Ajker Patrika

বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় বাংলাদেশের ব্যাটারদের দিকেই আঙুল মাশরাফির

আপডেট : ২৫ জুন ২০২৪, ১৪: ৩৭
বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় বাংলাদেশের ব্যাটারদের দিকেই আঙুল মাশরাফির

আশা জাগিয়ে ম্যাচ হেরে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য নতুন কিছু তো নয়। টুর্নামেন্ট, ম্যাচের ফল যেমনই হোক না কেন, রোমাঞ্চকর বানাতে বাংলাদেশ যে সিদ্ধহস্ত। সেন্ট ভিনসেন্টে আজ সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেও ব্যর্থ হয়েছে এশিয়ার দলটি। মাশরাফি বিন মর্তুজা আঙুল তুললেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের দিকেই। 

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন ধারাবাহিকভাবে। সেন্ট ভিনসেন্টে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ১২.১ ওভারে ১১৬ রান করলে উঠে যেত সেমিফাইনালে। দফায় দফায় বৃষ্টির বাগড়া দেওয়া ম্যাচে প্রথম ৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৩৬ রান। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে শেষ ৮.১ ওভারে দরকার ছিল ৮০ রান। বর্তমান টি-টোয়েন্টি ঘরানায় কঠিন হলেও তা একেবারে অসম্ভব নয়। তবে লিটন দাস এক পাশে ধরে রাখলেও অন্য প্রান্তে চলতে থাকে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচটা ডাকওয়ার্থ লুইস ও স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ম্যাচটা হেরে যায় ৮ রানে। 

বাংলাদেশের হারে আফগানিস্তানের নিশ্চিত হয়েছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের টিকিট, যেখানে লিটন ৪৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের এভাবে তীরে এসে তরি ডোবার পর ফেসবুক পোস্টে মাশরাফি লিখেছেন, ‘লিটনের ইনটেন্ট আর নন-স্ট্রাইকের নীরবতা দেখে বোঝা যায় পরিস্কার কোনো বার্তা বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিটের কাছে ছিল না। যদি থেকেই থাকে, সেটা এক বা দুই ওভার পরপর পরিবর্তন হয়েছে। শেষমেশ এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে ম্যাচটা শুধু জেতা। অথচ আজকের হিসাব ছিল শুধুই ১২.১ ওভারের। এর বাইরে আর কিছু ভাবার সুযোগ ছিল না।’ 

সেমির লক্ষ্যে নামা বাংলাদেশ প্রথমে দ্রুত রান তুললেও হঠাৎই খেই হারিয়ে ফেলে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে এক পর্যায়ে স্কোর হয়ে যায় ১১.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ৮১ রান। তখন আরেক দফা বৃষ্টি নামলে ডিএলএসে লক্ষ্যটা দাঁড়ায়  ১৯ ওভারে ১১৪ রান।  বাংলাদেশ শেষমেশ অলআউট হয়েছে ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানে। মাশরাফি বলেন, ‘যদি এই ম্যাচ জিততাম, তাহলে বিবেকের কাছে হেরে যেতাম। এ ম্যাচটা আর ১০টা ম্যাচের মতো ছিল না আমাদের জন্য। এটা ছিল ইতিহাস গড়ার সমান। এরপরও অবশ্যই আশা দেখি বা দেখব ইনশাআল্লাহ। হয়তো কোনো একদিন...।’ 

ভারতের কাছে ৪৭ রানে হেরে সুপার এইট শুরু করে আফগানিস্তান। আফগানদের জন্য এরপর সেমিফাইনাল খেলার পথ খুব একটা সহজ ছিল না। অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশকে তো হারাতে হতোই, কিছু সমীকরণও মিলতে হতো তাদের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত সবকিছুই আফগানদের পক্ষে গেছে। আফগানিস্তান ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘অভিনন্দন আফগানদের। কী দারুণ তাদের শরীরী ভাষা। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া এবং শেষে তাদের উদযাপন। নিশ্চয়ই কাবুল এখন কাঁপছে।’ 

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত