আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
অনলাইন ডেস্ক
২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলছেন লিটন দাস। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর পথচলাটা তেমন মসৃণ নয়। কোনো এক ম্যাচে সেঞ্চুরি বা ফিফটি করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে যান তিনি। ‘হ্যালির ধূমকেতু’র মতো জ্বলে ওঠা এই ক্রিকেটার একসময় নির্বাচকদের নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার ছিলেন ঠিকই। তবে গত কয়েক মাস ধরে তিনি যে সেই ‘অটোমেটিক চয়েস’ও নেই।
অফফর্মের কারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে বাদ পড়েছেন লিটন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নারী উইংয়ের প্রধান ও সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের মতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো আইসিসি ইভেন্টে লিটনকে দলে রাখার ঝুঁকি নেওয়া যেত। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘লিটন গেল বছরটা রানে ছিল। তবে বড় মঞ্চে বরাবরই ভালো করে। আমার মতে লিটন থাকলে ভালো হতো। সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা অফ-ফর্মে থাকলেও তাকে রাখা উচিত ছিল। আইসিসি ইভেন্টে তার পারফরম্যান্স বরাবরই ভালো। আমরা ওর ব্যাপারে হয়তো একটু বেশি তাড়াহুড়ো করে ফেলেছি।’
১২ জানুয়ারি লিটনকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করে বিসিবি। সেদিন সন্ধ্যায় ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তিনি করেন দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তখন নিজের আফসোস প্রকাশ করেন এই বলে, ইশ! লিটন যদি আরও আগে থেকে বিপিএলটা ভালো খেলতেন, তাহলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা পেতেন। সেদিন সংবাদ সম্মেলনে লিটনের কাছেও এমন প্রশ্ন এলে তিনি উত্তর দিয়েছেন কৌশলে। সুমনের কথাতেও সেটারই প্রতিধ্বনি। বিসিবির সাবেক নির্বাচক বলেন, ‘একটা লিগ খেলছিল। ছন্দে ফিরলে তাকে বিবেচনা করা যেত। তবে অবশ্যই এটি নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত।’
দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপে ১৪ ম্যাচে ৩৬ গড়ে ৪৬৮ রান করেছেন। ইনিংস সর্বোচ্চ ৯৪ রান রয়েছে আইসিসির এই ইভেন্টে। এছাড়া এশিয়া কাপের ওয়ানডে সংস্করণে ৯ ম্যাচে করেন ২১২ রান, যার মধ্যে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ছিল দুর্দান্ত ১২১ রানের ইনিংস। যদিও বাংলাদেশ শিরোপা জিততে পারেনি, তবে লিটনের বড় ম্যাচের ব্যাটিং দক্ষতা সেখানে স্পষ্ট ছিল।
টি-টোয়েন্টিতে তিনি হয়তো ওয়ানডের মতো ধারাবাহিক নন। তবে বড় দলের বিপক্ষে নজরকাড়া ইনিংস খেলেছেন। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার এডিলেডে ভারতের বিপক্ষে ২৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন, যা তাঁকে শিরোনামে নিয়ে আসে। এছাড়া ২০২৪ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কিংস্টাউনে ৫৪ রান করেন ৪৯ বলে। বৈশ্বিক ইভেন্টে লিটনের পারফরম্যান্স কেমন, সেটা পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। বিসিবির সাবেক নির্বাচক বলেন, ‘বিশ্ব আসরে লিটনের অভিজ্ঞতা দলে বাড়তি শক্তি যোগাতে পারত। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে তার উপস্থিতি স্বস্তি দিত।’
নির্বাচকেরা লিটনকে দলে রাখেননি, এখন সেটা নিয়ে আলোচনা করে খুব একটা লাভ নেই বলে মনে করেন সুমন। বিসিবির সাবেক নির্বাচক বলেন, ‘এখন এসব ভেবে কোনো লাভ নেই। বাংলাদেশ দলে যে ১৫ জন আছে, তারা যথেষ্ট ভালো। তাদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রাখা উচিত। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রতিটি ম্যাচে জয়ের মানসিকতা নিয়েই নামতে হবে। আমাদের দল যেকোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখে।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১৫ সদস্যের দলে না থাকলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতি নিজের সমর্থন জানিয়েছেন লিটন দাস। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন— ‘এই অসাধারণ দলকে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫-এর জন্য রইল অসংখ্য শুভকামনা! আমি বিশ্বাস করি, এই দল তাদের সেরাটা দেবে এই মর্যাদাপূর্ণ আসরে। বিশ্ব দেখুক, কেমন খেলতে জানে টাইগাররা! আমি দলে জায়গা পাইনি, কিন্তু সেটাই আমাকে দলের সবচেয়ে বড় সমর্থকে পরিণত করেছে। প্রতিটি রান, উইকেট, আর ক্যাচের জন্য আমি গলা ফাটাবো। তোমাদের সাথে আছি ১৬তম খেলোয়াড় হয়ে, একটু অন্যভাবে!’
২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলছেন লিটন দাস। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর পথচলাটা তেমন মসৃণ নয়। কোনো এক ম্যাচে সেঞ্চুরি বা ফিফটি করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে যান তিনি। ‘হ্যালির ধূমকেতু’র মতো জ্বলে ওঠা এই ক্রিকেটার একসময় নির্বাচকদের নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার ছিলেন ঠিকই। তবে গত কয়েক মাস ধরে তিনি যে সেই ‘অটোমেটিক চয়েস’ও নেই।
অফফর্মের কারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে বাদ পড়েছেন লিটন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নারী উইংয়ের প্রধান ও সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের মতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো আইসিসি ইভেন্টে লিটনকে দলে রাখার ঝুঁকি নেওয়া যেত। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘লিটন গেল বছরটা রানে ছিল। তবে বড় মঞ্চে বরাবরই ভালো করে। আমার মতে লিটন থাকলে ভালো হতো। সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা অফ-ফর্মে থাকলেও তাকে রাখা উচিত ছিল। আইসিসি ইভেন্টে তার পারফরম্যান্স বরাবরই ভালো। আমরা ওর ব্যাপারে হয়তো একটু বেশি তাড়াহুড়ো করে ফেলেছি।’
১২ জানুয়ারি লিটনকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করে বিসিবি। সেদিন সন্ধ্যায় ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তিনি করেন দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তখন নিজের আফসোস প্রকাশ করেন এই বলে, ইশ! লিটন যদি আরও আগে থেকে বিপিএলটা ভালো খেলতেন, তাহলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা পেতেন। সেদিন সংবাদ সম্মেলনে লিটনের কাছেও এমন প্রশ্ন এলে তিনি উত্তর দিয়েছেন কৌশলে। সুমনের কথাতেও সেটারই প্রতিধ্বনি। বিসিবির সাবেক নির্বাচক বলেন, ‘একটা লিগ খেলছিল। ছন্দে ফিরলে তাকে বিবেচনা করা যেত। তবে অবশ্যই এটি নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত।’
দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপে ১৪ ম্যাচে ৩৬ গড়ে ৪৬৮ রান করেছেন। ইনিংস সর্বোচ্চ ৯৪ রান রয়েছে আইসিসির এই ইভেন্টে। এছাড়া এশিয়া কাপের ওয়ানডে সংস্করণে ৯ ম্যাচে করেন ২১২ রান, যার মধ্যে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ছিল দুর্দান্ত ১২১ রানের ইনিংস। যদিও বাংলাদেশ শিরোপা জিততে পারেনি, তবে লিটনের বড় ম্যাচের ব্যাটিং দক্ষতা সেখানে স্পষ্ট ছিল।
টি-টোয়েন্টিতে তিনি হয়তো ওয়ানডের মতো ধারাবাহিক নন। তবে বড় দলের বিপক্ষে নজরকাড়া ইনিংস খেলেছেন। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার এডিলেডে ভারতের বিপক্ষে ২৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন, যা তাঁকে শিরোনামে নিয়ে আসে। এছাড়া ২০২৪ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কিংস্টাউনে ৫৪ রান করেন ৪৯ বলে। বৈশ্বিক ইভেন্টে লিটনের পারফরম্যান্স কেমন, সেটা পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। বিসিবির সাবেক নির্বাচক বলেন, ‘বিশ্ব আসরে লিটনের অভিজ্ঞতা দলে বাড়তি শক্তি যোগাতে পারত। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে তার উপস্থিতি স্বস্তি দিত।’
নির্বাচকেরা লিটনকে দলে রাখেননি, এখন সেটা নিয়ে আলোচনা করে খুব একটা লাভ নেই বলে মনে করেন সুমন। বিসিবির সাবেক নির্বাচক বলেন, ‘এখন এসব ভেবে কোনো লাভ নেই। বাংলাদেশ দলে যে ১৫ জন আছে, তারা যথেষ্ট ভালো। তাদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রাখা উচিত। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রতিটি ম্যাচে জয়ের মানসিকতা নিয়েই নামতে হবে। আমাদের দল যেকোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখে।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১৫ সদস্যের দলে না থাকলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতি নিজের সমর্থন জানিয়েছেন লিটন দাস। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন— ‘এই অসাধারণ দলকে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫-এর জন্য রইল অসংখ্য শুভকামনা! আমি বিশ্বাস করি, এই দল তাদের সেরাটা দেবে এই মর্যাদাপূর্ণ আসরে। বিশ্ব দেখুক, কেমন খেলতে জানে টাইগাররা! আমি দলে জায়গা পাইনি, কিন্তু সেটাই আমাকে দলের সবচেয়ে বড় সমর্থকে পরিণত করেছে। প্রতিটি রান, উইকেট, আর ক্যাচের জন্য আমি গলা ফাটাবো। তোমাদের সাথে আছি ১৬তম খেলোয়াড় হয়ে, একটু অন্যভাবে!’
ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে পার করছে দুঃসময়। কিন্তু প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হলে তারাও যেন হালে পানি পায়। সিলেট টেস্টে প্রথম দুই দিনই দাপট দেখিয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে লিড নেয় তারা ৮২ রানের। দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৭ রানে ১ উইকেট বাংলাদেশের।
৯ ঘণ্টা আগেসিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে কিছুটা স্বস্তি বাংলাদেশ শিবিরে। যদিও এখনো পিছিয়ে আছে ২৫ রানে। ৮২ রানের লিড মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই মাত্র ১৩ রানে কাটা পড়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তবে দিন শেষে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হকের ব্যাটে অপরাজিত ৪৪ রানের জুটিতে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ দল।
১০ ঘণ্টা আগেটেস্টে প্রথম দিনটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সিলেট টেস্টে প্রথম দিনটাই ভালো যায়নি বাংলাদেশের। ফলে আজ দ্বিতীয় দিনও তারা শেষ করেছে পিছিয়ে থেকে। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ঘূর্ণি জাদু ও শেষ বিকেলে মাহমুদুল হাসান জয়-মুমিনুল হকের ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছে স্বাগতিকেরা।
১১ ঘণ্টা আগেসিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে কাল আবারও ব্যাটিংয়ে নামবে স্বাগতিকেরা। মুমিনুল হক ১৫ ও মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ রানে অপরাজিত আছেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ওপেনিং জুটি বড় হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ১৩ রানে ফেরেন সাদমান
১২ ঘণ্টা আগে