রানা আব্বাস, আবুধাবি থেকে
ম্যাথু হেইডেনকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হতো। সে প্রশ্নের মুখোমুখি তিনি গতকালই হয়ে গেলেন। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ওপেনার এখন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পরামর্শক। একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে হেইডেনকেই আজ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ছক কষতে হচ্ছে।
পেশাদার জগতে অবশ্য আবেগের ঠাঁই নেই। তবু কি নিজের দেশের অমঙ্গল কেউ চাইতে পারে? হেইডেন এমনই এক বাস্তবতার সামনে। তিনি আজ মস্তিষ্কের খেলায় হারাতে চাইবেন তাঁরই সতীর্থ জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে; যিনি অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান কোচ। এই ল্যাঙ্গারের সঙ্গে গড়েছেন টেস্টের অন্যতম সেরা ওপেনিং জুটি। অনুমিতভাবেই গতকাল সংবাদ সম্মেলনে হেইডেনকে এই প্রসঙ্গে উত্তর দিতে হয়েছে। সাবেক অস্ট্রেলীয় ওপেনার বড় উত্তরই দিয়েছেন। তাঁর মুখ থেকেই শোনা যাক উত্তরটা—
হেইডেন: এটা আসলেই একটু অন্য রকম অনুভূতি। আপনারা জানেন, প্রায় দুই দশক ধরে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের যোদ্ধা ছিলাম। এতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভেতরের সংস্কৃতিটা বোঝার সুযোগ পেয়েছি।
আর এখন বিশ্বজুড়েই মেন্টর, কোচদের খুব ভালো কাজের জায়গা আছে। এখান থেকে অন্যান্য দেশগুলোও উপকৃত হতে পারে। আমরা দেখেছি আইপিএলে এটা কীভাবে কাজ করছে। আমার কাছে বিষয়টা হচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় যা ঘটতে যাচ্ছে সেটা আমার হৃদয়ের পরীক্ষা, মনের পরীক্ষা। গর্ব নিয়েই বলতে চাই, পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে থাকাটা দারুণ এক ব্যাপার। আমাদের কয়েকজন অবিশ্বাস্য তরুণ খেলোয়াড় আছে! দারুণ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও আছে। দল প্রশংসা পাওয়ার মতোই খেলছে।
আর বন্ধু, পুরোনো ‘পার্টনার’ ল্যাঙ্গারকে নিয়ে কী বলবেন ১০৩ টেস্টে ৫০.৭৩ গড়ে ৮৬২৫ রান করা হেইডেন? সাবেক অস্ট্রেলিয়া ওপেনার ক্রিকেটের আপ্ত কথাটাই বলছেন, ‘জাতীয় দলের কোচ কিংবা ব্যাটিং কোচ হিসেবে জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও আমার অবস্থান ঠিক একই জায়গায়—কেউ ম্যাচ জেতাতে পারে না। মাঠে নামা ১১ জন খেলোয়াড়ই দলকে জেতায়। আমরা শুধু পেছন থেকে সহায়তা করতে পারি। এই কাজটা গত মাস থেকেই উপভোগ করছি। সেমিফাইনালের চ্যালেঞ্জটা তরুণেরা কীভাবে নেয়, সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছি।’
হেইডেনের কাছে যেটি হৃদয়ের পরীক্ষা, অস্ট্রেলিয়া দলের কাছে সেটি ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’-এর মতো। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ যেমন বলছেন, ‘তাঁকে (হেইডেন) আশপাশে দেখে ভালো লাগছে। এটা দারুণ ব্যাপার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দেশের সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশেও পৌঁছে যাচ্ছে। যতটা পারা যায় সহায়তা করছে। এটা দারুণ ব্যাপার।’
পাকিস্তান দলের সঙ্গে কাজ করে হেইডেন যে খুব আনন্দ পাচ্ছেন, গত কিছুদিনে তাঁকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। অবশ্য এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানও আছে দুর্দান্ত ছন্দে। একমাত্র দল, যারা সুপার টুয়েলভে অপরাজিত থেকে উঠেছে শেষ চারে। দলে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়ের অভাব নেই। অধিনায়ক বাবর আজম নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। আর আজ দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি পূর্ণ থাকবে নিজেদের সমর্থকেরাই। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আরেকবার ফাইনালে ওঠার দারুণ এক সুযোগ পাকিস্তানের সামনে।
পরিসংখ্যানও পাকিস্তানের পক্ষে আছে। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের ২৩ সাক্ষাতে ১২টিতেই জিতেছে পাকিস্তান, ৯টিতে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে পাঁচবার তারা মুখোমুখি সেখানে স্কোরলাইনটা পাকিস্তান ৩: ২ অস্ট্রেলিয়া। তবে বাবরদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া দলটাই এমন; যারা বড় মঞ্চে, চাপের ম্যাচে ধারাবাহিক জ্বলে উঠতে পারে। পাঁচবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন তারা তো এমনিই হয়নি! আর বড় মঞ্চে পাকিস্তানকে হারানোর অভিজ্ঞতাও আছে তাদের। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ফিঞ্চ অবশ্য অতীতে তাকাতে চান না। বলছেন, ‘দেখুন এই পাকিস্তান দলটা দুর্দান্ত ছন্দে আছে। এই টুর্নামেন্টে টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে। শুধু ওরা অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। আর এসব না ভাবাই ভালো।’
ফিঞ্চ অতীতের দিকে না তাকাতে চাইলেও অতীতই কিন্তু বলছে, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে যারা নিজেদের বারবার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে; ২০ ওভারের বিশ্বকাপে সেই অস্ট্রেলিয়াকেই চেনা যায় না। তারা কখনোই এই ট্রফিটা জিততে পারেনি। এবার এ মলিন রেকর্ডটা হলুদ রঙে রাঙানোর সুযোগ ফিঞ্চদের সামনে।
ম্যাথু হেইডেনকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হতো। সে প্রশ্নের মুখোমুখি তিনি গতকালই হয়ে গেলেন। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ওপেনার এখন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পরামর্শক। একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে হেইডেনকেই আজ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ছক কষতে হচ্ছে।
পেশাদার জগতে অবশ্য আবেগের ঠাঁই নেই। তবু কি নিজের দেশের অমঙ্গল কেউ চাইতে পারে? হেইডেন এমনই এক বাস্তবতার সামনে। তিনি আজ মস্তিষ্কের খেলায় হারাতে চাইবেন তাঁরই সতীর্থ জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে; যিনি অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান কোচ। এই ল্যাঙ্গারের সঙ্গে গড়েছেন টেস্টের অন্যতম সেরা ওপেনিং জুটি। অনুমিতভাবেই গতকাল সংবাদ সম্মেলনে হেইডেনকে এই প্রসঙ্গে উত্তর দিতে হয়েছে। সাবেক অস্ট্রেলীয় ওপেনার বড় উত্তরই দিয়েছেন। তাঁর মুখ থেকেই শোনা যাক উত্তরটা—
হেইডেন: এটা আসলেই একটু অন্য রকম অনুভূতি। আপনারা জানেন, প্রায় দুই দশক ধরে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের যোদ্ধা ছিলাম। এতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভেতরের সংস্কৃতিটা বোঝার সুযোগ পেয়েছি।
আর এখন বিশ্বজুড়েই মেন্টর, কোচদের খুব ভালো কাজের জায়গা আছে। এখান থেকে অন্যান্য দেশগুলোও উপকৃত হতে পারে। আমরা দেখেছি আইপিএলে এটা কীভাবে কাজ করছে। আমার কাছে বিষয়টা হচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় যা ঘটতে যাচ্ছে সেটা আমার হৃদয়ের পরীক্ষা, মনের পরীক্ষা। গর্ব নিয়েই বলতে চাই, পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে থাকাটা দারুণ এক ব্যাপার। আমাদের কয়েকজন অবিশ্বাস্য তরুণ খেলোয়াড় আছে! দারুণ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও আছে। দল প্রশংসা পাওয়ার মতোই খেলছে।
আর বন্ধু, পুরোনো ‘পার্টনার’ ল্যাঙ্গারকে নিয়ে কী বলবেন ১০৩ টেস্টে ৫০.৭৩ গড়ে ৮৬২৫ রান করা হেইডেন? সাবেক অস্ট্রেলিয়া ওপেনার ক্রিকেটের আপ্ত কথাটাই বলছেন, ‘জাতীয় দলের কোচ কিংবা ব্যাটিং কোচ হিসেবে জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও আমার অবস্থান ঠিক একই জায়গায়—কেউ ম্যাচ জেতাতে পারে না। মাঠে নামা ১১ জন খেলোয়াড়ই দলকে জেতায়। আমরা শুধু পেছন থেকে সহায়তা করতে পারি। এই কাজটা গত মাস থেকেই উপভোগ করছি। সেমিফাইনালের চ্যালেঞ্জটা তরুণেরা কীভাবে নেয়, সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছি।’
