প্রায় ৭৫ বছর আগে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের জন্য পরিসংখ্যানের নোবেল খ্যাত ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩’ পেলেন ভারতীয়-আমেরিকান গাণিতিক পরিসংখ্যানবিদ কালিয়ামপুদি রাধাকৃষ্ণ রাও। সিআর রাও নামেই তিনি বেশি পরিচিত। চলতি বছরের জুলাই মাসে কানাডার অন্টারিওতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব পরিসংখ্যান কংগ্রেসে তাঁকে পরিসংখ্যানের এই সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক পদক দেওয়া হবে।
পরিসংখ্যানে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য দুই বছর পরপর কমিটি অব প্রেসিডেন্টস অব স্ট্যাটিস্টিক্যাল সোসাইটিজ (কপসস) এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। এ পদকের সঙ্গে দেওয়া হয় ৮০ হাজার ডলার।
সিআর রাও ১৯৪৫ সালে কলকাতা গণিত সোসাইটির বুলেটিনে একটি গবেষণা প্রবন্ধ লেখেন। সেই গবেষণা প্রবন্ধের তিনটি তত্ত্ব পরিসংখ্যানসহ আধুনিক বিজ্ঞানের বহু শাখার গবেষণায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তত্ত্বগুলো হলো— ক্র্যামার-রাও লোয়ার বাউন্ড, রাও-ব্ল্যাকওয়েল থিওরেম এবং ইনফরমেশন জিওমেট্রি। তাঁর উদ্ভাবিত ওই তত্ত্বগুলো চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ ব্যবহারিক পরিসংখ্যানের বিভিন্ন খাতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তাই কপসস দ্বিবার্ষিক বিশ্ব পরিসংখ্যান কংগ্রেসে শতবর্ষী এই গণিত সাধককে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে।
এই পদকের জন্য সিআর রাওয়ের মনোনয়ন প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন স্ট্যাটিসটিকস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান গাই ন্যাসন বলেন, ‘এ পুরস্কার দেওয়া মাধ্যমে সিআর রাওয়ের উদ্ভাবিত সেই সব বৈপ্লবিক অবদানকে আমরা স্মরণ করব, যেগুলো শুধু পরিসংখ্যান নয় বরং বিজ্ঞানের বহু শাখায় মানুষের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করেছে।’
রাও উদ্ভাবিত ‘ক্র্যামার-রাও লোয়ার বাউন্ড’ তত্ত্ব ব্যবহার করে পরিসংখ্যানের বিভিন্ন মডেলে অন্তর্ভুক্ত প্যারামিটারের জন্য প্রাপ্ত নিরপেক্ষ এস্টিমেটরের ভ্যারিয়েন্স নির্ণয় করা হয়। এ ছাড়া এখন সিগন্যাল প্রসেসিং, স্পেকট্রোস্কোপি, রাডার সিস্টেম, মাল্টিপল ইমেজ রেডিওগ্রাফি, রিস্ক অ্যানালাইসিস এবং কোয়ান্টাম ফিজিকসেও এ তত্ত্বের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।
বায়াস ও ভ্যারিয়েন্স রিডাকশনের মাধ্যমে প্যারামিটারের জন্য প্রাপ্ত এস্টিমেটরকে আরও নিখুঁত করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ‘রাও-ব্ল্যাকওয়েল থিওরেম’। এই তত্ত্ব এখন সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে স্টেরিওলজি, পার্টিকেল ফিল্টারিং ও কম্পিউটেশনাল ইকোনোমেট্রিক্সে। আর ইনফরমেশন জিওমেট্রির ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে ডেটা মাইনিংয়ে। কয়েক বছর আগে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে হিগস-বোসন কণার অস্তিত্ব নিশ্চিত করতেও ইনফরমেশন জিওমেট্রির ব্যবহার করা হয়েছে।
সিআর রাও ১৯২০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে কর্ণাটকের হাদাগালির এক তেলেগু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৫ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে এমএ এবং অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে ১৯৬৩ সালে তিনি পিএইচডি লাভ করেন। এরপর তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৬৫ সালে অর্জন করেন ডিএসসি ডিগ্রি।
সিআর রাওয়ের কর্মজীবন শুরু হয় ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে। এরপর ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের ভার সামলেছেন। ভারতের জাতীয় অধ্যাপকও হয়েছেন। ভারত সরকার তাঁকে ১৯৬৮ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০০১ সালে পদ্মবিভূষণ পদকে সম্মানিত করে। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক।
প্রায় ৭৫ বছর আগে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের জন্য পরিসংখ্যানের নোবেল খ্যাত ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩’ পেলেন ভারতীয়-আমেরিকান গাণিতিক পরিসংখ্যানবিদ কালিয়ামপুদি রাধাকৃষ্ণ রাও। সিআর রাও নামেই তিনি বেশি পরিচিত। চলতি বছরের জুলাই মাসে কানাডার অন্টারিওতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব পরিসংখ্যান কংগ্রেসে তাঁকে পরিসংখ্যানের এই সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক পদক দেওয়া হবে।
পরিসংখ্যানে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য দুই বছর পরপর কমিটি অব প্রেসিডেন্টস অব স্ট্যাটিস্টিক্যাল সোসাইটিজ (কপসস) এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। এ পদকের সঙ্গে দেওয়া হয় ৮০ হাজার ডলার।
সিআর রাও ১৯৪৫ সালে কলকাতা গণিত সোসাইটির বুলেটিনে একটি গবেষণা প্রবন্ধ লেখেন। সেই গবেষণা প্রবন্ধের তিনটি তত্ত্ব পরিসংখ্যানসহ আধুনিক বিজ্ঞানের বহু শাখার গবেষণায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তত্ত্বগুলো হলো— ক্র্যামার-রাও লোয়ার বাউন্ড, রাও-ব্ল্যাকওয়েল থিওরেম এবং ইনফরমেশন জিওমেট্রি। তাঁর উদ্ভাবিত ওই তত্ত্বগুলো চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ ব্যবহারিক পরিসংখ্যানের বিভিন্ন খাতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তাই কপসস দ্বিবার্ষিক বিশ্ব পরিসংখ্যান কংগ্রেসে শতবর্ষী এই গণিত সাধককে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে।
এই পদকের জন্য সিআর রাওয়ের মনোনয়ন প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন স্ট্যাটিসটিকস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান গাই ন্যাসন বলেন, ‘এ পুরস্কার দেওয়া মাধ্যমে সিআর রাওয়ের উদ্ভাবিত সেই সব বৈপ্লবিক অবদানকে আমরা স্মরণ করব, যেগুলো শুধু পরিসংখ্যান নয় বরং বিজ্ঞানের বহু শাখায় মানুষের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করেছে।’
রাও উদ্ভাবিত ‘ক্র্যামার-রাও লোয়ার বাউন্ড’ তত্ত্ব ব্যবহার করে পরিসংখ্যানের বিভিন্ন মডেলে অন্তর্ভুক্ত প্যারামিটারের জন্য প্রাপ্ত নিরপেক্ষ এস্টিমেটরের ভ্যারিয়েন্স নির্ণয় করা হয়। এ ছাড়া এখন সিগন্যাল প্রসেসিং, স্পেকট্রোস্কোপি, রাডার সিস্টেম, মাল্টিপল ইমেজ রেডিওগ্রাফি, রিস্ক অ্যানালাইসিস এবং কোয়ান্টাম ফিজিকসেও এ তত্ত্বের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।
বায়াস ও ভ্যারিয়েন্স রিডাকশনের মাধ্যমে প্যারামিটারের জন্য প্রাপ্ত এস্টিমেটরকে আরও নিখুঁত করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ‘রাও-ব্ল্যাকওয়েল থিওরেম’। এই তত্ত্ব এখন সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে স্টেরিওলজি, পার্টিকেল ফিল্টারিং ও কম্পিউটেশনাল ইকোনোমেট্রিক্সে। আর ইনফরমেশন জিওমেট্রির ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে ডেটা মাইনিংয়ে। কয়েক বছর আগে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে হিগস-বোসন কণার অস্তিত্ব নিশ্চিত করতেও ইনফরমেশন জিওমেট্রির ব্যবহার করা হয়েছে।
সিআর রাও ১৯২০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে কর্ণাটকের হাদাগালির এক তেলেগু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৫ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে এমএ এবং অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে ১৯৬৩ সালে তিনি পিএইচডি লাভ করেন। এরপর তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৬৫ সালে অর্জন করেন ডিএসসি ডিগ্রি।
সিআর রাওয়ের কর্মজীবন শুরু হয় ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে। এরপর ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের ভার সামলেছেন। ভারতের জাতীয় অধ্যাপকও হয়েছেন। ভারত সরকার তাঁকে ১৯৬৮ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০০১ সালে পদ্মবিভূষণ পদকে সম্মানিত করে। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক।
মহাকাশে ২২০ দিন কাটিয়ে আজ রোববার ভোরে পৃথিবীতে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণতম কর্মরত মহাকাশচারী ডন পেটিট। বিশেষ এই প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তাঁর ৭০তম জন্মদিনে। রুশ মহাকাশযান সয়ুজ এমএস-২৬ চড়ে কাজাখস্তানের স্টেপ অঞ্চলে অবতরণ করেন তিনি ও তাঁর দুই রুশ সহযাত্রী আলেক্সি ওভচিনিন ও ইভান ভাগনার।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রাচীন মানবের টিকে থাকার লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ও চমকপ্রদ উপাদান খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা। ৪০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্রের বড় রকমের পরিবর্তনের সময় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির মারাত্মক প্রভাবে হুমকির মুখে পড়েছিল পৃথিবীর জীবজগৎ।
৯ ঘণ্টা আগেরাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিভা ও বিতর্কিত কর্মজীবনের জন্য পরিচিত ছিলেন। বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক আবিষ্কার করেছিলেন এই প্রত্নতত্ত্ববিদ। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় আজও উপেক্ষিত।
১ দিন আগেরঙের জগতে নতুন চমক নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা এমন একটি রং আবিষ্কার করেছেন, যা সাধারণ চোখে আগে কখনো দেখা যায়নি। এই রঙের নাম রাখা হয়েছে ‘ওলো’, যা দেখতে একধরনের গাড় সবুজাভ নীল।
১ দিন আগে