Ajker Patrika

গোলটেবিল বৈঠক /পরিবার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিতে হবে তরুণদের

প্রতিবছরের ১১ জুলাই পালিত হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ৮ জুলাই ঢাকায় আজকের পত্রিকা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক। আয়োজনে জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি), প্রজননস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যানড প্যারেন্টহুড ফেডারেশন (আইপিপিএফ), আজকের পত্রিকা এবং দ্য ডেইলি নিউ এইজ। পাঠকদের জন্য গোলটেবিলের আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘‘ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন’’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকেরা। ৮ জুলাই আজকের পত্রিকার কার্যালয়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘‘ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন’’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকেরা। ৮ জুলাই আজকের পত্রিকার কার্যালয়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ড. নূর মোহাম্মদ
ড. নূর মোহাম্মদ

তরুণদের বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়

বাংলাদেশ বেশ এগিয়েছে। আমরা যদি গড় আয়ু চিন্তা করি, সারা বিশ্বে পুরুষের গড় আয়ু ৭১ বছর। বাংলাদেশে এটা ৭৪। সারা বিশ্বে নারীর গড় আয়ু ৭৪। বাংলাদেশে এটা ৭৬ বছর। সুতরাং এদিকে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি বা ১৮ কোটি হলে তার মোটামুটি ৯ কোটি নারী। অ্যাডোলেসেন্ট বা কিশোর-কিশোরী এত দিন ২০ শতাংশ ছিল, এখন একটু কমে ১৯ শতাংশ হয়েছে। তাতেও বর্তমানে এই বয়সীদের সংখ্যা দেশে সাড়ে ৩ কোটির মতো। বাংলাদেশে তরুণদের সংজ্ঞা একটু ভিন্ন। আমাদের দেশে এটা ১৮ থেকে ৩৫ বছর। কিন্তু জাতিসংঘের হিসাবে ১৫ থেকে ২৪ বছর পর্যন্ত তরুণ হিসেবে ধরা হয়। ‘অ্যাডোলেসেন্ট এবং ইয়ুথ’ একসঙ্গে যদি চিন্তা করি—আমরা যাকে ‘ইয়াং পিপল’ বলি, সেই তরুণেরা আমাদের জনগোষ্ঠীর এক-তৃতীয়াংশ। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, তরুণ জনগোষ্ঠীর গুরুত্ব কত। যে দেশে তরুণেরা জনগোষ্ঠীর এত বিশাল অংশ, সে দেশে তাদের বাদ দিয়ে কোনো ধরনের পরিকল্পনা বা নীতি নিয়ে আমরা এগোতে পারব বলে মনে করি না। ক্লাইমেট ভালনারেবল সিচুয়েশনে আমাদের ছেলেমেয়েরা ‘আনসারটেইনিটি অব প্যারেন্টহুড’ এর কারণে হয় আগে, না হয় দেরিতে বিয়ে করছে। তাদের কেন্দ্র করে পরিবার গঠনের বিষয় নিয়ে আরও গভীরে ভাবতে হবে।

আবু হাসানাত মো. কিশোয়ার হোসেন
আবু হাসানাত মো. কিশোয়ার হোসেন

কিশোরীদের ক্ষমতায়নে পিতৃতন্ত্র বড় বাধা এখনো

জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কিশোরীদের প্রজননস্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ বিপদ হয়ে উঠতে পারে। ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যের জন্য একটা খারাপ দিক হয়ে দাঁড়াবে এটি। সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে তরুণদের সক্ষমতা আর কতখানি? এই সমাজে এখনো পরিবারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত থাকার চেষ্টা করি। আমরা হয়তো সবকিছু প্রস্তুত করে তাঁদের সামনে নিয়ে গেলাম। তাঁরা ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’—বলে সিদ্ধান্ত দিয়ে দিলেন। সঙ্গী নির্বাচন থেকে কিন্তু বিষয়টা শুরু হলো। এরপরে বিয়ে, বাচ্চা নেওয়ার সময়—এ বিষয়গুলো ক্ষমতায়নের মধ্যে আসবে। কয়টা বাচ্চা নেব? দুই বাচ্চার মধ্যে কত বছর ব্যবধান থাকবে? এই প্রতিটি বিষয় পরিবারের যাঁর কাছে সিদ্ধান্তের জন্য উপস্থাপন করেছিলাম, তাঁর কাছ থেকেই নির্দেশনা আসে। জ্ঞান, দক্ষতা, অধিকার ও সুযোগ—এগুলো ক্ষমতায়নের মাধ্যম। কিন্তু এগুলো একজন কিশোরী বা কিশোরকে দিলেই কি সে ক্ষমতাবান হয়ে যাবে? আমাদের দেশে এ ক্ষেত্রে কিছু সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতা আছে। সেই জায়গায় আলোকপাত করতে হবে। পিতৃতন্ত্র পরিবর্তন হয়নি এখনো। পরিবারের যাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, সেই বড়দের যদি আমরা অ্যাড্রেস না করি, তাহলে যতই তরুণদের ক্ষমতায়নের চেষ্টা করি না কেন, প্রকৃত ক্ষমতায়ন হবে না। এ জন্য আমাদের বড়দের ওপরও নজর দিতে হবে।

