নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কমনওয়েলথ গেমসের বাছাই পর্বে জাহানারা আলম না থাকায় বিস্মিত হয়েছিলেন সবাই। সেই টুর্নামেন্ট শেষ হতেই জাহানারকে ফিরিয়ে আনল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসি)। দেশের নারীদের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিশনে জায়গা পেয়েছেন ২৮ বছর বয়সী পেসার।
আজ রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্বকাপের ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বোর্ড। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কমনওয়েলথ বাছাইয়ে উপেক্ষিত জাহানারার ফেরা ছাড়া তেমন কোনো চমক নেই দলে। মালয়েশিয়া থেকে ফেরা সবাই যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলতে।
আগামী ৪ মার্চ শুরু হবে নারীদের ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। পরদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু বাংলাদেশের অভিযান।
কমনওয়েলথ গেমসের মূল পর্বে খেলার স্বপ্নপূরণ হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম তিন ম্যাচ জিতলেও শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যান নিগার-সালমারা। হতাশা নিয়ে ফেরেন দেশে। ঢাকায় ফিরলেও তাঁদের ছুটিতে যাওয়ার সুযোগ নেই। আগামীকাল থেকেই মিরপুরের বিসিবি একাডেমি মাঠে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু করবেন তাঁরা।
কুয়ালামপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পর পুরো দলই আছে একসঙ্গে। আগামীকাল সকালে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। সবার ফল নেগেটিভ এলেই শুরু হবে বিশ্বকাপের ক্যাম্প। আজকের পত্রিকাকে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির নারী বিভাগের ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ। বলেছেন, ‘মালয়েশিয়া থেকে ফেরার পর আমরা কাউকে ছাড়িনি। সবাই দলের সঙ্গেই আছে। আগামীকাল দলের প্রত্যেকের কোভিড পরীক্ষা হবে। এরপর বিশ্বকাপের ক্যাম্প শুরু করব।’
বাংলাদেশ দল
নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), সালমা খাতুন, জাহানারা আলম, রুমানা আহমেদ, ফারজানা হক পিংকি, শামীমা সুলতানা, ফাহিমা খাতুন, ঋতু মণি, মুর্শিদা খাতুন, নাহিদা আক্তার, শারমিন আক্তার সুপ্তা, লতা মন্ডল, সোবহানা মোস্তারি, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, সুরাইয়া আজমিন ও সানজিদা আক্তার মেঘলা।

কমনওয়েলথ গেমসের বাছাই পর্বে জাহানারা আলম না থাকায় বিস্মিত হয়েছিলেন সবাই। সেই টুর্নামেন্ট শেষ হতেই জাহানারকে ফিরিয়ে আনল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসি)। দেশের নারীদের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিশনে জায়গা পেয়েছেন ২৮ বছর বয়সী পেসার।
আজ রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্বকাপের ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বোর্ড। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কমনওয়েলথ বাছাইয়ে উপেক্ষিত জাহানারার ফেরা ছাড়া তেমন কোনো চমক নেই দলে। মালয়েশিয়া থেকে ফেরা সবাই যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলতে।
আগামী ৪ মার্চ শুরু হবে নারীদের ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। পরদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু বাংলাদেশের অভিযান।
কমনওয়েলথ গেমসের মূল পর্বে খেলার স্বপ্নপূরণ হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম তিন ম্যাচ জিতলেও শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যান নিগার-সালমারা। হতাশা নিয়ে ফেরেন দেশে। ঢাকায় ফিরলেও তাঁদের ছুটিতে যাওয়ার সুযোগ নেই। আগামীকাল থেকেই মিরপুরের বিসিবি একাডেমি মাঠে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু করবেন তাঁরা।
কুয়ালামপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পর পুরো দলই আছে একসঙ্গে। আগামীকাল সকালে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। সবার ফল নেগেটিভ এলেই শুরু হবে বিশ্বকাপের ক্যাম্প। আজকের পত্রিকাকে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির নারী বিভাগের ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ। বলেছেন, ‘মালয়েশিয়া থেকে ফেরার পর আমরা কাউকে ছাড়িনি। সবাই দলের সঙ্গেই আছে। আগামীকাল দলের প্রত্যেকের কোভিড পরীক্ষা হবে। এরপর বিশ্বকাপের ক্যাম্প শুরু করব।’
বাংলাদেশ দল
নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), সালমা খাতুন, জাহানারা আলম, রুমানা আহমেদ, ফারজানা হক পিংকি, শামীমা সুলতানা, ফাহিমা খাতুন, ঋতু মণি, মুর্শিদা খাতুন, নাহিদা আক্তার, শারমিন আক্তার সুপ্তা, লতা মন্ডল, সোবহানা মোস্তারি, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, সুরাইয়া আজমিন ও সানজিদা আক্তার মেঘলা।

আগের দিনই রোহিত শর্মাকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান বাবর আজম। এবার বিরাট কোহলিকেও পেছনে ফেললেন এই তারকা ব্যাটার। টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ফিফটির মালিক এখন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
১৫ মিনিট আগে
আগামী ফেব্রুয়ারিতে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। সংক্ষিপ্ততম বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে নিজেদের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজ খেলবে কিউইরা। সিরিজটির জন্য দল দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এনজজেডসি) নির্বাচক প্যানেল। যথারীতি নেতৃত্বে আছেন মিচেল সান্টনার।
১ ঘণ্টা আগে
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ আগে কখনো ধবলধোলাই হয়নি, তা তো নয়। তবে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে যেভাবে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ, তাতে লজ্জার চেয়ে চিন্তাই যেন বাড়ছে। চিন্তাটা ব্যাটিং নিয়ে। তিন মাস পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে ব্যাটাররা যেভাবে ‘ঘুমিয়ে’ পড়েছেন, উদ্বেগ বাড়াই স্বাভাবিক।
১ ঘণ্টা আগে
মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আগের দিনই রোহিত শর্মাকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান বাবর আজম। এবার বিরাট কোহলিকেও পেছনে ফেললেন এই তারকা ব্যাটার। টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ফিফটির মালিক এখন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে ২–১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে সালমান আলী আগার দল। এর আগে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল প্রোটিয়ারা। এর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে টানা দুই জয় তুলে নিয়ে ট্রফি রেখে দিল পাকিস্তান।
প্রথম দুই টি–টোয়েন্টি শেষে ১–১ সমতা থাকায় শেষ ম্যাচটি অলিখিত ফাইনালে রূপ নেয়। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্বাগতিকদের জয়ের নায়ক বাবর। দল জেতানোর পথে ৬৮ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি। ৯ চার সাজানো তাঁর ৪৭ বলের ইনিংস। স্ট্রাইকরেট ১৪৪.৬৮। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এটা বাবরের ৪০ তম ফিফটি। ৩৯ তম ফিফটি নিয়ে এতোদিন কোহলির সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে রেকর্ডটা এককভাবে নিজের করে নিলেন বাবর।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বোলাররাই পাকিস্তানের জয়ের ভীত গড়ে দেয়। শাহিন শাহ আফ্রিদি, উসমান তারিকদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আগে ব্যাট করে ১৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। রেজা হেনরিকস ৩৪, করবিন বশ ৩০ ও ডনোভান ফেরেইরা করেন ২৯ রান। ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন আফ্রিদি। তারিক ও ফাহিম আশরাফ সমান দুটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন।
জবাবে ৬ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। ফিফটি করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন বাবর। দ্বিতীয় সেরা ৩৩ রান এনে দেন অধিনায়ক সালমান।

আগের দিনই রোহিত শর্মাকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান বাবর আজম। এবার বিরাট কোহলিকেও পেছনে ফেললেন এই তারকা ব্যাটার। টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ফিফটির মালিক এখন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে ২–১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে সালমান আলী আগার দল। এর আগে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল প্রোটিয়ারা। এর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে টানা দুই জয় তুলে নিয়ে ট্রফি রেখে দিল পাকিস্তান।
প্রথম দুই টি–টোয়েন্টি শেষে ১–১ সমতা থাকায় শেষ ম্যাচটি অলিখিত ফাইনালে রূপ নেয়। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্বাগতিকদের জয়ের নায়ক বাবর। দল জেতানোর পথে ৬৮ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি। ৯ চার সাজানো তাঁর ৪৭ বলের ইনিংস। স্ট্রাইকরেট ১৪৪.৬৮। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এটা বাবরের ৪০ তম ফিফটি। ৩৯ তম ফিফটি নিয়ে এতোদিন কোহলির সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে রেকর্ডটা এককভাবে নিজের করে নিলেন বাবর।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বোলাররাই পাকিস্তানের জয়ের ভীত গড়ে দেয়। শাহিন শাহ আফ্রিদি, উসমান তারিকদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আগে ব্যাট করে ১৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। রেজা হেনরিকস ৩৪, করবিন বশ ৩০ ও ডনোভান ফেরেইরা করেন ২৯ রান। ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন আফ্রিদি। তারিক ও ফাহিম আশরাফ সমান দুটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন।
জবাবে ৬ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। ফিফটি করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন বাবর। দ্বিতীয় সেরা ৩৩ রান এনে দেন অধিনায়ক সালমান।

কমনওয়েলথ গেমসের বাছাই পর্বে জাহানারা আলম না থাকায় বিস্মিত হয়েছিলেন সবাই। সেই টুর্নামেন্ট শেষ হতেই জাহানারকে ফিরিয়ে আনল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসি)। দেশের নারীদের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিশনে জায়গা পেয়েছেন ২৮ বছর বয়সী পেসার।
২৮ জানুয়ারি ২০২২
আগামী ফেব্রুয়ারিতে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। সংক্ষিপ্ততম বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে নিজেদের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজ খেলবে কিউইরা। সিরিজটির জন্য দল দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এনজজেডসি) নির্বাচক প্যানেল। যথারীতি নেতৃত্বে আছেন মিচেল সান্টনার।
১ ঘণ্টা আগে
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ আগে কখনো ধবলধোলাই হয়নি, তা তো নয়। তবে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে যেভাবে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ, তাতে লজ্জার চেয়ে চিন্তাই যেন বাড়ছে। চিন্তাটা ব্যাটিং নিয়ে। তিন মাস পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে ব্যাটাররা যেভাবে ‘ঘুমিয়ে’ পড়েছেন, উদ্বেগ বাড়াই স্বাভাবিক।
১ ঘণ্টা আগে
মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আগামী ফেব্রুয়ারিতে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। সংক্ষিপ্ততম বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে নিজেদের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজ খেলবে কিউইরা। সিরিজটির জন্য দল দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এনজজেডসি) নির্বাচক প্যানেল। যথারীতি নেতৃত্বে আছেন মিচেল সান্টনার।
দলে ফেরানো হয়েছে কাইল জেমিসন ও ইশ সোধিকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ছিলেন জেমিসন। চোটের কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে এই দীর্ঘদেহী পেসারকে বাদ দেওয়া হয়। এক সিরিজ পরই অপেক্ষা ফুরাল জেমিসন।
সোধির টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার অপেক্ষাটাও দীর্ঘ হলো না। এই তারকা স্পিনারকে ছাড়াই গত মাসের প্রথম সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সংস্করণে ৩ ম্যাচের সিরিজ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। এক সিরিজ বাদে টি–টোয়েন্টি দলে ফেরানো হলো তাঁকে। মূলত উপমহাদেশের কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলে ফেরানো হয়েছে সোধিকে।
টি-টোয়েন্টি অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন নাথান স্মিথ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে অভিষেকের পর ক্যারিয়ারের শুরুতেই আশা দেখাচ্ছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ভালো করলে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবেন তিনি। চোটের কারণে দলে রাখা হয়নি ম্যাট হেনরি, ফিন অ্যালেন, লকি ফার্গুসন, অ্যাডাম মিলনে, গ্লেন ফিলিপস, বেন সিয়ার্সদের মতো ক্রিকেটারদের।
নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে আগামী ৫ নভেম্বর। ৬, ৯, ১০ ও ১৩ নভেম্বর সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো মাঠে গড়াবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি দল: মিচেল সান্টনার (অধিনায়ক), মাইকেল ব্রেসওয়েল, ডেভন কনওয়ে, জাকারি ফোকস, কাইল জেমিসন, ড্যারেল মিচেল, জিমি নিশাম, টিম রবিনসন, টিম সাইফার্ট, ইশ সোধি, জ্যাকব ডাফি, রাচিন রবীন্দ্র, মার্ক চাপম্যান, নাথান স্মিথ।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। সংক্ষিপ্ততম বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে নিজেদের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজ খেলবে কিউইরা। সিরিজটির জন্য দল দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এনজজেডসি) নির্বাচক প্যানেল। যথারীতি নেতৃত্বে আছেন মিচেল সান্টনার।
দলে ফেরানো হয়েছে কাইল জেমিসন ও ইশ সোধিকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ছিলেন জেমিসন। চোটের কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে এই দীর্ঘদেহী পেসারকে বাদ দেওয়া হয়। এক সিরিজ পরই অপেক্ষা ফুরাল জেমিসন।
সোধির টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার অপেক্ষাটাও দীর্ঘ হলো না। এই তারকা স্পিনারকে ছাড়াই গত মাসের প্রথম সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সংস্করণে ৩ ম্যাচের সিরিজ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। এক সিরিজ বাদে টি–টোয়েন্টি দলে ফেরানো হলো তাঁকে। মূলত উপমহাদেশের কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলে ফেরানো হয়েছে সোধিকে।
টি-টোয়েন্টি অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন নাথান স্মিথ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে অভিষেকের পর ক্যারিয়ারের শুরুতেই আশা দেখাচ্ছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ভালো করলে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবেন তিনি। চোটের কারণে দলে রাখা হয়নি ম্যাট হেনরি, ফিন অ্যালেন, লকি ফার্গুসন, অ্যাডাম মিলনে, গ্লেন ফিলিপস, বেন সিয়ার্সদের মতো ক্রিকেটারদের।
নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে আগামী ৫ নভেম্বর। ৬, ৯, ১০ ও ১৩ নভেম্বর সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো মাঠে গড়াবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি দল: মিচেল সান্টনার (অধিনায়ক), মাইকেল ব্রেসওয়েল, ডেভন কনওয়ে, জাকারি ফোকস, কাইল জেমিসন, ড্যারেল মিচেল, জিমি নিশাম, টিম রবিনসন, টিম সাইফার্ট, ইশ সোধি, জ্যাকব ডাফি, রাচিন রবীন্দ্র, মার্ক চাপম্যান, নাথান স্মিথ।

কমনওয়েলথ গেমসের বাছাই পর্বে জাহানারা আলম না থাকায় বিস্মিত হয়েছিলেন সবাই। সেই টুর্নামেন্ট শেষ হতেই জাহানারকে ফিরিয়ে আনল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসি)। দেশের নারীদের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিশনে জায়গা পেয়েছেন ২৮ বছর বয়সী পেসার।
২৮ জানুয়ারি ২০২২
আগের দিনই রোহিত শর্মাকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান বাবর আজম। এবার বিরাট কোহলিকেও পেছনে ফেললেন এই তারকা ব্যাটার। টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ফিফটির মালিক এখন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
১৫ মিনিট আগে
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ আগে কখনো ধবলধোলাই হয়নি, তা তো নয়। তবে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে যেভাবে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ, তাতে লজ্জার চেয়ে চিন্তাই যেন বাড়ছে। চিন্তাটা ব্যাটিং নিয়ে। তিন মাস পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে ব্যাটাররা যেভাবে ‘ঘুমিয়ে’ পড়েছেন, উদ্বেগ বাড়াই স্বাভাবিক।
১ ঘণ্টা আগে
মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ আগে কখনো ধবলধোলাই হয়নি, তা তো নয়। তবে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে যেভাবে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ, তাতে লজ্জার চেয়ে চিন্তাই যেন বাড়ছে। চিন্তাটা ব্যাটিং নিয়ে। তিন মাস পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে ব্যাটাররা যেভাবে ‘ঘুমিয়ে’ পড়েছেন, উদ্বেগ বাড়াই স্বাভাবিক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ধবলধোলাইয়ের ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলছিলেন, ‘একসঙ্গে একাধিক ক্রিকেটার ছন্দ হারিয়ে ফেললে এ রকম ফলই হবে। আরও দুই-একটা ব্যাটার রানে থাকলে ফল অন্যরকম হতে পারত।’ ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের রানখরার একটা চিত্র তুলে ধরা যাক। পুরো টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। ৩ ম্যাচে ৫৫ গড়ে ১৬৫ রান করে তিনি শুধু বাংলাদেশ দলেরই নয়, সিরিজেরই সেরা ব্যাটার। কিন্তু তাঁর সঙ্গে সতীর্থদের দূরত্বটা দেখুন। এই সিরিজে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা ব্যাটার হচ্ছেন পেসার তানজিম সাকিব, যাঁর রান ৪১। দলের ব্যাটিং স্তম্ভ তাওহীদ হৃদয়, সাইফ হাসান, লিটন দাসের রান ৩ ম্যাচে ৪০ পেরোতে পারেনি।
দলের ব্যাটারদের ছন্দ নিয়ে চিন্তিত মনে হলো সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনকে। গতকাল আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না। ব্যাটিং আরেকটু ভালো করতে হবে। যে সিরিজগুলো জিতেছি, সেখানেও খুব যে ভালো ব্যাটিং হয়েছে, তা নয়। আমাদের বোলাররা খুব ভালো করছে বলে জিতে গেছি। এখন আমাদের বোলাররা যে বোলিংটা করছে, এটা বিশ্বমানের বলব। তবে ব্যাটিং ভালো না করলে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে ভালো করা কঠিন। ইম্প্যাক্টফুল ব্যাটিং একজন করছে, বাকিরা করছে না। এটা আমাদের ব্যাটিংয়ের অনেকটা প্যাটার্ন হয়ে যাচ্ছে। বড় খেলায় একজনের ইম্প্যাক্টফুল ইনিংস দিয়ে তো হবে না। একসঙ্গে দুই-তিনজনের ইম্প্যাক্টফুল ইনিংস লাগবে।’
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে গতকাল মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সর্বশেষ সিরিজটায় আমাদের একটু ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ল। টানা চারটি সিরিজ জিতেছে আমাদের দল। সেখানে কিছু ছেদ ঘটল। এটা কিছুটা হতাশার। যে ধারায় ছিল দল, আরও ফল আশা করেছিলাম। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে যে রান করার সুযোগ ছিল, সেটা আমরা করতে পারিনি। ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি, কিছুটা উদ্বেগের। মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারে রান পাচ্ছিলাম, যেটা এবার পাইনি।’ ব্যর্থতার পেছনে টানা সূচি সামনে এনেছেন ফাহিম, ‘অনেক ক্রিকেটার টানা ক্রিকেট খেলছি, কিছুটা বিশ্রাম দরকার। এটা কিছুতেই অজুহাত নয়।’
তবে ফাহিম কিছুতেই মনে করেন না ক্যারিবীয়দের কাছে ধবলধোলাই হয়ে এলোমেলো হয়ে গেছে, ‘দল এলোমেলো হয়ে গেছে বিষয়টা এমন কিছু না। এই দলটাই তো টানা চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে। অনেক দিন পর একটা (টি-টোয়েন্টি) সিরিজ হারল, মনে হয় না তারা এলোমেলো।’ সিরিজে ব্যর্থ হলেও হাবিবুল বাশার সুমনও ফাহিমের সুরেই বলেছেন, ‘বেশি ক্রিটিক্যাল হতে চাই না। কিছুদিন আগে এ দলটাই চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল। একটা সিরিজ হেরেছে বলে গেল-গেল রব তোলাও ঠিক না। ফাহিম মনে করেন, এ মাসে আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে ১০-১২ দিনের বিরতিতেই সতেজ হয়ে উঠবে দল, ‘সামনে যে বিরতি পাব, আশা করি তাতে আমরা আবার উঠে দাঁড়াতে পারব।’
উঠে দাঁড়ানোর আগে ব্যাটিংয়ের কিছু জায়গায় সমাধান খুঁজতে হবে বাংলাদেশ দলকে। বিশেষ করে জাকের আলীর মতো তরুণ মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যাটিংয়ের টেকনিক প্রশ্নবিদ্ধ। তরুণদের ব্যর্থতার ব্যাখ্যায় ফাহিম বলেছেন, ‘কেউ যখন নতুন আসে, তখন ফ্রি-মাইন্ডে খেলতে পারে। তাদের ব্যাপারে প্রতিপক্ষ দলেরও কম জানাশোনা থাকে। ধীরে ধীরে সাফল্য একটা প্রত্যাশা তৈরি করে। প্রতিপক্ষ দলও তাদের নিয়ে অনেক গবেষণা করে। সব মিলিয়ে একধরনের চাপ তৈরি হয়। মান ভালো থাকলে তারা পথ তৈরি করে নিতে পারে। আশা করি জাকের আলীও সেটা পারবে।’

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ আগে কখনো ধবলধোলাই হয়নি, তা তো নয়। তবে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে যেভাবে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ, তাতে লজ্জার চেয়ে চিন্তাই যেন বাড়ছে। চিন্তাটা ব্যাটিং নিয়ে। তিন মাস পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে ব্যাটাররা যেভাবে ‘ঘুমিয়ে’ পড়েছেন, উদ্বেগ বাড়াই স্বাভাবিক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ধবলধোলাইয়ের ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলছিলেন, ‘একসঙ্গে একাধিক ক্রিকেটার ছন্দ হারিয়ে ফেললে এ রকম ফলই হবে। আরও দুই-একটা ব্যাটার রানে থাকলে ফল অন্যরকম হতে পারত।’ ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের রানখরার একটা চিত্র তুলে ধরা যাক। পুরো টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। ৩ ম্যাচে ৫৫ গড়ে ১৬৫ রান করে তিনি শুধু বাংলাদেশ দলেরই নয়, সিরিজেরই সেরা ব্যাটার। কিন্তু তাঁর সঙ্গে সতীর্থদের দূরত্বটা দেখুন। এই সিরিজে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা ব্যাটার হচ্ছেন পেসার তানজিম সাকিব, যাঁর রান ৪১। দলের ব্যাটিং স্তম্ভ তাওহীদ হৃদয়, সাইফ হাসান, লিটন দাসের রান ৩ ম্যাচে ৪০ পেরোতে পারেনি।
দলের ব্যাটারদের ছন্দ নিয়ে চিন্তিত মনে হলো সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনকে। গতকাল আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না। ব্যাটিং আরেকটু ভালো করতে হবে। যে সিরিজগুলো জিতেছি, সেখানেও খুব যে ভালো ব্যাটিং হয়েছে, তা নয়। আমাদের বোলাররা খুব ভালো করছে বলে জিতে গেছি। এখন আমাদের বোলাররা যে বোলিংটা করছে, এটা বিশ্বমানের বলব। তবে ব্যাটিং ভালো না করলে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে ভালো করা কঠিন। ইম্প্যাক্টফুল ব্যাটিং একজন করছে, বাকিরা করছে না। এটা আমাদের ব্যাটিংয়ের অনেকটা প্যাটার্ন হয়ে যাচ্ছে। বড় খেলায় একজনের ইম্প্যাক্টফুল ইনিংস দিয়ে তো হবে না। একসঙ্গে দুই-তিনজনের ইম্প্যাক্টফুল ইনিংস লাগবে।’
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে গতকাল মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সর্বশেষ সিরিজটায় আমাদের একটু ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ল। টানা চারটি সিরিজ জিতেছে আমাদের দল। সেখানে কিছু ছেদ ঘটল। এটা কিছুটা হতাশার। যে ধারায় ছিল দল, আরও ফল আশা করেছিলাম। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে যে রান করার সুযোগ ছিল, সেটা আমরা করতে পারিনি। ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি, কিছুটা উদ্বেগের। মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারে রান পাচ্ছিলাম, যেটা এবার পাইনি।’ ব্যর্থতার পেছনে টানা সূচি সামনে এনেছেন ফাহিম, ‘অনেক ক্রিকেটার টানা ক্রিকেট খেলছি, কিছুটা বিশ্রাম দরকার। এটা কিছুতেই অজুহাত নয়।’
তবে ফাহিম কিছুতেই মনে করেন না ক্যারিবীয়দের কাছে ধবলধোলাই হয়ে এলোমেলো হয়ে গেছে, ‘দল এলোমেলো হয়ে গেছে বিষয়টা এমন কিছু না। এই দলটাই তো টানা চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে। অনেক দিন পর একটা (টি-টোয়েন্টি) সিরিজ হারল, মনে হয় না তারা এলোমেলো।’ সিরিজে ব্যর্থ হলেও হাবিবুল বাশার সুমনও ফাহিমের সুরেই বলেছেন, ‘বেশি ক্রিটিক্যাল হতে চাই না। কিছুদিন আগে এ দলটাই চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল। একটা সিরিজ হেরেছে বলে গেল-গেল রব তোলাও ঠিক না। ফাহিম মনে করেন, এ মাসে আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে ১০-১২ দিনের বিরতিতেই সতেজ হয়ে উঠবে দল, ‘সামনে যে বিরতি পাব, আশা করি তাতে আমরা আবার উঠে দাঁড়াতে পারব।’
উঠে দাঁড়ানোর আগে ব্যাটিংয়ের কিছু জায়গায় সমাধান খুঁজতে হবে বাংলাদেশ দলকে। বিশেষ করে জাকের আলীর মতো তরুণ মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যাটিংয়ের টেকনিক প্রশ্নবিদ্ধ। তরুণদের ব্যর্থতার ব্যাখ্যায় ফাহিম বলেছেন, ‘কেউ যখন নতুন আসে, তখন ফ্রি-মাইন্ডে খেলতে পারে। তাদের ব্যাপারে প্রতিপক্ষ দলেরও কম জানাশোনা থাকে। ধীরে ধীরে সাফল্য একটা প্রত্যাশা তৈরি করে। প্রতিপক্ষ দলও তাদের নিয়ে অনেক গবেষণা করে। সব মিলিয়ে একধরনের চাপ তৈরি হয়। মান ভালো থাকলে তারা পথ তৈরি করে নিতে পারে। আশা করি জাকের আলীও সেটা পারবে।’

কমনওয়েলথ গেমসের বাছাই পর্বে জাহানারা আলম না থাকায় বিস্মিত হয়েছিলেন সবাই। সেই টুর্নামেন্ট শেষ হতেই জাহানারকে ফিরিয়ে আনল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসি)। দেশের নারীদের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিশনে জায়গা পেয়েছেন ২৮ বছর বয়সী পেসার।
২৮ জানুয়ারি ২০২২
আগের দিনই রোহিত শর্মাকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান বাবর আজম। এবার বিরাট কোহলিকেও পেছনে ফেললেন এই তারকা ব্যাটার। টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ফিফটির মালিক এখন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
১৫ মিনিট আগে
আগামী ফেব্রুয়ারিতে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। সংক্ষিপ্ততম বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে নিজেদের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজ খেলবে কিউইরা। সিরিজটির জন্য দল দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এনজজেডসি) নির্বাচক প্যানেল। যথারীতি নেতৃত্বে আছেন মিচেল সান্টনার।
১ ঘণ্টা আগে
মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার।
২ ঘণ্টা আগে
মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার। এর আগে পেরোতে হবে আন্তর্জাতিক মাস্টারের পথ। সেসব নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ২১ বছর বয়সী ফিদেমাস্টার নোশিন আনজুম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ—
আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা

প্রশ্ন: জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হলেন, তিন শিরোপার মধ্যে কোনটি এগিয়ে রাখবেন?
নোশিন আনজুম: প্রথমবার। আসলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা স্পেশাল, ওটা কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তবে এবারেরটা কঠিন ছিল। ১২ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৯ জনই তরুণ ছিল এবং সবার রেটিং প্রায় কাছাকাছি। তো এমন একটা অবস্থা ছিল, যে কেউ যে কারোর সঙ্গে হারতে পারে। তাই আমার মনে হয়েছিল যে এবার একটু কঠিন ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেহেতু সামনে অলিম্পিয়াড আছে, সুতরাং জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আসলে।
প্রশ্ন: আপনার খেলায় সিসিলিয়ান ডিফেন্স কৌশলের ছাপ দেখা যায়?
নোশিন: আসলে সিসিলিয়ান কৌশলে আমি এই টুর্নামেন্টে প্রথম খেলেছি। দাবার ১০ বছরের ক্যারিয়ারে আমি রুই লোপেজ কৌশলে খেলেছি। সিসিলিয়ান কৌশলে শুরু করেছি, দেখা যাক সামনে কেমন করি। সিসিলিয়ান দেখতে ভালো লাগে আরকি। কিন্তু আমি ওই রকম ভালো খেলিনি কখনো। আমি আসলে ভার্সেটাইল খেলোয়াড়।
প্রশ্ন: আপনি অনেকটা সময় নেন, তারপরই আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করেন...
নোশিন: হ্যাঁ, শুরুতে আক্রমণাত্মক থাকলে সেটা অনেক সময় বিফলে যায়। আগে নিজের পজিশন বুঝে নিতে হয় এবং আক্রমণের সুযোগ থাকলে তখন আক্রমণে যাওয়া উচিত। না হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
প্রশ্ন: আপনার খেলার ধরনে ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন আছে কি না?
নোশিন: মানুষ বলে যে আমি শান্তশিষ্ট। তো খেলার বোর্ডে আমি এ রকমই থাকার চেষ্টা করি। খেলোয়াড়েরা বলেছে যে আমি বোর্ডে এত কুল থাকি কীভাবে? আসলে ভেতরে ভেতরে কিন্তু অনেক নার্ভাস থাকি, সেটা দেখাই না আরকি।
প্রশ্ন: নার্ভাসনেসটা কীভাবে সামলান?
নোশিন: আমি খেলার দুই-এক দিন আগে থেকে মানে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করি। নিজেকে নিজে কথা বলা। মোটিভেট করা। কিছু বিশেষ বিষয় খেলার আগে মাথায় রাখা। খেলার মাঝখানে হাঁটাহাঁটি করা। চা-কফি খাওয়া। এগুলোর ফলে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। মেডিটেশনও হেল্প করে অনেকটা।
প্রশ্ন: ওয়ালিজার বিপক্ষে সপ্তম রাউন্ডে কালো ঘুঁটি ছিল আপনার। ৮৯ চালের পর জেতার অনুভূতিটা কেমন ছিল?
নোশিন: ম্যাচে জেতার সুবাস আমি পাই অনেক আগেই। কিন্তু তা কনভার্ট করা অতটা সহজ ছিল না। কাপাব্লাঙ্কা গেম আমাকে এখানে সহায়তা করেছে। কালো ঘুঁটি নিয়ে বিশেষ করে জেতাটা কঠিন। এটা অন্যতম কঠিন রাউন্ড ছিল আমার জন্য।
প্রশ্ন: গুকেশ দোম্মারাজু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন, ফেসবুকে দেখলাম। তাঁকেই কি আদর্শ মানেন?
নোশিন: তাঁর গেম সেন্সটা নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করি। আমার আসলে বর্তমান খেলোয়াড়দের থেকে পুরোনো খেলোয়াড়দেরই ভালো লাগে বেশি। তাঁদের খেলা ফলো করি, বই পড়ি। বিশেষ করে কাপাব্লাঙ্কা (সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন) গেম আমার প্রিয়। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যেও আমি তাঁর বই পড়েছি। তিনি তো এন্ডগেমের মাস্টার ছিলেন। আমার পক্ষে তো মাস্টার হওয়া সম্ভব না, কিন্তু তাঁর মতো সরলতা রাখার চেষ্টা করতাম।
প্রশ্ন: ‘কুইন গ্যাম্বিট’ ওয়েব সিরিজটা নিশ্চয় দেখেছেন। সেখানে নিজের মধ্যে কি কোনো মিল খুঁজে পান?
নোশিন: অনেক প্রেরণাদায়ক একটা সিরিজ আসলে। কয়েক দিন আগেও আবার দেখেছি নিজেকে মোটিভেট করার জন্য। নারী খেলোয়াড়দের অনেকে অবহেলা করে। আসলে ছেলেরা ভাবে যে আমরা তাদের সঙ্গে পারবই না। কুইন গ্যাম্বিটে যেটা দেখায়, মেয়ে হয়েও সে ওপেন লেভেলে যেভাবে লড়াই করে এবং তো ওইটা অনেক প্রেরণাদায়ক আমার কাছে। আমিও চাই ওপেন লেভেলে এ রকম লড়াই করতে, রেটিং বাড়াতে চাই।
প্রশ্ন: মেয়েরা কোথায় পিছিয়ে আছে?
নোশিন: আমাদের দেশে এমনিতে নারী খেলোয়াড় কম। ওপেন টুর্নামেন্ট হলে আসলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করে না। ৪০ ছেলের মধ্যে হয়তো ৫ নারী খেলোয়াড় থাকে। তো মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আমাদের ফেডারেশনের ভেন্যুটা ছোট। ছোট জায়গায় আসলে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের খেলা একটু অস্বস্তিকর হতে পারে।
প্রশ্ন: প্রতিপক্ষের খেলা বোঝার জন্য আপনি কোন জিনিসগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি নজর দেন?
নোশিন: খেলার আগে ওই প্রতিপক্ষের গেমগুলো ভালোভাবে ফলো করি। সে অ্যাটাকিং নাকি পজিশনাল খেলোয়াড়, সে কী ধরনের ভুল করে থাকে; সেসব
মাথায় রেখে খেলার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: আপনার জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত কোনটা ছিল? যেটা পেরিয়ে আজকের নোশিন হয়ে উঠলেন?
নোশিন: প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা। কারণ সেবার আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। কোয়ালিফাই করাটা আমার কাছে অনেক কঠিন ছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আসলে প্রত্যাশার বাইরে ছিল। আর সেটাও চ্যাম্পিয়ন হয়েও গেলাম।
প্রশ্ন: আপনি এখনো আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে পারেননি, বিষয়টা কতটুকু হতাশার?
নোশিন: হতাশার তো অবশ্যই। কারণ যেমনটা উন্নতি করার দরকার ছিল, সেটা করতে পারিনি। আক্ষেপ তো লাগেই। আশা করি শিগগির পারব। নিজেকে ৫-৬ বছরের মধ্যে গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে দেখতে চাই।
প্রশ্ন: মহিলা দাবাড়ুদের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?
নোশিন: আসলে দাবা খ্যাতি লাভ না করলে দেশে ভবিষ্যৎ নেই বলতে গেলে। কারণ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার পরও এখানে সেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না, যা অন্য দেশে দেওয়া হয়। দুই-তিন বছর আগেও দাবায় একটা গ্ল্যামার ছিল।
প্রশ্ন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আপনি। দাবায় তা কীভাবে কাজে লাগে আপনার?
নোশিন: আসলে নিজের ইচ্ছাতেই আমি এই বিষয়ে পড়ছি। দাবায় তো আমাদের ফিটনেসের ব্যাপার আছে। খাবারদাবার মেইনটেইন করা, কী কী খাব আর কী কী খাব না। এগুলো নিজের মধ্যে জানা থাকে। তাই খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াটা আমার জন্য বেশ সহায়ক।
প্রশ্ন: জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হলেন, তিন শিরোপার মধ্যে কোনটি এগিয়ে রাখবেন?
নোশিন আনজুম: প্রথমবার। আসলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা স্পেশাল, ওটা কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তবে এবারেরটা কঠিন ছিল। ১২ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৯ জনই তরুণ ছিল এবং সবার রেটিং প্রায় কাছাকাছি। তো এমন একটা অবস্থা ছিল, যে কেউ যে কারোর সঙ্গে হারতে পারে। তাই আমার মনে হয়েছিল যে এবার একটু কঠিন ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেহেতু সামনে অলিম্পিয়াড আছে, সুতরাং জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আসলে।
প্রশ্ন: আপনার খেলায় সিসিলিয়ান ডিফেন্স কৌশলের ছাপ দেখা যায়?
নোশিন: আসলে সিসিলিয়ান কৌশলে আমি এই টুর্নামেন্টে প্রথম খেলেছি। দাবার ১০ বছরের ক্যারিয়ারে আমি রুই লোপেজ কৌশলে খেলেছি। সিসিলিয়ান কৌশলে শুরু করেছি, দেখা যাক সামনে কেমন করি। সিসিলিয়ান দেখতে ভালো লাগে আরকি। কিন্তু আমি ওই রকম ভালো খেলিনি কখনো। আমি আসলে ভার্সেটাইল খেলোয়াড়।
প্রশ্ন: আপনি অনেকটা সময় নেন, তারপরই আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করেন...
নোশিন: হ্যাঁ, শুরুতে আক্রমণাত্মক থাকলে সেটা অনেক সময় বিফলে যায়। আগে নিজের পজিশন বুঝে নিতে হয় এবং আক্রমণের সুযোগ থাকলে তখন আক্রমণে যাওয়া উচিত। না হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
প্রশ্ন: আপনার খেলার ধরনে ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন আছে কি না?
নোশিন: মানুষ বলে যে আমি শান্তশিষ্ট। তো খেলার বোর্ডে আমি এ রকমই থাকার চেষ্টা করি। খেলোয়াড়েরা বলেছে যে আমি বোর্ডে এত কুল থাকি কীভাবে? আসলে ভেতরে ভেতরে কিন্তু অনেক নার্ভাস থাকি, সেটা দেখাই না আরকি।
প্রশ্ন: নার্ভাসনেসটা কীভাবে সামলান?
নোশিন: আমি খেলার দুই-এক দিন আগে থেকে মানে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করি। নিজেকে নিজে কথা বলা। মোটিভেট করা। কিছু বিশেষ বিষয় খেলার আগে মাথায় রাখা। খেলার মাঝখানে হাঁটাহাঁটি করা। চা-কফি খাওয়া। এগুলোর ফলে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। মেডিটেশনও হেল্প করে অনেকটা।
প্রশ্ন: ওয়ালিজার বিপক্ষে সপ্তম রাউন্ডে কালো ঘুঁটি ছিল আপনার। ৮৯ চালের পর জেতার অনুভূতিটা কেমন ছিল?
নোশিন: ম্যাচে জেতার সুবাস আমি পাই অনেক আগেই। কিন্তু তা কনভার্ট করা অতটা সহজ ছিল না। কাপাব্লাঙ্কা গেম আমাকে এখানে সহায়তা করেছে। কালো ঘুঁটি নিয়ে বিশেষ করে জেতাটা কঠিন। এটা অন্যতম কঠিন রাউন্ড ছিল আমার জন্য।
প্রশ্ন: গুকেশ দোম্মারাজু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন, ফেসবুকে দেখলাম। তাঁকেই কি আদর্শ মানেন?
নোশিন: তাঁর গেম সেন্সটা নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করি। আমার আসলে বর্তমান খেলোয়াড়দের থেকে পুরোনো খেলোয়াড়দেরই ভালো লাগে বেশি। তাঁদের খেলা ফলো করি, বই পড়ি। বিশেষ করে কাপাব্লাঙ্কা (সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন) গেম আমার প্রিয়। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যেও আমি তাঁর বই পড়েছি। তিনি তো এন্ডগেমের মাস্টার ছিলেন। আমার পক্ষে তো মাস্টার হওয়া সম্ভব না, কিন্তু তাঁর মতো সরলতা রাখার চেষ্টা করতাম।
প্রশ্ন: ‘কুইন গ্যাম্বিট’ ওয়েব সিরিজটা নিশ্চয় দেখেছেন। সেখানে নিজের মধ্যে কি কোনো মিল খুঁজে পান?
নোশিন: অনেক প্রেরণাদায়ক একটা সিরিজ আসলে। কয়েক দিন আগেও আবার দেখেছি নিজেকে মোটিভেট করার জন্য। নারী খেলোয়াড়দের অনেকে অবহেলা করে। আসলে ছেলেরা ভাবে যে আমরা তাদের সঙ্গে পারবই না। কুইন গ্যাম্বিটে যেটা দেখায়, মেয়ে হয়েও সে ওপেন লেভেলে যেভাবে লড়াই করে এবং তো ওইটা অনেক প্রেরণাদায়ক আমার কাছে। আমিও চাই ওপেন লেভেলে এ রকম লড়াই করতে, রেটিং বাড়াতে চাই।
প্রশ্ন: মেয়েরা কোথায় পিছিয়ে আছে?
নোশিন: আমাদের দেশে এমনিতে নারী খেলোয়াড় কম। ওপেন টুর্নামেন্ট হলে আসলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করে না। ৪০ ছেলের মধ্যে হয়তো ৫ নারী খেলোয়াড় থাকে। তো মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আমাদের ফেডারেশনের ভেন্যুটা ছোট। ছোট জায়গায় আসলে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের খেলা একটু অস্বস্তিকর হতে পারে।
প্রশ্ন: প্রতিপক্ষের খেলা বোঝার জন্য আপনি কোন জিনিসগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি নজর দেন?
নোশিন: খেলার আগে ওই প্রতিপক্ষের গেমগুলো ভালোভাবে ফলো করি। সে অ্যাটাকিং নাকি পজিশনাল খেলোয়াড়, সে কী ধরনের ভুল করে থাকে; সেসব
মাথায় রেখে খেলার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: আপনার জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত কোনটা ছিল? যেটা পেরিয়ে আজকের নোশিন হয়ে উঠলেন?
নোশিন: প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা। কারণ সেবার আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। কোয়ালিফাই করাটা আমার কাছে অনেক কঠিন ছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আসলে প্রত্যাশার বাইরে ছিল। আর সেটাও চ্যাম্পিয়ন হয়েও গেলাম।
প্রশ্ন: আপনি এখনো আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে পারেননি, বিষয়টা কতটুকু হতাশার?
নোশিন: হতাশার তো অবশ্যই। কারণ যেমনটা উন্নতি করার দরকার ছিল, সেটা করতে পারিনি। আক্ষেপ তো লাগেই। আশা করি শিগগির পারব। নিজেকে ৫-৬ বছরের মধ্যে গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে দেখতে চাই।
প্রশ্ন: মহিলা দাবাড়ুদের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?
নোশিন: আসলে দাবা খ্যাতি লাভ না করলে দেশে ভবিষ্যৎ নেই বলতে গেলে। কারণ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার পরও এখানে সেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না, যা অন্য দেশে দেওয়া হয়। দুই-তিন বছর আগেও দাবায় একটা গ্ল্যামার ছিল।
প্রশ্ন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আপনি। দাবায় তা কীভাবে কাজে লাগে আপনার?
নোশিন: আসলে নিজের ইচ্ছাতেই আমি এই বিষয়ে পড়ছি। দাবায় তো আমাদের ফিটনেসের ব্যাপার আছে। খাবারদাবার মেইনটেইন করা, কী কী খাব আর কী কী খাব না। এগুলো নিজের মধ্যে জানা থাকে। তাই খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াটা আমার জন্য বেশ সহায়ক।

কমনওয়েলথ গেমসের বাছাই পর্বে জাহানারা আলম না থাকায় বিস্মিত হয়েছিলেন সবাই। সেই টুর্নামেন্ট শেষ হতেই জাহানারকে ফিরিয়ে আনল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসি)। দেশের নারীদের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিশনে জায়গা পেয়েছেন ২৮ বছর বয়সী পেসার।
২৮ জানুয়ারি ২০২২
আগের দিনই রোহিত শর্মাকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান বাবর আজম। এবার বিরাট কোহলিকেও পেছনে ফেললেন এই তারকা ব্যাটার। টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ফিফটির মালিক এখন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
১৫ মিনিট আগে
আগামী ফেব্রুয়ারিতে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। সংক্ষিপ্ততম বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে নিজেদের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজ খেলবে কিউইরা। সিরিজটির জন্য দল দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এনজজেডসি) নির্বাচক প্যানেল। যথারীতি নেতৃত্বে আছেন মিচেল সান্টনার।
১ ঘণ্টা আগে
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ আগে কখনো ধবলধোলাই হয়নি, তা তো নয়। তবে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে যেভাবে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ, তাতে লজ্জার চেয়ে চিন্তাই যেন বাড়ছে। চিন্তাটা ব্যাটিং নিয়ে। তিন মাস পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে ব্যাটাররা যেভাবে ‘ঘুমিয়ে’ পড়েছেন, উদ্বেগ বাড়াই স্বাভাবিক।
১ ঘণ্টা আগে