নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুবাই থেকে গতকাল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে ফিরেছে বাংলাদেশ। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ এখানে। আগামী পরশুর সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচে জিততে হবে বাংলাদেশকে।
এমন কঠিন এক ম্যাচে বাংলাদেশের স্বস্তির জায়গা হলো, ম্যাচটি হচ্ছে রাওয়ালপিন্ডিতে। গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এই ভেন্যুতে দুই টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। যে ধবলধোলাইকে দেশটির সাবেকেরা পাকিস্তান ক্রিকেট তলানিতে এসে পড়ার সঙ্গে মিলিয়েছেন। সেই সিরিজ জয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের উজ্জ্বলতম অধ্যায়ও।
সেই টেস্ট সিরিজ জয়ের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে সেই সাফল্যের কথা মাথায় রেখে যদি রাওয়ালপিন্ডিকে ‘পয়া’ ভেন্যু ভাবতে পারেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্তরা; তাতে লাভ বাংলাদেশেরই। পাঁচ মাস আগে টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে ধবলধোলাইয়ের সেই সুখস্মৃতি এখনই ভুলে যাওয়ার কথা নয় শান্তদের। পরশু দুবাইয়ে ভারতের কাছে হারের পর শান্ত বললেন, ‘আমরা সম্প্রতি পাকিস্তানে খেলেছি। তাই রাওয়ালপিন্ডির কন্ডিশনে ছেলেরা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে।’
শান্তদের মাথায় এখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পাকিস্তান পর্ব। তবে চাইলেই কি পরশুর ভারত ম্যাচের কথা ভুলে যাওয়া যায়। ৩৫ রানে ৫ উইকেটের পতন—বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার পুরোনো ভূতকেই সামনে নিয়ে এসেছে। ফিল্ডিংয়ের সময় হয়েছে পিচ্ছিল হাতের প্রদর্শনীও। প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে রানআউটের সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন ফিল্ডাররা।
এত হতাশার মধ্যেও ভারত ম্যাচে বাংলাদেশের ইতিবাচক দিক তাওহীদ হৃদয়ের হৃদয় নিংড়ে দিয়ে খেলে পাওয়া সেঞ্চুরি। ৩৫ রানে ৫ উইকেট পতনের পর জাকের আলী অনিককে নিয়ে হৃদয় ১৫৪ রানের জুটি না গড়লে, তিনি রানের তিন অঙ্কে পা না রাখলে হয়তো অল্প রানে গুটিয়ে যেত বাংলাদেশ। স্কোরকে ২০০-এর ওপরে নিয়েও বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি, এটা ঠিক। তবে ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে জাকের-হৃদয়ের প্রতিরোধ, বিরুদ্ধস্রোতে দাঁড়িয়েও হৃদয়ের সেঞ্চুরি দলের মধ্যে এই বিশ্বাস হয়তো সঞ্চারিত করেছে—সবকিছু ঠিক থাকলে জিততেও পারতাম আমরা।
‘পয়া’ ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডকে পাওয়ায় আশার সঞ্চার হতে পারে দলে। ২০১৭ সালে হওয়া আগের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। কার্ডিফে হওয়া সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ২৬৫ রান ১৬ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই দলের ছয় ক্রিকেটার রয়েছেন এবারের বাংলাদেশ দলে।
যদিও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অতীত রেকর্ড খুব ভালো নয় বাংলাদেশের। ওয়ানডেতে ৪৫ সাক্ষাতের ৩৩ বার জিতেছে নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ ১১ বার। নিউজিল্যান্ডকে হারাতে হলে গত ম্যাচের সব ভুল শুধরে নামতে হবে মাঠে। দলের টপ ও মিডল অর্ডার খুব কম সময় একই সঙ্গে ক্লিক করে। সমস্যা বোলিংয়েও; মাঝের ওভারে উইকেট পান না বোলাররা। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না পারলে দলের ‘চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।
ভারত ম্যাচে আশার জায়গা তৈরি করেছেন তাওহীদ হৃদয়। ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকিয়েও আক্ষেপ শোনা গেছে তাঁর কণ্ঠে, ‘আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। তবে দল হেরে যাওয়ায় সব বৃথা মনে হচ্ছে। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ, তবে মন খারাপ। হয়তো আমি আরেকটু ভালো খেললে দল উপকৃত হতো। পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চাই, যত কষ্ট হোক না কেন।’ হৃদয়ের এই ‘ঘুরে দাঁড়ানো’র অঙ্গীকারটা হোক সবার।
দুবাই থেকে গতকাল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে ফিরেছে বাংলাদেশ। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ এখানে। আগামী পরশুর সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচে জিততে হবে বাংলাদেশকে।
এমন কঠিন এক ম্যাচে বাংলাদেশের স্বস্তির জায়গা হলো, ম্যাচটি হচ্ছে রাওয়ালপিন্ডিতে। গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এই ভেন্যুতে দুই টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। যে ধবলধোলাইকে দেশটির সাবেকেরা পাকিস্তান ক্রিকেট তলানিতে এসে পড়ার সঙ্গে মিলিয়েছেন। সেই সিরিজ জয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের উজ্জ্বলতম অধ্যায়ও।
