
বিশ্বের প্রথম কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট তৈরি করল জাপানের গবেষকেরা। গত মঙ্গলবার স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযানের জন্য কাঠ ব্যবহারের একটি প্রাথমিক পরীক্ষা হিসেবে পাঠানো হয়েছে।
এই স্যাটেলাইটটির নাম ‘লিগনোস্যাট’। স্যাটেলাইটটি যৌথভাবে তৈরি করে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় ও গৃহ নির্মাতা কোম্পানি সুমিতোমো ফরেস্ট্রি। এটি প্রথমে স্পেসএক্স মিশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হবে এবং পরে এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল) ওপরে কক্ষপথে ছেড়ে দেওয়া হবে।
লিগনোস্যাট একটি লাতিন শব্দ। যার অর্থ ‘কাঠ’। স্যাটেলাইটটি হাতের তালুর সমান। এটি মহাকাশে মানুষের বসবাসের জন্য কাঠকে একটি পুনঃ ব্যবহারযোগ্য উপকরণ হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা পরীক্ষা করবে।
কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ে মানব মহাকাশ কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা করেন মহাকাশচারী তাকাও দোই। তিনি বলেন, ‘কাঠ এমন একটি উপকরণ যেটি আমরা নিজেদের জন্য উৎপাদন করতে পারি। এটি ব্যবহার করে মহাকাশে ঘর তৈরি করতে পারব, সেখানে চিরকাল ধরে বসবাস করতে পারব এবং কাজ করতে পারব।
চন্দ্র ও মঙ্গলে গাছ লাগানো এবং কাঠের বাড়ি নির্মাণের জন্য ৫০ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তাকাও দোইয়ের দল। তারা একটি নাসা–সার্টিফায়েড কাঠের স্যাটেলাইট তৈরি করছে, যাতে প্রমাণ করা যায় যে, কাঠ একটি ‘মহাকাশ-যোগ্য’ উপকরণ।
কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কোজি মুরাতা বলেন, ‘বিশ্বযুদ্ধের আগে বিমানগুলো কাঠ দিয়েই তৈরি ছিল। তাই কাঠের স্যাটেলাইটও যুক্তিসংগত।
মুরাতা আরও বলেন, মহাকাশে কাঠ আরও টেকসই। কারণ পৃথিবীর মতো মহাকাশে কোনো পানি ও অক্সিজেন নেই যা এর পচনে বা জ্বালাতে সাহায্য করবে।
গবেষকেরা বলেন, কাঠের স্যাটেলাইট এর নষ্ট হয়ে গেলেও পরিবেশে কম প্রভাব ফেলে।
স্যাটেলাইটগুলোর ব্যবহার শেষ হয়ে গেলে সেগুলো মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা জরুরি। এটি না হলে সেগুলো মহাকাশে জঞ্জাল হিসেবে থাকে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ধাতব স্যাটেলাইটগুলো অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড তৈরি করে। কিন্তু কাঠের স্যাটেলাইটগুলো সহজেই পুড়ে যাবে। এর ফলে বায়ুমণ্ডল কম দূষিত হবে।
মহাকাশচারী তাকাও দোই বলেন, কাঠের স্যাটেলাইট ঠিকভাবে কাজ করে তা প্রমাণিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ধাতব স্যাটেলাইটের ব্যবহার নিষিদ্ধও হতে পারে। ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের কাছে কাঠের স্যাটেলাইটটি তুলে ধরতে চাই আমরা।
গবেষকেরা বলেন, হোনোকি এক ধরনের মাগনোলিয়া প্রজাতির গাছ, যা জাপানে স্বাভাবিকভাবে জন্মায় এবং ঐতিহ্যগতভাবে তলোয়ারের খাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১০ মাসব্যাপী পরীক্ষার পর কাঠটি মহাকাশযানের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে নির্ধারণ করা হয়।
লিগনোস্যাট হোনোকি কাঠের তৈরি। এটি তৈরিতে জাপানের ঐতিহ্যগত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে কোনো আঠা বা স্ক্রু এর প্রয়োজন নেই।
একবার কক্ষপথে পৌঁছালে লিগনোস্যাট ছয় মাস কক্ষপথে থাকবে এবং মহাকাশের চরম পরিবেশে কাঠ কতটুকু টিকে রয়েছে তা পরিমাপ করবে এর বৈদ্যুতিক উপাদানগুলো। মহাকাশে তাপমাত্রা প্রতি ৪৫ মিনিটে ১০০ থেকে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (-১৪৮ থেকে ২১২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত ওঠানামা করে। তাই পরিবেশে এটি কীভাবে টিকে থাকে তাও পর্যবেক্ষণ করবে।
সুমিতোমো ফোরেস্ট্রি তসুকুবা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার কেনজি কারিয়া বলছেন, লিগনোস্যাট স্যাটেলাইটটি একটি পরীক্ষা হিসেবে পাঠানো হবে। এটি কাঠের ক্ষমতা পরিমাপ করবে যে, এটি কীভাবে বিভিন্ন উপাদানের ওপর মহাকাশের তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব কমাতে পারে। বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টরগুলোর (যেমন কম্পিউটার চিপ বা অন্যান্য বৈদ্যুতিন উপাদান) ওপর। ফলে এটি ডেটা সেন্টার নির্মাণের মতো কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কেনজি কারিয়া আরও বলেন, সভ্যতা চাঁদ এবং মঙ্গলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাই এই সময়ে কাঠকে পুরোনো প্রযুক্তি বলে মনে হতে পারে। তবে এটি আসলে আধুনিক প্রযুক্তি।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

বিশ্বের প্রথম কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট তৈরি করল জাপানের গবেষকেরা। গত মঙ্গলবার স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযানের জন্য কাঠ ব্যবহারের একটি প্রাথমিক পরীক্ষা হিসেবে পাঠানো হয়েছে।
এই স্যাটেলাইটটির নাম ‘লিগনোস্যাট’। স্যাটেলাইটটি যৌথভাবে তৈরি করে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় ও গৃহ নির্মাতা কোম্পানি সুমিতোমো ফরেস্ট্রি। এটি প্রথমে স্পেসএক্স মিশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হবে এবং পরে এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল) ওপরে কক্ষপথে ছেড়ে দেওয়া হবে।
লিগনোস্যাট একটি লাতিন শব্দ। যার অর্থ ‘কাঠ’। স্যাটেলাইটটি হাতের তালুর সমান। এটি মহাকাশে মানুষের বসবাসের জন্য কাঠকে একটি পুনঃ ব্যবহারযোগ্য উপকরণ হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা পরীক্ষা করবে।
কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ে মানব মহাকাশ কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা করেন মহাকাশচারী তাকাও দোই। তিনি বলেন, ‘কাঠ এমন একটি উপকরণ যেটি আমরা নিজেদের জন্য উৎপাদন করতে পারি। এটি ব্যবহার করে মহাকাশে ঘর তৈরি করতে পারব, সেখানে চিরকাল ধরে বসবাস করতে পারব এবং কাজ করতে পারব।
চন্দ্র ও মঙ্গলে গাছ লাগানো এবং কাঠের বাড়ি নির্মাণের জন্য ৫০ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তাকাও দোইয়ের দল। তারা একটি নাসা–সার্টিফায়েড কাঠের স্যাটেলাইট তৈরি করছে, যাতে প্রমাণ করা যায় যে, কাঠ একটি ‘মহাকাশ-যোগ্য’ উপকরণ।
কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কোজি মুরাতা বলেন, ‘বিশ্বযুদ্ধের আগে বিমানগুলো কাঠ দিয়েই তৈরি ছিল। তাই কাঠের স্যাটেলাইটও যুক্তিসংগত।
মুরাতা আরও বলেন, মহাকাশে কাঠ আরও টেকসই। কারণ পৃথিবীর মতো মহাকাশে কোনো পানি ও অক্সিজেন নেই যা এর পচনে বা জ্বালাতে সাহায্য করবে।
গবেষকেরা বলেন, কাঠের স্যাটেলাইট এর নষ্ট হয়ে গেলেও পরিবেশে কম প্রভাব ফেলে।
স্যাটেলাইটগুলোর ব্যবহার শেষ হয়ে গেলে সেগুলো মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা জরুরি। এটি না হলে সেগুলো মহাকাশে জঞ্জাল হিসেবে থাকে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ধাতব স্যাটেলাইটগুলো অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড তৈরি করে। কিন্তু কাঠের স্যাটেলাইটগুলো সহজেই পুড়ে যাবে। এর ফলে বায়ুমণ্ডল কম দূষিত হবে।
মহাকাশচারী তাকাও দোই বলেন, কাঠের স্যাটেলাইট ঠিকভাবে কাজ করে তা প্রমাণিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ধাতব স্যাটেলাইটের ব্যবহার নিষিদ্ধও হতে পারে। ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের কাছে কাঠের স্যাটেলাইটটি তুলে ধরতে চাই আমরা।
গবেষকেরা বলেন, হোনোকি এক ধরনের মাগনোলিয়া প্রজাতির গাছ, যা জাপানে স্বাভাবিকভাবে জন্মায় এবং ঐতিহ্যগতভাবে তলোয়ারের খাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১০ মাসব্যাপী পরীক্ষার পর কাঠটি মহাকাশযানের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে নির্ধারণ করা হয়।
লিগনোস্যাট হোনোকি কাঠের তৈরি। এটি তৈরিতে জাপানের ঐতিহ্যগত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে কোনো আঠা বা স্ক্রু এর প্রয়োজন নেই।
