সবাই মনে করে বৈদ্যুতিক বাতির উদ্ভাবক টমাস আলভা এডিসন। প্রকৃতপক্ষে এডিসনসহ আলেসান্দ্রো ভোল্টা, হামফ্রে ডেভি, জেমস বোম্যান লিন্ডসে, ওয়ারেন দে লা রু, উইলিয়াম স্টাইট এবং জোসেফ সোয়ানের মতো বিজ্ঞানীরা বৈদ্যুতিক বাতি উদ্ভাবনে অপরিহার্য অবদান রেখেছেন। বৈদ্যুতিক বাতি তৈরিতে এসব বিজ্ঞানী এডিসনের আগে থেকেই পরীক্ষা–নিরীক্ষা শুরু করেছিলেন।
টমাস এডিসনের আগে যেসব বাল্ব তৈরি করা হয়
১৮৭৯ সালে টমাস এডিসনের কার্বন ফিলামেন্টের বাতির আগেও অনেক বাতি তৈরি করা হয়েছিল। তখন পর্যন্ত ডিসি কারেন্টই ব্যবহার করা হতো। এসি কারেন্টের ব্যবহার শুরু হয়েছে অনেক পড়ে। এতে নিকোলা টেসলার অবদান অনস্বীকার্য।
অ্যালেসান্দ্রো ভোল্টা ১৭৯৯ থেকে ১৮০০ সালের মধ্যে ইলেকট্রিক ব্যাটারি ও ‘ভোল্টাইক পাইল’ আবিষ্কার করেন। কপার তার যুক্ত ভোল্টাইক পাইলকে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ১৮০২ সালে হামফ্রে ডেভি ‘বৈদ্যুতিক আর্ক ল্যাম্প’ তৈরি করতে ভোল্টাইক পাইল (এগুলো কয়লার ইলেকট্রোডের সঙ্গে সংযুক্ত) ব্যবহার করেছিলেন।
জেমস বোম্যান লিন্ডসে ও ওয়ারেন দে লা রুয়ে যথাক্রমে ১৮৩৫ ও ১৮৪০ সালে লাইট বাল্ব তৈরি করেন যার সঙ্গে আজকের যুগের ফিলামেন্ট যুক্ত বাল্বের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এই প্রাথমিক বিজলি বাতি বা বাল্বগুলোর আলো বেশ তীব্র ছিল। তবে খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যেত। বৈদ্যুতিক বাতিতে লিন্ডসে কপার ফিলামেন্ট এবং ওয়ারেন কয়েলড (প্যাঁচানো) প্লাটিনাম ফিলামেন্ট ব্যবহার করেন। উভয়ই বাল্বই প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য উপযোগী ছিল না। কপার ফিলামেন্ট খুবই দ্রুত পুড়ে যেত। আর প্ল্যাটিনামের দাম অনেক বেশি হওয়ায় তা বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব ছিল না।
জনসম্মুখে কার্বন রড ভিত্তিক বাল্ব তুলে ধরেন উইলিয়াম স্টাইট। এটি জোসেফ সোয়ান দেখেন। তবে স্টাইটের তৈরি বাতির ব্যাটারির খরচ অনেক বেশি ছিল।
বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কারের জন্য টমাস এডিসনের পাশাপাশি জোসেফ সোয়ানের অবদান রয়েছে। সান্ডারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী এ রসায়নবিদ প্রথম সফল ইনক্যানডেসেন্ট ফিলামেন্ট যুক্ত বৈদ্যুতিক বাতি তৈরি করেন। ১৮৭৮ সালের শেষের দিকে এবং ১৮৭৯ সালের প্রথম দিকে বাল্বটি তিনি জনসম্মুখে প্রদর্শন করেন। ইনক্যানডেসেন্ট ফিলামেন্ট হলো বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে উত্তপ্ত হয়ে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটায় এমন ধাতব বা গ্যাসীয় বস্তু।
কার্বোনাইজড পেপার ফিলামেন্ট নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার পর সোয়ান ১৮৮০ সালে বৈদ্যুতিক বাতিতে কার্বোনাইজড তুলার সুতা ব্যবহার করেন। এর ফলে বাল্বটি আগেরগুলোর চেয়ে দীর্ঘায়ু পায়। তবে ফিলামেন্টের পুরুত্বের কারণে বাল্বটি নিখুঁত ছিল না। এই সময় টমাস এডিসনও তুলার ফিলামেন্ট দিয়ে নিজস্ব বাল্ব তৈরির জন্য কাজ করছিলেন।
পাতলা কার্বন ফিলামেন্ট ডিজাইন ও উন্নত মানের ভ্যাকুয়াম (বায়ুশূন্য) পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে লাইট বাল্ব ডিজাইনের বৈজ্ঞানিক এবং বাণিজ্যিক উভয় চ্যালেঞ্জের প্রথম সমাধান দেন এডিসন।
বৈদ্যুতিক বাতির পেটেন্ট নিয়ে মামলা হয় যুক্তরাজ্যের আদালতে। মামলার রায় জোসেফ সোয়ানের পক্ষে যায়। সোয়ান ও এডিসন পরবর্তীতে সমঝোতার ভিত্তিতে ‘এডিসওয়ান’ কোম্পানি খুলে একসঙ্গে কাজ শুরু করেন এবং ১৮৮১ সালে সোয়ানের উদ্ভাবিত সেলুলোজ ফিলামেন্ট দিয়ে তৈরি ল্যাম্প বিক্রি করে এ কোম্পানি।
তাই বলা যায়, জোসেফ সোয়ান বা টমাস এডিসন সফলভাবে বৈদ্যুতিক বাতি উদ্ভাবন করেছিলেন। তবে উনিশ শতকের শুরুর দিকের একাধিক বিজ্ঞানীর কাজের ওপর ভিত্তির করেই তাঁরা বৈদ্যুতিক বাল্ব উদ্ভাবন করেন। তাই বৈদ্যুতিক বাল্ব তৈরিতে ভোল্টা, হামফ্রে ডেভি, জেমস বোম্যান লিন্ডসে, ওয়ারেন দে লা রু এবং উইলিয়াম স্টেইটের অবদান অনস্বীকার্য।
অন্যদের কাজ নিয়ে পরীক্ষা করে বৈদ্যুতিক বাতির অনেক সমস্যার সমাধান করেন টমাস এডিসন। তিনি পাতলা কার্বন ফিলামেন্টের সর্বোত্তম ডিজাইনের আবিষ্কার করেন ও প্রথম ব্যক্তি হিসেবে উন্নতমানের ভ্যাকুয়াম পাম্প প্রযুক্তি ব্যবহার করেন যা বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর দীর্ঘস্থায়ী বাল্ব তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস
সবাই মনে করে বৈদ্যুতিক বাতির উদ্ভাবক টমাস আলভা এডিসন। প্রকৃতপক্ষে এডিসনসহ আলেসান্দ্রো ভোল্টা, হামফ্রে ডেভি, জেমস বোম্যান লিন্ডসে, ওয়ারেন দে লা রু, উইলিয়াম স্টাইট এবং জোসেফ সোয়ানের মতো বিজ্ঞানীরা বৈদ্যুতিক বাতি উদ্ভাবনে অপরিহার্য অবদান রেখেছেন। বৈদ্যুতিক বাতি তৈরিতে এসব বিজ্ঞানী এডিসনের আগে থেকেই পরীক্ষা–নিরীক্ষা শুরু করেছিলেন।
টমাস এডিসনের আগে যেসব বাল্ব তৈরি করা হয়
১৮৭৯ সালে টমাস এডিসনের কার্বন ফিলামেন্টের বাতির আগেও অনেক বাতি তৈরি করা হয়েছিল। তখন পর্যন্ত ডিসি কারেন্টই ব্যবহার করা হতো। এসি কারেন্টের ব্যবহার শুরু হয়েছে অনেক পড়ে। এতে নিকোলা টেসলার অবদান অনস্বীকার্য।
অ্যালেসান্দ্রো ভোল্টা ১৭৯৯ থেকে ১৮০০ সালের মধ্যে ইলেকট্রিক ব্যাটারি ও ‘ভোল্টাইক পাইল’ আবিষ্কার করেন। কপার তার যুক্ত ভোল্টাইক পাইলকে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ১৮০২ সালে হামফ্রে ডেভি ‘বৈদ্যুতিক আর্ক ল্যাম্প’ তৈরি করতে ভোল্টাইক পাইল (এগুলো কয়লার ইলেকট্রোডের সঙ্গে সংযুক্ত) ব্যবহার করেছিলেন।
জেমস বোম্যান লিন্ডসে ও ওয়ারেন দে লা রুয়ে যথাক্রমে ১৮৩৫ ও ১৮৪০ সালে লাইট বাল্ব তৈরি করেন যার সঙ্গে আজকের যুগের ফিলামেন্ট যুক্ত বাল্বের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এই প্রাথমিক বিজলি বাতি বা বাল্বগুলোর আলো বেশ তীব্র ছিল। তবে খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যেত। বৈদ্যুতিক বাতিতে লিন্ডসে কপার ফিলামেন্ট এবং ওয়ারেন কয়েলড (প্যাঁচানো) প্লাটিনাম ফিলামেন্ট ব্যবহার করেন। উভয়ই বাল্বই প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য উপযোগী ছিল না। কপার ফিলামেন্ট খুবই দ্রুত পুড়ে যেত। আর প্ল্যাটিনামের দাম অনেক বেশি হওয়ায় তা বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব ছিল না।
জনসম্মুখে কার্বন রড ভিত্তিক বাল্ব তুলে ধরেন উইলিয়াম স্টাইট। এটি জোসেফ সোয়ান দেখেন। তবে স্টাইটের তৈরি বাতির ব্যাটারির খরচ অনেক বেশি ছিল।
বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কারের জন্য টমাস এডিসনের পাশাপাশি জোসেফ সোয়ানের অবদান রয়েছে। সান্ডারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী এ রসায়নবিদ প্রথম সফল ইনক্যানডেসেন্ট ফিলামেন্ট যুক্ত বৈদ্যুতিক বাতি তৈরি করেন। ১৮৭৮ সালের শেষের দিকে এবং ১৮৭৯ সালের প্রথম দিকে বাল্বটি তিনি জনসম্মুখে প্রদর্শন করেন। ইনক্যানডেসেন্ট ফিলামেন্ট হলো বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে উত্তপ্ত হয়ে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটায় এমন ধাতব বা গ্যাসীয় বস্তু।
কার্বোনাইজড পেপার ফিলামেন্ট নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার পর সোয়ান ১৮৮০ সালে বৈদ্যুতিক বাতিতে কার্বোনাইজড তুলার সুতা ব্যবহার করেন। এর ফলে বাল্বটি আগেরগুলোর চেয়ে দীর্ঘায়ু পায়। তবে ফিলামেন্টের পুরুত্বের কারণে বাল্বটি নিখুঁত ছিল না। এই সময় টমাস এডিসনও তুলার ফিলামেন্ট দিয়ে নিজস্ব বাল্ব তৈরির জন্য কাজ করছিলেন।
পাতলা কার্বন ফিলামেন্ট ডিজাইন ও উন্নত মানের ভ্যাকুয়াম (বায়ুশূন্য) পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে লাইট বাল্ব ডিজাইনের বৈজ্ঞানিক এবং বাণিজ্যিক উভয় চ্যালেঞ্জের প্রথম সমাধান দেন এডিসন।
বৈদ্যুতিক বাতির পেটেন্ট নিয়ে মামলা হয় যুক্তরাজ্যের আদালতে। মামলার রায় জোসেফ সোয়ানের পক্ষে যায়। সোয়ান ও এডিসন পরবর্তীতে সমঝোতার ভিত্তিতে ‘এডিসওয়ান’ কোম্পানি খুলে একসঙ্গে কাজ শুরু করেন এবং ১৮৮১ সালে সোয়ানের উদ্ভাবিত সেলুলোজ ফিলামেন্ট দিয়ে তৈরি ল্যাম্প বিক্রি করে এ কোম্পানি।
তাই বলা যায়, জোসেফ সোয়ান বা টমাস এডিসন সফলভাবে বৈদ্যুতিক বাতি উদ্ভাবন করেছিলেন। তবে উনিশ শতকের শুরুর দিকের একাধিক বিজ্ঞানীর কাজের ওপর ভিত্তির করেই তাঁরা বৈদ্যুতিক বাল্ব উদ্ভাবন করেন। তাই বৈদ্যুতিক বাল্ব তৈরিতে ভোল্টা, হামফ্রে ডেভি, জেমস বোম্যান লিন্ডসে, ওয়ারেন দে লা রু এবং উইলিয়াম স্টেইটের অবদান অনস্বীকার্য।
অন্যদের কাজ নিয়ে পরীক্ষা করে বৈদ্যুতিক বাতির অনেক সমস্যার সমাধান করেন টমাস এডিসন। তিনি পাতলা কার্বন ফিলামেন্টের সর্বোত্তম ডিজাইনের আবিষ্কার করেন ও প্রথম ব্যক্তি হিসেবে উন্নতমানের ভ্যাকুয়াম পাম্প প্রযুক্তি ব্যবহার করেন যা বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর দীর্ঘস্থায়ী বাল্ব তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের (জেডব্লিউএসটি) মাধ্যমে মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় মানচিত্র তৈরি করলেন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই মানচিত্রটি মহাবিশ্বের একটি ছোট অংশজুড়ে বিস্তৃত, যেখানে প্রায় আট লাখ গ্যালাক্সি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে এমন গ্যালাক্সিও আছে, যা এত দূরে অবস্থিত যে সেগুলো মহাবিশ্বের শৈশবের সময়কার,
১০ ঘণ্টা আগেআধুনিক জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে এই বহুল ব্যবহৃত উপাদানটিই আজ পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই প্লাস্টিক জমে থাকছে নদী-নালা, সাগর ও মাটির গভীরে, যা জলজ প্রাণী থেকে শুরু করে মানবস্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা
১ দিন আগেবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
২ দিন আগেআমাদের গ্রহে প্রাণের বিকাশ ও প্রাচুর্য টিকে আছে অক্সিজেনের কল্যাণে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সব সময় এমন ছিল না। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে আমাদের বায়ুমণ্ডলে আবারও মিথেনের আধিক্য হবে এবং অক্সিজেনবিহীন অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৩ দিন আগে