মাশফিকা জামান সাটিয়ার
মাশফিকা জামান সাটিয়ার

নীতির ঘাটতি নয়, বাস্তবায়নেই সবচেয়ে বিপত্তি

আমাদের অনেক কিছুই অর্জিত হয়েছে। কিন্তু ১৫-১৬ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলব, একটা অতৃপ্তি থেকেই গেছে। এত কিছু করলাম, তার কতটুকু টেকসই হলো? অ্যাডোলেসেন্ট কর্নারের কথা বলা হয়েছে, এটা স্বাস্থ্য বিভাগের অপারেশন প্ল্যানে চলে গেছে। সেখানে কিশোর বয়সীরা তাদের প্রজননস্বাস্থ্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে। সরকারের সেবার গুণমান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু তারপরেও তো কিছু একটা পাবে। কিশোর-কিশোরীরা অন্তত একটা জায়গায় যেতে পারবে। এখনকার যে স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রকল্পগুলো হচ্ছে, সেগুলো একেবারেই আলাদা। যেভাবে ওনাদের সঙ্গে দাতাগোষ্ঠী কাজ করেছে, সরকারের কাজটাকে যে জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছিল, সেটি এখন আর খুঁজে পাচ্ছি না। আমি একপ্রকার হতাশ। এখনো অনেক কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে অনেক ভালো নীতি তৈরি হয়। কিন্তু আমাদের নীতিগুলোতে আন্তসম্পর্ক থাকে না। আমরা যেসব আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করি, স্থানীয় নীতির সঙ্গে তার একটা দূরত্ব থেকে যায়। আমরা যে কনভেনশনে স্বাক্ষর করলাম, সেটার আঙ্গিকেই তো স্থানীয় নীতি নির্ধারিত হবে। কিন্তু ওই জায়গায় আমরা যেতে পারছি না। গৃহীত নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অনেক সমস্যা। নীতি, অ্যাকশন প্ল্যান তৈরিসহ সবকিছু শেষ করলাম। তখন সরকার পরিবর্তন হয়ে গেল। গৃহীত নীতিগুলো বাস্তবায়ন করা গেলেও কিন্তু অনেক দূর এগোনো যায়। ২০২৪ সালের পরে বাংলাদেশে একটা পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট দেখতে পাচ্ছি।

সাবিক রহমান
সাবিক রহমান

নীতিনির্ধারণে তরুণদের কণ্ঠ শুনতে হবে

তারুণ্যের ক্ষমতায়ন কীভাবে হবে, যদি তরুণদের কণ্ঠই শোনা না যায়? আমরা প্রায়ই দেখি, পরিবার পরিকল্পনা কিংবা স্বাস্থ্যনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে তরুণদের অংশগ্রহণকে অগ্রাহ্য করা হয়। প্রায়ই দেখা যায়, জ্যেষ্ঠ নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, তারুণ্যের ব্যাপারে তাঁরাই ভালো বোঝেন। তাঁরা নিজেদের সময়ের অভিজ্ঞতা দিয়ে আজকের তরুণদের বাস্তবতা মেপে ফেলেন। তাঁদের বুঝতে হবে, সময় পাল্টে গেছে। এখনকার প্রজন্ম সম্পূর্ণ আলাদাভাবে বড় হচ্ছে। তাদের সমাজভাবনা, প্রযুক্তির সঙ্গে যোগাযোগ—সবকিছুই আলাদা। আমাদের মত যদি শোনা না হয়, তাহলে তো সমস্যা। আমি মনে করি, যেসব নীতি আমাদের জীবনের ওপর প্রভাব ফেলবে, সেসব নীতিতে আমাদের অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করা উচিত। সব নীতি নির্ধারণের জায়গায় তারুণ্যের অংশগ্রহণ রাখতে হবে। শুধু অংশগ্রহণের জন্য অংশগ্রহণ নয়, নীতি নির্ধারণে তাদের গুরুত্ব দিতে হবে। শুধু শহর নয়, তৃণমূল পর্যায় থেকেও তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তরুণদের বাস্তবতা, বয়স ও প্রেক্ষাপট বুঝে বন্ধুত্বপূর্ণ ও নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

ডা. মো. শহিদুল ইসলাম
ডা. মো. শহিদুল ইসলাম

অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য নেই টেকসই সমাধান

আমরা ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে যৌনকর্মী ও মাদকসেবীদের নিয়ে কাজ করেছি। দুই জায়গায় দুই ধরনের চ্যালেঞ্জ। যৌনকর্মীরা খুব অল্প বয়সে পেশায় প্রবেশ করেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনিচ্ছায়। বিভিন্ন সামাজিক কারণে তাঁরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে অনেক দূরে থাকেন। যেমন একসময় তাঁরা স্যান্ডেল পর্যন্ত পরতে পারতেন না। সামাজিক ট্যাবু ছিল, তাঁরা স্যান্ডেল পরতে পারবেন না। এটার পরিবর্তন হয়েছে। নিজেদের কাজের ধরন কেমন হবে, এটা তাঁরাও নির্ধারণ করতে পারেন না। কারণ, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী তাঁদের সেবা দিতে হয়। অনেক গ্রাহক কনডম ব্যবহার করতে চান না। যদি বলি, যৌনকর্ম একটা পেশা; তাহলে সেই পেশায় তাঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষমতা বাংলাদেশে তৈরি হয়নি। মাদকসেবীদের কথা বললে রাষ্ট্র এটাকে অপরাধ হিসেবে দেখে। মাদকের সঙ্গে জড়িতরা এ থেকে নিরাময়ের ক্ষেত্রে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশে প্রায় এক কোটি মাদকসেবী আছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে আমরা আসলে কোনো পরিকল্পনার মধ্যে রেখেছি বলে মনে হয় না। রাষ্ট্র কোনো সিদ্ধান্তে না এলে এটা অর্থনৈতিক বা সামাজিকভাবে একটা ভয়ংকর দুর্যোগ তৈরি করবে।

ডা. কাজী গোলাম রাসুল
ডা. কাজী গোলাম রাসুল

প্রকল্প নয়, চাই টেকসই রাজনৈতিক অঙ্গীকার

বাংলাদেশে বেশির ভাগ কাজই হয় প্রকল্পভিত্তিক। প্রকল্প শেষ তো কাজও শেষ। তরুণ জনগোষ্ঠীকে ‘পাওয়ার অব দ্য গ্লোব’ বলা যেতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো, এই শক্তিটা কীভাবে ব্যবহার করা হবে। এ রকম একটা শক্তি যদি খারাপ দিকে যায়, তা সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে। আর ভালো দিকটা যদি ব্যবহার করা হয়, তাহলে এটা নতুন একটি পৃথিবী গড়তে পারে। আমাদের দেশে ৭৭ শতাংশ নারীই সন্তানধারণের ক্ষেত্রে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। প্রতি তিনজনে একজন মা অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের শিকার হচ্ছেন। এত বছর যে হাজার হাজার কোটি টাকা আমরা বিনিয়োগ করলাম, তার টেকসই প্রভাব কোথায়? সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার না থাকলে এই বিষয়ে অগ্রগতি সম্ভব নয়। কারণ, এনজিওগুলো একা এটা পারবে না। কারণ, তারা কেবল তহবিল পেলেই কাজ করতে পারে, অন্যথায় নয়। ‘রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট’ (বিনিয়োগের ফলাফল)-এর বিষয়টিও আমাদের দেখতে হবে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এসআরএইচআরের (যৌন, প্রজননস্বাস্থ্য ও অধিকার) পেছনে যে বিনিয়োগ করা হয়েছে, তার কি ফল আমরা পেয়েছি? নাকি এটা ওয়েস্টেজ (অপব্যয়)? এক ডলার খরচ করে যদি আমরা দেখি, হাফ ডলারও আসেনি, তাহলে এটা অপব্যয়। এক ডলার খরচ করে যদি শিক্ষা, জ্ঞান, স্বাস্থ্য বা প্রজননস্বাস্থ্যের মাধ্যমে দেড় ডলারও ফিরে আসে, তাহলে বলব, এটা একটা ভালো ইঙ্গিত।

সুহাস মাহমুদ
সুহাস মাহমুদ

ক্ষমতায়নে বাদ না পড়ুক কেউই কখনো

সার্বিকভাবে তারুণ্যের ক্ষমতা তখনই কাজে আসবে, যখন সব ধরনের তরুণকে কাজে লাগানো হবে। আমি বলতে চাচ্ছি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ-তরুণীদের কথা। তাঁদের সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমরা যখন মাঠপর্যায়ে কাজ করতে যাই, তখন দেখি, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ-তরুণীরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে উপেক্ষিত থাকেন। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারেন না। এটা শুধু উন্নয়নগত চ্যালেঞ্জ নয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনও বটে। সে কারণে আহ্বান থাকবে, আমরা যেন সব প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ-তরুণীদের শারীরিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পারি। আর কেউ যেন তাঁর লৈঙ্গিক কিংবা সামাজিক পরিচয়ের কারণে পিছিয়ে না পড়েন।

ডা. ইখতিয়ার উদ্দিন খন্দকার
ডা. ইখতিয়ার উদ্দিন খন্দকার

তরুণদের অংশগ্রহণ ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব নয়

সহিংসতা, বাল্যবিবাহ, কম বয়সে গর্ভধারণ—এগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে যুক্ত। এর পেছনে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। এটাকে পরিবর্তন করতে চাইলে তরুণদের ক্ষমতায়নের কোনো বিকল্প নেই। তবে শুধু তরুণদের ক্ষমতায়ন এককভাবে এর পরিবর্তন করতে পারবে না। এর সঙ্গে আরও নানা বিষয় যুক্ত আছে। সেগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। ২০ বছর আগের চিত্রের সঙ্গে এখনকার চিত্রের অনেক পার্থক্য। আগে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তরুণেরা ছিলেন না, কিন্তু এখন আছেন। প্রশ্ন হলো, তাঁরা কি নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে যেতে পারছেন? তরুণদেরও তথ্য দিয়ে তৈরি করতে হবে। তাঁরা যখন প্রতিনিধিত্ব করবেন, তখন সিদ্ধান্ত দেওয়ার বিষয়টা আরও অনেক শক্তিশালী হবে।

ডা. মো. মাহবুবুল আলম
ডা. মো. মাহবুবুল আলম

তরুণদের জনস্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকার জরুরি

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন প্রথম শুরু হয় ১৯৮৯ সালে, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপির উদ্যোগে। এর পর থেকে দিবসটি পালনে সমন্বয় করে আসছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল। এর লক্ষ্য হলো, জনসংখ্যা-সম্পর্কিত বিষয়সমূহ এবং উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার সম্পর্কে বৈশ্বিক সচেতনতা বাড়ানো। বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের বয়স ত্রিশের নিচে। বাংলাদেশে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ। এই জনমিতির সুবিধা নেওয়ার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বর্তমান তরুণ প্রজন্মের পরিবার পরিকল্পনা ও জনস্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

অলক কুমার মজুমদার
অলক কুমার মজুমদার

অচলায়তন ভাঙতে হবে

তরুণদের ক্ষমতায়ন ছাড়া সুষ্ঠু পরিবার গঠন করা সম্ভব নয়। জাতীয় সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, আমাদের দেশে ৬৪ শতাংশ কিশোরী জীবনে প্রথম মাসিক হওয়ার আগে এ সম্পর্কে জানতই না। ৫০ শতাংশ কিশোরী এখনো মাসিকের সময় নোংরা কাপড় ব্যবহার করে। আবার মাসিক স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কথা বলার চেয়ে যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা আরও কঠিন। এই অচলায়তন চলতে দেওয়া যায় না। এটি ভাঙতে না পারাটা আমাদের জন্য লজ্জার। তরুণদের আমি চেঞ্জমেকার হিসেবে দেখি। তাদের ক্ষমতায়ন করা জরুরি। আচরণগত পরিবর্তন আসতে হবে। শুধু জ্ঞানই সবকিছু নয়।

অনিতা শরীফ চৌধুরী
অনিতা শরীফ চৌধুরী

সেবাকেন্দ্র তরুণদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুত হোক

আমরা অনেক সামাজিক ট্যাবু, লজ্জা ভাঙতে পারছি না। এটা নতুন প্রজন্মের জীবনযাপনে প্রভাব ফেলছে। অ্যাডোলেসেন্ট কর্নারের কথা আমরা বলছি, কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় এটা সীমিত। এই যে এত গার্মেন্টস শ্রমিক রয়েছে বা স্কুল-কলেজে যারা পড়ছে, তারা কি ওই সময়টায় সেবাকেন্দ্রে সেবা নিতে যেতে পারে? যখন তারা সময় পায়, তখন সেবাকেন্দ্রই বন্ধ থাকে। আমাদের সেবাকেন্দ্রগুলো তরুণদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত কি না, সেটা দেখতে হবে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। হতাশ হলে চলবে না। অনেক দূর যেতে হবে। সেই প্রত্যয় ও চেষ্টাটা থাকা দরকার।

ড. লাডলি ফায়্‌জ
ড. লাডলি ফায়্‌জ

জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম

দেশের একজন নাগরিক হিসেবে চাই, আমাদের ছেলেমেয়েরা সব রকমের সাহায্য-সহযোগিতা ও সমর্থন পাক। যৌন, প্রজননস্বাস্থ্য এবং অধিকার সম্পর্কে যেন তারা সঠিকভাবে জানতে পারে। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অনেক কিছুই হয়, কিন্তু সেটা কতটা তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে, সেটা দেখা দরকার। সিডব্লিউএফডির একটি কর্মসূচি থেকে আমরা স্যানিটারি ন্যাপকিন দিয়ে থাকি। এটা আমরা শুধু কিশোরীদের নয়, তাদের মায়েদেরও দিয়ে থাকি। স্কুলের টয়লেট সংস্কার করে দিচ্ছি। কিন্তু এগুলো সবই পাইলটিং বা পরীক্ষামূলক। কয়েকটি এলাকার মুষ্টিমেয় কিছু মেয়ে এগুলো সম্পর্কে জানছে। তাদের মাধ্যমে হয়তো অন্যরা জানছে। কিন্তু সরকারের মাধ্যমে হলে আরও অনেকের কাছে এ সেবা পৌঁছে দেওয়া যেত।

কানিজ গোফরানী কোরায়শী
কানিজ গোফরানী কোরায়শী

স্পর্শকাতর অংশ সম্পর্কে শিশু বয়স থেকেই জানাতে হবে

আমরা তরুণদের ক্ষমতায়নের কথা বলছি। তাদের ক্ষমতায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তথ্য একটা বড় শক্তি। তরুণদের ওপর নানা ক্ষেত্রে নানা মাত্রায় লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতা হচ্ছে। তরুণদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকা এর অন্যতম কারণ। বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা প্রলোভন কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সহিংসতা চালানো হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়। রাস্তাঘাটেও সহিংসতা হচ্ছে। সহিংসতা কমাতে হলে তরুণ প্রজন্মের কাছে সঠিক তথ্য দিতে হবে। এটাকে আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব, সেটা ভাবতে হবে। শিশু-কিশোরদের শুরু থেকে খারাপ স্পর্শ, ভালো স্পর্শ নিয়ে শিক্ষা দিতে হবে। শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অংশ সম্পর্কে শিশু বয়স থেকেই জানাতে হবে।

ডা. নাফিসা লিরা হক
ডা. নাফিসা লিরা হক

এসডিজি অর্জন করতে পারব বলে মনে হয় না

বিশ্বে বর্তমানে জনসংখ্যা ৮১০ কোটি। তার মধ্যে তরুণদের সংখ্যা ১৮০ কোটি। তার অর্থ, এরা একটা বিশাল জনগোষ্ঠী। এই তরুণদের বেশির ভাগ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাস করে। বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কন্ট্রাসেপটিভ প্রিভ্যালেন্স রেট (সিপিআর) এ দেশে খুবই কম। এ কারণে অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ অনেক বেশি। এ কারণে এইচআইভিতেও আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। মেয়েরা অনেক এগিয়েছে, কিন্তু বাল্যবিবাহের হার এখনো অনেক বেশি। অর্ধেক মেয়েরই ১৫ বছরের আগে বিয়ে হচ্ছে। সামাজিক কারণে এটা হচ্ছে। আমাদের মাতৃমৃত্যুর হার অনেক কমেছে। কিন্তু আমরা কি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে পারব? আমার মনে হয়, পারব না।

এ. কিউ. শুদ্ধ হক
এ. কিউ. শুদ্ধ হক

তরুণেরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পান না

আমরা প্রায়ই বলি, ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট বা মিনিংফুল ইয়ুথ পার্টিসিপেশন। আজকাল প্রায় প্রতিটি এনজিওতে কিছু না কিছু তরুণ স্বেচ্ছাসেবকের গ্রুপ বা তরুণদের ফোরাম থাকে। তরুণেরা কি সত্যি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার প্রক্রিয়ার অংশ হচ্ছেন, নাকি তাঁদেরকে নামেমাত্র যুক্ত করা হচ্ছে? অনেক সময় অংশগ্রহণটা মনে হয় নেহাতই নামসর্বস্ব। তরুণেরা অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেলেও সব সময় তাঁরা কথা বলার সুযোগ পান না কিংবা কথা বলার সুযোগ পেলেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাটা পান না। এখন তরুণদের ফোরামগুলোতে সিদ্ধান্ত নেন সিনিয়ররা। তরুণদের কাজ শুধু সহযোগিতা বা প্রতিনিধিত্ব করাতে আটকে থাকে।

ড. মো. গোলাম রহমান
ড. মো. গোলাম রহমান

তরুণ প্রজন্ম একটি বড় ধরনের নিয়ন্ত্রক শক্তি

আমাদের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তরুণ; যা জনসংখ্যার প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। অবশ্য বয়সের দিক থেকে বিবেচনা করলে বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে তরুণের সংজ্ঞা ভিন্ন। কোথাও ২৫ বছর, কোথাও বা ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত তরুণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই পার্থক্যটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। তরুণ প্রজন্ম একটি বড় ধরনের নিয়ন্ত্রক শক্তি বলে মনে করি। তারা সমাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে। আবার এই শক্তিটাকে আমরা যদি সুপথে না রাখতে পারি, যদি সঠিক পরামর্শ দিতে না পারি, তাহলে তাদের মিসলিড (ভুল দিকে চালিত) হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।

মো. মুস্তাফিজুর রহমান
মো. মুস্তাফিজুর রহমান

প্রশ্ন করতে শেখা তরুণ নেতৃত্বের ভিত্তি

প্রশ্ন করতে শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তরুণ সম্প্রদায় প্রশ্ন করতে শিখলে আগামীতে তাঁদের সমস্যার খানিকটা সমাধান তাঁরাই করতে পারবেন। তরুণেরাই নেতৃত্ব দেবেন। তাহলে আমরা কেমন নেতৃত্ব তৈরি করব? এই সমাজ, এই রাষ্ট্র থেকে বের হয়ে আজকের তরুণেরাই তো নেতৃত্বে যাবেন। তাঁদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য পাওয়ার অধিকার—এ সবকিছুই শুধু প্রকল্পভিত্তিক হলে তা টেকসই হবে কি না, এই শঙ্কা থেকে যায়। সামাজিক প্রেক্ষাপটকে বিবেচনা করে পরিবর্তনগুলো আনতে হবে। সামগ্রিকভাবে সমাজে যদি পরিবর্তন না আসে, তাহলে পরিবর্তন সম্ভব নয়। এই সমাজ মানে শুধু ঢাকা নয়; এটা অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে হবে। যেমন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। তাদের স্বাস্থ্য, খাদ্য—সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

মো. মশিউর রহমান
মো. মশিউর রহমান

কথা বোঝানোর দক্ষতা শেখানোয় জোর দিতে হবে

আমরা অনেক উদ্যোগ নিই। কিন্তু সেগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। যেমন বাল্যবিবাহ বা কম বয়সে গর্ভধারণ রোধে আমরা কিশোরীদের সঙ্গে কাজ করি। এতে মনে হয়, বাল্যবিবাহ বা কম বয়সে গর্ভধারণ রোধের দায়িত্ব শুধু কিশোরীদের। আমরা যখন এ সম্পর্কে কিশোরীদের পড়াশোনা করাচ্ছি, তখন তাদের কেবল জ্ঞানটুকুই দিচ্ছি। তাকে কেবল এ সম্পর্কে পড়ানোই হয়। কিন্তু ওই মেয়েটাকে এটা শেখানো হয় না যে কীভাবে মা-বাবাকে বাল্যবিবাহ বন্ধের বিষয়ে বোঝাতে হবে। এ কারণে তারা প্রায় কখনোই মা-বাবাকে সেভাবে বোঝাতে পারে না। তাদের অন্যকে কথা বোঝানোর দক্ষতা শেখানোয় জোর দিতে হবে।

ফারজানা আক্তার রিমু
ফারজানা আক্তার রিমু

অধিকাংশ নারী নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না

একটা মেয়ের ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর সে পরিণত হয়। কিন্তু আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, একটা মেয়ের পিরিয়ড শুরু হওয়া মানেই সে পরিণত হয়ে গেছে, তাকে বিয়ে দেওয়া যায়। পিরিয়ডের কারণে অনেকের স্কুলে যাওয়ায় ছেদ পড়ছে, বাল্যবিবাহ হচ্ছে। এখনো অধিকাংশ নারী নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না যে তিনি সন্তান নেবেন কি না। তাই এখনো অসংখ্য প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যু ঘটছে। এসআরএইচআর আমার একটা অধিকার। এই অধিকার প্রতিনিয়ত হরণ করে নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক তরুণের মনে এই ধারণাটা রাখতে হবে, আমার পরিবার আমার পছন্দে। আমি যদি আমার পছন্দে পরিবার গড়তে পারি, তাহলে আমার জীবন পরিবর্তন করতে পারব।

যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন

সঞ্চালক

ড. নূর মোহাম্মদ

নির্বাহী পরিচালক, পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি)

আলোচক

আবু হাসানাত মোহাম্মদ কিশোয়ার হোসেন

অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মাশফিকা জামান সাটিয়ার

সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার, জেন্ডার অ্যান্ড সিভিল সোসাইটি, নেদারল্যান্ডস দূতাবাস, ঢাকা

সাবিক রহমান

সদস্যসচিব, ন্যাশনাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক

ড. মো. গোলাম রহমান

সম্পাদক, আজকের পত্রিকা

ডা. মো. শহিদুল ইসলাম

সিনিয়র ম্যানেজার, এইচআইভি প্রোগ্রাম, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল

ডা. কাজী গোলাম রাসুল

সিনিয়র ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব হেলথ, ফ্রেন্ডশিপ

সুহাস মাহমুদ

প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর, পিএসটিসি

ডা. ইখতিয়ার উদ্দিন খন্দকার

প্রেসিডেন্ট, নেয়ার্স (এনইএআরএস)

ডা. মো. মাহবুবুল আলম

হেড অব প্রোগ্রামস, পিএসটিসি

অলক কুমার মজুমদার

পরিচালক, প্রোগ্রাম অ্যান্ড অপারেশনস, রেডঅরেঞ্জ কমিউনিকেশনস

অনিতা শরীফ চৌধুরী

টিম লিডার, ফোকাস প্রজেক্ট, পিএসটিসি

ড. লাডলি ফায়্‌জ

নির্বাহী পরিচালক, সিডব্লিউএফডি

কানিজ গোফরানী কোরায়শী

প্রকল্প ব্যবস্থাপক, পিএসটিসি

ডা. নাফিসা লিরা হক

অ্যাডজাংক্ট ফ্যাকাল্টি, জেপিজিএসএইচ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

এ. কিউ. শুদ্ধ হক

প্রোগ্রাম অফিসার, পিএসটিসি

মো. মুস্তাফিজুর রহমান

প্রধান প্রতিবেদক, নিউ এইজ

মো. মশিউর রহমান

জেনারেল ম্যানেজার, ফিল্ড ইমপ্লিমেন্টেশন, সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি)

ফারজানা আক্তার রিমু

পিয়ার এডুকেটর, গোল প্রজেক্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পারটেক্স এমডি রুবেল আজিজের ১১৬ কোটি টাকার সম্পত্তি নিলামে তুলছে ব্যাংক এশিয়া

মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা মামলার আসামি দুই ভাই নেত্রকোনায় গ্রেপ্তার

পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের পর বললেন, ‘আমি যুবদলের সভাপতি, জানস?’

যশোরে কেন্দ্রের ভুলে বিজ্ঞানের ৪৮ জন ফেল, সংশোধনে জিপিএ-৫ পেল সবাই

গণভবনকে বাস্তিল দুর্গের সঙ্গে তুলনা করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত