নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম
এই সময়ের ক্রিকেট লিখিয়েদের কাছে জ্যারড কিম্বার নামটা বেশ পরিচিত। কদিন আগে এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট লেখক একটা দীর্ঘ নিবন্ধ লিখেছেন ২০২৫ বিপিএলের ওপর। তাঁর লেখার শিরোনাম ‘দ্য থ্রি ওয়াইডস অব দ্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ’। তিনি দীর্ঘ তদন্ত করেছেন বিপিএলের কিছু ম্যাচ নিয়ে।
জ্যারড নির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলতে চাননি। তবে কয়েকটি ম্যাচের কিছু অস্বাভাবিক ডেলিভারি আর বেটিং মার্কেটের ফল তুলে ধরেছেন। নিয়মিত রান উৎসবের সঙ্গে উপভোগের অনেক মুহূর্ত মিলছে চলতি বিপিএলে। কিন্তু খেলাটার চেতনা, সততা আর বিশুদ্ধতাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর মানুষেরও যে অভাব নেই।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতি দমন ইউনিটের একটি গোপন দল যৌথভাবে ৪০-এর বেশি স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের অভিযোগ তদন্ত করছে। এসব খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ক্রিকেটের আদর্শ ও চেতনার পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নজরদারির পাশাপাশি ঘটনার অনুসন্ধানও চলছে।
বিপিএলের শুরু থেকেই আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট মাঠপর্যায়ে সক্রিয়। তাদের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ছয়জনের বেশি ক্রিকেটারকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে এরই মধ্যে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট আইসিসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। এই তালিকায় এমন কয়েকজন বিদেশি খেলোয়াড় আছেন, যাঁদের খেলার ধরন ও আচরণ অস্বাভাবিক মনে হয়েছে তদন্তকারীদের। তদন্তে উঠে আসা কিছু ঘটনার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত রান দেওয়া, সন্দেহজনক নো বল ও স্টাম্পডের মতো ঘটনা। তদন্ত কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বশীল কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে চাননি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, এবারের বিপিএলে একটি দল ৮ কোটি টাকার গ্যারান্টি মানি ছাড়াই বিসিবি সভাপতির বিশেষ অনুমতিতে দল পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। দলটিতে বেশ কিছু ‘আন্ডার গ্রেডে’র বিদেশি ও স্থানীয় ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্ত করেছে। প্রশ্ন উঠেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির টাকার উৎস নিয়েও। দল পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনায় কোনো অস্বচ্ছতা দেখা দিলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অস্বচ্ছতা আর দুর্নীতির ইতিহাস নতুন নয়। আইসিসি ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশে টি-টোয়েন্টি এবং টি-টেন লিগে অনিয়মের তথ্য পেয়েছে। বিশ্বজুড়ে নামে-বেনামে পরিচালিত অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দলে মালিকানার সঠিক তথ্য অজ্ঞাত; ক্রিকেটারদের সঙ্গে এজেন্টদের সন্দেহজনক যোগাযোগ ও খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়ানোর ঘটনা বারবার উঠে এসেছে। অতীতে বিপিএলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আইসিসি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের কার্যক্রম নজরদারির আওতায় রাখার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
এবারের বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালের তিনটি ম্যাচে একাদশে ১৫টি পরিবর্তন করা হয়েছে। দলের সেরা কম্বিনেশন খুঁজতে এই ধরনের পরিবর্তন স্বাভাবিক বলে মনে হলেও এর পেছনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না, বুঝতে চাইছে তদন্তকারী সংস্থা। চলতি বিপিএলের কিছু ম্যাচে নো বল, ওয়াইড বল ও ব্যাটারের নির্লিপ্ত ব্যাটিংয়ের মতো ঘটনারও অনুসন্ধান চলছে। বিপিএলের প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে একজন করে দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের সদস্য কাজ করছেন। এবার বেশির ভাগ সদস্যই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। এই সদস্যরা বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক ঘটনার সন্ধান পেয়েছেন এবং তাঁদের নিজস্ব পদ্ধতিতে তদন্ত চালাচ্ছেন।
প্রতিবার বিপিএলে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটে সাধারণত ২০ থেকে ২২ জন কর্মী কাজ করলেও এবার সেটি ১০ থেকে ১২ জনে নেমে এসেছে। মাঠে এবার যে বিপুল দর্শকের উপস্থিতি, বিদ্যমান জনবল দিয়ে সেখানে বেটিং বা জুয়াড়িদের ঠেকানোও চ্যালেঞ্জিং কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত আগস্টের পর থেকে বিসিবির পরিচালনা কাঠামো বেশ নড়বড়ে। একাধিক দায়িত্ব নিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটি পরিচালনা করছেন সক্রিয় পরিচালকেরা। সব মিলিয়ে খেলার সততা, স্বচ্ছতা নজরদারির কার্যক্রম ঠিকঠাক পরিচালনায় বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যেই পড়তে হচ্ছে বিসিবিকে। এতে বাড়ছে সন্দেহজনক কার্যকলাপও।
এই সময়ের ক্রিকেট লিখিয়েদের কাছে জ্যারড কিম্বার নামটা বেশ পরিচিত। কদিন আগে এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট লেখক একটা দীর্ঘ নিবন্ধ লিখেছেন ২০২৫ বিপিএলের ওপর। তাঁর লেখার শিরোনাম ‘দ্য থ্রি ওয়াইডস অব দ্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ’। তিনি দীর্ঘ তদন্ত করেছেন বিপিএলের কিছু ম্যাচ নিয়ে।
জ্যারড নির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলতে চাননি। তবে কয়েকটি ম্যাচের কিছু অস্বাভাবিক ডেলিভারি আর বেটিং মার্কেটের ফল তুলে ধরেছেন। নিয়মিত রান উৎসবের সঙ্গে উপভোগের অনেক মুহূর্ত মিলছে চলতি বিপিএলে। কিন্তু খেলাটার চেতনা, সততা আর বিশুদ্ধতাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর মানুষেরও যে অভাব নেই।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতি দমন ইউনিটের একটি গোপন দল যৌথভাবে ৪০-এর বেশি স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের অভিযোগ তদন্ত করছে। এসব খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ক্রিকেটের আদর্শ ও চেতনার পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নজরদারির পাশাপাশি ঘটনার অনুসন্ধানও চলছে।
বিপিএলের শুরু থেকেই আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট মাঠপর্যায়ে সক্রিয়। তাদের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ছয়জনের বেশি ক্রিকেটারকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে এরই মধ্যে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট আইসিসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। এই তালিকায় এমন কয়েকজন বিদেশি খেলোয়াড় আছেন, যাঁদের খেলার ধরন ও আচরণ অস্বাভাবিক মনে হয়েছে তদন্তকারীদের। তদন্তে উঠে আসা কিছু ঘটনার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত রান দেওয়া, সন্দেহজনক নো বল ও স্টাম্পডের মতো ঘটনা। তদন্ত কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বশীল কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে চাননি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, এবারের বিপিএলে একটি দল ৮ কোটি টাকার গ্যারান্টি মানি ছাড়াই বিসিবি সভাপতির বিশেষ অনুমতিতে দল পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। দলটিতে বেশ কিছু ‘আন্ডার গ্রেডে’র বিদেশি ও স্থানীয় ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্ত করেছে। প্রশ্ন উঠেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির টাকার উৎস নিয়েও। দল পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনায় কোনো অস্বচ্ছতা দেখা দিলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অস্বচ্ছতা আর দুর্নীতির ইতিহাস নতুন নয়। আইসিসি ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশে টি-টোয়েন্টি এবং টি-টেন লিগে অনিয়মের তথ্য পেয়েছে। বিশ্বজুড়ে নামে-বেনামে পরিচালিত অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দলে মালিকানার সঠিক তথ্য অজ্ঞাত; ক্রিকেটারদের সঙ্গে এজেন্টদের সন্দেহজনক যোগাযোগ ও খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়ানোর ঘটনা বারবার উঠে এসেছে। অতীতে বিপিএলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আইসিসি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের কার্যক্রম নজরদারির আওতায় রাখার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
এবারের বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালের তিনটি ম্যাচে একাদশে ১৫টি পরিবর্তন করা হয়েছে। দলের সেরা কম্বিনেশন খুঁজতে এই ধরনের পরিবর্তন স্বাভাবিক বলে মনে হলেও এর পেছনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না, বুঝতে চাইছে তদন্তকারী সংস্থা। চলতি বিপিএলের কিছু ম্যাচে নো বল, ওয়াইড বল ও ব্যাটারের নির্লিপ্ত ব্যাটিংয়ের মতো ঘটনারও অনুসন্ধান চলছে। বিপিএলের প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে একজন করে দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের সদস্য কাজ করছেন। এবার বেশির ভাগ সদস্যই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। এই সদস্যরা বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক ঘটনার সন্ধান পেয়েছেন এবং তাঁদের নিজস্ব পদ্ধতিতে তদন্ত চালাচ্ছেন।
প্রতিবার বিপিএলে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটে সাধারণত ২০ থেকে ২২ জন কর্মী কাজ করলেও এবার সেটি ১০ থেকে ১২ জনে নেমে এসেছে। মাঠে এবার যে বিপুল দর্শকের উপস্থিতি, বিদ্যমান জনবল দিয়ে সেখানে বেটিং বা জুয়াড়িদের ঠেকানোও চ্যালেঞ্জিং কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত আগস্টের পর থেকে বিসিবির পরিচালনা কাঠামো বেশ নড়বড়ে। একাধিক দায়িত্ব নিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটি পরিচালনা করছেন সক্রিয় পরিচালকেরা। সব মিলিয়ে খেলার সততা, স্বচ্ছতা নজরদারির কার্যক্রম ঠিকঠাক পরিচালনায় বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যেই পড়তে হচ্ছে বিসিবিকে। এতে বাড়ছে সন্দেহজনক কার্যকলাপও।
অচেনা দেশ, আসার আগে তাই পরিবার থেকেও পেয়েছিলেন সতর্কবার্তা। কিন্তু পা রাখার পর সবকিছুই যেন আপন মনে হচ্ছে সাঈদ খোদারাহমির। ইরানি এই কোচের হাত ধরে অচেনা ফুটসালকেও আপন করে নিতে চায় বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। প্রশংসার চেয়ে সমালোচিতই বেশি হয়েছেন প্রধান নির্বাচক হিসেবে। নান্নু এখন কাজ করছেন বিসিবির হেড অব প্রোগ্রাম হিসেবে। এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপে খেলার আগে তিনি বিসিবিকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেখেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে এখন বিভিন্ন রকম প্রতারণার সংবাদ শোনা যায় অহরহ। বিয়ের নাম করে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তো রয়েছেই। অনেক সময় মোটা অঙ্কের টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগও ওঠে খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে। ভারতের তরুণ এক ক্রিকেটার ফেঁসে গেছেন এক মামলায়।
৫ ঘণ্টা আগেঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভালো করলেও বাংলাদেশের বড় টুর্নামেন্টে হোঁচট খাওয়ার গল্পটা খুবই পরিচিত। নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিমদের গত কয়েক বছর ধরে আইসিসি ইভেন্ট ও এশিয়া কাপে ভরাডুবি হচ্ছে নিয়মিত। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এখন ঘরের মাঠে ভালো উইকেটের দিকে জোর দিচ্ছেন।
৫ ঘণ্টা আগে