লাইছ ত্বোহা, ঢাকা
দুই দেশের রেষারেষির গল্পে যেন কিছুতেই যতি চিহ্ন পড়ার নয়! চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান হওয়ার পর গত কয়েক মাসে কম তর্কযুদ্ধ হয়নি দুই দেশে। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলতেই যায়নি। ‘হাইব্রিড মডেলে’র সূত্র ধরে উল্টো ভারতের বিপক্ষে খেলতে দুবাইয়ে আসতে হয়েছে বাবর-রিজওয়ানদের। সংযুক্ত আরব আমিরাতে উত্তেজনা ছড়ানোর সব রসদ নিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আজ দেখা হচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের।
মরুতে ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথ নতুন কিছু নয়। আশি-নব্বইয়ের দশকে শারজার সেই ক্রিকেট-রোমাঞ্চ এখনো অনেক দর্শককে নস্টালজিয়ায় ভোগায়। এখন অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যুগে মাঠের লড়াই মাঠেই রেখে ফেরেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু লড়াইটা যখন ভারত-পাকিস্তানের, মাঠের লড়াই আর মাঠে থাকে না, সেটি পৌঁছে যায় দুই দেশের সীমান্তেও। বারুদের গন্ধ যেন ফিরে আসে বাইশ গজেও!
আজ ভারত যেমন গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে হারের বদলা নিতে চাইবে। স্বাগতিক পাকিস্তানও চাইবে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে যেভাবেই হোক ম্যাচটা জিততে। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করাচিতে অসহায় আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান। বিপরীতে ভারত বাংলাদেশকে হারিয়ে শুরু করেছে তাদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযান। সেমিফাইনালের আশা বাঁচাতে হলে বাবর-রিজওয়ানদের জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বলার অপেক্ষা রাখে না, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া পাকিস্তান তাই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে লড়বে। দুই দলের জন্য এটি আবার মর্যাদার লড়াই। এত বিতর্কের পর পাকিস্তানও নিশ্চয়ই চাইবে মোক্ষম একটা জবাব দিতে ভারতকে।
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সংস্করণে পাকিস্তান সবশেষ ম্যাচ জিতেছে ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ মিলিয়ে এরপর মুখোমুখি হয়েছে পাঁচবার—সব ম্যাচে হেরেছে পাকিস্তান। নিজেদের এই ছন্দ অক্ষুণ্ন রেখে রোহিত-বিরাট কোহলিরা সেমির পথটাই মসৃণ করে ফেলতে চাইবেন।
কিন্তু রোমাঞ্চ, আবেগ ও ইতিহাসের দোলাচলে টইটম্বুর ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথে স্নায়ুর লড়াইয়েও উতরাতে হয়। ভারতীয় ওপেনার শুবমান গিলের মতে তাই ম্যাচটি সহজ হবে না। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ভারতীয় সহ-অধিনায়ক বললেন, ‘ভারত-পাকিস্তান মানেই বড় একটা ম্যাচ। ফাইনাল হলে তো আরও বড়। আমরা ভালো খেলছি। তার মানে পাকিস্তানকে ছোট করে দেখার কোনো কারণ নেই। এই লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। লাখ লাখ মানুষ খেলা দেখেন।’
সব মিলিয়ে দুই দলের মুখোমুখি ১৩৫ ওয়ানডেতে এগিয়ে পাকিস্তান। তারা জিতেছে ৭৩ ম্যাচ, ভারত জিতেছে ৫৭ ওয়ানডেতে, পরিত্যক্ত ৫ ম্যাচ। সঙ্গে তাদের অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচ। ২০১৭ সালে ভারতকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। এমন সমৃদ্ধ পরিসংখ্যান নিয়েও পাকিস্তান দলে আছে দুশ্চিন্তা। প্রথম ম্যাচে চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন ছন্দে থাকা ওপেনার ফখর জামান। এই বাঁহাতি ব্যাটারের সেঞ্চুরিতেই গতবার ভারতকে ফাইনালে উড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান।
স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের একাদশে পরিবর্তন আসবে। ফখরের জায়গায় দেখা যেতে পারে উসমান খান বা তাঁর জায়গায় ডাক পাওয়া ইমাম-উল হকের। ভারত হয়তো জেতা ম্যাচের কম্বিনেশনই ভাঙবে না। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাইলফলকের অপেক্ষাও আছে কয়েকটি। ওয়ানডেতে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১৪ হাজার রান ছুঁতে ১৫ রান দূরে কোহলি। এ মুহূর্তে দলের চিন্তাও বাড়াচ্ছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। শেষ ছয় ওয়ানডেতে শুধু এক ফিফটি।