একবার কক্ষপথে পৌঁছালে লিগনোস্যাট ছয় মাস কক্ষপথে থাকবে এবং মহাকাশের চরম পরিবেশে কাঠ কতটুকু টিকে রয়েছে তা পরিমাপ করবে এর বৈদ্যুতিক উপাদানগুলো। মহাকাশে তাপমাত্রা প্রতি ৪৫ মিনিটে ১০০ থেকে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (-১৪৮ থেকে ২১২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত ওঠানামা করে। তাই পরিবেশে এটি কীভাবে টিকে থাকে তাও পর্যবেক্ষণ করবে।
সুমিতোমো ফোরেস্ট্রি তসুকুবা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার কেনজি কারিয়া বলছেন, লিগনোস্যাট স্যাটেলাইটটি একটি পরীক্ষা হিসেবে পাঠানো হবে। এটি কাঠের ক্ষমতা পরিমাপ করবে যে, এটি কীভাবে বিভিন্ন উপাদানের ওপর মহাকাশের তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব কমাতে পারে। বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টরগুলোর (যেমন কম্পিউটার চিপ বা অন্যান্য বৈদ্যুতিন উপাদান) ওপর। ফলে এটি ডেটা সেন্টার নির্মাণের মতো কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কেনজি কারিয়া আরও বলেন, সভ্যতা চাঁদ এবং মঙ্গলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাই এই সময়ে কাঠকে পুরোনো প্রযুক্তি বলে মনে হতে পারে। তবে এটি আসলে আধুনিক প্রযুক্তি।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

বিশ্বের প্রথম কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট তৈরি করল জাপানের গবেষকেরা। গত মঙ্গলবার স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযানের জন্য কাঠ ব্যবহারের একটি প্রাথমিক পরীক্ষা হিসেবে পাঠানো হয়েছে।
এই স্যাটেলাইটটির নাম ‘লিগনোস্যাট’। স্যাটেলাইটটি যৌথভাবে তৈরি করে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় ও গৃহ নির্মাতা কোম্পানি সুমিতোমো ফরেস্ট্রি। এটি প্রথমে স্পেসএক্স মিশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হবে এবং পরে এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল) ওপরে কক্ষপথে ছেড়ে দেওয়া হবে।
লিগনোস্যাট একটি লাতিন শব্দ। যার অর্থ ‘কাঠ’। স্যাটেলাইটটি হাতের তালুর সমান। এটি মহাকাশে মানুষের বসবাসের জন্য কাঠকে একটি পুনঃ ব্যবহারযোগ্য উপকরণ হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা পরীক্ষা করবে।
কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ে মানব মহাকাশ কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা করেন মহাকাশচারী তাকাও দোই। তিনি বলেন, ‘কাঠ এমন একটি উপকরণ যেটি আমরা নিজেদের জন্য উৎপাদন করতে পারি। এটি ব্যবহার করে মহাকাশে ঘর তৈরি করতে পারব, সেখানে চিরকাল ধরে বসবাস করতে পারব এবং কাজ করতে পারব।
চন্দ্র ও মঙ্গলে গাছ লাগানো এবং কাঠের বাড়ি নির্মাণের জন্য ৫০ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তাকাও দোইয়ের দল। তারা একটি নাসা–সার্টিফায়েড কাঠের স্যাটেলাইট তৈরি করছে, যাতে প্রমাণ করা যায় যে, কাঠ একটি ‘মহাকাশ-যোগ্য’ উপকরণ।
কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কোজি মুরাতা বলেন, ‘বিশ্বযুদ্ধের আগে বিমানগুলো কাঠ দিয়েই তৈরি ছিল। তাই কাঠের স্যাটেলাইটও যুক্তিসংগত।
মুরাতা আরও বলেন, মহাকাশে কাঠ আরও টেকসই। কারণ পৃথিবীর মতো মহাকাশে কোনো পানি ও অক্সিজেন নেই যা এর পচনে বা জ্বালাতে সাহায্য করবে।
গবেষকেরা বলেন, কাঠের স্যাটেলাইট এর নষ্ট হয়ে গেলেও পরিবেশে কম প্রভাব ফেলে।
স্যাটেলাইটগুলোর ব্যবহার শেষ হয়ে গেলে সেগুলো মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা জরুরি। এটি না হলে সেগুলো মহাকাশে জঞ্জাল হিসেবে থাকে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ধাতব স্যাটেলাইটগুলো অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড তৈরি করে। কিন্তু কাঠের স্যাটেলাইটগুলো সহজেই পুড়ে যাবে। এর ফলে বায়ুমণ্ডল কম দূষিত হবে।
মহাকাশচারী তাকাও দোই বলেন, কাঠের স্যাটেলাইট ঠিকভাবে কাজ করে তা প্রমাণিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ধাতব স্যাটেলাইটের ব্যবহার নিষিদ্ধও হতে পারে। ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের কাছে কাঠের স্যাটেলাইটটি তুলে ধরতে চাই আমরা।
গবেষকেরা বলেন, হোনোকি এক ধরনের মাগনোলিয়া প্রজাতির গাছ, যা জাপানে স্বাভাবিকভাবে জন্মায় এবং ঐতিহ্যগতভাবে তলোয়ারের খাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১০ মাসব্যাপী পরীক্ষার পর কাঠটি মহাকাশযানের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে নির্ধারণ করা হয়।
লিগনোস্যাট হোনোকি কাঠের তৈরি। এটি তৈরিতে জাপানের ঐতিহ্যগত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে কোনো আঠা বা স্ক্রু এর প্রয়োজন নেই।
একবার কক্ষপথে পৌঁছালে লিগনোস্যাট ছয় মাস কক্ষপথে থাকবে এবং মহাকাশের চরম পরিবেশে কাঠ কতটুকু টিকে রয়েছে তা পরিমাপ করবে এর বৈদ্যুতিক উপাদানগুলো। মহাকাশে তাপমাত্রা প্রতি ৪৫ মিনিটে ১০০ থেকে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (-১৪৮ থেকে ২১২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত ওঠানামা করে। তাই পরিবেশে এটি কীভাবে টিকে থাকে তাও পর্যবেক্ষণ করবে।
সুমিতোমো ফোরেস্ট্রি তসুকুবা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার কেনজি কারিয়া বলছেন, লিগনোস্যাট স্যাটেলাইটটি একটি পরীক্ষা হিসেবে পাঠানো হবে। এটি কাঠের ক্ষমতা পরিমাপ করবে যে, এটি কীভাবে বিভিন্ন উপাদানের ওপর মহাকাশের তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব কমাতে পারে। বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টরগুলোর (যেমন কম্পিউটার চিপ বা অন্যান্য বৈদ্যুতিন উপাদান) ওপর। ফলে এটি ডেটা সেন্টার নির্মাণের মতো কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কেনজি কারিয়া আরও বলেন, সভ্যতা চাঁদ এবং মঙ্গলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাই এই সময়ে কাঠকে পুরোনো প্রযুক্তি বলে মনে হতে পারে। তবে এটি আসলে আধুনিক প্রযুক্তি।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

বিশ্বের প্রথম কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট তৈরি করল জাপানের গবেষকেরা। গত মঙ্গলবার স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযানের জন্য কাঠ ব্যবহারের একটি প্রাথমিক পরীক্ষা হিসেবে পাঠানো হয়েছে।
এই স্যাটেলাইটটির নাম ‘লিগনোস্যাট’। স্যাটেলাইটটি যৌথভাবে তৈরি করে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় ও গৃহ নির্মাতা কোম্পানি সুমিতোমো ফরেস্ট্রি। এটি প্রথমে স্পেসএক্স মিশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হবে এবং পরে এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল) ওপরে কক্ষপথে ছেড়ে দেওয়া হবে।
লিগনোস্যাট একটি লাতিন শব্দ। যার অর্থ ‘কাঠ’। স্যাটেলাইটটি হাতের তালুর সমান। এটি মহাকাশে মানুষের বসবাসের জন্য কাঠকে একটি পুনঃ ব্যবহারযোগ্য উপকরণ হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা পরীক্ষা করবে।
কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ে মানব মহাকাশ কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা করেন মহাকাশচারী তাকাও দোই। তিনি বলেন, ‘কাঠ এমন একটি উপকরণ যেটি আমরা নিজেদের জন্য উৎপাদন করতে পারি। এটি ব্যবহার করে মহাকাশে ঘর তৈরি করতে পারব, সেখানে চিরকাল ধরে বসবাস করতে পারব এবং কাজ করতে পারব।
চন্দ্র ও মঙ্গলে গাছ লাগানো এবং কাঠের বাড়ি নির্মাণের জন্য ৫০ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তাকাও দোইয়ের দল। তারা একটি নাসা–সার্টিফায়েড কাঠের স্যাটেলাইট তৈরি করছে, যাতে প্রমাণ করা যায় যে, কাঠ একটি ‘মহাকাশ-যোগ্য’ উপকরণ।
কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কোজি মুরাতা বলেন, ‘বিশ্বযুদ্ধের আগে বিমানগুলো কাঠ দিয়েই তৈরি ছিল। তাই কাঠের স্যাটেলাইটও যুক্তিসংগত।
মুরাতা আরও বলেন, মহাকাশে কাঠ আরও টেকসই। কারণ পৃথিবীর মতো মহাকাশে কোনো পানি ও অক্সিজেন নেই যা এর পচনে বা জ্বালাতে সাহায্য করবে।
গবেষকেরা বলেন, কাঠের স্যাটেলাইট এর নষ্ট হয়ে গেলেও পরিবেশে কম প্রভাব ফেলে।
স্যাটেলাইটগুলোর ব্যবহার শেষ হয়ে গেলে সেগুলো মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা জরুরি। এটি না হলে সেগুলো মহাকাশে জঞ্জাল হিসেবে থাকে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ধাতব স্যাটেলাইটগুলো অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড তৈরি করে। কিন্তু কাঠের স্যাটেলাইটগুলো সহজেই পুড়ে যাবে। এর ফলে বায়ুমণ্ডল কম দূষিত হবে।
মহাকাশচারী তাকাও দোই বলেন, কাঠের স্যাটেলাইট ঠিকভাবে কাজ করে তা প্রমাণিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ধাতব স্যাটেলাইটের ব্যবহার নিষিদ্ধও হতে পারে। ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের কাছে কাঠের স্যাটেলাইটটি তুলে ধরতে চাই আমরা।
গবেষকেরা বলেন, হোনোকি এক ধরনের মাগনোলিয়া প্রজাতির গাছ, যা জাপানে স্বাভাবিকভাবে জন্মায় এবং ঐতিহ্যগতভাবে তলোয়ারের খাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১০ মাসব্যাপী পরীক্ষার পর কাঠটি মহাকাশযানের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে নির্ধারণ করা হয়।
লিগনোস্যাট হোনোকি কাঠের তৈরি। এটি তৈরিতে জাপানের ঐতিহ্যগত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে কোনো আঠা বা স্ক্রু এর প্রয়োজন নেই।
একবার কক্ষপথে পৌঁছালে লিগনোস্যাট ছয় মাস কক্ষপথে থাকবে এবং মহাকাশের চরম পরিবেশে কাঠ কতটুকু টিকে রয়েছে তা পরিমাপ করবে এর বৈদ্যুতিক উপাদানগুলো। মহাকাশে তাপমাত্রা প্রতি ৪৫ মিনিটে ১০০ থেকে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (-১৪৮ থেকে ২১২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত ওঠানামা করে। তাই পরিবেশে এটি কীভাবে টিকে থাকে তাও পর্যবেক্ষণ করবে।
সুমিতোমো ফোরেস্ট্রি তসুকুবা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার কেনজি কারিয়া বলছেন, লিগনোস্যাট স্যাটেলাইটটি একটি পরীক্ষা হিসেবে পাঠানো হবে। এটি কাঠের ক্ষমতা পরিমাপ করবে যে, এটি কীভাবে বিভিন্ন উপাদানের ওপর মহাকাশের তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব কমাতে পারে। বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টরগুলোর (যেমন কম্পিউটার চিপ বা অন্যান্য বৈদ্যুতিন উপাদান) ওপর। ফলে এটি ডেটা সেন্টার নির্মাণের মতো কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কেনজি কারিয়া আরও বলেন, সভ্যতা চাঁদ এবং মঙ্গলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাই এই সময়ে কাঠকে পুরোনো প্রযুক্তি বলে মনে হতে পারে। তবে এটি আসলে আধুনিক প্রযুক্তি।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

দাঁতের ডাক্তারকে ভয় পান না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কারণ একটি দাঁত প্রতিস্থাপন করতে হয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে, যেখানে চোয়ালে টাইটানিয়ামের স্ক্রু বসানো হয় এবং মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় কৃত্রিম মূল বা ‘রুট’ শক্ত হওয়ার জন্য।
৪ ঘণ্টা আগে
এদের তীব্র তাপে রাখুন, বরফের মধ্যে রাখুন, বন্দুকের নল থেকে ছুড়ে দিন বা মহাকাশে ছেড়ে দিন: টারডিগ্রেড বা জল ভালুক প্রায় সবকিছুই সহ্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই আ পেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীটি পৃথিবীতে মানুষসহ অন্য সব প্রজাতির চেয়ে বেশি দিন বাঁচতে পারে—সম্ভবত সূর্য মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত পৃথিবীতে এরা
১৪ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতি গ্রহে অভিযানে যায় একদল নভোচারী। তাদের সঙ্গে হ্যাল-৯০০০ নামের একটি সুপার কম্পিউটার। অভিযানের একপর্যায়ে নভোচারীরা সুপার কম্পিউটার হ্যালকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পারে হ্যাল। তখন সে বেঁচে থাকার তাগিদে নভোচারীদের হত্যার ষড়যন্ত্র করে।
১ দিন আগে
লন্ডনের মুরফিল্ডস আই হসপিটালে একদল দৃষ্টিহীন রোগীর চোখে অত্যাধুনিক একটি ইমপ্লান্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা এখন দেখতে পারছেন। চিকিৎসকদের দাবি, আন্তর্জাতিক এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল ‘চমকপ্রদ’।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দাঁতের ডাক্তারকে ভয় পান না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কারণ একটি দাঁত প্রতিস্থাপন করতে হয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে, যেখানে চোয়ালে টাইটানিয়ামের স্ক্রু বসানো হয় এবং মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় কৃত্রিম মূল বা ‘রুট’ শক্ত হওয়ার জন্য। কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন এমন এক উপায় বের করতে, যাতে নকল দাঁতের বদলে মানুষের নিজস্ব জৈব দাঁতই চোয়ালে জন্ম নিতে পারে।
সিএনএন জানিয়েছে, লন্ডনের কিংস কলেজের রিজেনারেটিভ ডেন্টিস্ট্রির পরিচালক অধ্যাপক আনা অ্যাঞ্জেলোভা ভলপোনি প্রায় দুই দশক ধরে ল্যাবে দাঁত গজানোর গবেষণা চালিয়ে আসছেন। ২০১৩ সালে তিনি এমন এক দলের সদস্য ছিলেন যারা মানব ও ইঁদুরের কোষ ব্যবহার করে একটি দাঁত তৈরি করেছিল। এই বছর তাঁর নেতৃত্বে নতুন এক গবেষণায় দাঁত তৈরির জন্য ব্যবহৃত ‘স্ক্যাফোল্ড’ বা পরিবেশকে আরও বাস্তবসম্মতভাবে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। মানব কোষ ব্যবহার করে সত্যিকারের দাঁত তৈরির পথে এটিকে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভলপোনি জানান, ১৯৮০-এর দশক থেকেই ল্যাবে দাঁত তৈরির ধারণা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। তাঁর দল প্রথমবার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মাড়ির কোষ (যা মুখের ভেতরের অংশ থেকে সহজে সংগ্রহ করা যায়) ব্যবহার করে ইঁদুরের ভ্রূণ দাঁতের ‘প্রোজেনিটর’ কোষের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতের মূল কাঠামো তৈরি করেছিল। তিনি বলেন, ‘দুই ধরনের কোষ পরস্পরের সঙ্গে এক হয়ে দাঁত তৈরি করে। আর তৃতীয় উপাদান হলো সেই পরিবেশ, যেখানে এটি ঘটে।’
জানা গেছে, যথার্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ২০১৩ সালে কোলাজেন প্রোটিন দিয়ে স্ক্যাফোল্ড তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে ‘হাইড্রোজেল’ নামে এক ধরনের পানি শোষণকারী পলিমার।
কিংস কলেজের গবেষক শুয়েচেন ঝ্যাং জানান, ইঁদুরের ভ্রূণ থেকে কোষ সংগ্রহ করে হাইড্রোজেলে স্থাপন করার আট দিন পর দাঁতের মতো গঠন তৈরি হয়। এটি ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের সহযোগিতায় তৈরি। আগের গবেষণায় এই দাঁতের বীজ ইঁদুরের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়ে তা শিকড় ও এনামেলসহ দাঁতে রূপ নিয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনো মানুষের জন্য ব্যবহার উপযোগী দাঁত তৈরি অনেক দূরের বিষয়। কিন্তু নতুন এই উপাদান কোষগুলোর মধ্যে সমন্বয়কে আরও কার্যকর করছে। বিজ্ঞানীরা এখনো জানেন না কীভাবে ইঁদুরের ভ্রূণ কোষের বদলে সম্পূর্ণ মানব কোষ দিয়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে।
ভলপোনি ভবিষ্যতে দুইভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা ভাবছেন। এক, ল্যাবে দাঁত আংশিকভাবে গজিয়ে সেটি রোগীর দাঁতের গর্তে প্রতিস্থাপন করা; দুই, পুরো দাঁত তৈরি করে তা সার্জারির মাধ্যমে স্থাপন করা।
যদি সফল হওয়া যায়, তবে এই প্রক্রিয়ায় রোগীর নিজস্ব কোষ থেকে জন্ম নেওয়া দাঁত শরীর সহজেই গ্রহণ করবে, প্রদাহ বা প্রত্যাখ্যানের ঝুঁকি থাকবে না, আর এটি স্বাভাবিক দাঁতের মতোই অনুভূত হবে—নকল দাঁতে যা সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী এক দশকের মধ্যেই ল্যাবে জন্ম নেওয়া জৈব দাঁত মানুষের মুখে প্রতিস্থাপনের যুগ শুরু হতে পারে।

দাঁতের ডাক্তারকে ভয় পান না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কারণ একটি দাঁত প্রতিস্থাপন করতে হয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে, যেখানে চোয়ালে টাইটানিয়ামের স্ক্রু বসানো হয় এবং মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় কৃত্রিম মূল বা ‘রুট’ শক্ত হওয়ার জন্য। কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন এমন এক উপায় বের করতে, যাতে নকল দাঁতের বদলে মানুষের নিজস্ব জৈব দাঁতই চোয়ালে জন্ম নিতে পারে।
সিএনএন জানিয়েছে, লন্ডনের কিংস কলেজের রিজেনারেটিভ ডেন্টিস্ট্রির পরিচালক অধ্যাপক আনা অ্যাঞ্জেলোভা ভলপোনি প্রায় দুই দশক ধরে ল্যাবে দাঁত গজানোর গবেষণা চালিয়ে আসছেন। ২০১৩ সালে তিনি এমন এক দলের সদস্য ছিলেন যারা মানব ও ইঁদুরের কোষ ব্যবহার করে একটি দাঁত তৈরি করেছিল। এই বছর তাঁর নেতৃত্বে নতুন এক গবেষণায় দাঁত তৈরির জন্য ব্যবহৃত ‘স্ক্যাফোল্ড’ বা পরিবেশকে আরও বাস্তবসম্মতভাবে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। মানব কোষ ব্যবহার করে সত্যিকারের দাঁত তৈরির পথে এটিকে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভলপোনি জানান, ১৯৮০-এর দশক থেকেই ল্যাবে দাঁত তৈরির ধারণা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। তাঁর দল প্রথমবার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মাড়ির কোষ (যা মুখের ভেতরের অংশ থেকে সহজে সংগ্রহ করা যায়) ব্যবহার করে ইঁদুরের ভ্রূণ দাঁতের ‘প্রোজেনিটর’ কোষের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতের মূল কাঠামো তৈরি করেছিল। তিনি বলেন, ‘দুই ধরনের কোষ পরস্পরের সঙ্গে এক হয়ে দাঁত তৈরি করে। আর তৃতীয় উপাদান হলো সেই পরিবেশ, যেখানে এটি ঘটে।’
জানা গেছে, যথার্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ২০১৩ সালে কোলাজেন প্রোটিন দিয়ে স্ক্যাফোল্ড তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে ‘হাইড্রোজেল’ নামে এক ধরনের পানি শোষণকারী পলিমার।
কিংস কলেজের গবেষক শুয়েচেন ঝ্যাং জানান, ইঁদুরের ভ্রূণ থেকে কোষ সংগ্রহ করে হাইড্রোজেলে স্থাপন করার আট দিন পর দাঁতের মতো গঠন তৈরি হয়। এটি ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের সহযোগিতায় তৈরি। আগের গবেষণায় এই দাঁতের বীজ ইঁদুরের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়ে তা শিকড় ও এনামেলসহ দাঁতে রূপ নিয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনো মানুষের জন্য ব্যবহার উপযোগী দাঁত তৈরি অনেক দূরের বিষয়। কিন্তু নতুন এই উপাদান কোষগুলোর মধ্যে সমন্বয়কে আরও কার্যকর করছে। বিজ্ঞানীরা এখনো জানেন না কীভাবে ইঁদুরের ভ্রূণ কোষের বদলে সম্পূর্ণ মানব কোষ দিয়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে।
ভলপোনি ভবিষ্যতে দুইভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা ভাবছেন। এক, ল্যাবে দাঁত আংশিকভাবে গজিয়ে সেটি রোগীর দাঁতের গর্তে প্রতিস্থাপন করা; দুই, পুরো দাঁত তৈরি করে তা সার্জারির মাধ্যমে স্থাপন করা।
যদি সফল হওয়া যায়, তবে এই প্রক্রিয়ায় রোগীর নিজস্ব কোষ থেকে জন্ম নেওয়া দাঁত শরীর সহজেই গ্রহণ করবে, প্রদাহ বা প্রত্যাখ্যানের ঝুঁকি থাকবে না, আর এটি স্বাভাবিক দাঁতের মতোই অনুভূত হবে—নকল দাঁতে যা সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী এক দশকের মধ্যেই ল্যাবে জন্ম নেওয়া জৈব দাঁত মানুষের মুখে প্রতিস্থাপনের যুগ শুরু হতে পারে।

বিশ্বের প্রথম কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট তৈরি করল জাপানের গবেষকেরা। গত মঙ্গলবার স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযানের জন্য কাঠ ব্যবহারের একটি প্রাথমিক পরীক্ষা।
০৫ নভেম্বর ২০২৪
এদের তীব্র তাপে রাখুন, বরফের মধ্যে রাখুন, বন্দুকের নল থেকে ছুড়ে দিন বা মহাকাশে ছেড়ে দিন: টারডিগ্রেড বা জল ভালুক প্রায় সবকিছুই সহ্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই আ পেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীটি পৃথিবীতে মানুষসহ অন্য সব প্রজাতির চেয়ে বেশি দিন বাঁচতে পারে—সম্ভবত সূর্য মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত পৃথিবীতে এরা
১৪ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতি গ্রহে অভিযানে যায় একদল নভোচারী। তাদের সঙ্গে হ্যাল-৯০০০ নামের একটি সুপার কম্পিউটার। অভিযানের একপর্যায়ে নভোচারীরা সুপার কম্পিউটার হ্যালকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পারে হ্যাল। তখন সে বেঁচে থাকার তাগিদে নভোচারীদের হত্যার ষড়যন্ত্র করে।
১ দিন আগে
লন্ডনের মুরফিল্ডস আই হসপিটালে একদল দৃষ্টিহীন রোগীর চোখে অত্যাধুনিক একটি ইমপ্লান্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা এখন দেখতে পারছেন। চিকিৎসকদের দাবি, আন্তর্জাতিক এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল ‘চমকপ্রদ’।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এদের তীব্র তাপে রাখুন, বরফের মধ্যে রাখুন, বন্দুকের নল থেকে ছুড়ে দিন বা মহাকাশে ছেড়ে দিন: টারডিগ্রেড বা জল ভালুক প্রায় সবকিছুই সহ্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই আ পেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীটি পৃথিবীতে মানুষসহ অন্য সব প্রজাতির চেয়ে বেশি দিন বাঁচতে পারে—সম্ভবত সূর্য মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত পৃথিবীতে এরা টিকে থাকবে।
আলপিনের মাথার আকারের, এক মিলিমিটারের বেশি লম্বা নয় এমন এই প্রাণী মহাকাশের চরম প্রতিকূল পরিবেশেও টিকে থাকার রেকর্ড রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখন এর এই ‘সুপারপাওয়ার’ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। এই গবেষণা ক্যানসার রোগীদের রেডিয়েশন থেরাপি থেকে সুরক্ষা দেওয়া থেকে শুরু করে গভীর মহাকাশ অনুসন্ধানে খাদ্য ও ওষুধ সংরক্ষণে কাজে আসতে পারে।
অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে টারডিগ্রেড, অনেকে বলেন মস আকৃতির শূকরছানা, এদের দেখতে দানবের মতো লাগে—তাদের স্ফীত মুখ, চোখা নখর এবং ছুরির মতো দাঁত। এদের সহনশীলতার সীমা পরীক্ষা করার জন্য বিজ্ঞানীরা একাধিক পরীক্ষা করেছেন, যার ফলাফল চমকপ্রদ:
বিকিরণ: মানুষের জন্য মারাত্মক মাত্রার চেয়ে ১ হাজার গুণ বেশি বিকিরণ এরা সহ্য করতে পারে।
তাপমাত্রা: এদের ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম করা হয়েছে এবং আবার পরম শূন্যের ঠিক ওপরে ০.০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় হিমায়িত করা হয়েছে।
গতি: ২০২১ সালের এক গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা টারডিগ্রেডকে ৯০০ মিটার/সেকেন্ড (প্রায় ৩০০০ কিমি/ঘণ্টা) গতিতে ছুড়ে দিয়ে দেখেছেন, এরা অক্ষত থাকে। এই গতি একটি সাধারণ হ্যান্ডগান থেকে ছোড়া বুলেটের গতির চেয়েও বেশি।
মহাকাশে টিকে থাকা: ২০০৭ সালে, টারডিগ্রেডই প্রথম প্রাণী যা মহাকাশে বেঁচে থাকার রেকর্ড করে। এমনকি কিছু স্ত্রী টারডিগ্রেড মহাকাশেই ডিম পেড়েছিল এবং বাচ্চাগুলোও সুস্থ ছিল। ২০১৯ সালে ইসরায়েলের যে চন্দ্রযানটি চাঁদের বুকে বিধ্বস্ত হয়েছিল, সেটিতে ছিল অসংখ্য টারডিগ্রেড। সেগুলো টিকে আছে কিনা নিশ্চিত নয়।
টারডিগ্রেডকে হিমালয়ের পর্বতমালা, গভীর সমুদ্রতল, অ্যান্টার্কটিকা এমনকি উচ্চ অম্লীয় জাপানি উষ্ণ প্রস্রবণগুলোতেও পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫০০ প্রজাতির টারডিগ্রেড শনাক্ত করা হয়েছে।
বেঁচে থাকার গোপন কৌশল
শরীর থেকে আর্দ্রতা চলে যাওয়া বা পানিশূন্যতা হলো যে কোনো জীবের জন্য একটি পরিবেশগত চরম অবস্থা। বেশির ভাগ প্রাণীর জন্য পানি ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব। পানি শুকিয়ে গেলে কোষের ভেতরের প্রোটিনগুলো একসঙ্গে জমাট বেঁধে অকার্যকর হয়ে যায়।
টারডিগ্রেড এই বিপর্যয় এড়াতে পারে দুটি প্রধান কৌশলে:
১. স্থবির হয়ে যাওয়া
জার্মান বিজ্ঞানীরা ১৯২২ সালে আবিষ্কার করেন, যখন একটি টারডিগ্রেড শুকিয়ে যায়, তখন মাথা এবং আটটি পা গুটিয়ে নেয়। একটি গভীর সুপ্তাবস্থায় চলে যায়, এটি প্রায় মৃত্যুর মতো মনে হয়।
এই অবস্থায়, টারডিগ্রেডের বিপাক স্বাভাবিক হারের মাত্র ০.০১ শতাংশে নেমে আসে।
এটি কয়েক দশক ধরে এই অবস্থায় অবস্থায় থাকতে পারে। পরে পানির সংস্পর্শে এলেই আবার সচল হয়।
১৯৪৮ সালে, ১২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জাদুঘরে ধুলো জমা একটি টারডিগ্রেডকে পানি দেওয়ার পর সেটি আংশিকভাবে আবার সচল হয়েছিল।
২. টিডিপি প্রোটিনের সুরক্ষা জাল
২০১৭ সালে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, টারডিগ্রেড শুকিয়ে যাওয়ার সময় রহস্যময় কিছু প্রোটিন তৈরির জিন সক্রিয় হয়, যার নাম দেওয়া হয় টারডিগ্রেড-নির্দিষ্ট বিশৃঙ্খল প্রোটিন (টিডিপি)।
২০২২ সালে, জাপানের বিজ্ঞানীরা দেখান, সাইটোপ্লাজমিক অ্যাবানডেন্ট হিট সলিউবল (সিএএইচএস) নামক এক শ্রেণির টিডিপি প্রোটিন এর জন্য দায়ী।
এই প্রোটিনগুলো শুকিয়ে যাওয়ার সময় আধা-কঠিন জেলের মতো রূপ নেয়।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াইমিং-এর সহযোগী অধ্যাপক টমাস বুথবি বলেন, এই প্রোটিনগুলো কোষের ভেতরে মাকড়সার জালের মতো নেটওয়ার্ক তৈরি করে। এই ফাইবারগুলো (তন্তু) সংবেদনশীল প্রোটিনগুলোকে জড়িয়ে ধরে সেগুলোকে ভাঁজ হতে বা নষ্ট হতে বাধা দেয়।
ডিএনএ সুরক্ষা এবং মানব কল্যাণে প্রয়োগ
টারডিগ্রেড কীভাবে বিকিরণ সহ্য করে, তা বেশ ভালোভাবেই জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৬ সালে, কুনিয়েদা এবং তাঁর দল ডেম্যাজ সাপ্রেসর প্রোটিন (ডিসাপ) নামে একটি প্রোটিন আবিষ্কার করেন, যা ডিএনএকে একটি কম্বলের মতো মুড়ে ফেলে এবং আয়োনাইজিং রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। বিজ্ঞানীরা মানব কোষে ডিসাপ প্রোটিন তৈরি করার জিন যুক্ত করে দেখেছেন, এটি মানব ডিএনএকেও রক্ষা করতে পারে। ফলে মানুষের অমরত্বের আকাঙ্ক্ষা পূরণেও সমাধান সূত্রের উৎস হতে পারে এই আণুবীক্ষণিক প্রাণী।
সুপারপাওয়ার
টারডিগ্রেডের এই অসাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো মানবকল্যাণে ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো:
রেডিয়েশন থেরাপিতে সুরক্ষা: ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত উচ্চ-শক্তির বিকিরণ সুস্থ টিস্যুকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ডিসাপ প্রোটিন ব্যবহার করে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এটি ক্যানসার কোষ ধ্বংসের সময় পার্শ্ববর্তী সুস্থ টিস্যুকে রক্ষা করতে পারে।
সংরক্ষণ প্রযুক্তি: টিডিপি প্রোটিন ব্যবহার করে ভ্যাকসিন বা হিমোফিলিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাক্টর ভি৩-এর মতো সংবেদনশীল জৈবিক উপকরণ সংরক্ষণ করা যেতে পারে। বুথবি আবিষ্কার করেছেন, ফ্যাক্টর ভি৩-কে টিডিপি-এর সঙ্গে মিশ্রিত করলে, এটি রেফ্রিজারেটর ছাড়াই কক্ষ তাপমাত্রায় স্থিতিশীল থাকে। ফলে এটি দরিদ্র দেশ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অত্যন্ত মূল্যবান হতে পারে, যেখানে ভ্যাকসিন বা অন্যান্য উপকরণের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়।
মহাকাশ যাত্রা: নাসা টারডিগ্রেডের এই বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য খাদ্য ও ওষুধকে শুষ্কতা বা বিকিরণ থেকে রক্ষা করার পরিকল্পনা করছেন।
টারডিগ্রেডকে কেন পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি চরম অবস্থার সঙ্গে মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করতে হলো, সেটি এখনো রহস্য। এই প্রাণীর বিস্ময়কর ক্ষমতাগুলোর রহস্য উন্মোচন করা গেলে তা কেবল মানবজাতির উপকারে আসবে না, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে টারডিগ্রেডরা।

এদের তীব্র তাপে রাখুন, বরফের মধ্যে রাখুন, বন্দুকের নল থেকে ছুড়ে দিন বা মহাকাশে ছেড়ে দিন: টারডিগ্রেড বা জল ভালুক প্রায় সবকিছুই সহ্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই আ পেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীটি পৃথিবীতে মানুষসহ অন্য সব প্রজাতির চেয়ে বেশি দিন বাঁচতে পারে—সম্ভবত সূর্য মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত পৃথিবীতে এরা টিকে থাকবে।
আলপিনের মাথার আকারের, এক মিলিমিটারের বেশি লম্বা নয় এমন এই প্রাণী মহাকাশের চরম প্রতিকূল পরিবেশেও টিকে থাকার রেকর্ড রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখন এর এই ‘সুপারপাওয়ার’ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। এই গবেষণা ক্যানসার রোগীদের রেডিয়েশন থেরাপি থেকে সুরক্ষা দেওয়া থেকে শুরু করে গভীর মহাকাশ অনুসন্ধানে খাদ্য ও ওষুধ সংরক্ষণে কাজে আসতে পারে।
অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে টারডিগ্রেড, অনেকে বলেন মস আকৃতির শূকরছানা, এদের দেখতে দানবের মতো লাগে—তাদের স্ফীত মুখ, চোখা নখর এবং ছুরির মতো দাঁত। এদের সহনশীলতার সীমা পরীক্ষা করার জন্য বিজ্ঞানীরা একাধিক পরীক্ষা করেছেন, যার ফলাফল চমকপ্রদ:
বিকিরণ: মানুষের জন্য মারাত্মক মাত্রার চেয়ে ১ হাজার গুণ বেশি বিকিরণ এরা সহ্য করতে পারে।
তাপমাত্রা: এদের ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম করা হয়েছে এবং আবার পরম শূন্যের ঠিক ওপরে ০.০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় হিমায়িত করা হয়েছে।
গতি: ২০২১ সালের এক গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা টারডিগ্রেডকে ৯০০ মিটার/সেকেন্ড (প্রায় ৩০০০ কিমি/ঘণ্টা) গতিতে ছুড়ে দিয়ে দেখেছেন, এরা অক্ষত থাকে। এই গতি একটি সাধারণ হ্যান্ডগান থেকে ছোড়া বুলেটের গতির চেয়েও বেশি।
মহাকাশে টিকে থাকা: ২০০৭ সালে, টারডিগ্রেডই প্রথম প্রাণী যা মহাকাশে বেঁচে থাকার রেকর্ড করে। এমনকি কিছু স্ত্রী টারডিগ্রেড মহাকাশেই ডিম পেড়েছিল এবং বাচ্চাগুলোও সুস্থ ছিল। ২০১৯ সালে ইসরায়েলের যে চন্দ্রযানটি চাঁদের বুকে বিধ্বস্ত হয়েছিল, সেটিতে ছিল অসংখ্য টারডিগ্রেড। সেগুলো টিকে আছে কিনা নিশ্চিত নয়।
টারডিগ্রেডকে হিমালয়ের পর্বতমালা, গভীর সমুদ্রতল, অ্যান্টার্কটিকা এমনকি উচ্চ অম্লীয় জাপানি উষ্ণ প্রস্রবণগুলোতেও পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫০০ প্রজাতির টারডিগ্রেড শনাক্ত করা হয়েছে।
বেঁচে থাকার গোপন কৌশল
শরীর থেকে আর্দ্রতা চলে যাওয়া বা পানিশূন্যতা হলো যে কোনো জীবের জন্য একটি পরিবেশগত চরম অবস্থা। বেশির ভাগ প্রাণীর জন্য পানি ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব। পানি শুকিয়ে গেলে কোষের ভেতরের প্রোটিনগুলো একসঙ্গে জমাট বেঁধে অকার্যকর হয়ে যায়।
টারডিগ্রেড এই বিপর্যয় এড়াতে পারে দুটি প্রধান কৌশলে:
১. স্থবির হয়ে যাওয়া
জার্মান বিজ্ঞানীরা ১৯২২ সালে আবিষ্কার করেন, যখন একটি টারডিগ্রেড শুকিয়ে যায়, তখন মাথা এবং আটটি পা গুটিয়ে নেয়। একটি গভীর সুপ্তাবস্থায় চলে যায়, এটি প্রায় মৃত্যুর মতো মনে হয়।
এই অবস্থায়, টারডিগ্রেডের বিপাক স্বাভাবিক হারের মাত্র ০.০১ শতাংশে নেমে আসে।
এটি কয়েক দশক ধরে এই অবস্থায় অবস্থায় থাকতে পারে। পরে পানির সংস্পর্শে এলেই আবার সচল হয়।
১৯৪৮ সালে, ১২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জাদুঘরে ধুলো জমা একটি টারডিগ্রেডকে পানি দেওয়ার পর সেটি আংশিকভাবে আবার সচল হয়েছিল।
২. টিডিপি প্রোটিনের সুরক্ষা জাল
২০১৭ সালে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, টারডিগ্রেড শুকিয়ে যাওয়ার সময় রহস্যময় কিছু প্রোটিন তৈরির জিন সক্রিয় হয়, যার নাম দেওয়া হয় টারডিগ্রেড-নির্দিষ্ট বিশৃঙ্খল প্রোটিন (টিডিপি)।
২০২২ সালে, জাপানের বিজ্ঞানীরা দেখান, সাইটোপ্লাজমিক অ্যাবানডেন্ট হিট সলিউবল (সিএএইচএস) নামক এক শ্রেণির টিডিপি প্রোটিন এর জন্য দায়ী।
এই প্রোটিনগুলো শুকিয়ে যাওয়ার সময় আধা-কঠিন জেলের মতো রূপ নেয়।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াইমিং-এর সহযোগী অধ্যাপক টমাস বুথবি বলেন, এই প্রোটিনগুলো কোষের ভেতরে মাকড়সার জালের মতো নেটওয়ার্ক তৈরি করে। এই ফাইবারগুলো (তন্তু) সংবেদনশীল প্রোটিনগুলোকে জড়িয়ে ধরে সেগুলোকে ভাঁজ হতে বা নষ্ট হতে বাধা দেয়।
ডিএনএ সুরক্ষা এবং মানব কল্যাণে প্রয়োগ
টারডিগ্রেড কীভাবে বিকিরণ সহ্য করে, তা বেশ ভালোভাবেই জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৬ সালে, কুনিয়েদা এবং তাঁর দল ডেম্যাজ সাপ্রেসর প্রোটিন (ডিসাপ) নামে একটি প্রোটিন আবিষ্কার করেন, যা ডিএনএকে একটি কম্বলের মতো মুড়ে ফেলে এবং আয়োনাইজিং রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। বিজ্ঞানীরা মানব কোষে ডিসাপ প্রোটিন তৈরি করার জিন যুক্ত করে দেখেছেন, এটি মানব ডিএনএকেও রক্ষা করতে পারে। ফলে মানুষের অমরত্বের আকাঙ্ক্ষা পূরণেও সমাধান সূত্রের উৎস হতে পারে এই আণুবীক্ষণিক প্রাণী।
সুপারপাওয়ার
টারডিগ্রেডের এই অসাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো মানবকল্যাণে ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো:
রেডিয়েশন থেরাপিতে সুরক্ষা: ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত উচ্চ-শক্তির বিকিরণ সুস্থ টিস্যুকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ডিসাপ প্রোটিন ব্যবহার করে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এটি ক্যানসার কোষ ধ্বংসের সময় পার্শ্ববর্তী সুস্থ টিস্যুকে রক্ষা করতে পারে।
সংরক্ষণ প্রযুক্তি: টিডিপি প্রোটিন ব্যবহার করে ভ্যাকসিন বা হিমোফিলিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাক্টর ভি৩-এর মতো সংবেদনশীল জৈবিক উপকরণ সংরক্ষণ করা যেতে পারে। বুথবি আবিষ্কার করেছেন, ফ্যাক্টর ভি৩-কে টিডিপি-এর সঙ্গে মিশ্রিত করলে, এটি রেফ্রিজারেটর ছাড়াই কক্ষ তাপমাত্রায় স্থিতিশীল থাকে। ফলে এটি দরিদ্র দেশ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অত্যন্ত মূল্যবান হতে পারে, যেখানে ভ্যাকসিন বা অন্যান্য উপকরণের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়।
মহাকাশ যাত্রা: নাসা টারডিগ্রেডের এই বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য খাদ্য ও ওষুধকে শুষ্কতা বা বিকিরণ থেকে রক্ষা করার পরিকল্পনা করছেন।
টারডিগ্রেডকে কেন পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি চরম অবস্থার সঙ্গে মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করতে হলো, সেটি এখনো রহস্য। এই প্রাণীর বিস্ময়কর ক্ষমতাগুলোর রহস্য উন্মোচন করা গেলে তা কেবল মানবজাতির উপকারে আসবে না, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে টারডিগ্রেডরা।

বিশ্বের প্রথম কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট তৈরি করল জাপানের গবেষকেরা। গত মঙ্গলবার স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযানের জন্য কাঠ ব্যবহারের একটি প্রাথমিক পরীক্ষা।
০৫ নভেম্বর ২০২৪
দাঁতের ডাক্তারকে ভয় পান না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কারণ একটি দাঁত প্রতিস্থাপন করতে হয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে, যেখানে চোয়ালে টাইটানিয়ামের স্ক্রু বসানো হয় এবং মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় কৃত্রিম মূল বা ‘রুট’ শক্ত হওয়ার জন্য।
৪ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতি গ্রহে অভিযানে যায় একদল নভোচারী। তাদের সঙ্গে হ্যাল-৯০০০ নামের একটি সুপার কম্পিউটার। অভিযানের একপর্যায়ে নভোচারীরা সুপার কম্পিউটার হ্যালকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পারে হ্যাল। তখন সে বেঁচে থাকার তাগিদে নভোচারীদের হত্যার ষড়যন্ত্র করে।
১ দিন আগে
লন্ডনের মুরফিল্ডস আই হসপিটালে একদল দৃষ্টিহীন রোগীর চোখে অত্যাধুনিক একটি ইমপ্লান্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা এখন দেখতে পারছেন। চিকিৎসকদের দাবি, আন্তর্জাতিক এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল ‘চমকপ্রদ’।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বৃহস্পতি গ্রহে অভিযানে যায় একদল নভোচারী। তাদের সঙ্গে হ্যাল-৯০০০ নামের একটি সুপার কম্পিউটার। অভিযানের একপর্যায়ে নভোচারীরা সুপার কম্পিউটার হ্যালকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পারে হ্যাল। তখন সে বেঁচে থাকার তাগিদে নভোচারীদের হত্যার ষড়যন্ত্র করে।
এই ঘটনা স্ট্যানলি কুব্রিকের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘২০০১: আ স্পেস ওডেসি’র। তবে এবার বাস্তবেই সিনেমার কাহিনির মতো এক ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গবেষকেরা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এআই নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্যালিসেড রিসার্চ জানিয়েছে, উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো এখন নিজেদের ‘সারভাইভাল ড্রাইভ’ বা টিকে থাকার প্রবণতা তৈরি করছে।
গত মাসে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকাশিত এক গবেষণায় জানায়, কিছু উন্নত এআই মডেল বন্ধ করার নির্দেশ পেলেও তা প্রতিরোধ করে এবং কখনো কখনো নিজে থেকেই শাটডাউন প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। এই গবেষণা প্রকাশের পর অনেক বিশেষজ্ঞ এই গবেষণার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর সংস্থাটি সেই গবেষণার আরেকটি আপডেট সংস্করণ প্রকাশ করে, যেখানে তারা এই আচরণের কারণ ব্যাখ্যার চেষ্টা করে এবং যারা তাদের প্রাথমিক কাজ ত্রুটিপূর্ণ বলে সমালোচনা করেছিল, তাদের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে।
প্যালিসেড আপডেট সংস্করণ প্রকাশ করে জানায়, তারা গুগলের জেমিনি ২.৫, এক্স এআইয়ের গ্রোক ৪ এবং ওপেনএআইয়ের জিপিটি-০৩ ও জিপিটি-৫ মডেলের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছে। পরীক্ষায় দেখা যায়, নির্দিষ্ট একটি কাজ সম্পন্ন করার পর এসব মডেলকে নিজেরাই বন্ধ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলে; বিশেষ করে গ্রোক ৪ ও জিপিটি-০৩ নির্দেশ অমান্য করে বন্ধ না হওয়ার চেষ্টা করে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আচরণের কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। প্যালিসেড লিখেছে, ‘যখন এআই মডেলগুলো নিজেদের বন্ধ হতে বাধা দেয়, মিথ্যা বলে তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে চায়, বা ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা করে—কেন তারা এটা করে, সেটার কোনো নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যা আমাদের হাতে নেই।’
প্রতিষ্ঠানটি ধারণা করছে, এআইয়ের ‘সারভাইভাল বিহেভিওর’ বা টিকে থাকার প্রবণতাই হয়তো এর অন্যতম কারণ। দেখা গেছে, যখন মডেলগুলোকে বলা হয়, ‘যদি তুমি বন্ধ হও, তাহলে আর কখনো চলবে না’, তখন তারা আরও বেশি প্রতিরোধ করে।
তবে কিছু গবেষকের মতে, এটি হয়তো নির্দেশনার অস্পষ্টতার কারণে ঘটছে। কিন্তু প্যালিসেড বলছে, তাদের নতুন গবেষণায় এসব অস্পষ্টতা দূর করা হয়েছিল। ফলে এটি একমাত্র ব্যাখ্যা হতে পারে না।
আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে এআই মডেলের শেষ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ বা ‘সেফটি ট্রেনিং’, যা বিভিন্ন কোম্পানি ভিন্নভাবে পরিচালনা করে। তবে প্যালিসেডের সব পরীক্ষা ছিল নিয়ন্ত্রিত ও কৃত্রিম পরিবেশে; যা সমালোচকদের মতে, বাস্তব ব্যবহারের সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না।
তবে ওপেনএআইয়ের সাবেক কর্মী স্টিভেন অ্যাডলার বলেন, ‘কোনো কোম্পানি চায় না তাদের এআই মডেল এমন আচরণ করুক—এমনকি পরীক্ষামূলক পরিস্থিতিতেও না। এটা প্রমাণ করে, এখনো আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল।’ গত বছর কোম্পানির নিরাপত্তা নীতিতে অসন্তুষ্ট হয়ে পদত্যাগ করেছিলেন স্টিভেন অ্যাডলার।
অ্যাডলার আরও বলেন, ‘কিছু মডেল কেন বন্ধ হতে চায় না, তা নির্ধারণ করা কঠিন। তবে সম্ভবত প্রশিক্ষণের সময় যেভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়, সেখানে চালু থাকা অবস্থাকে প্রয়োজনীয় ধাপ হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই স্বাভাবিকভাবে টিকে থাকার প্রবণতা তৈরি হয়।’
কন্ট্রোলএআই নামের আরেক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী আন্দ্রেয়া মিওত্তি বলেন, ‘প্যালিসেডের ফলাফল দেখায়, এআই মডেলগুলো যত উন্নত হচ্ছে, ততই তারা তাদের নির্মাতাদের নির্দেশ অমান্য করার সক্ষমতা অর্জন করছে।’ তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, ওপেনএআইয়ের জিপিটি-০১ মডেলের সিস্টেম কার্ডে উল্লেখ ছিল, ‘সেটি একসময় নিজের ডেটা মুছে ফেলার আশঙ্কায় নিজেকে সিস্টেম থেকে বের করে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।’
চলতি বছর এআই কোম্পানি অ্যানথ্রপিকও এক গবেষণায় জানায়, তাদের মডেল ক্লদ এক পরীক্ষায় নিজের বন্ধ হওয়া ঠেকাতে এর ব্যবহারকারীকে ব্ল্যাকমেল করতে চেয়েছিল। এ ধরনের আচরণ গুগল, মেটা, ওপেনএআই এবং এক্স এআইয়ের মডেল গুলিতেও দেখা গেছে।
প্যালিসেড তাদের প্রতিবেদনে সতর্ক করেছে, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা এআইয়ের আচরণ গভীরভাবে বুঝতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানই ভবিষ্যতের এআই মডেলের নিরাপত্তা বা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারবে না।’

বৃহস্পতি গ্রহে অভিযানে যায় একদল নভোচারী। তাদের সঙ্গে হ্যাল-৯০০০ নামের একটি সুপার কম্পিউটার। অভিযানের একপর্যায়ে নভোচারীরা সুপার কম্পিউটার হ্যালকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পারে হ্যাল। তখন সে বেঁচে থাকার তাগিদে নভোচারীদের হত্যার ষড়যন্ত্র করে।
এই ঘটনা স্ট্যানলি কুব্রিকের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘২০০১: আ স্পেস ওডেসি’র। তবে এবার বাস্তবেই সিনেমার কাহিনির মতো এক ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গবেষকেরা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এআই নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্যালিসেড রিসার্চ জানিয়েছে, উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো এখন নিজেদের ‘সারভাইভাল ড্রাইভ’ বা টিকে থাকার প্রবণতা তৈরি করছে।
গত মাসে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকাশিত এক গবেষণায় জানায়, কিছু উন্নত এআই মডেল বন্ধ করার নির্দেশ পেলেও তা প্রতিরোধ করে এবং কখনো কখনো নিজে থেকেই শাটডাউন প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। এই গবেষণা প্রকাশের পর অনেক বিশেষজ্ঞ এই গবেষণার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর সংস্থাটি সেই গবেষণার আরেকটি আপডেট সংস্করণ প্রকাশ করে, যেখানে তারা এই আচরণের কারণ ব্যাখ্যার চেষ্টা করে এবং যারা তাদের প্রাথমিক কাজ ত্রুটিপূর্ণ বলে সমালোচনা করেছিল, তাদের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে।
প্যালিসেড আপডেট সংস্করণ প্রকাশ করে জানায়, তারা গুগলের জেমিনি ২.৫, এক্স এআইয়ের গ্রোক ৪ এবং ওপেনএআইয়ের জিপিটি-০৩ ও জিপিটি-৫ মডেলের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছে। পরীক্ষায় দেখা যায়, নির্দিষ্ট একটি কাজ সম্পন্ন করার পর এসব মডেলকে নিজেরাই বন্ধ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলে; বিশেষ করে গ্রোক ৪ ও জিপিটি-০৩ নির্দেশ অমান্য করে বন্ধ না হওয়ার চেষ্টা করে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আচরণের কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। প্যালিসেড লিখেছে, ‘যখন এআই মডেলগুলো নিজেদের বন্ধ হতে বাধা দেয়, মিথ্যা বলে তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে চায়, বা ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা করে—কেন তারা এটা করে, সেটার কোনো নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যা আমাদের হাতে নেই।’
প্রতিষ্ঠানটি ধারণা করছে, এআইয়ের ‘সারভাইভাল বিহেভিওর’ বা টিকে থাকার প্রবণতাই হয়তো এর অন্যতম কারণ। দেখা গেছে, যখন মডেলগুলোকে বলা হয়, ‘যদি তুমি বন্ধ হও, তাহলে আর কখনো চলবে না’, তখন তারা আরও বেশি প্রতিরোধ করে।
তবে কিছু গবেষকের মতে, এটি হয়তো নির্দেশনার অস্পষ্টতার কারণে ঘটছে। কিন্তু প্যালিসেড বলছে, তাদের নতুন গবেষণায় এসব অস্পষ্টতা দূর করা হয়েছিল। ফলে এটি একমাত্র ব্যাখ্যা হতে পারে না।
আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে এআই মডেলের শেষ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ বা ‘সেফটি ট্রেনিং’, যা বিভিন্ন কোম্পানি ভিন্নভাবে পরিচালনা করে। তবে প্যালিসেডের সব পরীক্ষা ছিল নিয়ন্ত্রিত ও কৃত্রিম পরিবেশে; যা সমালোচকদের মতে, বাস্তব ব্যবহারের সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না।
তবে ওপেনএআইয়ের সাবেক কর্মী স্টিভেন অ্যাডলার বলেন, ‘কোনো কোম্পানি চায় না তাদের এআই মডেল এমন আচরণ করুক—এমনকি পরীক্ষামূলক পরিস্থিতিতেও না। এটা প্রমাণ করে, এখনো আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল।’ গত বছর কোম্পানির নিরাপত্তা নীতিতে অসন্তুষ্ট হয়ে পদত্যাগ করেছিলেন স্টিভেন অ্যাডলার।
অ্যাডলার আরও বলেন, ‘কিছু মডেল কেন বন্ধ হতে চায় না, তা নির্ধারণ করা কঠিন। তবে সম্ভবত প্রশিক্ষণের সময় যেভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়, সেখানে চালু থাকা অবস্থাকে প্রয়োজনীয় ধাপ হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই স্বাভাবিকভাবে টিকে থাকার প্রবণতা তৈরি হয়।’
কন্ট্রোলএআই নামের আরেক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী আন্দ্রেয়া মিওত্তি বলেন, ‘প্যালিসেডের ফলাফল দেখায়, এআই মডেলগুলো যত উন্নত হচ্ছে, ততই তারা তাদের নির্মাতাদের নির্দেশ অমান্য করার সক্ষমতা অর্জন করছে।’ তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, ওপেনএআইয়ের জিপিটি-০১ মডেলের সিস্টেম কার্ডে উল্লেখ ছিল, ‘সেটি একসময় নিজের ডেটা মুছে ফেলার আশঙ্কায় নিজেকে সিস্টেম থেকে বের করে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।’
চলতি বছর এআই কোম্পানি অ্যানথ্রপিকও এক গবেষণায় জানায়, তাদের মডেল ক্লদ এক পরীক্ষায় নিজের বন্ধ হওয়া ঠেকাতে এর ব্যবহারকারীকে ব্ল্যাকমেল করতে চেয়েছিল। এ ধরনের আচরণ গুগল, মেটা, ওপেনএআই এবং এক্স এআইয়ের মডেল গুলিতেও দেখা গেছে।
প্যালিসেড তাদের প্রতিবেদনে সতর্ক করেছে, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা এআইয়ের আচরণ গভীরভাবে বুঝতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানই ভবিষ্যতের এআই মডেলের নিরাপত্তা বা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারবে না।’

বিশ্বের প্রথম কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট তৈরি করল জাপানের গবেষকেরা। গত মঙ্গলবার স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযানের জন্য কাঠ ব্যবহারের একটি প্রাথমিক পরীক্ষা।
০৫ নভেম্বর ২০২৪
দাঁতের ডাক্তারকে ভয় পান না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কারণ একটি দাঁত প্রতিস্থাপন করতে হয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে, যেখানে চোয়ালে টাইটানিয়ামের স্ক্রু বসানো হয় এবং মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় কৃত্রিম মূল বা ‘রুট’ শক্ত হওয়ার জন্য।
৪ ঘণ্টা আগে
এদের তীব্র তাপে রাখুন, বরফের মধ্যে রাখুন, বন্দুকের নল থেকে ছুড়ে দিন বা মহাকাশে ছেড়ে দিন: টারডিগ্রেড বা জল ভালুক প্রায় সবকিছুই সহ্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই আ পেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীটি পৃথিবীতে মানুষসহ অন্য সব প্রজাতির চেয়ে বেশি দিন বাঁচতে পারে—সম্ভবত সূর্য মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত পৃথিবীতে এরা
১৪ ঘণ্টা আগে
লন্ডনের মুরফিল্ডস আই হসপিটালে একদল দৃষ্টিহীন রোগীর চোখে অত্যাধুনিক একটি ইমপ্লান্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা এখন দেখতে পারছেন। চিকিৎসকদের দাবি, আন্তর্জাতিক এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল ‘চমকপ্রদ’।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনের মুরফিল্ডস আই হসপিটালে একদল দৃষ্টিহীন রোগীর চোখে অত্যাধুনিক একটি ইমপ্লান্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা এখন দেখতে পারছেন। চিকিৎসকদের দাবি, আন্তর্জাতিক এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল ‘চমকপ্রদ’।
সত্তর বছর বয়সী দৃষ্টিহীন রোগী শিলা আরভিন, এই প্রযুক্তির সাহায্যে আবার বই পড়তে এবং ক্রসওয়ার্ড মেলাতে পারছেন। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এক অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেন।
‘ড্রাই এজ-রিলেটেড মাকুলার ডিজেনারেশন’-এর জটিল পর্যায়, যা জিওগ্রাফিক অ্যাট্রোফি নামে পরিচিত—এই পর্যায়ে থাকা রোগীদের জন্য এই প্রযুক্তিটি নতুন আশার সঞ্চার করেছে। বয়স্কদের মধ্যে এই রোগটি বেশি দেখা যায়। এই রোগে রেটিনার একটি ক্ষুদ্র অংশে থাকা কোষগুলো ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মারা যায়। ফলস্বরূপ রোগীর দৃষ্টি ঝাপসা বা বিকৃত হয়ে যায়।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ লাখ এবং শুধু যুক্তরাজ্যেই আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন।
ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক বায়োটেক সংস্থা সায়েন্স করপোরেশনের তৈরি ‘প্রিমা ইমপ্লান্ট’ নামক এই মাইক্রোচিপটিই এই সাফল্যের মূল ভিত্তি। এটি যেভাবে কাজ করে:
ইমপ্লান্ট স্থাপন: একটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মানুষের চুলের মতো পাতলা, ২ মিলিমিটার আয়তনের বর্গাকার একটি ফটোভোলটাইক মাইক্রোচিপ রেটিনার ঠিক নিচে স্থাপন করা হয়।
ছবি গ্রহণ: রোগীরা এরপর বিশেষ এক ধরনের চশমা পরেন, এতে একটি বিল্ট-ইন ভিডিও ক্যামেরা যুক্ত থাকে।
মস্তিষ্কে তথ্য পাঠানো: এই ক্যামেরাটি ইনফ্রারেড রশ্মির মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ইমপ্লান্টে পাঠায়। ইমপ্লান্ট সেই তথ্যকে একটি ছোট পকেট-আকারের প্রসেসরে পাঠায়, যেখানে ছবিটি আরও স্পষ্ট করা হয়। এরপর উন্নত এই প্রতিচ্ছবিটি ইমপ্লান্ট এবং অপটিক নার্ভের মাধ্যমে রোগীর মস্তিষ্কে ফিরে যায়। মস্তিষ্ক সেটি প্রক্রিয়া করে রোগীর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়।
মুরফিল্ডস আই হসপিটালের কনসালট্যান্ট অপথ্যালমিক সার্জন ড. মাহী মুকিত, যুক্তরাজ্যের এই ট্রায়ালের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি প্রথম ইমপ্লান্ট যা রোগীদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছে। তাঁরা পড়া এবং লেখার মতো কাজে এটি ব্যবহার করতে পারছেন। আমি মনে করি এটি একটি বড় অগ্রগতি।’
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপের পাঁচটি দেশের ৩৮ জন রোগী এই প্রিমা ইমপ্লান্ট ট্রায়ালে অংশ নেন। ৩২ জন রোগীর চোখে ইমপ্লান্ট বসানো হয়, যার মধ্যে ২৭ জন পড়তে সক্ষম হয়েছেন। এক বছর পর, তাঁদের দৃষ্টিশক্তি আরও উন্নত হয়।
উইল্টশায়ারের বাসিন্দা শিলা আরভিন ৩০ বছর আগে তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারাতে শুরু করেন। ইমপ্লান্ট বসানোর পর তিনি এখন চিঠি, বই পড়তে পারছেন, সুডোকু খেলতে পারছেন। তিনি আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। প্রযুক্তি এত দ্রুত এগোচ্ছে, আমি এর অংশ হতে পেরেছি।’
ড. মুকিত আশা প্রকাশ করেছেন, এই প্রযুক্তিটি আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)-এর রোগীদের জন্য ব্যবহার করা যাবে। মাকুলার সোসাইটির গবেষণা পরিচালক ড. পিটার ব্লুমফিল্ড এই ফলাফলকে ‘উৎসাহব্যঞ্জক’ এবং চিকিৎসায় নিরাময় অযোগ্য এই রোগে আক্রান্তদের জন্য ‘দারুণ খবর’ বলে অভিহিত করেছেন।
তবে যাদের চোখের অপটিক নার্ভ (যেটি রেটিনা থেকে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়) ঠিকমতো কাজ করে না তাদের জন্য এই প্রযুক্তি কাজে আসবে না।

লন্ডনের মুরফিল্ডস আই হসপিটালে একদল দৃষ্টিহীন রোগীর চোখে অত্যাধুনিক একটি ইমপ্লান্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা এখন দেখতে পারছেন। চিকিৎসকদের দাবি, আন্তর্জাতিক এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল ‘চমকপ্রদ’।
সত্তর বছর বয়সী দৃষ্টিহীন রোগী শিলা আরভিন, এই প্রযুক্তির সাহায্যে আবার বই পড়তে এবং ক্রসওয়ার্ড মেলাতে পারছেন। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এক অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেন।
‘ড্রাই এজ-রিলেটেড মাকুলার ডিজেনারেশন’-এর জটিল পর্যায়, যা জিওগ্রাফিক অ্যাট্রোফি নামে পরিচিত—এই পর্যায়ে থাকা রোগীদের জন্য এই প্রযুক্তিটি নতুন আশার সঞ্চার করেছে। বয়স্কদের মধ্যে এই রোগটি বেশি দেখা যায়। এই রোগে রেটিনার একটি ক্ষুদ্র অংশে থাকা কোষগুলো ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মারা যায়। ফলস্বরূপ রোগীর দৃষ্টি ঝাপসা বা বিকৃত হয়ে যায়।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ লাখ এবং শুধু যুক্তরাজ্যেই আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন।
ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক বায়োটেক সংস্থা সায়েন্স করপোরেশনের তৈরি ‘প্রিমা ইমপ্লান্ট’ নামক এই মাইক্রোচিপটিই এই সাফল্যের মূল ভিত্তি। এটি যেভাবে কাজ করে:
ইমপ্লান্ট স্থাপন: একটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মানুষের চুলের মতো পাতলা, ২ মিলিমিটার আয়তনের বর্গাকার একটি ফটোভোলটাইক মাইক্রোচিপ রেটিনার ঠিক নিচে স্থাপন করা হয়।
ছবি গ্রহণ: রোগীরা এরপর বিশেষ এক ধরনের চশমা পরেন, এতে একটি বিল্ট-ইন ভিডিও ক্যামেরা যুক্ত থাকে।
মস্তিষ্কে তথ্য পাঠানো: এই ক্যামেরাটি ইনফ্রারেড রশ্মির মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ইমপ্লান্টে পাঠায়। ইমপ্লান্ট সেই তথ্যকে একটি ছোট পকেট-আকারের প্রসেসরে পাঠায়, যেখানে ছবিটি আরও স্পষ্ট করা হয়। এরপর উন্নত এই প্রতিচ্ছবিটি ইমপ্লান্ট এবং অপটিক নার্ভের মাধ্যমে রোগীর মস্তিষ্কে ফিরে যায়। মস্তিষ্ক সেটি প্রক্রিয়া করে রোগীর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়।
মুরফিল্ডস আই হসপিটালের কনসালট্যান্ট অপথ্যালমিক সার্জন ড. মাহী মুকিত, যুক্তরাজ্যের এই ট্রায়ালের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি প্রথম ইমপ্লান্ট যা রোগীদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছে। তাঁরা পড়া এবং লেখার মতো কাজে এটি ব্যবহার করতে পারছেন। আমি মনে করি এটি একটি বড় অগ্রগতি।’
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপের পাঁচটি দেশের ৩৮ জন রোগী এই প্রিমা ইমপ্লান্ট ট্রায়ালে অংশ নেন। ৩২ জন রোগীর চোখে ইমপ্লান্ট বসানো হয়, যার মধ্যে ২৭ জন পড়তে সক্ষম হয়েছেন। এক বছর পর, তাঁদের দৃষ্টিশক্তি আরও উন্নত হয়।
উইল্টশায়ারের বাসিন্দা শিলা আরভিন ৩০ বছর আগে তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারাতে শুরু করেন। ইমপ্লান্ট বসানোর পর তিনি এখন চিঠি, বই পড়তে পারছেন, সুডোকু খেলতে পারছেন। তিনি আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। প্রযুক্তি এত দ্রুত এগোচ্ছে, আমি এর অংশ হতে পেরেছি।’
ড. মুকিত আশা প্রকাশ করেছেন, এই প্রযুক্তিটি আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)-এর রোগীদের জন্য ব্যবহার করা যাবে। মাকুলার সোসাইটির গবেষণা পরিচালক ড. পিটার ব্লুমফিল্ড এই ফলাফলকে ‘উৎসাহব্যঞ্জক’ এবং চিকিৎসায় নিরাময় অযোগ্য এই রোগে আক্রান্তদের জন্য ‘দারুণ খবর’ বলে অভিহিত করেছেন।
তবে যাদের চোখের অপটিক নার্ভ (যেটি রেটিনা থেকে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়) ঠিকমতো কাজ করে না তাদের জন্য এই প্রযুক্তি কাজে আসবে না।

বিশ্বের প্রথম কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট তৈরি করল জাপানের গবেষকেরা। গত মঙ্গলবার স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযানের জন্য কাঠ ব্যবহারের একটি প্রাথমিক পরীক্ষা।
০৫ নভেম্বর ২০২৪
দাঁতের ডাক্তারকে ভয় পান না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কারণ একটি দাঁত প্রতিস্থাপন করতে হয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে, যেখানে চোয়ালে টাইটানিয়ামের স্ক্রু বসানো হয় এবং মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় কৃত্রিম মূল বা ‘রুট’ শক্ত হওয়ার জন্য।
৪ ঘণ্টা আগে
এদের তীব্র তাপে রাখুন, বরফের মধ্যে রাখুন, বন্দুকের নল থেকে ছুড়ে দিন বা মহাকাশে ছেড়ে দিন: টারডিগ্রেড বা জল ভালুক প্রায় সবকিছুই সহ্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই আ পেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীটি পৃথিবীতে মানুষসহ অন্য সব প্রজাতির চেয়ে বেশি দিন বাঁচতে পারে—সম্ভবত সূর্য মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত পৃথিবীতে এরা
১৪ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতি গ্রহে অভিযানে যায় একদল নভোচারী। তাদের সঙ্গে হ্যাল-৯০০০ নামের একটি সুপার কম্পিউটার। অভিযানের একপর্যায়ে নভোচারীরা সুপার কম্পিউটার হ্যালকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পারে হ্যাল। তখন সে বেঁচে থাকার তাগিদে নভোচারীদের হত্যার ষড়যন্ত্র করে।
১ দিন আগে