সেই টেস্ট সিরিজ জয়ের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে সেই সাফল্যের কথা মাথায় রেখে যদি রাওয়ালপিন্ডিকে ‘পয়া’ ভেন্যু ভাবতে পারেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্তরা; তাতে লাভ বাংলাদেশেরই। পাঁচ মাস আগে টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে ধবলধোলাইয়ের সেই সুখস্মৃতি এখনই ভুলে যাওয়ার কথা নয় শান্তদের। পরশু দুবাইয়ে ভারতের কাছে হারের পর শান্ত বললেন, ‘আমরা সম্প্রতি পাকিস্তানে খেলেছি। তাই রাওয়ালপিন্ডির কন্ডিশনে ছেলেরা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে।’
শান্তদের মাথায় এখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পাকিস্তান পর্ব। তবে চাইলেই কি পরশুর ভারত ম্যাচের কথা ভুলে যাওয়া যায়। ৩৫ রানে ৫ উইকেটের পতন—বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার পুরোনো ভূতকেই সামনে নিয়ে এসেছে। ফিল্ডিংয়ের সময় হয়েছে পিচ্ছিল হাতের প্রদর্শনীও। প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে রানআউটের সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন ফিল্ডাররা।
এত হতাশার মধ্যেও ভারত ম্যাচে বাংলাদেশের ইতিবাচক দিক তাওহীদ হৃদয়ের হৃদয় নিংড়ে দিয়ে খেলে পাওয়া সেঞ্চুরি। ৩৫ রানে ৫ উইকেট পতনের পর জাকের আলী অনিককে নিয়ে হৃদয় ১৫৪ রানের জুটি না গড়লে, তিনি রানের তিন অঙ্কে পা না রাখলে হয়তো অল্প রানে গুটিয়ে যেত বাংলাদেশ। স্কোরকে ২০০-এর ওপরে নিয়েও বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি, এটা ঠিক। তবে ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে জাকের-হৃদয়ের প্রতিরোধ, বিরুদ্ধস্রোতে দাঁড়িয়েও হৃদয়ের সেঞ্চুরি দলের মধ্যে এই বিশ্বাস হয়তো সঞ্চারিত করেছে—সবকিছু ঠিক থাকলে জিততেও পারতাম আমরা।
‘পয়া’ ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডকে পাওয়ায় আশার সঞ্চার হতে পারে দলে। ২০১৭ সালে হওয়া আগের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। কার্ডিফে হওয়া সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ২৬৫ রান ১৬ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই দলের ছয় ক্রিকেটার রয়েছেন এবারের বাংলাদেশ দলে।
যদিও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অতীত রেকর্ড খুব ভালো নয় বাংলাদেশের। ওয়ানডেতে ৪৫ সাক্ষাতের ৩৩ বার জিতেছে নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ ১১ বার। নিউজিল্যান্ডকে হারাতে হলে গত ম্যাচের সব ভুল শুধরে নামতে হবে মাঠে। দলের টপ ও মিডল অর্ডার খুব কম সময় একই সঙ্গে ক্লিক করে। সমস্যা বোলিংয়েও; মাঝের ওভারে উইকেট পান না বোলাররা। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না পারলে দলের ‘চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।
ভারত ম্যাচে আশার জায়গা তৈরি করেছেন তাওহীদ হৃদয়। ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকিয়েও আক্ষেপ শোনা গেছে তাঁর কণ্ঠে, ‘আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। তবে দল হেরে যাওয়ায় সব বৃথা মনে হচ্ছে। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ, তবে মন খারাপ। হয়তো আমি আরেকটু ভালো খেললে দল উপকৃত হতো। পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চাই, যত কষ্ট হোক না কেন।’ হৃদয়ের এই ‘ঘুরে দাঁড়ানো’র অঙ্গীকারটা হোক সবার।
ব্যাটিং ধস বাংলাদেশ দলের কাছে নতুন আর কী! দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে সেই একই দৃশ্য দেখা গেছে। নিমেষেই অদৃশ্য হয়ে গেল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের পরে মান বাঁচিয়েছে তাওহীদ হৃদয় আর জাকের আলীর অনবদ্য ব্যাটিং। তাতেও অবশ্য বড় স্কোর গড়া হয়নি। বাংলাদেশ
৩ ঘণ্টা আগে৫১ বছর পর ঘরের মাঠে কাবাডি টেস্ট সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে নেপালকে সেভাবে লড়াইয়ের সুযোগই দেয়নি মিজানুর রহমানের দল। পাঁচটি লোনাসহ ৫৩-২৯ পয়েন্ট ব্যবধানে জিতে ম্যাট ছাড়ে তারা।
৩ ঘণ্টা আগেলাহোরে হাইভোল্টেজ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রানের ইতিহাস গড়ল ইংল্যান্ড। বেন ডাকেটের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসের সৌজন্যে আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ৩৫১ রান তুলেছে তারা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে/সর্বোচ্চ স্কোরও এটি। এত দিন সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ছিল ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের করা ৩৪৭।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছিল ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব। আজ আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষেও তেমন কিছুরই ইঙ্গিত দেয় তারা। কিন্তু স্বপ্ন বিনষ্ট হয় অচিরেই। শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও আবাহনী মাঠ ছাড়ে ৬-১ গোলের বড় জয় নিয়ে। দিনের আরেক ম্যাচে
৪ ঘণ্টা আগে