জীবনকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করাদের তালিকায় বেশ ওপরেই থাকবে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের নাম। সেই উপভোগে আনন্দ যেমন, তেমনি মাঝে মাঝে সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারও ছিল। গাড়ি দুর্ঘটনায় সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান তারকার মৃত্যুতে আজ থেকে সবই স্মৃতির পাতায় জায়গা করে নেবে।
১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাইমন্ডসের পথচলার শুরু। ক্যারিয়ারজুড়ে বিতর্ক আর পাগলামির সঙ্গে হাত ধরাধরি করে হেঁটেছেন। তাঁর এই পাগলামির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নামও। মোহাম্মদ আশরাফুলের কল্যাণে বাংলাদেশের জন্য জাদুকরী মুহূর্তে রূপ নেওয়া ২০০৫ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ম্যাচটা যেমন। কার্ডিফে সেদিন রিকি পণ্টিংদের চোখেমুখে অবিশ্বাস ধরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচের আগে খবরের শিরোনাম হন সাইমন্ডস। সময় যেটাই হোক, উপভোগের মন্ত্রে বিশ্বাসী সাইমন্ডস ম্যাচের আগে মদ পান করেন। ফল যা হওয়ার তাই হয়, সেই ম্যাচে বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। ম্যাচের আগে শৃঙ্খলার ব্যাপারে এক বিন্দু ছাড় না দেওয়ার এমন বহু উদাহরণ আছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে। এক ম্যাচের অলিখিত শাস্তি শেষে পরের ম্যাচে একাদশে ফেরেন সাইমন্ডস।
ফেরাটাও কেমন, মাঠে সাইমন্ডসের রাজকীয় উপস্থিতির ঢঙেই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৮১ বলে ৭৩ রান করে ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে তাঁর হাতে। পরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে আবার ম্যাচসেরা। এবার দৃশ্যপটে সাইমন্ডসের বোলিং সত্তা। ১৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দলের জয় সহজ করে দেন। বাংলাদেশ আর সাইমন্ডস আরেকবার মিলে যায় ২০০৮ সালে। প্রথমবার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ, সেবার অস্ট্রেলিয়ায় যায় বাংলাদেশ।
আগস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজের এক মাস পর ভারত সফরে যাবে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ সিরিজটাকে তাই একপ্রকার প্রস্তুতি হিসেবে নিয়েছিল অজিরা। সাইমন্ডসের জন্য বাংলাদেশ সিরিজটা ছিল দলের প্রতি নিবেদনের প্রমাণ দেখানোর। সেটা হলেই ভারত সফরের সার্টিফিকেট মিলত তাঁর। ছন্নছাড়া জীবন যাঁর ধর্ম, তাঁকে থামানোর সাধ্য কার? সাইমন্ডসকে থামানো যায়নি। প্রথম ওয়ানডের আগে দলের টিম মিটিংয়ে না থেকে মাছ শিকারকে বেছে নেন তিনি।
সিরিজ শুরুর আগের দিন তাই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় সাইমন্ডসকে। সেই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এবং দলে সাইমডন্সের সবচেয়ে কাছের বন্ধু মাইকেল ক্লাক বলছিলেন, ‘আমরা সবাই তাকে ভালোবাসি। সে জন্যই আমরা তাকে স্কোয়াডে চেয়েছিলাম।’ কিন্তু দলের লিডারশিপ গ্রুপের সিদ্ধান্ত, দলের প্রতি বিন্দুমাত্র নিবেদন ঘাটতিতেও ছাড় দেওয়া হবে না। বন্ধু সাইমন্ডসকে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন ক্লাক। পাঁচ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সাইমন্ডসের শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা নেহাতই কম নয়। শৃঙ্খলার ঘাটতির সঙ্গে অ্যালকোহলের প্রতি আসক্তি অসময়ে তাঁর ক্যারিয়ারে ‘ফুল স্টপ’ বসিয়ে দেয়।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ইতিহাসের সফল অধিনায়কদের একজন এবং সাইমন্ডসের সতীর্থ পন্টিং তো আর এমনি এমনি বলেননি, ‘ওকে (সাইমন্ডসকে) সামলানো সবচেয়ে কঠিন।’ সামলানো কঠিন সেই সাইমন্ডসকে নীরবই বানিয়ে দিল গাড়ি দুর্ঘটনা। ডিন জোন্স, রডনি মার্শ, শেন ওয়ার্নের পর মৃত্যুপথে এবারের যাত্রী সাইমন্ডস। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে শোকের রাস্তাটা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতরই হচ্ছে।
জীবনকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করাদের তালিকায় বেশ ওপরেই থাকবে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের নাম। সেই উপভোগে আনন্দ যেমন, তেমনি মাঝে মাঝে সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারও ছিল। গাড়ি দুর্ঘটনায় সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান তারকার মৃত্যুতে আজ থেকে সবই স্মৃতির পাতায় জায়গা করে নেবে।
১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাইমন্ডসের পথচলার শুরু। ক্যারিয়ারজুড়ে বিতর্ক আর পাগলামির সঙ্গে হাত ধরাধরি করে হেঁটেছেন। তাঁর এই পাগলামির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নামও। মোহাম্মদ আশরাফুলের কল্যাণে বাংলাদেশের জন্য জাদুকরী মুহূর্তে রূপ নেওয়া ২০০৫ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ম্যাচটা যেমন। কার্ডিফে সেদিন রিকি পণ্টিংদের চোখেমুখে অবিশ্বাস ধরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচের আগে খবরের শিরোনাম হন সাইমন্ডস। সময় যেটাই হোক, উপভোগের মন্ত্রে বিশ্বাসী সাইমন্ডস ম্যাচের আগে মদ পান করেন। ফল যা হওয়ার তাই হয়, সেই ম্যাচে বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। ম্যাচের আগে শৃঙ্খলার ব্যাপারে এক বিন্দু ছাড় না দেওয়ার এমন বহু উদাহরণ আছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে। এক ম্যাচের অলিখিত শাস্তি শেষে পরের ম্যাচে একাদশে ফেরেন সাইমন্ডস।
ফেরাটাও কেমন, মাঠে সাইমন্ডসের রাজকীয় উপস্থিতির ঢঙেই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৮১ বলে ৭৩ রান করে ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে তাঁর হাতে। পরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে আবার ম্যাচসেরা। এবার দৃশ্যপটে সাইমন্ডসের বোলিং সত্তা। ১৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দলের জয় সহজ করে দেন। বাংলাদেশ আর সাইমন্ডস আরেকবার মিলে যায় ২০০৮ সালে। প্রথমবার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ, সেবার অস্ট্রেলিয়ায় যায় বাংলাদেশ।
আগস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজের এক মাস পর ভারত সফরে যাবে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ সিরিজটাকে তাই একপ্রকার প্রস্তুতি হিসেবে নিয়েছিল অজিরা। সাইমন্ডসের জন্য বাংলাদেশ সিরিজটা ছিল দলের প্রতি নিবেদনের প্রমাণ দেখানোর। সেটা হলেই ভারত সফরের সার্টিফিকেট মিলত তাঁর। ছন্নছাড়া জীবন যাঁর ধর্ম, তাঁকে থামানোর সাধ্য কার? সাইমন্ডসকে থামানো যায়নি। প্রথম ওয়ানডের আগে দলের টিম মিটিংয়ে না থেকে মাছ শিকারকে বেছে নেন তিনি।
সিরিজ শুরুর আগের দিন তাই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় সাইমন্ডসকে। সেই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এবং দলে সাইমডন্সের সবচেয়ে কাছের বন্ধু মাইকেল ক্লাক বলছিলেন, ‘আমরা সবাই তাকে ভালোবাসি। সে জন্যই আমরা তাকে স্কোয়াডে চেয়েছিলাম।’ কিন্তু দলের লিডারশিপ গ্রুপের সিদ্ধান্ত, দলের প্রতি বিন্দুমাত্র নিবেদন ঘাটতিতেও ছাড় দেওয়া হবে না। বন্ধু সাইমন্ডসকে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন ক্লাক। পাঁচ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সাইমন্ডসের শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা নেহাতই কম নয়। শৃঙ্খলার ঘাটতির সঙ্গে অ্যালকোহলের প্রতি আসক্তি অসময়ে তাঁর ক্যারিয়ারে ‘ফুল স্টপ’ বসিয়ে দেয়।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ইতিহাসের সফল অধিনায়কদের একজন এবং সাইমন্ডসের সতীর্থ পন্টিং তো আর এমনি এমনি বলেননি, ‘ওকে (সাইমন্ডসকে) সামলানো সবচেয়ে কঠিন।’ সামলানো কঠিন সেই সাইমন্ডসকে নীরবই বানিয়ে দিল গাড়ি দুর্ঘটনা। ডিন জোন্স, রডনি মার্শ, শেন ওয়ার্নের পর মৃত্যুপথে এবারের যাত্রী সাইমন্ডস। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে শোকের রাস্তাটা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতরই হচ্ছে।
আন্দ্রে রাসেল একটা ব্যাট উপহার দিয়েছিলেন টিম ডেভিডকে। সেই ব্যাট দিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রীতিমতো খুন করলেন! গত বছর নভেম্বরের পর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ব্যাট করতে নামলেন ডেভিড। পরের ঘটনা উঠে গেছে রেকর্ড বইয়ে। মাত্র ৩৭ বলে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ১৬ বলে করেছেন ফিফটি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে...
২৭ মিনিট আগেওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে জো রুটের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের দিকে ইংল্যান্ড। তৃতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ৫৪৪ রান তাদের। ১৮৬ রানের লিড নিয়ে আজ ৪র্থ দিন আবারও ব্যাটিংয়ে নামবে তারা। বিকেল ৪টায় শুরু হবে খেলা। সরাসরি সনি টেন ১ ও ৫ খেলা সম্প্রচার করবে।
১ ঘণ্টা আগেটানা দুটি সিরিজ জয়; শ্রীলঙ্কার পর এবার পাকিস্তান। দুই সিরিজ মিলিয়ে চার ম্যাচে জয়। এই ধারাবাহিক সাফল্যে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশ দলের, এই কথা বলছেন অধিনায়ক লিটন দাসসহ দলের অন্য সদস্যরা। তবে এই আত্মবিশ্বাস কতটা কাজে দেবে দলের এবং এটা কি সত্যি না কৃত্রিম, এ নিয়ে যখন আলোচনা, তখন লিটনদের সামনে...
২ ঘণ্টা আগেশচীন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা—গাণিতিক হিসেবে ৬০.২৮ শতাংশ! ক্যারিয়ারের শুরুতে এমন সম্ভাবনা জাগিয়ে অনেকেই হারিয়ে গেছেন কিংবা অনেক আগেই থেমে যায় তাঁদের ক্যারিয়ার। কিন্তু জো রুট একদমই ভিন্ন। শচীনকে ছাড়িয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে দারুণভাবে ছুটছেন ইংলিশ এ ব্যাটার। পরিসং
১৫ ঘণ্টা আগে