রানা আব্বাস, সিলেট থেকে
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল কোচ সালাহ উদ্দীনকে এখন কথা বলতে হচ্ছে যথেষ্ট রক্ষণাত্মক সুরে। আজ রোববার দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা দলের সিনিয়র সহকারী কোচকে ঘুরেফিরে কথা বলতে হলো ব্যাটিং-ব্যর্থতা নিয়ে। একটা দল টেস্টে গত এক বছরে ১৮ ইনিংসের মধ্যে ৯ বারই ২০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে। ৫০ শতাংশ ইনিংসে যে দল ২০০ রানও করতে পারেনি, কোচকে প্রশ্নে জর্জরিত তো হতেই হবে।
সালাহ উদ্দীনও ঘুরেফিরে বলতে চাইলেন, সময় দিতে হবে, উন্নতি করতে ক্রিকেটারদের সময় দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘একটা দেশের ক্রিকেট আসলে নির্দিষ্ট কয়েকজন ক্রিকেটারের ওপর নির্ভর করে না। পুরো দেশের ক্রিকেট কাঠামো কেমন এবং ওরা কতটা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে অনেক ম্যাচ খেলতে হবে। যেমন শেষ ছয়টা টেস্টে আমাদের ব্যাটাররা ভালো করেনি। তাহলে নতুন কাউকে খুঁজবেন। তাকেও আবার তৈরি করতে সময় দিতে হবে। তাকে আমরা সুযোগ দিতে থাকব। তবে রিসোর্স খুবই কম আছে।’
একজন ব্যাটারকে কত ইনিংস সুযোগ দিলে তিনি উন্নতি করতে পারবেন—এমন প্রশ্নে সালাহ উদ্দীন বললেন, ‘কত ইনিংস দেব, সেটা তো বলে দেওয়া যাবে না। সবকিছু দ্রুত করতে হবে। একটা দেশের ক্রিকেট কোথায় দাঁড়িয়ে, সেটা নির্ভর করে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের ওপর। এর জন্য যা যা করা দরকার, সেগুলো করতে হবে। আমি কাছ থেকে দেখছি, ছেলেদের মানসিকতা, ওয়ার্ক এথিকস, নিজেদের ইচ্ছা—কোথাও ঘাটতি নেই। কিন্তু এটা শুধু তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। পারিপার্শ্বিক অনেক ব্যাপার আছে, যেগুলো সব সময় বলতে পারি না, বলা উচিতও না। আপনাদের একটু সময় দিতে হবে।’
সেই পারিপার্শ্বিক বিষয় তুলে ধরতে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নপ্রক্রিয়া সামনে এনেছেন সালাহ উদ্দীন, ‘ধরুন, আপনার দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক শক্তিশালী। আপনি কি একটা পার্ট দিয়ে কখনো শক্তিশালী হতে পারবেন? ভালো প্রশাসন লাগবে, ভালো রাস্তাঘাট লাগবে, ভালো জনবল লাগবে। সবকিছুই লাগবে।’ একই প্রক্রিয়ায় সালাহ উদ্দীনের দেশের ক্রিকেটিং ফ্যাসিলিটিজ উন্নতি করার কথা বললেন, ‘একটা দেশের ক্রিকেট কীভাবে এগোবে, এখানে সবারই সহায়তা করতে হবে। কেউ একা একা উন্নতি করতে পারবে না। কোচ ভালো হলে চলবে না, খেলোয়াড় ভালো হলেও চলবে না, সঙ্গে আরও অনেক কিছু ভালো হতে হবে। এখন যদি বলেন, কত দিন অপেক্ষা করতে হবে, এটা আমার নিজেরও প্রশ্ন।’
দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে আগে সালাহ উদ্দীন যতটা অকপট ছিলেন, এখন ততটা নন। গত অক্টোবরে বিসিবিতে যুক্ত হওয়ার পর তাঁর পায়ে যে আচরণবিধির শিকল! টেস্ট সিরিজ খেলার আগে একটা দলের খেলোয়াড়েরা এলেন টানা সাদা বলের ক্রিকেট খেলে। ক্লাব ক্রিকেটের কাছে পাত্তা পায়নি জাতীয় দলের চাহিদা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) লিগ পর্বের শেষ রাউন্ড খেলে এসে মাত্র পাঁচ-ছয় দিনের একটা প্রস্তুতি নিয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের প্রস্তুতির ঘাটতি থাকলে জিম্বাবুয়ের বোলাররাও কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে, সে তো কাল দেখাই গেল।
সালাহ উদ্দীন দাবি করলেন, তাঁদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই, ‘দোষাদোষী, রেষারেষি না। এর মধ্যে আমরা কীভাবে ভালো করতে পারি, সেদিকে লক্ষ রাখা উচিত। প্রস্তুতির দিক থেকে বলি, একটা জাতীয় দলের যতটুকু প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল, সিলেটে এসে আমরা সেটা নিয়েছি। আজ প্রস্তুতি কাজে লাগাতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে ফেরার সময় সালাহ উদ্দীনকে অবশ্য মনে করিয়ে দেওয়া হলো, বাংলাদেশের ক্রিকেট কাঠামোর চেয়ে জিম্বাবুয়ের কাঠামো আরও দুর্বল। সেই জিম্বাবুয়ে ভালো খেলছে কীভাবে? আপাতত এই প্রশ্নের জবাব নেই সালাহ উদ্দীনের কাছে।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল কোচ সালাহ উদ্দীনকে এখন কথা বলতে হচ্ছে যথেষ্ট রক্ষণাত্মক সুরে। আজ রোববার দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা দলের সিনিয়র সহকারী কোচকে ঘুরেফিরে কথা বলতে হলো ব্যাটিং-ব্যর্থতা নিয়ে। একটা দল টেস্টে গত এক বছরে ১৮ ইনিংসের মধ্যে ৯ বারই ২০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে। ৫০ শতাংশ ইনিংসে যে দল ২০০ রানও করতে পারেনি, কোচকে প্রশ্নে জর্জরিত তো হতেই হবে।
সালাহ উদ্দীনও ঘুরেফিরে বলতে চাইলেন, সময় দিতে হবে, উন্নতি করতে ক্রিকেটারদের সময় দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘একটা দেশের ক্রিকেট আসলে নির্দিষ্ট কয়েকজন ক্রিকেটারের ওপর নির্ভর করে না। পুরো দেশের ক্রিকেট কাঠামো কেমন এবং ওরা কতটা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে অনেক ম্যাচ খেলতে হবে। যেমন শেষ ছয়টা টেস্টে আমাদের ব্যাটাররা ভালো করেনি। তাহলে নতুন কাউকে খুঁজবেন। তাকেও আবার তৈরি করতে সময় দিতে হবে। তাকে আমরা সুযোগ দিতে থাকব। তবে রিসোর্স খুবই কম আছে।’
একজন ব্যাটারকে কত ইনিংস সুযোগ দিলে তিনি উন্নতি করতে পারবেন—এমন প্রশ্নে সালাহ উদ্দীন বললেন, ‘কত ইনিংস দেব, সেটা তো বলে দেওয়া যাবে না। সবকিছু দ্রুত করতে হবে। একটা দেশের ক্রিকেট কোথায় দাঁড়িয়ে, সেটা নির্ভর করে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের ওপর। এর জন্য যা যা করা দরকার, সেগুলো করতে হবে। আমি কাছ থেকে দেখছি, ছেলেদের মানসিকতা, ওয়ার্ক এথিকস, নিজেদের ইচ্ছা—কোথাও ঘাটতি নেই। কিন্তু এটা শুধু তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। পারিপার্শ্বিক অনেক ব্যাপার আছে, যেগুলো সব সময় বলতে পারি না, বলা উচিতও না। আপনাদের একটু সময় দিতে হবে।’
সেই পারিপার্শ্বিক বিষয় তুলে ধরতে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নপ্রক্রিয়া সামনে এনেছেন সালাহ উদ্দীন, ‘ধরুন, আপনার দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক শক্তিশালী। আপনি কি একটা পার্ট দিয়ে কখনো শক্তিশালী হতে পারবেন? ভালো প্রশাসন লাগবে, ভালো রাস্তাঘাট লাগবে, ভালো জনবল লাগবে। সবকিছুই লাগবে।’ একই প্রক্রিয়ায় সালাহ উদ্দীনের দেশের ক্রিকেটিং ফ্যাসিলিটিজ উন্নতি করার কথা বললেন, ‘একটা দেশের ক্রিকেট কীভাবে এগোবে, এখানে সবারই সহায়তা করতে হবে। কেউ একা একা উন্নতি করতে পারবে না। কোচ ভালো হলে চলবে না, খেলোয়াড় ভালো হলেও চলবে না, সঙ্গে আরও অনেক কিছু ভালো হতে হবে। এখন যদি বলেন, কত দিন অপেক্ষা করতে হবে, এটা আমার নিজেরও প্রশ্ন।’
দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে আগে সালাহ উদ্দীন যতটা অকপট ছিলেন, এখন ততটা নন। গত অক্টোবরে বিসিবিতে যুক্ত হওয়ার পর তাঁর পায়ে যে আচরণবিধির শিকল! টেস্ট সিরিজ খেলার আগে একটা দলের খেলোয়াড়েরা এলেন টানা সাদা বলের ক্রিকেট খেলে। ক্লাব ক্রিকেটের কাছে পাত্তা পায়নি জাতীয় দলের চাহিদা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) লিগ পর্বের শেষ রাউন্ড খেলে এসে মাত্র পাঁচ-ছয় দিনের একটা প্রস্তুতি নিয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের প্রস্তুতির ঘাটতি থাকলে জিম্বাবুয়ের বোলাররাও কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে, সে তো কাল দেখাই গেল।
সালাহ উদ্দীন দাবি করলেন, তাঁদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই, ‘দোষাদোষী, রেষারেষি না। এর মধ্যে আমরা কীভাবে ভালো করতে পারি, সেদিকে লক্ষ রাখা উচিত। প্রস্তুতির দিক থেকে বলি, একটা জাতীয় দলের যতটুকু প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল, সিলেটে এসে আমরা সেটা নিয়েছি। আজ প্রস্তুতি কাজে লাগাতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে ফেরার সময় সালাহ উদ্দীনকে অবশ্য মনে করিয়ে দেওয়া হলো, বাংলাদেশের ক্রিকেট কাঠামোর চেয়ে জিম্বাবুয়ের কাঠামো আরও দুর্বল। সেই জিম্বাবুয়ে ভালো খেলছে কীভাবে? আপাতত এই প্রশ্নের জবাব নেই সালাহ উদ্দীনের কাছে।
আইপিএলে ঘরের মাঠে ছন্নছাড়া রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিপরীত চিত্র প্রতিপক্ষের মাঠে। ঘরের মাঠে ২ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারা বেঙ্গালুরু আজ পাঞ্জাব কিংসকে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলে নিয়েছে পঞ্চম জয়। এমন জয়ের দিনে জোড়া রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন বিরাট কোহলি।
১ ঘণ্টা আগেএএইচএফ কাপে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। প্রথম ম্যাচে কাজাখস্তানকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেয় পুষ্কর ক্ষিসা মিমোর দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়াকে হারাতে গিয়ে ঘাম ছুটে গেল। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছে ম্যাচ। কিন্তু শেষ মিনিটে ফজলে রাব্বির গোলে ৩-২ ব্যবধানের রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে...
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বকাপে দল সংখ্যা বাড়ানো আলোচনা উঠেছে আবারও। ২০২৬ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেবে ৪৮ দল। তবে ২০৩০ বিশ্বকাপে দল সংখ্যা বাড়িয়ে ৬৪ করার প্রস্তাব দিয়েছে লাতিন আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশন। প্রস্তাবটি বিশ্লেষণের পর্যায়ে রেখেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। তবে বিশ্বকাপ ৬৪ দলের হলে আয়োজনে কোনো সমস্যা...
৫ ঘণ্টা আগেডায়েরির পাতার পাশে সাঁটানো হলুদ এক চিরকুটে লেখা, ‘২০২৫ এর ঐ বছর শেষ হবার আগে আমার সেঞ্চুরি থাকবে ৫০ টা।’ উপরে তারিখটি ছিল ৮ এপ্রিল, ২০১৪। ১১ বছর আগে নিজের করা সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্যিতে রূপ দিলেন এনামুল হক বিজয়। স্বীকৃত ক্রিকেটে তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫০ সেঞ্চুরির মালিক হলেন..
৫ ঘণ্টা আগে