প্রায় এক শতাব্দী আগে সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব দিয়েছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। এবার মহাবিশ্বের বৃহত্তম পরিমণ্ডলে তত্ত্বটি যাচাই করেছেন গবেষকেরা। এতে দেখা গেছে, মহাকাশ জুড়ে কোটি কোটি গ্যালাক্সির বিবর্তন এবং গত কয়েক শ কোটি বছরে এগুলো যেভাবে গুচ্ছ তৈরি করেছে, তা আইনস্টাইনের তত্ত্বের সঙ্গে মিলে গেছে।
নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ইউনিভার্সিটির মুস্তাফা ইশাক-বুশাকি ও তাঁর দল অ্যারিজোনার ‘ডার্ক এনার্জি স্পেকট্রোস্কোপিক ইনস্ট্রুমেন্ট’ (ডিইএসআই) ব্যবহার করে ওই পরীক্ষাটি পরিচালনা করেন। ডিইএসআই ইতিমধ্যে গত ১ হাজার ১০০ কোটি (১১ বিলিয়ন) বছরে প্রায় ৬০ লাখ গ্যালাক্সির গুচ্ছাকৃতির তথ্য সংগ্রহ করেছে।
প্রাপ্ত তথ্যকে গবেষকেরা মহাজাগতিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন এবং সুপারনোভা পর্যবেক্ষণের তথ্যের সঙ্গে একত্রিত করেন। পরে তাঁরা আধুনিক মডিফাইড গ্র্যাভিটির তত্ত্বগুলোর সঙ্গে আইনস্টাইনের তত্ত্বটি মিলিয়ে দেখেন। ফলাফলে দেখা যায়—আইনস্টাইনের তত্ত্বটি ছিল একদম নির্ভুল। এতে কোনো বিচ্যুতি পাওয়া যায়নি।
আইনস্টাইনের তত্ত্ব অনুসারে, মহাকর্ষ এমন একটি শক্তি যা মহাবিশ্বের শুরুর দিকে পদার্থের ছোটখাটো তারতম্যের মধ্য দিয়ে বর্তমান গ্যালাক্সির কাঠামো তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক পরীক্ষাটি নিশ্চিত করেছে, মহাবিশ্বের বৃহত্তম কাঠামোতেও আইনস্টাইনের তত্ত্ব সঠিক।
নতুন গবেষণায় ডার্ক এনার্জি এবং এর প্রভাব নিয়েও কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির নাথালি পালানক-ডেলাব্রুইল বলেছেন—আইনস্টাইনের তত্ত্বে অন্তর্ভুক্ত কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট, যা অ্যান্টি-গ্র্যাভিটেশনাল শক্তি হিসেবে কাজ করে, তা ডার্ক এনার্জির মতোই ভূমিকা পালন করে। তবে ডিইএসআই-এর আগের ফলাফল ইঙ্গিত দিয়েছে, মহাবিশ্বের বৃদ্ধির সঙ্গে সম্ভবত ডার্ক এনার্জিও পরিবর্তিত হয়েছে।
ডিইএসআই আগামী কয়েক বছর ধরে আরও ডেটা সংগ্রহ করবে এবং প্রায় ৪ কোটি গ্যালাক্সির অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য রেকর্ড করবে। এই তথ্য মহাবিশ্বের প্রসারণ হার, হাবল কনস্ট্যান্ট এবং অদৃশ্য কণার ভর নির্ধারণসহ ‘ডার্ক রেডিয়েশন’-এর মতো নতুন কসমিক উপাদানের অনুসন্ধানে সহায়তা করবে।
এই গবেষণা শুধু আইনস্টাইনের তত্ত্বকেই নয়, বরং মহাবিশ্বের মৌলিক কাঠামো এবং শক্তির উৎস সম্পর্কে আমাদের ধারণাকেও আরও সমৃদ্ধ করবে। এটি আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের পথ দেখাবে।
প্রায় এক শতাব্দী আগে সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব দিয়েছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। এবার মহাবিশ্বের বৃহত্তম পরিমণ্ডলে তত্ত্বটি যাচাই করেছেন গবেষকেরা। এতে দেখা গেছে, মহাকাশ জুড়ে কোটি কোটি গ্যালাক্সির বিবর্তন এবং গত কয়েক শ কোটি বছরে এগুলো যেভাবে গুচ্ছ তৈরি করেছে, তা আইনস্টাইনের তত্ত্বের সঙ্গে মিলে গেছে।
নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ইউনিভার্সিটির মুস্তাফা ইশাক-বুশাকি ও তাঁর দল অ্যারিজোনার ‘ডার্ক এনার্জি স্পেকট্রোস্কোপিক ইনস্ট্রুমেন্ট’ (ডিইএসআই) ব্যবহার করে ওই পরীক্ষাটি পরিচালনা করেন। ডিইএসআই ইতিমধ্যে গত ১ হাজার ১০০ কোটি (১১ বিলিয়ন) বছরে প্রায় ৬০ লাখ গ্যালাক্সির গুচ্ছাকৃতির তথ্য সংগ্রহ করেছে।
প্রাপ্ত তথ্যকে গবেষকেরা মহাজাগতিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন এবং সুপারনোভা পর্যবেক্ষণের তথ্যের সঙ্গে একত্রিত করেন। পরে তাঁরা আধুনিক মডিফাইড গ্র্যাভিটির তত্ত্বগুলোর সঙ্গে আইনস্টাইনের তত্ত্বটি মিলিয়ে দেখেন। ফলাফলে দেখা যায়—আইনস্টাইনের তত্ত্বটি ছিল একদম নির্ভুল। এতে কোনো বিচ্যুতি পাওয়া যায়নি।
আইনস্টাইনের তত্ত্ব অনুসারে, মহাকর্ষ এমন একটি শক্তি যা মহাবিশ্বের শুরুর দিকে পদার্থের ছোটখাটো তারতম্যের মধ্য দিয়ে বর্তমান গ্যালাক্সির কাঠামো তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক পরীক্ষাটি নিশ্চিত করেছে, মহাবিশ্বের বৃহত্তম কাঠামোতেও আইনস্টাইনের তত্ত্ব সঠিক।
নতুন গবেষণায় ডার্ক এনার্জি এবং এর প্রভাব নিয়েও কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির নাথালি পালানক-ডেলাব্রুইল বলেছেন—আইনস্টাইনের তত্ত্বে অন্তর্ভুক্ত কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট, যা অ্যান্টি-গ্র্যাভিটেশনাল শক্তি হিসেবে কাজ করে, তা ডার্ক এনার্জির মতোই ভূমিকা পালন করে। তবে ডিইএসআই-এর আগের ফলাফল ইঙ্গিত দিয়েছে, মহাবিশ্বের বৃদ্ধির সঙ্গে সম্ভবত ডার্ক এনার্জিও পরিবর্তিত হয়েছে।
ডিইএসআই আগামী কয়েক বছর ধরে আরও ডেটা সংগ্রহ করবে এবং প্রায় ৪ কোটি গ্যালাক্সির অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য রেকর্ড করবে। এই তথ্য মহাবিশ্বের প্রসারণ হার, হাবল কনস্ট্যান্ট এবং অদৃশ্য কণার ভর নির্ধারণসহ ‘ডার্ক রেডিয়েশন’-এর মতো নতুন কসমিক উপাদানের অনুসন্ধানে সহায়তা করবে।
এই গবেষণা শুধু আইনস্টাইনের তত্ত্বকেই নয়, বরং মহাবিশ্বের মৌলিক কাঠামো এবং শক্তির উৎস সম্পর্কে আমাদের ধারণাকেও আরও সমৃদ্ধ করবে। এটি আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের পথ দেখাবে।
পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অনুসন্ধানে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন বিজ্ঞানীরা। মাত্র ৪০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ট্রাপিস্ট–১ই (TRAPPIST-1 e) গ্রহে পৃথিবীর মতো প্রাণের বিকাশ সহায়ক বায়ুমণ্ডল থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এটি ট্রাপিস্ট ১ (TRAPPIST-1) লাল বামনের চারপাশে ঘুরতে থাকা সাতটি গ্রহের একটি।
৬ ঘণ্টা আগেমহাবিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ‘ব্ল্যাক হোল’ আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে তারা জানান, এমন একটি ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যার জন্ম হতে পারে বিগ ব্যাংয়ের মাত্র এক সেকেন্ডেরও কম সময় পরে
১ দিন আগেঢাকার সময় অনুযায়ী, আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শুরু হয়েছে অত্যন্ত বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের ‘পেনুম্ব্রাল’ বা সূক্ষ্ম ছায়া পর্ব। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আংশিকভাবে গ্রহণ শুরু হবে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে এই গ্রহণ দেখা যাচ্ছে।
৩ দিন আগেপ্রায় দুই শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে শেখানো হয়ে আসছে যে, বরফের ওপর চাপ বা ঘর্ষণের ফলে তার পৃষ্ঠে একটি পাতলা তরল স্তর তৈরি হয়, আর এই তরল স্তরই বরফকে পিচ্ছিল করে তোলে। শীতপ্রধান দেশে বরফে ঢাকা ফুটপাতে হাঁটার সময় হঠাৎ পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা তাই অনেকেই এভাবে ব্যাখ্যা করতেন।
৩ দিন আগে