হেইডেনের কাছে যেটি হৃদয়ের পরীক্ষা, অস্ট্রেলিয়া দলের কাছে সেটি ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’-এর মতো। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ যেমন বলছেন, ‘তাঁকে (হেইডেন) আশপাশে দেখে ভালো লাগছে। এটা দারুণ ব্যাপার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দেশের সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশেও পৌঁছে যাচ্ছে। যতটা পারা যায় সহায়তা করছে। এটা দারুণ ব্যাপার।’
পাকিস্তান দলের সঙ্গে কাজ করে হেইডেন যে খুব আনন্দ পাচ্ছেন, গত কিছুদিনে তাঁকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। অবশ্য এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানও আছে দুর্দান্ত ছন্দে। একমাত্র দল, যারা সুপার টুয়েলভে অপরাজিত থেকে উঠেছে শেষ চারে। দলে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়ের অভাব নেই। অধিনায়ক বাবর আজম নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। আর আজ দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি পূর্ণ থাকবে নিজেদের সমর্থকেরাই। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আরেকবার ফাইনালে ওঠার দারুণ এক সুযোগ পাকিস্তানের সামনে।
পরিসংখ্যানও পাকিস্তানের পক্ষে আছে। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের ২৩ সাক্ষাতে ১২টিতেই জিতেছে পাকিস্তান, ৯টিতে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে পাঁচবার তারা মুখোমুখি সেখানে স্কোরলাইনটা পাকিস্তান ৩: ২ অস্ট্রেলিয়া। তবে বাবরদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া দলটাই এমন; যারা বড় মঞ্চে, চাপের ম্যাচে ধারাবাহিক জ্বলে উঠতে পারে। পাঁচবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন তারা তো এমনিই হয়নি! আর বড় মঞ্চে পাকিস্তানকে হারানোর অভিজ্ঞতাও আছে তাদের। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ফিঞ্চ অবশ্য অতীতে তাকাতে চান না। বলছেন, ‘দেখুন এই পাকিস্তান দলটা দুর্দান্ত ছন্দে আছে। এই টুর্নামেন্টে টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে। শুধু ওরা অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। আর এসব না ভাবাই ভালো।’
ফিঞ্চ অতীতের দিকে না তাকাতে চাইলেও অতীতই কিন্তু বলছে, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে যারা নিজেদের বারবার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে; ২০ ওভারের বিশ্বকাপে সেই অস্ট্রেলিয়াকেই চেনা যায় না। তারা কখনোই এই ট্রফিটা জিততে পারেনি। এবার এ মলিন রেকর্ডটা হলুদ রঙে রাঙানোর সুযোগ ফিঞ্চদের সামনে।
তৃণমুল ফুটবলে উন্নতি দেখিয়ে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ব্রোঞ্জ ক্যাটাগরিতে ভিয়েতনাম ফুটবল ফেডারেশন ও নর্দার্ন মারিয়ানা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে টপকে সেরা হয়েছে তারা।
২ ঘণ্টা আগেবছরখানেক আগে টেস্ট অভিষেক হয়েছে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। এবার ওয়ানডে দলের জার্সি গায়ে তোলার অপেক্ষায় এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তাঁকে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেল।
৫ ঘণ্টা আগেএএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়মরক্ষার ম্যাচে আগামী ১৮ নভেম্বের ভারতকে আতিথেয়তা দেবে হ্যাভিয়ের কাবরেরার দল। প্রতিবেশী দেশের বিপক্ষে সে ম্যাচের অপেক্ষায় আছেন দলের সেরা তারকা ফুটবলার হামজা চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০ দল চূড়ান্ত হয়েছে আজ। সবশেষ দল হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আজ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাইয়ে জাপানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে আমিরাত বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে।
৬ ঘণ্টা আগে