অনলাইন ডেস্ক
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে বাংলাদেশ দল এখন দুবাইয়ে। যাওয়ার আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া! সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। আইসিসির টুর্নামেন্টে ওটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার সত্যি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য রাখে এই দল? উত্তর খুঁজেছেন সাবেক তিন অধিনায়ক—হাবিবুল বাশার সুমন, খালেদ মাসুদ পাইলট ও মোহাম্মদ আশরাফুল
আমাদের অনেক রান করতে হবে
বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টটা কঠিন হবে। বাংলাদেশের গ্রুপটা খুবই শক্তিশালী। অন্য গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে চোটে কিছু ক্রিকেটার পাওয়া যাচ্ছে না, যারা ভালো এ সংস্করণে। তবে বাংলাদেশ গ্রুপে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক পাকিস্তান অনেক শক্তিশালী দল। বাংলাদেশের কাছে ফ্ল্যাট উইকেট সব সময় চ্যালেঞ্জিং। যে উইকেটে বোলারদের সুবিধা থাকে, সেটা আমাদের জন্য ভালো হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান, ভারতে যে ওয়ানডে সিরিজ হচ্ছে, অনেক রান হচ্ছে। ফল নিজেদের দিকে আনতে চাইলে বাংলাদেশকে অনেক রান করতে হবে।
দলে লিটন দাস থাকলে ভালো হতো। সে আইসিসি ইভেন্টে ভালো খেলে। আমরা লিটনের বিষয়ে আরেকটু অপেক্ষা করতে পারতাম। এখানে অভিজ্ঞতার আলাদা দাম থাকে।
যাহোক, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের রেকর্ড খুব ভালো। দলের সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে, তারা পারবে। তাদের সে সামর্থ্য রয়েছে। আমরা যদি কোথাও খেলতে যাই, তখন যদি আমরা নিজেদের ছোট ভাবি, খেলায় আত্মবিশ্বাস কম থাকে, তাহলে খেলার আগেই আমরা হেরে গেছি। আমাদের লক্ষ্য থাকা উচিত, আমরা জিতব। প্রতিপক্ষ বোলিং-ব্যাটিংয়ে যতই শক্তিশালী হোক না কেন, আগে নিজের ওপর বিশ্বাস আনা গুরুত্বপূর্ণ। যাবতীয় চিন্তা ঝেড়ে ফেলে এই মানসিকতা আনতে হবে যে আমরা আমাদের প্রতিপক্ষকে হারাব।
চ্যাম্পিয়ন হতে অন্তত ৪ ম্যাচ জেতা লাগবে
বাংলাদেশ দল নিয়ে আমার প্রত্যাশা খুব বেশি না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেওয়া সব দলই শিরোপা জয়ের সামর্থ্য রাখে। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে অন্তত চারটি ম্যাচ জিততে হবে—গ্রুপ পর্বের তিনটি ও সেমিফাইনাল। তবে ক্রিকেট এমন খেলা, যেখানে মাঠের পারফরম্যান্সই আসল। কাগজ-কলমে যতই শক্তিশালী হোক, জয় নির্ধারিত হবে মাঠের খেলায়।
প্রত্যেককে নিজের জায়গা থেকে সেরাটা দিতে হবে। দুবাইয়ের উইকেট পাকিস্তানের মতোই হতে পারে, যেখানে ৩০০ পেরোনো স্কোর গড়ে ম্যাচ জিততে হবে। যদিও দুবাইয়ের উইকেট কিছুটা ধীরগতির, তবু বর্তমান সময়ে ৩০০ রান স্বাভাবিক ব্যাপার। ভারত ও পাকিস্তান নিয়মিত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলছে, এটা তাদের এগিয়ে রাখবে। বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছে টি-টোয়েন্টি, যা প্রস্তুতির দিক থেকে আদর্শ নয়।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা এক্সপ্রেস পেসার, বাকিদের খুব বেশি গতি নেই ও বৈচিত্র্যপূর্ণও নয়। অথচ প্রতিপক্ষের সব দলের স্কোয়াডেই চার-পাঁচটি বিশ্বমানের বোলার থাকবে। তারা ৩০০ বলের মধ্যে অন্তত ৬০টি ডেলিভারি নিখুঁত জায়গায় করতে পারবে। আমাদের বোলাররা কতটি সঠিক জায়গায় ফেলতে পারবে? এখানেই পার্থক্য গড়ে দেবে।
সেমিতে উঠতে দুই দলকে হারাতেই হবে
বাংলাদেশের ভালো খেলার সামর্থ্য আছে, তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে বলা কঠিন। তবে বিশ্বাস রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি বিশ্বাস না থাকে, তাহলে মাঠে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকবে। প্রতিপক্ষ কে, কোথায় খেলা হচ্ছে—এসব নিয়ে ভাবলে চলবে না। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরাটা দিতে হবে। প্রতিটি ম্যাচে অর্ধেক সুযোগগুলোও কাজে লাগাতে হবে। যেহেতু এটি ছোট পরিসরের একটি টুর্নামেন্ট এবং সেরা দলগুলোই অংশ নিচ্ছে, তাই সবাই ভুল কম করবে। বাংলাদেশকে নিশ্চিত করতে হবে, যখন সুযোগ আসবে, তখন তা কাজে লাগিয়ে নিজেদের পক্ষে নিতে পারবে।
দলটি আমার ভালোই মনে হয়েছে, বিকল্প খুব বেশি ছিল না। বাংলাদেশের জন্য কাজটা কঠিন। ২০১৭ সালে যখন বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলেছিল, তখন কেউ সেটা কল্পনাও করেনি। একটি ম্যাচ জিতে এবং একটি ম্যাচ ড্র করে দল সেমিফাইনালে উঠেছিল। এবারও তেমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয় কি না, তা বলা কঠিন। তবে সেমিফাইনালে যেতে হলে বড় তিন প্রতিপক্ষের মধ্যে অন্তত দুই দলকে হারাতেই হবে।
বাংলাদেশের গ্রুপটা কঠিন। তবে কঠিন কাজকে যদি প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে ভেবে সহজ করে নেওয়া যায়, তাহলে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে সেই পথ তৈরি করতে হবে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে বাংলাদেশ দল এখন দুবাইয়ে। যাওয়ার আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া! সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। আইসিসির টুর্নামেন্টে ওটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার সত্যি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য রাখে এই দল? উত্তর খুঁজেছেন সাবেক তিন অধিনায়ক—হাবিবুল বাশার সুমন, খালেদ মাসুদ পাইলট ও মোহাম্মদ আশরাফুল
আমাদের অনেক রান করতে হবে
বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টটা কঠিন হবে। বাংলাদেশের গ্রুপটা খুবই শক্তিশালী। অন্য গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে চোটে কিছু ক্রিকেটার পাওয়া যাচ্ছে না, যারা ভালো এ সংস্করণে। তবে বাংলাদেশ গ্রুপে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক পাকিস্তান অনেক শক্তিশালী দল। বাংলাদেশের কাছে ফ্ল্যাট উইকেট সব সময় চ্যালেঞ্জিং। যে উইকেটে বোলারদের সুবিধা থাকে, সেটা আমাদের জন্য ভালো হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান, ভারতে যে ওয়ানডে সিরিজ হচ্ছে, অনেক রান হচ্ছে। ফল নিজেদের দিকে আনতে চাইলে বাংলাদেশকে অনেক রান করতে হবে।
দলে লিটন দাস থাকলে ভালো হতো। সে আইসিসি ইভেন্টে ভালো খেলে। আমরা লিটনের বিষয়ে আরেকটু অপেক্ষা করতে পারতাম। এখানে অভিজ্ঞতার আলাদা দাম থাকে।
যাহোক, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের রেকর্ড খুব ভালো। দলের সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে, তারা পারবে। তাদের সে সামর্থ্য রয়েছে। আমরা যদি কোথাও খেলতে যাই, তখন যদি আমরা নিজেদের ছোট ভাবি, খেলায় আত্মবিশ্বাস কম থাকে, তাহলে খেলার আগেই আমরা হেরে গেছি। আমাদের লক্ষ্য থাকা উচিত, আমরা জিতব। প্রতিপক্ষ বোলিং-ব্যাটিংয়ে যতই শক্তিশালী হোক না কেন, আগে নিজের ওপর বিশ্বাস আনা গুরুত্বপূর্ণ। যাবতীয় চিন্তা ঝেড়ে ফেলে এই মানসিকতা আনতে হবে যে আমরা আমাদের প্রতিপক্ষকে হারাব।
চ্যাম্পিয়ন হতে অন্তত ৪ ম্যাচ জেতা লাগবে
বাংলাদেশ দল নিয়ে আমার প্রত্যাশা খুব বেশি না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেওয়া সব দলই শিরোপা জয়ের সামর্থ্য রাখে। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে অন্তত চারটি ম্যাচ জিততে হবে—গ্রুপ পর্বের তিনটি ও সেমিফাইনাল। তবে ক্রিকেট এমন খেলা, যেখানে মাঠের পারফরম্যান্সই আসল। কাগজ-কলমে যতই শক্তিশালী হোক, জয় নির্ধারিত হবে মাঠের খেলায়।
প্রত্যেককে নিজের জায়গা থেকে সেরাটা দিতে হবে। দুবাইয়ের উইকেট পাকিস্তানের মতোই হতে পারে, যেখানে ৩০০ পেরোনো স্কোর গড়ে ম্যাচ জিততে হবে। যদিও দুবাইয়ের উইকেট কিছুটা ধীরগতির, তবু বর্তমান সময়ে ৩০০ রান স্বাভাবিক ব্যাপার। ভারত ও পাকিস্তান নিয়মিত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলছে, এটা তাদের এগিয়ে রাখবে। বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছে টি-টোয়েন্টি, যা প্রস্তুতির দিক থেকে আদর্শ নয়।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা এক্সপ্রেস পেসার, বাকিদের খুব বেশি গতি নেই ও বৈচিত্র্যপূর্ণও নয়। অথচ প্রতিপক্ষের সব দলের স্কোয়াডেই চার-পাঁচটি বিশ্বমানের বোলার থাকবে। তারা ৩০০ বলের মধ্যে অন্তত ৬০টি ডেলিভারি নিখুঁত জায়গায় করতে পারবে। আমাদের বোলাররা কতটি সঠিক জায়গায় ফেলতে পারবে? এখানেই পার্থক্য গড়ে দেবে।
সেমিতে উঠতে দুই দলকে হারাতেই হবে
বাংলাদেশের ভালো খেলার সামর্থ্য আছে, তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে বলা কঠিন। তবে বিশ্বাস রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি বিশ্বাস না থাকে, তাহলে মাঠে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকবে। প্রতিপক্ষ কে, কোথায় খেলা হচ্ছে—এসব নিয়ে ভাবলে চলবে না। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরাটা দিতে হবে। প্রতিটি ম্যাচে অর্ধেক সুযোগগুলোও কাজে লাগাতে হবে। যেহেতু এটি ছোট পরিসরের একটি টুর্নামেন্ট এবং সেরা দলগুলোই অংশ নিচ্ছে, তাই সবাই ভুল কম করবে। বাংলাদেশকে নিশ্চিত করতে হবে, যখন সুযোগ আসবে, তখন তা কাজে লাগিয়ে নিজেদের পক্ষে নিতে পারবে।
দলটি আমার ভালোই মনে হয়েছে, বিকল্প খুব বেশি ছিল না। বাংলাদেশের জন্য কাজটা কঠিন। ২০১৭ সালে যখন বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলেছিল, তখন কেউ সেটা কল্পনাও করেনি। একটি ম্যাচ জিতে এবং একটি ম্যাচ ড্র করে দল সেমিফাইনালে উঠেছিল। এবারও তেমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয় কি না, তা বলা কঠিন। তবে সেমিফাইনালে যেতে হলে বড় তিন প্রতিপক্ষের মধ্যে অন্তত দুই দলকে হারাতেই হবে।
বাংলাদেশের গ্রুপটা কঠিন। তবে কঠিন কাজকে যদি প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে ভেবে সহজ করে নেওয়া যায়, তাহলে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে সেই পথ তৈরি করতে হবে।
ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে পার করছে দুঃসময়। কিন্তু প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হলে তারাও যেন হালে পানি পায়। সিলেট টেস্টে প্রথম দুই দিনই দাপট দেখিয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে লিড নেয় তারা ৮২ রানের। দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৭ রানে ১ উইকেট বাংলাদেশের।
৯ ঘণ্টা আগেসিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে কিছুটা স্বস্তি বাংলাদেশ শিবিরে। যদিও এখনো পিছিয়ে আছে ২৫ রানে। ৮২ রানের লিড মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই মাত্র ১৩ রানে কাটা পড়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তবে দিন শেষে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হকের ব্যাটে অপরাজিত ৪৪ রানের জুটিতে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ দল।
১০ ঘণ্টা আগেটেস্টে প্রথম দিনটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সিলেট টেস্টে প্রথম দিনটাই ভালো যায়নি বাংলাদেশের। ফলে আজ দ্বিতীয় দিনও তারা শেষ করেছে পিছিয়ে থেকে। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ঘূর্ণি জাদু ও শেষ বিকেলে মাহমুদুল হাসান জয়-মুমিনুল হকের ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছে স্বাগতিকেরা।
১১ ঘণ্টা আগেসিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে কাল আবারও ব্যাটিংয়ে নামবে স্বাগতিকেরা। মুমিনুল হক ১৫ ও মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ রানে অপরাজিত আছেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ওপেনিং জুটি বড় হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ১৩ রানে ফেরেন সাদমান
১২ ঘণ্টা আগে