অনলাইন ডেস্ক
প্রথমবারের মতো মহাজাগতিক ছবি প্রকাশ করেছে চিলির আন্দিজ পর্বতমালায় স্থাপিত ৩২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার শক্তিশালী টেলিস্কোপ। প্রকাশিত ছবিগুলোর একটিতে দেখা গেছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্র গঠিত হচ্ছে এবং তার আশপাশে রঙিন গ্যাস ও ধুলোর বিশাল মেঘ ঘুরছে।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ডিজিটাল ক্যামেরাটি রয়েছে চিলির ভেরা সি রুবিন অবজারভেটরিতে। এটি আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে বোঝাপড়া পাল্টে দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি আমাদের সৌরজগতে নবম কোনো গ্রহ থেকে থাকলেও এই টেলিস্কোপ তার প্রথম বছরেই সেটি শনাক্ত করতে পারবে।
এটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা প্রাণঘাতী গ্রহাণুগুলো শনাক্ত করতে পারবে এবং আকাশগঙ্গার একটি মানচিত্রও তৈরি করবে। এ ছাড়া মহাবিশ্বের অধিকাংশ অংশজুড়ে থাকা রহস্যময় পদার্থ—ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কেও উত্তর দেবে এই টেলিস্কোপ। আগামী ১০ বছর ধরে মহাকাশের ছবি তুলতে থাকবে এটি।
স্কটল্যান্ডের অ্যাস্ট্রনমার রয়্যালের প্রফেসর ক্যাথরিন হাইম্যানস বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মুহূর্তের জন্য ২৫ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। দশকজুড়ে আমরা এমন একটি অসাধারণ যন্ত্র নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছি।’
এই প্রকল্পের অন্যতম প্রধান অংশীদার যুক্তরাজ্য। দেশটি টেলিস্কোপের ধারণ করা বিশদ ছবি বিশ্লেষণ করার জন্য ডেটা সেন্টার পরিচালনা করবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, আমাদের সৌরজগতে বস্তু শনাক্তের সংখ্যা ১০ গুণ বাড়াতে সাহায্য করবে এই টেলিস্কোপ।
এটি চিলির আন্দিজ পর্বতের সেরো পাচনে অবস্থিত। এই পর্বতে আরও কিছু গবেষণা উপযোগী বেসরকারি দূরবীক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। খুব উঁচু, অত্যন্ত শুষ্ক ও অন্ধকারাচ্ছন্ন এই স্থান রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য উপযুক্ত।
এই অবজারভেটরি ভেতরেও একই রকম। টেলিস্কোপের ডোমে যেন কোনো আলো ঢুকতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল রয়েছে।
প্রকল্পের কমিশনিং বিজ্ঞানী এলানা আরবাক জানান, শুধু নক্ষত্রের আলোই মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত।
মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য টেলিস্কোপটিতে তিনটি আয়না রয়েছে। আকাশ থেকে আগত আলো প্রথমে ৮ দশমিক ৪ মিটার ব্যাসের মূল আয়নায় পড়ে, তারপর ৩ দশমিক ৪ মিটার ব্যাসের দ্বিতীয় আয়নায় প্রতিফলিত হয়। এরপর ৪ দশমিক ৮ মিটার ব্যাসের তৃতীয় আয়নার মাধ্যমে ক্যামেরায় প্রবেশ করে।
এই আয়নাগুলোকে সব সময় ধুলোবালিমুক্ত রাখতে হয়। একটি সূক্ষ্ম ধুলাও চিত্রের গুণমান নষ্ট করতে পারে। টেলিস্কোপের আয়নাগুলোর উচ্চ প্রতিফলন ক্ষমতা ও দ্রুতগতির কারণে বহুদূরের (অর্থাৎ মহাকালের প্রাচীন সময়ের) বস্তু দেখার জন্য প্রয়োজনীয় আলো ধারণ করা সম্ভব হয়।
এই টেলিস্কোপের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ হলো ৩ হাজার ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, যা আইফোন ১৬ প্রো ক্যামেরার তুলনায় ৬৭ গুণ বেশি স্পষ্ট দিতে পারে। এতটাই সূক্ষ্ম যে চাঁদে রাখা একটি গলফ বলের ছবি তোলা সম্ভব এবং একটি ছবি দেখাতে প্রয়োজন হবে ৪০০টি আলট্রা এইচডি টিভি স্ক্রিন।
এটি টানা ১০ বছর ধরে প্রতি তিন দিন পর রাতের আকাশের ছবি তুলবে। এই ক্যামেরার দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৬৫ মিটার এবং প্রস্থ ৩ মিটার, ওজন ২ হাজার ৮০০ কেজি। প্রতি রাতে প্রায় ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা ধরে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি করে ছবি তুলবে। কারণ, এর গম্বুজ ও মাউন্ট অত্যন্ত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করতে পারে।
প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার গুইলেম মেগিয়াস বলেন, ‘প্রথম ছবিটা যখন এখানে উঠল, তখন একটা বিশেষ মুহূর্ত অনুভব করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন এই প্রকল্পে কাজ শুরু করি, তখন এক সহকর্মী ছিলেন, যিনি ১৯৯৬ সাল থেকে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। আর আমি জন্মেছি ১৯৯৭ সালে। এতে বোঝা যায়, এটি এক প্রজন্মের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সাধনার ফসল।’
বিশ্বজুড়ে শত শত বিজ্ঞানী এই টেলিস্কোপের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করবেন। একপর্যায়ে প্রতি রাতে ১ কোটি তথ্য পাঠানো সম্ভব হবে।
এই প্রকল্প চারটি মূল ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবে—আকাশে পরিবর্তনশীল বস্তু বা ট্রানজিয়েন্ট পর্যবেক্ষণ, মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গার গঠন, সৌরজগতের মানচিত্র তৈরি এবং ডার্ক ম্যাটার ও মহাবিশ্বের উদ্ভব বোঝা।
তবে প্রকল্পটির সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এর নিরবচ্ছিন্নতা। একই জায়গা বারবার পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবার পরিবর্তন ধরলেই সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীদের সতর্ক করবে এটি।
প্রফেসর হেইম্যানস বলেন, ‘এই পরিবর্তনশীল দিকটাই সবচেয়ে নতুন ও ব্যতিক্রমী বিষয়। এটা এমন কিছু দেখাতে পারে, যা আমরা কল্পনাও করিনি।
এ ছাড়া এটি আমাদের রক্ষা করতেও সাহায্য করতে পারে। যেমন এই বছরের শুরুতে ওয়াইআর ৪ নামের একটি গ্রহাণু নিয়ে কিছুদিনের জন্য উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। ক্যামেরার বড় আয়নাগুলো এমন বস্তু থেকে আসা দুর্বল আলো ও বিকৃতি শনাক্ত করে তাদের গতিপথ নির্ধারণে সাহায্য করবে।
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এলিস ডিসন বলেন, ‘আমাদের গ্যালাক্সি নিয়ে কাজ করার জন্য এত বড় তথ্যভান্ডার আগে কখনো ছিল না।’
তিনি এসব ছবি বিশ্লেষণ করে দেখবেন, আকাশগঙ্গার তারাগুলো কতটা দূর অতীতে প্রসারিত হয়েছিল।
বর্তমানে তারাগুলো থেকে প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার আলোকবর্ষ পর্যন্ত তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তবে ভেরা রুবিনের কল্যাণে সেটির ১২ লাখ আলোকবর্ষ পর্যন্ত হয়তো তথ্য মিলবে।
এ ছাড়া বহুদিন ধরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মনে থাকা সৌরজগতের নবম গ্রহের অস্তিত্ব সম্পর্কে এই টেলিস্কোপ সম্ভবত চূড়ান্ত উত্তর দিতে পারবে।
গ্রহটি পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার দূরত্বের ৭০০ গুণ দূরে থাকতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
প্রথমবারের মতো মহাজাগতিক ছবি প্রকাশ করেছে চিলির আন্দিজ পর্বতমালায় স্থাপিত ৩২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার শক্তিশালী টেলিস্কোপ। প্রকাশিত ছবিগুলোর একটিতে দেখা গেছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্র গঠিত হচ্ছে এবং তার আশপাশে রঙিন গ্যাস ও ধুলোর বিশাল মেঘ ঘুরছে।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ডিজিটাল ক্যামেরাটি রয়েছে চিলির ভেরা সি রুবিন অবজারভেটরিতে। এটি আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে বোঝাপড়া পাল্টে দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি আমাদের সৌরজগতে নবম কোনো গ্রহ থেকে থাকলেও এই টেলিস্কোপ তার প্রথম বছরেই সেটি শনাক্ত করতে পারবে।
এটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা প্রাণঘাতী গ্রহাণুগুলো শনাক্ত করতে পারবে এবং আকাশগঙ্গার একটি মানচিত্রও তৈরি করবে। এ ছাড়া মহাবিশ্বের অধিকাংশ অংশজুড়ে থাকা রহস্যময় পদার্থ—ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কেও উত্তর দেবে এই টেলিস্কোপ। আগামী ১০ বছর ধরে মহাকাশের ছবি তুলতে থাকবে এটি।
স্কটল্যান্ডের অ্যাস্ট্রনমার রয়্যালের প্রফেসর ক্যাথরিন হাইম্যানস বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মুহূর্তের জন্য ২৫ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। দশকজুড়ে আমরা এমন একটি অসাধারণ যন্ত্র নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছি।’
এই প্রকল্পের অন্যতম প্রধান অংশীদার যুক্তরাজ্য। দেশটি টেলিস্কোপের ধারণ করা বিশদ ছবি বিশ্লেষণ করার জন্য ডেটা সেন্টার পরিচালনা করবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, আমাদের সৌরজগতে বস্তু শনাক্তের সংখ্যা ১০ গুণ বাড়াতে সাহায্য করবে এই টেলিস্কোপ।
এটি চিলির আন্দিজ পর্বতের সেরো পাচনে অবস্থিত। এই পর্বতে আরও কিছু গবেষণা উপযোগী বেসরকারি দূরবীক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। খুব উঁচু, অত্যন্ত শুষ্ক ও অন্ধকারাচ্ছন্ন এই স্থান রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য উপযুক্ত।
এই অবজারভেটরি ভেতরেও একই রকম। টেলিস্কোপের ডোমে যেন কোনো আলো ঢুকতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল রয়েছে।
প্রকল্পের কমিশনিং বিজ্ঞানী এলানা আরবাক জানান, শুধু নক্ষত্রের আলোই মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত।
মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য টেলিস্কোপটিতে তিনটি আয়না রয়েছে। আকাশ থেকে আগত আলো প্রথমে ৮ দশমিক ৪ মিটার ব্যাসের মূল আয়নায় পড়ে, তারপর ৩ দশমিক ৪ মিটার ব্যাসের দ্বিতীয় আয়নায় প্রতিফলিত হয়। এরপর ৪ দশমিক ৮ মিটার ব্যাসের তৃতীয় আয়নার মাধ্যমে ক্যামেরায় প্রবেশ করে।
এই আয়নাগুলোকে সব সময় ধুলোবালিমুক্ত রাখতে হয়। একটি সূক্ষ্ম ধুলাও চিত্রের গুণমান নষ্ট করতে পারে। টেলিস্কোপের আয়নাগুলোর উচ্চ প্রতিফলন ক্ষমতা ও দ্রুতগতির কারণে বহুদূরের (অর্থাৎ মহাকালের প্রাচীন সময়ের) বস্তু দেখার জন্য প্রয়োজনীয় আলো ধারণ করা সম্ভব হয়।
এই টেলিস্কোপের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ হলো ৩ হাজার ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, যা আইফোন ১৬ প্রো ক্যামেরার তুলনায় ৬৭ গুণ বেশি স্পষ্ট দিতে পারে। এতটাই সূক্ষ্ম যে চাঁদে রাখা একটি গলফ বলের ছবি তোলা সম্ভব এবং একটি ছবি দেখাতে প্রয়োজন হবে ৪০০টি আলট্রা এইচডি টিভি স্ক্রিন।
এটি টানা ১০ বছর ধরে প্রতি তিন দিন পর রাতের আকাশের ছবি তুলবে। এই ক্যামেরার দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৬৫ মিটার এবং প্রস্থ ৩ মিটার, ওজন ২ হাজার ৮০০ কেজি। প্রতি রাতে প্রায় ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা ধরে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি করে ছবি তুলবে। কারণ, এর গম্বুজ ও মাউন্ট অত্যন্ত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করতে পারে।
প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার গুইলেম মেগিয়াস বলেন, ‘প্রথম ছবিটা যখন এখানে উঠল, তখন একটা বিশেষ মুহূর্ত অনুভব করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন এই প্রকল্পে কাজ শুরু করি, তখন এক সহকর্মী ছিলেন, যিনি ১৯৯৬ সাল থেকে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। আর আমি জন্মেছি ১৯৯৭ সালে। এতে বোঝা যায়, এটি এক প্রজন্মের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সাধনার ফসল।’
বিশ্বজুড়ে শত শত বিজ্ঞানী এই টেলিস্কোপের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করবেন। একপর্যায়ে প্রতি রাতে ১ কোটি তথ্য পাঠানো সম্ভব হবে।
এই প্রকল্প চারটি মূল ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবে—আকাশে পরিবর্তনশীল বস্তু বা ট্রানজিয়েন্ট পর্যবেক্ষণ, মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গার গঠন, সৌরজগতের মানচিত্র তৈরি এবং ডার্ক ম্যাটার ও মহাবিশ্বের উদ্ভব বোঝা।
তবে প্রকল্পটির সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এর নিরবচ্ছিন্নতা। একই জায়গা বারবার পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবার পরিবর্তন ধরলেই সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীদের সতর্ক করবে এটি।
প্রফেসর হেইম্যানস বলেন, ‘এই পরিবর্তনশীল দিকটাই সবচেয়ে নতুন ও ব্যতিক্রমী বিষয়। এটা এমন কিছু দেখাতে পারে, যা আমরা কল্পনাও করিনি।
এ ছাড়া এটি আমাদের রক্ষা করতেও সাহায্য করতে পারে। যেমন এই বছরের শুরুতে ওয়াইআর ৪ নামের একটি গ্রহাণু নিয়ে কিছুদিনের জন্য উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। ক্যামেরার বড় আয়নাগুলো এমন বস্তু থেকে আসা দুর্বল আলো ও বিকৃতি শনাক্ত করে তাদের গতিপথ নির্ধারণে সাহায্য করবে।
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এলিস ডিসন বলেন, ‘আমাদের গ্যালাক্সি নিয়ে কাজ করার জন্য এত বড় তথ্যভান্ডার আগে কখনো ছিল না।’
তিনি এসব ছবি বিশ্লেষণ করে দেখবেন, আকাশগঙ্গার তারাগুলো কতটা দূর অতীতে প্রসারিত হয়েছিল।
বর্তমানে তারাগুলো থেকে প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার আলোকবর্ষ পর্যন্ত তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তবে ভেরা রুবিনের কল্যাণে সেটির ১২ লাখ আলোকবর্ষ পর্যন্ত হয়তো তথ্য মিলবে।
এ ছাড়া বহুদিন ধরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মনে থাকা সৌরজগতের নবম গ্রহের অস্তিত্ব সম্পর্কে এই টেলিস্কোপ সম্ভবত চূড়ান্ত উত্তর দিতে পারবে।
গ্রহটি পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার দূরত্বের ৭০০ গুণ দূরে থাকতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
এক সময় পৃথিবীতে রাজত্ব করত ডাইনোসর। তবে সে সময়ে আরেক শিকারি নিঃশব্দে দখল করছিল ছোট ছোট প্রাণীদের দেহ। এক ধরনের পরজীবী ছত্রাক প্রাণীর দেহে নিয়ন্ত্রণ করত তাদের মস্তিষ্ক, আর শেষ পর্যন্ত কেড়ে নিত তাদের জীবন। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা ৯৯ মিলিয়ন (প্রায় ১০ কোটি বছর) বছর আগের এক টুকরো অ্যাম্বারে আবিষ্কার করেছেন..
৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বে প্রথমবারের মতো মানুষের জীবনের মৌলিক উপাদান—ডিএনএ—সম্পূর্ণ নতুনভাবে তৈরির জন্য শুরু হয়েছে এক ‘বিতর্কিত’ প্রকল্পের কাজ। এত দিন এ ধরনের গবেষণা ছিল নিষিদ্ধ বা সীমিত। কারণ অনেকের আশঙ্কা ছিল—এটা একদিন ‘ডিজাইনড বা নকশাকৃত’ শিশু তৈরি বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের পথ খুলে দিতে পারে।
২ দিন আগেদীর্ঘ ৪১ বছর পর ভারত আবারও তার কোনো নভোচারীকে মহাকাশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের সফল উৎক্ষেপণের পর উল্লসিত ভারতীয়রা এখন নতুন করে মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন দেখছে। এই মিশনে ভারতীয় নভোচারী গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা একটি বহুদেশীয় ক্রুর অংশ হিসেবে মহাকাশ যাত্রা করেছেন। তিনি এখন মহাকাশে পা রাখা
৩ দিন আগেগণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
৬ দিন আগে