আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মানববর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা বায়োচার বা একধরনের শুষ্ক চারকোল সার সংকট মোকাবিলা, পরিবেশদূষণ হ্রাস ও জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, এটি কেবল কৃষি নয়, বরং বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা, অর্থনীতি ও ভূরাজনীতির ক্ষেত্রেও বড় পরিবর্তন আনতে সক্ষম। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে প্রিসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা বা পিএনএএস জার্নালে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, বায়োচার হলো জৈব উপাদানকে উচ্চ তাপে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি একধরনের শুষ্ক কয়লা, যা সাধারণত কৃষিজমিতে সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি মাটির উর্বরতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাতাস থেকে কার্বন অপসারণ করে কার্বন সিঙ্ক হিসেবেও কাজ করে। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, কঠিন মানববর্জ্য থেকে তৈরি বায়োচার বিশ্বের মোট বার্ষিক ফসফরাস ব্যবহার চাহিদার প্রায় ৭ শতাংশ পূরণে সক্ষম।
যদিও বায়োচার প্রক্রিয়ায় কেবল কঠিন বর্জ্য ব্যবহৃত হয়, তবে এতে প্রস্রাব থেকে সংগৃহীত পুষ্টি যোগ করা হলে উৎপাদন ক্ষমতা আরও বাড়ে। গবেষকেরা বলছেন, এতে ফসফরাসের চাহিদার ১৫ শতাংশ, নাইট্রোজেনের ১৭ শতাংশ এবং পটাশিয়ামের চাহিদার প্রায় ২৫ শতাংশ পূরণ সম্ভব।
বর্তমানে প্রক্রিয়াজাত নর্দমার পলি বা স্লাজ কৃষিজমিতে ছড়ানো হয়। কিন্তু এতে মাইক্রোপ্লাস্টিক, ভারী ধাতু, ‘ফরএভার কেমিক্যাল’ পিএফএএস, রোগজীবাণু এবং ওষুধের রাসায়নিক থাকার কারণে এটি স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। গবেষকদের মতে, বর্জ্য উৎসে আলাদা করে বায়োচার তৈরি করলে এই সমস্যাগুলো এড়ানো যায়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, বায়োচার প্রক্রিয়ায় কঠিন বর্জ্যের ওজন ও আয়তন ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ফলে এটি পরিবহনে প্রচলিত স্যুয়েজ স্লাজের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। কারণ, স্লাজে প্রচুর পানি থাকে।
বায়োচার উৎপাদনের আরেকটি বড় সুবিধা হলো—এতে পুষ্টির অনুপাত ফসলের চাহিদা অনুযায়ী সমন্বয় করা যায়। এতে অতিরিক্ত সার ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট আগাছা বৃদ্ধি ও ইউট্রোফিকেশন সমস্যাও কমানো সম্ভব। ইউট্রোফিকেশনে অতিরিক্ত পুষ্টি ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে শৈবালের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়, যা পানির অক্সিজেন ও সূর্যালোক কমিয়ে জলজ প্রাণীর জন্য হুমকি তৈরি করে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা জীব রসায়নবিদ্যার অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান লেখক ড. জোহানেস লেহমান বলেন, ‘নর্দমা নিয়ে আলোচনা নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো আকর্ষণীয় শোনায় না। কিন্তু একটি সার্কুলার ইকোনমি গড়ে তুলে সম্পদ অপচয় রোধ করাও সবুজ পরিবর্তনের অন্যতম চাবিকাঠি।’
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তসরকারি প্যানেল (আইপিসিসি) জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ২৫ শতাংশই আসে কৃষি খাত থেকে। খাদ্য উৎপাদনের বাড়তি চাপে সারের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু কৃত্রিম বা সংশ্লেষিত সার উৎপাদন পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
নাইট্রোজেন তৈরিতে ব্যবহৃত হ্যাবার প্রক্রিয়া বছরে প্রায় ২৬০ কোটি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত করে, যা বিশ্বব্যাপী বিমান ও নৌপরিবহনের সম্মিলিত নির্গমনের চেয়ে বেশি। অন্যদিকে, ফসফরাস আহরণের জন্য ফসফেট শিলা খনন প্রাকৃতিক ভূপৃষ্ঠ ধ্বংস করে এবং রেডিওঅ্যাকটিভ ফসফোজিপসাম উপজাত তৈরি করে। পটাশ খননে উৎপন্ন বর্জ্য লবণ মাটি ও মিঠাপানি দূষণের কারণ হয়।
লেহমান সতর্ক করেছেন, সীমিত খনিজ সম্পদ কমে গেলে কৃষির জন্য সার উৎপাদনে দেশগুলো অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের মোট ফসফেট মজুতের ৭০ শতাংশই রয়েছে মরক্কোতে। তাঁর মতে, ‘যদি সার্কুলার ইকোনমির মাধ্যমে পুষ্টি পুনর্ব্যবহার সম্ভব হয়, তবে দেশগুলো নিজস্বভাবে খাদ্য উৎপাদন করতে পারবে। এতে আমদানিনির্ভরতা কমবে এবং বৈশ্বিক দক্ষিণে পরিবেশগত ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। কৃষি ব্যর্থতার কারণে যে জলবায়ু অভিবাসন বাড়ছে, তা-ও কমতে পারে।’
মানববর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা বায়োচার বা একধরনের শুষ্ক চারকোল সার সংকট মোকাবিলা, পরিবেশদূষণ হ্রাস ও জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, এটি কেবল কৃষি নয়, বরং বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা, অর্থনীতি ও ভূরাজনীতির ক্ষেত্রেও বড় পরিবর্তন আনতে সক্ষম। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে প্রিসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা বা পিএনএএস জার্নালে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, বায়োচার হলো জৈব উপাদানকে উচ্চ তাপে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি একধরনের শুষ্ক কয়লা, যা সাধারণত কৃষিজমিতে সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি মাটির উর্বরতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাতাস থেকে কার্বন অপসারণ করে কার্বন সিঙ্ক হিসেবেও কাজ করে। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, কঠিন মানববর্জ্য থেকে তৈরি বায়োচার বিশ্বের মোট বার্ষিক ফসফরাস ব্যবহার চাহিদার প্রায় ৭ শতাংশ পূরণে সক্ষম।
যদিও বায়োচার প্রক্রিয়ায় কেবল কঠিন বর্জ্য ব্যবহৃত হয়, তবে এতে প্রস্রাব থেকে সংগৃহীত পুষ্টি যোগ করা হলে উৎপাদন ক্ষমতা আরও বাড়ে। গবেষকেরা বলছেন, এতে ফসফরাসের চাহিদার ১৫ শতাংশ, নাইট্রোজেনের ১৭ শতাংশ এবং পটাশিয়ামের চাহিদার প্রায় ২৫ শতাংশ পূরণ সম্ভব।
বর্তমানে প্রক্রিয়াজাত নর্দমার পলি বা স্লাজ কৃষিজমিতে ছড়ানো হয়। কিন্তু এতে মাইক্রোপ্লাস্টিক, ভারী ধাতু, ‘ফরএভার কেমিক্যাল’ পিএফএএস, রোগজীবাণু এবং ওষুধের রাসায়নিক থাকার কারণে এটি স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। গবেষকদের মতে, বর্জ্য উৎসে আলাদা করে বায়োচার তৈরি করলে এই সমস্যাগুলো এড়ানো যায়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, বায়োচার প্রক্রিয়ায় কঠিন বর্জ্যের ওজন ও আয়তন ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ফলে এটি পরিবহনে প্রচলিত স্যুয়েজ স্লাজের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। কারণ, স্লাজে প্রচুর পানি থাকে।