ছন্দ হারানো কোহলি ও অধিনায়ক রোহিতই হতে পারেন শাহিন শাহ আফ্রিদিদের বড় চ্যালেঞ্জ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে রোহিতের গড় ৫১.৩৫, কোহলির ৫২.১৫। স্বস্তিতে নেই পাকিস্তানও। দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার বাবর শেষ চার ইনিংসে এক ফিফটি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে উইকেটশূন্য শাহিন শেষ পাঁচ ওয়ানডেতে দেদার রান বিলিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধান কোচ আকিব জাভেদ অবশ্য এসব নিয়ে ভাবছেনই না, পেছনের ব্যর্থতা মুছে ফেলার সুযোগ হিসেবে দেখছেন আজকের ভারত ম্যাচকে ‘এটাই তোমরা লেখো। আমাদের ময়লা ধুয়ে ফেলতে হবে। ক্রিকেটারদের এটি পেশা। তোমরা তোমাদের কাজ করো, কখনো সিরিজ হারতেও পারো। এখানে চাপ কিসের? প্রতিটি ম্যাচ আলাদা। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের সৌন্দর্য ১০ বার জিতলেও বা ৬ বার হারলেও বদলায় না।’
দুই দেশের রেষারেষির গল্পে যেন কিছুতেই যতি চিহ্ন পড়ার নয়! চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান হওয়ার পর গত কয়েক মাসে কম তর্কযুদ্ধ হয়নি দুই দেশে। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলতেই যায়নি। ‘হাইব্রিড মডেলে’র সূত্র ধরে উল্টো ভারতের বিপক্ষে খেলতে দুবাইয়ে আসতে হয়েছে বাবর-রিজওয়ানদের। সংযুক্ত আরব আমিরাতে উত্তেজনা ছড়ানোর সব রসদ নিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আজ দেখা হচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের।
মরুতে ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথ নতুন কিছু নয়। আশি-নব্বইয়ের দশকে শারজার সেই ক্রিকেট-রোমাঞ্চ এখনো অনেক দর্শককে নস্টালজিয়ায় ভোগায়। এখন অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যুগে মাঠের লড়াই মাঠেই রেখে ফেরেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু লড়াইটা যখন ভারত-পাকিস্তানের, মাঠের লড়াই আর মাঠে থাকে না, সেটি পৌঁছে যায় দুই দেশের সীমান্তেও। বারুদের গন্ধ যেন ফিরে আসে বাইশ গজেও!
আজ ভারত যেমন গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে হারের বদলা নিতে চাইবে। স্বাগতিক পাকিস্তানও চাইবে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে যেভাবেই হোক ম্যাচটা জিততে। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করাচিতে অসহায় আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান। বিপরীতে ভারত বাংলাদেশকে হারিয়ে শুরু করেছে তাদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযান। সেমিফাইনালের আশা বাঁচাতে হলে বাবর-রিজওয়ানদের জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বলার অপেক্ষা রাখে না, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া পাকিস্তান তাই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে লড়বে। দুই দলের জন্য এটি আবার মর্যাদার লড়াই। এত বিতর্কের পর পাকিস্তানও নিশ্চয়ই চাইবে মোক্ষম একটা জবাব দিতে ভারতকে।
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সংস্করণে পাকিস্তান সবশেষ ম্যাচ জিতেছে ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ মিলিয়ে এরপর মুখোমুখি হয়েছে পাঁচবার—সব ম্যাচে হেরেছে পাকিস্তান। নিজেদের এই ছন্দ অক্ষুণ্ন রেখে রোহিত-বিরাট কোহলিরা সেমির পথটাই মসৃণ করে ফেলতে চাইবেন।
কিন্তু রোমাঞ্চ, আবেগ ও ইতিহাসের দোলাচলে টইটম্বুর ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথে স্নায়ুর লড়াইয়েও উতরাতে হয়। ভারতীয় ওপেনার শুবমান গিলের মতে তাই ম্যাচটি সহজ হবে না। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ভারতীয় সহ-অধিনায়ক বললেন, ‘ভারত-পাকিস্তান মানেই বড় একটা ম্যাচ। ফাইনাল হলে তো আরও বড়। আমরা ভালো খেলছি। তার মানে পাকিস্তানকে ছোট করে দেখার কোনো কারণ নেই। এই লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। লাখ লাখ মানুষ খেলা দেখেন।’
সব মিলিয়ে দুই দলের মুখোমুখি ১৩৫ ওয়ানডেতে এগিয়ে পাকিস্তান। তারা জিতেছে ৭৩ ম্যাচ, ভারত জিতেছে ৫৭ ওয়ানডেতে, পরিত্যক্ত ৫ ম্যাচ। সঙ্গে তাদের অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচ। ২০১৭ সালে ভারতকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। এমন সমৃদ্ধ পরিসংখ্যান নিয়েও পাকিস্তান দলে আছে দুশ্চিন্তা। প্রথম ম্যাচে চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন ছন্দে থাকা ওপেনার ফখর জামান। এই বাঁহাতি ব্যাটারের সেঞ্চুরিতেই গতবার ভারতকে ফাইনালে উড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান।
স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের একাদশে পরিবর্তন আসবে। ফখরের জায়গায় দেখা যেতে পারে উসমান খান বা তাঁর জায়গায় ডাক পাওয়া ইমাম-উল হকের। ভারত হয়তো জেতা ম্যাচের কম্বিনেশনই ভাঙবে না। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাইলফলকের অপেক্ষাও আছে কয়েকটি। ওয়ানডেতে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১৪ হাজার রান ছুঁতে ১৫ রান দূরে কোহলি। এ মুহূর্তে দলের চিন্তাও বাড়াচ্ছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। শেষ ছয় ওয়ানডেতে শুধু এক ফিফটি।
ছন্দ হারানো কোহলি ও অধিনায়ক রোহিতই হতে পারেন শাহিন শাহ আফ্রিদিদের বড় চ্যালেঞ্জ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে রোহিতের গড় ৫১.৩৫, কোহলির ৫২.১৫। স্বস্তিতে নেই পাকিস্তানও। দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার বাবর শেষ চার ইনিংসে এক ফিফটি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে উইকেটশূন্য শাহিন শেষ পাঁচ ওয়ানডেতে দেদার রান বিলিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধান কোচ আকিব জাভেদ অবশ্য এসব নিয়ে ভাবছেনই না, পেছনের ব্যর্থতা মুছে ফেলার সুযোগ হিসেবে দেখছেন আজকের ভারত ম্যাচকে ‘এটাই তোমরা লেখো। আমাদের ময়লা ধুয়ে ফেলতে হবে। ক্রিকেটারদের এটি পেশা। তোমরা তোমাদের কাজ করো, কখনো সিরিজ হারতেও পারো। এখানে চাপ কিসের? প্রতিটি ম্যাচ আলাদা। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের সৌন্দর্য ১০ বার জিতলেও বা ৬ বার হারলেও বদলায় না।’
আইপিএলে ঘরের মাঠে ছন্নছাড়া রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিপরীত চিত্র প্রতিপক্ষের মাঠে। ঘরের মাঠে ২ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারা বেঙ্গালুরু আজ পাঞ্জাব কিংসকে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলে নিয়েছে পঞ্চম জয়। এমন জয়ের দিনে জোড়া রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন বিরাট কোহলি।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল কোচ সালাহ উদ্দীনকে এখন কথা বলতে হচ্ছে যথেষ্ট রক্ষণাত্মক সুরে। আজ রোববার দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা দলের সিনিয়র সহকারী কোচকে ঘুরেফিরে কথা বলতে হলো ব্যাটিং-ব্যর্থতা নিয়ে। একটা দল টেস্টে গত এক বছরে ১৮ ইনিংসের মধ্যে ৯ বারই ২০০ রানের নিচে অ
৩ ঘণ্টা আগেএএইচএফ কাপে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। প্রথম ম্যাচে কাজাখস্তানকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেয় পুষ্কর ক্ষিসা মিমোর দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়াকে হারাতে গিয়ে ঘাম ছুটে গেল। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছে ম্যাচ। কিন্তু শেষ মিনিটে ফজলে রাব্বির গোলে ৩-২ ব্যবধানের রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে...
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বকাপে দল সংখ্যা বাড়ানো আলোচনা উঠেছে আবারও। ২০২৬ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেবে ৪৮ দল। তবে ২০৩০ বিশ্বকাপে দল সংখ্যা বাড়িয়ে ৬৪ করার প্রস্তাব দিয়েছে লাতিন আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশন। প্রস্তাবটি বিশ্লেষণের পর্যায়ে রেখেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। তবে বিশ্বকাপ ৬৪ দলের হলে আয়োজনে কোনো সমস্যা...
৫ ঘণ্টা আগে