আফতাব আহমেদ
প্রতিদিনই জেতার আশা নিয়ে খেলা দেখতে বসি, আর খেলা শেষে হতাশ হয়ে টিভি বন্ধ করি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল আমাদের বাঁচা-মরার লড়াই। সেখানেই কিনা আমরা জিততে জিততে ম্যাচটা হেরে গেলাম।
বাংলাদেশ ম্যাচটা হারল কোথায় সেটি বের করতে বড় বিশ্লেষক না হলেও চলবে। সাফ কথা, আমরা হেরেছি বাজে ফিল্ডিংয়ে। ফিল্ডিংটা এমন কেন হচ্ছে আমি বুঝে উঠতে পারছি না। এখন যিনি ফিল্ডিং কোচ আছেন তিনি দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন দীর্ঘদিন ধরে। এরপরও ফিল্ডিংয়ের কোনো উন্নতি হচ্ছে না? ক্রিকেটাররা কি আলাদা করে ফিল্ডিং অনুশীলন করেন না, না কোচ অনুশীলন করান না? বুঝে উঠতে পারছি না। এমন গরিবি ফিল্ডিং দিয়ে বিশ্বকাপে ম্যাচ জেতা খুবই কঠিন। পাপুয়া নিউগিনি পর্যন্ত ফিল্ডিংয়ে ছেড়ে কথা বলেনি। ক্যাচ মিস মানে ম্যাচ মিস–স্টিভ ওয়াহ অনেক দিন আগেই বলে গিয়েছেন। আমাদের ম্যাচটাও মিস হয়ে গেছে ক্যাচ ড্রপেই।
বিশ্বকাপে সবার আগে আমরাই গিয়েছিলাম। ওমানে ক্যাম্প করেই কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে নেমেছিল বাংলাদেশ। এখন সবার আগে সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিলাম। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের খেলায় আমি পরিকল্পনাহীনতার ছাপ দেখতে পাচ্ছি। সাকিব আল হাসান প্রথমবারের মতো ওপেনিং করল। ওপেনিং জুটি জমছিল না, তাই হয়তো সাকিবকে দিয়ে চেষ্টা করা হলো। কিন্তু আমার কথা হলো পরিবর্তন আনলে বেসিকের মধ্যে থেকেই সবকিছু করতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে পরিকল্পনায় একটি বিশাল সমস্যা দেখছি।
মুশফিকুর রহিমকে এভাবে আউট হতে দেখে আরেক দফা হতাশ হলাম। মুশফিকের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের হাতে যদি শট না থাকত তাহলে বলতাম, উদ্ভাবনী শটে রান বের করার চেষ্টা করছে। ওর হাতে সব ধরনের শটই আছে। আর সেট হলে বড় বড় ছক্কাও মারতে পারে। সেই মুশফিক কেন এভাবে আউট হবে? ওর আরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করাটা উচিত।
মোস্তাফিজুর রহমান আইপিএলে দুর্দান্ত করলেও বিশ্বকাপে কিছুই পারছে না। গতকালও শেষ ওভারে তিনটা ছয় দিল। সে এত রান না দিলে কিন্তু আমরা জিততে পারতাম। কেননা এই উইকেটে ১৪০ও ভালো স্কোর। যেহেতু উইকেট একটু মন্থর ছিল।
এখন আমি বলব আমাদের বড় বড় আসরগুলো নিয়ে ভাবার সময় চলে এসেছে। আমরা দেশের মাটিতে ভালো খেলব, জিতব—তা ঠিক আছে। কিন্তু ১২০–১৩০ রান তাড়া করার যে মন-মানসিকতা, তা থেকে তো বেরিয়ে আসতে তো পারছে না। গতকাল ১৪৩ রানও তাড়া করতে পারল না। কারণ আমরা আরও কম রানা তাড়া করতে অভ্যস্ত। আমাদের এমন পরিকল্পনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যে দলই আসুক না কেন ভালো উইকেটে খেলার চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে। আমি দুবাই গিয়ে আমার মতো উইকেট পেলাম না, ইংল্যান্ড–অস্ট্রেলিয়াতে গিয়েও আমাদের মতো উইকেট পাব না। বিশ্ব আসরগুলো বিভিন্ন দেশে হবে, সেই চ্যালেঞ্জ নিতে আমাদের তৈরি হওয়ার এখনই সময়।
আর আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার বের করার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। সিনিয়রদের শেষের শুরু হয়ে গেছে। তরুণদের তৈরি করার পথটা শুরু করতে হবে এখন থেকেই।
প্রতিদিনই জেতার আশা নিয়ে খেলা দেখতে বসি, আর খেলা শেষে হতাশ হয়ে টিভি বন্ধ করি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল আমাদের বাঁচা-মরার লড়াই। সেখানেই কিনা আমরা জিততে জিততে ম্যাচটা হেরে গেলাম।
বাংলাদেশ ম্যাচটা হারল কোথায় সেটি বের করতে বড় বিশ্লেষক না হলেও চলবে। সাফ কথা, আমরা হেরেছি বাজে ফিল্ডিংয়ে। ফিল্ডিংটা এমন কেন হচ্ছে আমি বুঝে উঠতে পারছি না। এখন যিনি ফিল্ডিং কোচ আছেন তিনি দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন দীর্ঘদিন ধরে। এরপরও ফিল্ডিংয়ের কোনো উন্নতি হচ্ছে না? ক্রিকেটাররা কি আলাদা করে ফিল্ডিং অনুশীলন করেন না, না কোচ অনুশীলন করান না? বুঝে উঠতে পারছি না। এমন গরিবি ফিল্ডিং দিয়ে বিশ্বকাপে ম্যাচ জেতা খুবই কঠিন। পাপুয়া নিউগিনি পর্যন্ত ফিল্ডিংয়ে ছেড়ে কথা বলেনি। ক্যাচ মিস মানে ম্যাচ মিস–স্টিভ ওয়াহ অনেক দিন আগেই বলে গিয়েছেন। আমাদের ম্যাচটাও মিস হয়ে গেছে ক্যাচ ড্রপেই।
বিশ্বকাপে সবার আগে আমরাই গিয়েছিলাম। ওমানে ক্যাম্প করেই কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে নেমেছিল বাংলাদেশ। এখন সবার আগে সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিলাম। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের খেলায় আমি পরিকল্পনাহীনতার ছাপ দেখতে পাচ্ছি। সাকিব আল হাসান প্রথমবারের মতো ওপেনিং করল। ওপেনিং জুটি জমছিল না, তাই হয়তো সাকিবকে দিয়ে চেষ্টা করা হলো। কিন্তু আমার কথা হলো পরিবর্তন আনলে বেসিকের মধ্যে থেকেই সবকিছু করতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে পরিকল্পনায় একটি বিশাল সমস্যা দেখছি।
মুশফিকুর রহিমকে এভাবে আউট হতে দেখে আরেক দফা হতাশ হলাম। মুশফিকের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের হাতে যদি শট না থাকত তাহলে বলতাম, উদ্ভাবনী শটে রান বের করার চেষ্টা করছে। ওর হাতে সব ধরনের শটই আছে। আর সেট হলে বড় বড় ছক্কাও মারতে পারে। সেই মুশফিক কেন এভাবে আউট হবে? ওর আরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করাটা উচিত।
মোস্তাফিজুর রহমান আইপিএলে দুর্দান্ত করলেও বিশ্বকাপে কিছুই পারছে না। গতকালও শেষ ওভারে তিনটা ছয় দিল। সে এত রান না দিলে কিন্তু আমরা জিততে পারতাম। কেননা এই উইকেটে ১৪০ও ভালো স্কোর। যেহেতু উইকেট একটু মন্থর ছিল।
এখন আমি বলব আমাদের বড় বড় আসরগুলো নিয়ে ভাবার সময় চলে এসেছে। আমরা দেশের মাটিতে ভালো খেলব, জিতব—তা ঠিক আছে। কিন্তু ১২০–১৩০ রান তাড়া করার যে মন-মানসিকতা, তা থেকে তো বেরিয়ে আসতে তো পারছে না। গতকাল ১৪৩ রানও তাড়া করতে পারল না। কারণ আমরা আরও কম রানা তাড়া করতে অভ্যস্ত। আমাদের এমন পরিকল্পনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যে দলই আসুক না কেন ভালো উইকেটে খেলার চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে। আমি দুবাই গিয়ে আমার মতো উইকেট পেলাম না, ইংল্যান্ড–অস্ট্রেলিয়াতে গিয়েও আমাদের মতো উইকেট পাব না। বিশ্ব আসরগুলো বিভিন্ন দেশে হবে, সেই চ্যালেঞ্জ নিতে আমাদের তৈরি হওয়ার এখনই সময়।
আর আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার বের করার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। সিনিয়রদের শেষের শুরু হয়ে গেছে। তরুণদের তৈরি করার পথটা শুরু করতে হবে এখন থেকেই।
কদিন আগেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, লিভারপুল ছেড়ে নতুন ঠিকানায় যাচ্ছেন লুইস দিয়াজ। আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাও এসে গেল। অ্যানফিল্ড থেকে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে পাড়ি জমাচ্ছেন তিনি। চার বছরের জন্য কলম্বিয়ান এই উইঙ্গারের সঙ্গে চুক্তি করেছে জার্মান লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
৭ ঘণ্টা আগেসাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ফিরেছিলেন ব্রেন্ডন টেলর। তাই এই টেস্টে সবার নজর ছিল তাঁর দিকে। তবে তাঁকে বাইরে রেখে টেস্টের একাদশ গড়ে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। তবু বুলাওয়ে টেস্টে শুরুটা তাদের মোটেও ভালো হয়নি। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ ওভারে অলআউট হয়েছে তারা।
৮ ঘণ্টা আগেওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসে রাউন্ড রবিন লিগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেনি ভারত। দারুণ ব্যাপার হলো, সেমিফাইনালেও প্রতিপক্ষে হিসেবে নিজেদের পেয়েছে তারা। আগামীকাল বার্মিংহামে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামার কথা ছিল ভারত-পাকিস্তানের। সে পর্যন্ত আর যেতে হয়নি, ভারত এবারও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেল
৯ ঘণ্টা আগেওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে বাঁ পায়ে ক্র্যাম্প এবং কাঁধে ব্যথায় ভুগছিলেন বেন স্টোকস। শেষ টেস্টে তাঁকে পাওয়া যাবে কি না, এমন সংশয় ছিলই। এর মধ্যে আজ ওভাল টেস্টের একাদশ ঘোষণা করেছে। কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে নেই অধিনায়ক স্টোকস। তাঁর অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেবেন ওলি পোপ, এর আগেও ৪টি টেস্টে ইংল্যান্ডের
১০ ঘণ্টা আগে