বায়োচার উৎপাদনের আরেকটি বড় সুবিধা হলো—এতে পুষ্টির অনুপাত ফসলের চাহিদা অনুযায়ী সমন্বয় করা যায়। এতে অতিরিক্ত সার ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট আগাছা বৃদ্ধি ও ইউট্রোফিকেশন সমস্যাও কমানো সম্ভব। ইউট্রোফিকেশনে অতিরিক্ত পুষ্টি ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে শৈবালের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়, যা পানির অক্সিজেন ও সূর্যালোক কমিয়ে জলজ প্রাণীর জন্য হুমকি তৈরি করে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা জীব রসায়নবিদ্যার অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান লেখক ড. জোহানেস লেহমান বলেন, ‘নর্দমা নিয়ে আলোচনা নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো আকর্ষণীয় শোনায় না। কিন্তু একটি সার্কুলার ইকোনমি গড়ে তুলে সম্পদ অপচয় রোধ করাও সবুজ পরিবর্তনের অন্যতম চাবিকাঠি।’
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তসরকারি প্যানেল (আইপিসিসি) জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ২৫ শতাংশই আসে কৃষি খাত থেকে। খাদ্য উৎপাদনের বাড়তি চাপে সারের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু কৃত্রিম বা সংশ্লেষিত সার উৎপাদন পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
নাইট্রোজেন তৈরিতে ব্যবহৃত হ্যাবার প্রক্রিয়া বছরে প্রায় ২৬০ কোটি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত করে, যা বিশ্বব্যাপী বিমান ও নৌপরিবহনের সম্মিলিত নির্গমনের চেয়ে বেশি। অন্যদিকে, ফসফরাস আহরণের জন্য ফসফেট শিলা খনন প্রাকৃতিক ভূপৃষ্ঠ ধ্বংস করে এবং রেডিওঅ্যাকটিভ ফসফোজিপসাম উপজাত তৈরি করে। পটাশ খননে উৎপন্ন বর্জ্য লবণ মাটি ও মিঠাপানি দূষণের কারণ হয়।
লেহমান সতর্ক করেছেন, সীমিত খনিজ সম্পদ কমে গেলে কৃষির জন্য সার উৎপাদনে দেশগুলো অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের মোট ফসফেট মজুতের ৭০ শতাংশই রয়েছে মরক্কোতে। তাঁর মতে, ‘যদি সার্কুলার ইকোনমির মাধ্যমে পুষ্টি পুনর্ব্যবহার সম্ভব হয়, তবে দেশগুলো নিজস্বভাবে খাদ্য উৎপাদন করতে পারবে। এতে আমদানিনির্ভরতা কমবে এবং বৈশ্বিক দক্ষিণে পরিবেশগত ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। কৃষি ব্যর্থতার কারণে যে জলবায়ু অভিবাসন বাড়ছে, তা-ও কমতে পারে।’
আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় আবারও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ অধ্যাপক আভি লোয়েব। তিনি দাবি করেছেন, সৌরজগতের দিকে ধেয়ে আসা ‘৩১ /অ্যাটলাস’ (31 /ATLAS) নামের একটি মহাজাগতিক বস্তু সম্ভবত প্রাকৃতিক নয়, বরং এটি কোনো বুদ্ধিমান সভ্যতার তৈরি করা প্রযুক্তিগত বস্তু হতে পারে।
১১ ঘণ্টা আগেদুই বছর আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে উদ্ধার হওয়া মঙ্গল গ্রহের বিরল উল্কাপিণ্ডটি গত মাসে নিউইয়র্কে নিলামে বিক্রি হয়েছে। এই উল্কাপিণ্ডটি বিক্রি হয়েছে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি দামে। ২৪ কেজি বেশি ওজনের পাথরটি সাহারা মরুভূমিতে পাওয়া গেছে। তবে পাথরটি বেআইনিভাবে পাচার করা হতে পারে বলে দাবি কর
২ দিন আগেনতুন এক বৈপ্লবিক তত্ত্ব দিয়ে মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে প্রচলিত ‘বিগ ব্যাং’ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন একদল পদার্থবিদ। তাঁদের দাবি, মহাবিশ্বের উৎপত্তি বিগ ব্যাং থেকে নয়, বরং ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে।
২ দিন আগেনিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
৩ দিন আগে