Ajker Patrika

জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ খুইয়ে বাংলাদেশের ধবলধোলাইটাই শুধু বাকি

আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২২, ২১: ৪৬
জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ খুইয়ে বাংলাদেশের ধবলধোলাইটাই শুধু বাকি

সিকান্দার রাজা যখন ব্যক্তিগত ৪২ রানে তখন রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দলের রান তখন ৪ উইকেটে ১০৯। এরপর রেজিস চাকাভাকে নিয়ে রাজা যা করলেন তাতেই বাংলাদেশের হার নিশ্চিত হয়ে গেল। ৫ উইকেটের এই হারে নিশ্চিত হয়ে গেল সিরিজ হারও। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ঘরের মাঠে সিরিজ জিতল স্বাগতিকেরা। 

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল রাজা আর কাইয়ার ১৯২ রানের জুটির কাছে। আর এই ম্যাচে বাংলাদেশ হারল চাকাভা-রাজার রেকর্ড ২০১ রানের জুটির কাছে। দলীয় ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে জুটি বেধেছিলেন এই দুজন। ২৫০ রানে চাকাভা (১০২) যখন মিরাজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ম্যাচ ততক্ষণে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। রাজা-চাকাভার এই জুটি যেকোনো উইকেটে জিম্বাবুয়ের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি আর পঞ্চম উইকেটে এটাই সর্বোচ্চ। এই জুটি ভাঙার পর বাকি কাজটা অভিষিক্ত টনি মুনিয়ঙ্গাকে নিয়ে সারেন রাজা। প্রথম ওয়ানডের মতো এই ম্যাচেই ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই অভিজ্ঞ জিম্বাবুয়েন অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত রাজা অপরাজিত ছিলেন ১১৭ রানে। আর মুনিয়ঙ্গা অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ৩০ রান। 

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬২ রান তোলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। এক প্রান্তে আগ্রাসী ছিলেন তামিম। ৪৪ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৫ তম ফিফটি পূর্ণ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর অবশ্য ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি তামিম। ১১ তম ওভারে টানাকা চিভাঙ্গার শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে তাকুদজোয়ানাশে কাইতানোর হাতে ধরা পড়েন। 

তামিমের আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংস বড় করতে পারেননি এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। ২৫ বলে ২০ রান করে রানআউট হন বিজয়। তানাকা চিভাঙ্গার বলে স্ট্রেট ড্রাইভ খেলেন শান্ত। বল চিভাঙ্গার হাত ছুঁয়ে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেয়। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসা বিজয় তখনো বাইরেই ছিলেন। এমন রানআউটে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন বিজয়। 

শান্ত-মুশফিকের জুটিতে তবু ২০ ওভারেই ১১৬ রান তোলে বাংলাদেশ। তবে মাঝের ওভারে রানের গতি বাড়াতে পারেননি তারা। দারুণ আঁটসাঁট বোলিং করেন অফ স্পিনার ওয়েসলি মাধহেভেরে ও পেসার লুক জঙ্গুয়ে। জঙ্গুয়ে উইকেট না পেলেও মুশফিক ও শান্তকে ফেরান মাধহেভেরে। মাধহেভেরের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে স্লগ সুইপ করে মিডউইকেটে মুনিয়োঙ্গার হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। ৩১ বলে ২৫ রান করেন তিনি। ৩৮ রান করেন শান্ত। আউট হন মাধহেভেরের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে। ১৪৮ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তোলেন আফিফ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত ৮৩ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ম্যাচে ৩০০ রানের বেশি করে হারলেও আজ বাংলাদেশ থেমেছে ২৯০ রানে। 

বোলিংয়ে অবশ্য বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল প্রত্যাশিত। প্রথম ওভারেই স্বাগতিকদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। তাকুদজোয়ানাশে কাইয়াতানো গোল্ডেন ডাকে ফেরান তিনি। নিজের পরের ওভারে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে আসা কাইয়াকেও ফেরান এই পেসার। দু’জনই উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ধরা পড়েন। 

ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানির সঙ্গে জুটি বড় করতে ব্যর্থ হন ওয়েসলি মাদহেভেরেও (২)। ১৪ রানের এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর দলীয় ৪৯ রানে তাদিওয়ানাশেকে নিজের প্রথম ওভারে ফেরান তাইজুল ইসলাম। ২৫ রান করে ফেরেন এই ওপেনার। পরের গল্পটা রাজা-চাকাভার ব্যাটিং বীরত্বের। বিপরীতে শুরুর এই ছন্দ শেষ পর্যন্ত আর ধরে রাখতে না পারায় হার মানতে হলো তামিম ইকবালদের। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত