শিগগিরই স্বপ্নে পাওয়া গানের সুর বাস্তবে রেকর্ড করার সক্ষমতা অর্জন করতে যাচ্ছে মানুষ। এমন একটি কৌশল এখনো অধিকতর পরীক্ষা–নিরীক্ষার আওতায় থাকলেও এটি আর অসম্ভব নয়—তেমনটিই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
এই পর্যবেক্ষণের মূল বিষয় হলো—মানুষের গভীর ঘুমের মধ্যে চৈতন্য থাকে। অর্থাৎ স্বপ্নের ব্যাপারে সচেতন থাকে। বুঝতে পারে যে সে স্বপ্ন দেখছে। এমন ঘুমের মধ্যে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি করতে পারে।
রাশিয়ার ফেজ রিসার্চ সেন্টারের সাবেক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রেমস্পেসের একটি গবেষক দল স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেন। তাঁরা শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে তাঁদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছেন। রেমস্পেসের এ দলটি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে এমন একটি কৌশল উদ্ভাবন করেছেন, যা হাতের গতিবিধি থেকে গান কম্পোজ করে ফেলতে পারে।
এ ব্যবস্থাটি সচেতন স্বপ্ন দেখার ওপর নির্ভরশীল: অর্থাৎ যখন স্বপ্নদ্রষ্টা জানেন যে তিনি স্বপ্ন দেখছেন। বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে সচেতন স্বপ্ন দেখার সময় মস্তিষ্কে তথ্য বিনিময়ের চেষ্টা করে আসছেন।
ঘুমে থাকাকালে সচেতন স্বপ্ন দ্রষ্টাদের মাংসপেশি নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এ কারণে এমন পরিস্থিতি সরাসরি গিটার বা কিবোর্ড চালানো সম্ভব না। রেমস্পেসের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কার্যকরভাবে ব্যবহারের জন্য ব্যক্তিকে স্বপ্ন দেখার সময় হাত নাড়ানোর প্রশিক্ষণ নিতে হয়।
এ বিষয়ে আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চারজন সচেতন স্বপ্ন অনুশীলনকারীকে ঘুমের মধ্যে হাত নেড়ে বাদ্যযন্ত্রের তাল মেলানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের হাতে ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি (ইএমজি) সেন্সর লাগানো ছিল।
গবেষণার জন্য এ স্বেচ্ছাসেবকদের সচেতন স্বপ্ন দেখার অভ্যাস তৈরি করতে বলা হয় এবং পরীক্ষাগারে পলিসমনোগ্রাফিক (অনিয়মিত ঘুম পর্যবেক্ষণের পরীক্ষা বিশেষ) পর্যবেক্ষণের সময় সচেতন স্বপ্ন তৈরি করতে বলা হয়।
স্বেচ্ছাসেবকদের জেগে থাকা অবস্থায় ব্যান্ড দল কুইনের ‘উই উইল রক ইউ’ গানের সুরে হাত নাড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। চারজনের মধ্যে তিনজন স্বেচ্ছাসেবকই সচেতন স্বপ্ন দেখার সময় একই তালে হাত নাড়াতে পেরেছেন।
এ সংকেত এবং প্যাটার্নগুলো গানের সুরে পরিণত করার জন্য রেমস্পেসের ওই সফটওয়্যার প্রোগ্রামে প্রবেশ করানো হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাতের গতিবিধি এতটাই ক্ষীণ ছিল যে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তবে, তিনটি সুর সফলভাবে রেকর্ড করা সম্ভব হয়েছে।
এ গবেষণায় মাত্র দুটি স্বরলিপির একটি রিদম তা তাল ছিল। গবেষকেরা বলছেন, ধীরে ধীরে মানুষকে আরও জটিল গানে প্রশিক্ষিত করা সম্ভব। এবং শেষ পর্যন্ত স্বপ্নে বাদ্যযন্ত্র বাজাতে বা কোনো অর্কেস্ট্রায় অংশ নিতে সক্ষম হবে মানুষ।
তবে, সবটাই কার্যকর হওয়ার জন্য সচেতন স্বপ্ন দেখা জরুরি। গত কয়েক বছরে সচেতন স্বপ্ন নিয়ে গবেষণায় কিছুটা অগ্রগতি হলেও এর নির্ভরযোগ্য কোনো উপায় বের করা এখনো সম্ভব হয়নি।
পৃথিবীর অর্ধেক মানুষেরই কখনো সচেতন স্বপ্নের অভিজ্ঞতা হয় না বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রযুক্তির আরও অগ্রগতির আগে পর্যন্ত, আপনি যদি স্বপ্নে পাওয়া সুর স্মরণ রাখতে চান, তাহলে ঘুম থেকে উঠেই সে সুর অনুযায়ী গুনগুন করুন এবং কোনো রেকর্ডিং অ্যাপে ধারণা করুন। তবে গবেষণা বলছে, এ ক্ষেত্রে অগ্রগতির বেশ সুযোগ রয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘এ গবেষণার ফলাফল স্বপ্ন থেকে বাস্তবতায় সুর স্থানান্তর করা যে সম্ভব তারই প্রমাণ।’
শিগগিরই স্বপ্নে পাওয়া গানের সুর বাস্তবে রেকর্ড করার সক্ষমতা অর্জন করতে যাচ্ছে মানুষ। এমন একটি কৌশল এখনো অধিকতর পরীক্ষা–নিরীক্ষার আওতায় থাকলেও এটি আর অসম্ভব নয়—তেমনটিই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
এই পর্যবেক্ষণের মূল বিষয় হলো—মানুষের গভীর ঘুমের মধ্যে চৈতন্য থাকে। অর্থাৎ স্বপ্নের ব্যাপারে সচেতন থাকে। বুঝতে পারে যে সে স্বপ্ন দেখছে। এমন ঘুমের মধ্যে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি করতে পারে।
রাশিয়ার ফেজ রিসার্চ সেন্টারের সাবেক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রেমস্পেসের একটি গবেষক দল স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেন। তাঁরা শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে তাঁদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছেন। রেমস্পেসের এ দলটি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে এমন একটি কৌশল উদ্ভাবন করেছেন, যা হাতের গতিবিধি থেকে গান কম্পোজ করে ফেলতে পারে।
এ ব্যবস্থাটি সচেতন স্বপ্ন দেখার ওপর নির্ভরশীল: অর্থাৎ যখন স্বপ্নদ্রষ্টা জানেন যে তিনি স্বপ্ন দেখছেন। বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে সচেতন স্বপ্ন দেখার সময় মস্তিষ্কে তথ্য বিনিময়ের চেষ্টা করে আসছেন।
ঘুমে থাকাকালে সচেতন স্বপ্ন দ্রষ্টাদের মাংসপেশি নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এ কারণে এমন পরিস্থিতি সরাসরি গিটার বা কিবোর্ড চালানো সম্ভব না। রেমস্পেসের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কার্যকরভাবে ব্যবহারের জন্য ব্যক্তিকে স্বপ্ন দেখার সময় হাত নাড়ানোর প্রশিক্ষণ নিতে হয়।
এ বিষয়ে আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চারজন সচেতন স্বপ্ন অনুশীলনকারীকে ঘুমের মধ্যে হাত নেড়ে বাদ্যযন্ত্রের তাল মেলানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের হাতে ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি (ইএমজি) সেন্সর লাগানো ছিল।
গবেষণার জন্য এ স্বেচ্ছাসেবকদের সচেতন স্বপ্ন দেখার অভ্যাস তৈরি করতে বলা হয় এবং পরীক্ষাগারে পলিসমনোগ্রাফিক (অনিয়মিত ঘুম পর্যবেক্ষণের পরীক্ষা বিশেষ) পর্যবেক্ষণের সময় সচেতন স্বপ্ন তৈরি করতে বলা হয়।
স্বেচ্ছাসেবকদের জেগে থাকা অবস্থায় ব্যান্ড দল কুইনের ‘উই উইল রক ইউ’ গানের সুরে হাত নাড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। চারজনের মধ্যে তিনজন স্বেচ্ছাসেবকই সচেতন স্বপ্ন দেখার সময় একই তালে হাত নাড়াতে পেরেছেন।
এ সংকেত এবং প্যাটার্নগুলো গানের সুরে পরিণত করার জন্য রেমস্পেসের ওই সফটওয়্যার প্রোগ্রামে প্রবেশ করানো হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাতের গতিবিধি এতটাই ক্ষীণ ছিল যে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তবে, তিনটি সুর সফলভাবে রেকর্ড করা সম্ভব হয়েছে।
এ গবেষণায় মাত্র দুটি স্বরলিপির একটি রিদম তা তাল ছিল। গবেষকেরা বলছেন, ধীরে ধীরে মানুষকে আরও জটিল গানে প্রশিক্ষিত করা সম্ভব। এবং শেষ পর্যন্ত স্বপ্নে বাদ্যযন্ত্র বাজাতে বা কোনো অর্কেস্ট্রায় অংশ নিতে সক্ষম হবে মানুষ।
তবে, সবটাই কার্যকর হওয়ার জন্য সচেতন স্বপ্ন দেখা জরুরি। গত কয়েক বছরে সচেতন স্বপ্ন নিয়ে গবেষণায় কিছুটা অগ্রগতি হলেও এর নির্ভরযোগ্য কোনো উপায় বের করা এখনো সম্ভব হয়নি।
পৃথিবীর অর্ধেক মানুষেরই কখনো সচেতন স্বপ্নের অভিজ্ঞতা হয় না বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রযুক্তির আরও অগ্রগতির আগে পর্যন্ত, আপনি যদি স্বপ্নে পাওয়া সুর স্মরণ রাখতে চান, তাহলে ঘুম থেকে উঠেই সে সুর অনুযায়ী গুনগুন করুন এবং কোনো রেকর্ডিং অ্যাপে ধারণা করুন। তবে গবেষণা বলছে, এ ক্ষেত্রে অগ্রগতির বেশ সুযোগ রয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘এ গবেষণার ফলাফল স্বপ্ন থেকে বাস্তবতায় সুর স্থানান্তর করা যে সম্ভব তারই প্রমাণ।’
চাঁদের মাটিতে ২০৩০ সালের মধ্যে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নাসা। এই পদক্ষেপ চাঁদে মানুষের স্থায়ী বসতি গড়ার উচ্চাভিলাষের অংশ। কারণ, মানুষের বসবাসের জন্য সেখানে নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
২ ঘণ্টা আগেআমরা যখন ‘নাসা’ নিয়ে ভাবি, তখন আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে রকেট আর মহাকাশ অভিযান। এটিই স্বাভাবিক, কারণ মহাকাশ-সংক্রান্ত নাসার অন্যান্য অর্জনই সংবাদমাধ্যমে বেশি প্রকাশ পায়। তবে অনেকেই জানেন না, নাসার রকেট বা মহাকাশযানের পাশাপাশি নিজস্ব যুদ্ধবিমানের বহর রয়েছে।
২ দিন আগেচেক প্রজাতন্ত্রের দক্ষিণ মোরাভিয়া অঞ্চলের এক প্রাগৈতিহাসিক খনিতে ছয় হাজার বছর আগে শ্রমজীবী দুই বোনের জীবনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। নতুন গবেষণার ভিত্তিতে এই দুই নারীর ‘হাইপাররিয়েলিস্টিক’ বা ৩ডি মুখাবয়ব পুনর্গঠন করা হয়েছে।
২ দিন আগেবিশ্বজুড়ে অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য আলু। হাজার হাজার বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ অঞ্চলে এই শস্যের প্রথম চাষ শুরু হয়। এরপর ১৬শ শতাব্দী থেকে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এতদিন আলুর বিবর্তন ও উৎপত্তি ঘিরে ছিল রহস্য। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানালেন, আলুর উৎপত্তি হয়েছিল টমেটো ও আলুর মতো দেখতে
৩ দিন আগে