্যই। কারণ যেমনটা উন্নতি করার দরকার ছিল, সেটা করতে পারিনি। আক্ষেপ তো লাগেই। আশা করি শিগগির পারব। নিজেকে ৫-৬ বছরের মধ্যে গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে দেখতে চাই।

প্রশ্ন: মহিলা দাবাড়ুদের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?

নোশিন: আসলে দাবা খ্যাতি লাভ না করলে দেশে ভবিষ্যৎ নেই বলতে গেলে। কারণ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার পরও এখানে সেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না, যা অন্য দেশে দেওয়া হয়। দুই-তিন বছর আগেও দাবায় একটা গ্ল্যামার ছিল।

প্রশ্ন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আপনি। দাবায় তা কীভাবে কাজে লাগে আপনার?

নোশিন: আসলে নিজের ইচ্ছাতেই আমি এই বিষয়ে পড়ছি। দাবায় তো আমাদের ফিটনেসের ব্যাপার আছে। খাবারদাবার মেইনটেইন করা, কী কী খাব আর কী কী খাব না। এগুলো নিজের মধ্যে জানা থাকে। তাই খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াটা আমার জন্য বেশ সহায়ক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

ফখরুলের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর: সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় চার কোটির সেতুতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিফলে মেসির গোল, শেষ ম্যাচের অপেক্ষায় মায়ামি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৬
প্লে অফের দ্বিতীয় রাউন্ডে হারল মায়ামি। ছবি: এক্স
প্লে অফের দ্বিতীয় রাউন্ডে হারল মায়ামি। ছবি: এক্স

ন্যাশভিলের বিপক্ষে জিতলেই প্রথমবারের মতো মেজর লিগ সকার (এমএলএস) প্লে-অফ কনফারেন্স সেমিফাইনালে উঠে যেত ইন্টার মায়ামি। কিন্তু অপেক্ষা বেড়েছে তাদের। এমএলএস প্লে-অফের দ্বিতীয় রাউন্ডে ন্যাশভিলের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে ফ্লোরিডার ক্লাবটি।

হারের দিনে মায়ামির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন লিওনেল মেসি। এর আগে প্রথম রাউন্ডে ন্যাশভিলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিলেন হাভিয়ের মাসচেরানোর শিষ্যরা। শেষ রাউন্ডে ৮ নভেম্বর মাঠে নামবে দুই দল। সে ম্যাচের জয়ী দলে প্লে-অফ কনফারেন্স সেমিফাইনালে জায়গা করে নেবে।

টানা ১০ ম্যাচ পর মায়ামির বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল ন্যাশভিল। এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালের মে মাসে ক্লাবটির বিপক্ষে জিতেছিল তারা। জয়ে ফেরার দিনে মায়ামির অপেক্ষা বাড়িয়ে দিল ন্যাশভিল।

জিওডিস পার্কে এদিন নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি মায়ামি। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে তাদের সঙ্গে টেক্কা দিয়েছে ন্যাশভিল। দুই দলই গোলমুখে ১০টি করে শট নেয়। যেখানে মায়ামির চারটির বিপরীতে পাঁচটি শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে স্বাগতিকেরা। এর মধ্যে দুটিতে বাজিমাত করে তারা। প্রথমার্ধেই দুই গোলের দেখা পায় ন্যাশভিল। শেষ দিকে একটি গোলের শোধ দিয়ে ম্যাচের প্রাণ ফেরান মেসি। তাতে অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি মায়ামির।

ম্যাচের নবম মিনিটে স্পট কিক থেকে ন্যাশভিলকে লিড এনে দেন স্যাম সারিজ। তার আগে নিজেদের ডি বক্সে তাঁকে ফাউল করেন সফরকারী দলের গোলরক্ষক রিওস নোভো। ৪৫ মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করেন জশ বাউয়ার। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে রদ্রিগো ডি পলের কাছ থেকে বল পেয়ে ব্যবধান কমান মেসি। বাকি সময় চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফেরা হয়নি মায়ামির।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

ফখরুলের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর: সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় চার কোটির সেতুতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে উইলিয়ামসন, এখন নতুনদের সুযোগ করে দেওয়ার সময়

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ০৩
আপাতত বাকি দুই সংস্করণে খেলা চালিয়ে যাবেন তারকা ব্যাটার। ছবি: এক্স
আপাতত বাকি দুই সংস্করণে খেলা চালিয়ে যাবেন তারকা ব্যাটার। ছবি: এক্স

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেন কেইন উইলিয়ামসন। এক বিবৃতিতে তারকা ব্যাটার নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মূলত তরুণদের সুযোগ করে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক।

উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে একটি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড। এছাড়া দুটি বিশ্বকাপের শেষ চারেও খেলেছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও জাতীয় দলের জার্সিতে ওয়ানডে ও টেস্ট চালিয়ে যাবেন তিনি।

বিবৃতিত উইলিয়ামসন বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড দলের অংশ হতে পারা বরাবরই আমার জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা। এখন সময় হয়েছে নতুনদের সুযোগ করে দেওয়ার। এই দলটাতে বেশকিছু তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। তাঁদের নেতৃত্বে আছে মিচেল সান্টনারের মতো একজন। দলের বাইরে থাকলেও তাদের জন্য আমার শুভকামনা থাকবে।’

আপাতত বাকি দুই সংস্করণে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে চান উইলিয়ামসন, ‘নিউজিল্যান্ড দল আমার হৃদয়ের অংশ। এই দল থেকে আমি যে সমর্থন পেয়েছি তাতে আমি সব সময় কৃতজ্ঞ থাকব। আমি টেস্ট ও ওয়ানডে নিয়ে এখনও খোলা মনে সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’

উইলিয়ামসনের অধীনে ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। এরপর দেশের হয়ে এই সংস্করণে আর কোনো ম্যাচ খেলেননি ডানহাতি ব্যাটার। বিরতি কাটিয়ে সম্প্রতি দলে ফিরেছেন। ২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাঁল মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে নিশ্চিতভাবেই দলে রাখত নিউজিল্যান্ড। কিন্তু তার আগেই বিদায় বলে দিলেন উইলিয়ামসন।

২০১১ সালের অক্টোবরে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি অভিষেক হয় উইলিয়ামসনের। ৯৩ ম্যাচের ৯০ ইনিংসে ব্যাট হাতে তাঁর সংগ্রহ ২৫৭৫ রান। স্ট্রাইকরেট ১২৩.০৮, ব্যাটিং গড় ৩৩.৪৪। ফিফটি করেছেন ১৮টি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

ফখরুলের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর: সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় চার কোটির সেতুতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত