বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস গড়ল জাপান। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে জাপানের মনুষ্যহীন চন্দ্রযান ল্যান্ডার স্লিম বা ‘মুন স্নাইপার’ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে বলে জানায় জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ভারতের পর চাঁদে অবতরণ করল জাপান।
তবে মুন স্নাইপারের সৌরবিদ্যুৎ-ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এটি পাওয়ার সাপ্লাই দিতে পারছে না বলে ব্যাটারির চার্জের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে যানটিকে। চার্জ থাকবে আর কয়েক ঘণ্টা। চার্জ শেষ হয়ে গেলে আর কোনো নির্দেশনা গ্রহণ করতে পারবে না ল্যান্ডারটি। তাই জাপানের মিশন এখন হুমকির মুখে। এর মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ-ব্যবস্থা মেরামতের কাজ করছে জাক্সা।
সৌরবিদ্যুৎ-ব্যবস্থায় সমস্যা প্রসঙ্গে জাক্সার প্রধান হিতোশি কুনিনাকা বলেন, চাঁদে সৌরকোণ পরিবর্তিত হতে ৩০ দিন সময় লাগে। এই সৌরকোণ বা দিকের পরিবর্তন হলে সূর্যের আলো অন্যদিক থেকে আসে। সেই আলোয় চার্জ হতে পারে স্লিমের সৌরবিদ্যুৎ-ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, ট্র্যাকিং ডেটা অনুসারে নির্ধারিত স্থানের ১০০ মিটারের মধ্যেই চাঁদের শিওলি কার্টার নামের একটি স্থানে মুন স্নাইপার অবতরণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর অবতরণ সম্পূর্ণ যাচাই করতে আরও সময় লাগবে বলেও জানান তিনি। পৃথিবী থেকে চাঁদের সবচেয়ে কাছের এই অংশের ১০০ মিটারের মধ্যে হালকাভাবে স্লিমকে নামানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
জাপান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফল অবতরণের দাবি করতে পারে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে কুনিনাকা বলেন, ‘মসৃণভাবে অবতরণ সম্ভব না হলে উচ্চগতির কারণে চন্দ্রপৃষ্ঠের সঙ্গে যানটির সংঘর্ষ হতো এবং এর কার্যকারিতা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু মুন স্নাইপার এখনো আমাদের ঠিকঠাকমতো তথ্য পাঠাচ্ছে। অর্থাৎ, মসৃণ অবতরণের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, যানটি অবতরণের আগে দেখে নেওয়া হয়েছিল যে কোথাও কোনো বাধা আছে কি না। ৫০ মিটার দূর থেকে পরীক্ষা করে দেখার পর সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। এর পরেই পালকের মতো চাঁদের বুকে নেমে আসে মুন স্নাইপার।
স্লিম দুটি ছোট রোভার (অমসৃণ জমিনে চলাচল ও অনুসন্ধানের কাজ করা যন্ত্র) নিয়ে গেছে। জাক্সার তথ্য মতে, রেকর্ড করা ডেটা ঠিকঠাক মতো পাঠানো এটাই নির্দেশ করে যে, চাঁদের মাটি স্পর্শের আগে রোভারগুলো সফলভাবে বের করতে সক্ষম হয়েছিল স্লিম।
চাঁদের জন্ম, বিবর্তন নিয়ে তুলে আনা অনেক নতুন তথ্য দিয়ে চাঁদের ইতিহাস নিয়ে গবেষণার জন্য পাঠানো হয়েছে মুন স্নাইপার। ইনফ্রা রেড ক্যামেরা দিয়ে চাঁদের বুকে ছবি তুলবে রোভার। তবে এই অনুসন্ধান এবং এর ফলাফল সম্পর্কে জানতে কত দিন লাগতে পারে তা অনিশ্চিত।
গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর স্লিমের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল জাপান। গত ২৫ ডিসেম্বর চাঁদের কক্ষপথে যানটি প্রবেশের কথা জানিয়েছিল জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা।
বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস গড়ল জাপান। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে জাপানের মনুষ্যহীন চন্দ্রযান ল্যান্ডার স্লিম বা ‘মুন স্নাইপার’ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে বলে জানায় জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ভারতের পর চাঁদে অবতরণ করল জাপান।
তবে মুন স্নাইপারের সৌরবিদ্যুৎ-ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এটি পাওয়ার সাপ্লাই দিতে পারছে না বলে ব্যাটারির চার্জের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে যানটিকে। চার্জ থাকবে আর কয়েক ঘণ্টা। চার্জ শেষ হয়ে গেলে আর কোনো নির্দেশনা গ্রহণ করতে পারবে না ল্যান্ডারটি। তাই জাপানের মিশন এখন হুমকির মুখে। এর মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ-ব্যবস্থা মেরামতের কাজ করছে জাক্সা।
সৌরবিদ্যুৎ-ব্যবস্থায় সমস্যা প্রসঙ্গে জাক্সার প্রধান হিতোশি কুনিনাকা বলেন, চাঁদে সৌরকোণ পরিবর্তিত হতে ৩০ দিন সময় লাগে। এই সৌরকোণ বা দিকের পরিবর্তন হলে সূর্যের আলো অন্যদিক থেকে আসে। সেই আলোয় চার্জ হতে পারে স্লিমের সৌরবিদ্যুৎ-ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, ট্র্যাকিং ডেটা অনুসারে নির্ধারিত স্থানের ১০০ মিটারের মধ্যেই চাঁদের শিওলি কার্টার নামের একটি স্থানে মুন স্নাইপার অবতরণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর অবতরণ সম্পূর্ণ যাচাই করতে আরও সময় লাগবে বলেও জানান তিনি। পৃথিবী থেকে চাঁদের সবচেয়ে কাছের এই অংশের ১০০ মিটারের মধ্যে হালকাভাবে স্লিমকে নামানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
জাপান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফল অবতরণের দাবি করতে পারে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে কুনিনাকা বলেন, ‘মসৃণভাবে অবতরণ সম্ভব না হলে উচ্চগতির কারণে চন্দ্রপৃষ্ঠের সঙ্গে যানটির সংঘর্ষ হতো এবং এর কার্যকারিতা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু মুন স্নাইপার এখনো আমাদের ঠিকঠাকমতো তথ্য পাঠাচ্ছে। অর্থাৎ, মসৃণ অবতরণের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, যানটি অবতরণের আগে দেখে নেওয়া হয়েছিল যে কোথাও কোনো বাধা আছে কি না। ৫০ মিটার দূর থেকে পরীক্ষা করে দেখার পর সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। এর পরেই পালকের মতো চাঁদের বুকে নেমে আসে মুন স্নাইপার।
স্লিম দুটি ছোট রোভার (অমসৃণ জমিনে চলাচল ও অনুসন্ধানের কাজ করা যন্ত্র) নিয়ে গেছে। জাক্সার তথ্য মতে, রেকর্ড করা ডেটা ঠিকঠাক মতো পাঠানো এটাই নির্দেশ করে যে, চাঁদের মাটি স্পর্শের আগে রোভারগুলো সফলভাবে বের করতে সক্ষম হয়েছিল স্লিম।
চাঁদের জন্ম, বিবর্তন নিয়ে তুলে আনা অনেক নতুন তথ্য দিয়ে চাঁদের ইতিহাস নিয়ে গবেষণার জন্য পাঠানো হয়েছে মুন স্নাইপার। ইনফ্রা রেড ক্যামেরা দিয়ে চাঁদের বুকে ছবি তুলবে রোভার। তবে এই অনুসন্ধান এবং এর ফলাফল সম্পর্কে জানতে কত দিন লাগতে পারে তা অনিশ্চিত।
গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর স্লিমের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল জাপান। গত ২৫ ডিসেম্বর চাঁদের কক্ষপথে যানটি প্রবেশের কথা জানিয়েছিল জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা।
মহাকাশে নতুন দুই স্যাটেলাইট পাঠালো নাসা। স্যাটেলাটি দুটি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সঙ্গে সূর্য থেকে আসা তড়িৎ-আধানযুক্ত সৌর বাতাসের মিথস্ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবে। এই প্রক্রিয়ার ফলেই তৈরি হয় ‘স্পেস ওয়েদার’ বা মহাকাশ আবহাওয়া, যা কখনো কখনো স্যাটেলাইট, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ হত
২ দিন আগেশতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সস্তা ধাতু থেকে সোনা তৈরির চেষ্টা করেছেন বহু মানুষ। মধ্যযুগীয় ইউরোপে ধন-সম্পদ ও মর্যাদার আশায় বহু মানুষ সোনা উৎপাদনের স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। ‘ক্রাইসোপোইয়া’ নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়াকে আজকাল অনেকে নিছক অলৌকিক কল্পনা মনে করেন। তবে আধুনিক বিজ্ঞান বলে ভিন্ন কথা।
৩ দিন আগেপ্রথমবারের মতো কোনো নক্ষত্রকে ঘিরে নতুন সৌরজগতের জন্ম হতে দেখেছেন বিশ্বের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি গ্রহ সৃষ্টি প্রক্রিয়ার এতটাই প্রাথমিক স্তর যে, আগে কখনো এমন দৃশ্যমান হয়নি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
৪ দিন আগেযুক্তরাজ্যের চিকিৎসকেরা এক যুগান্তকারী পদ্ধতি ব্যবহার করে আট সুস্থ শিশুর জন্ম দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে তিন ব্যক্তির ডিএনএ সমন্বয় করে আইভিএফ (ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল, যাতে শিশুরা দুরারোগ্য জিনগত ব্যাধি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া থেকে রক্ষা পায়।
৯ দিন আগে