পথের কথা

'কিয়ের বাজেট? আমরা কি দেশের লোক? বাজেটে আমরার কি যায় আহে? আমরা ছোট দোকান করি, দিনে চার-পাঁচশ টেকা কামাই। যারা দিনে দশ-বিশ লাখ কামায় বাজেট হইলো ওগো। বাজেট হইলে আমাগো কোনো লাভ হইবো? হইলে ক্ষতি হইবো। চিনি, ডাইল, তেলের দাম বাড়বো

কথায় বলে ‘বোঝার ওপর শাকের আঁটি’। এই বচনে শাক বাড়তি উপদ্রব বোঝাতে ব্যবহৃত। কিন্তু রেহানা বেগমের ক্ষেত্রে শাকই বোঝা বইবার উপায়। শাক এখানে সহায়। জীবন ও সংসার নামের বোঝাটি বইবার জন্য শাকই রেহানার সহায়।

করোনায় স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে ৫০ টাকা বিনিয়োগে দোকান শুরু করে ১১ বছরের শিশু জাহিদুল ইসলাম। দেড় বছরে বিনিয়োগ বেড়েছে। তবে ইচ্ছে করলেও সে দোকানের খাবার খায় না। কারণ, ‘মায় খাইতে মানা হরছে।’

ঘটে এক অলৌকিক ঘটনা। ১১ জুলাই ২০২০, ধানমন্ডি লেক। রিয়াদের পকেটে ৪২০ টাকা। কথায় কথায় পরিচয় হয় শামসুল হকের সঙ্গে। রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস মেপে যার রোজগার। পরিবারের অবস্থা শুনে শামসুল হকই রিয়াদকে পরামর্শ দেন মাস্কের ব্যবসা শুরু করার

এই যে লোকগুলা বাড়িত যাইতেছে। এটা কি ঠিক করল সরকারে? যে যেমনে পারে বাড়ি যাইতেছে। টাকাও যাইতেছে। কষ্টও পাইতেছে।

বাশার মিয়া নিজের কপালকেই দুষছেন এখন। লালমনিরহাটে পরিবার–পরিজন রেখে এই খটমটো ঢাকা শহরের অলি–গলিতে রিকশার প্যাডেল দিতে দিতে মনে খেদও জমে ওঠে। কিন্তু এই তাবৎ খেদকে চাপা দিয়ে প্যাডেল চেপে যান তিনি। নিজের ও সন্তানদের স্বপ্ন তাঁকে থামতে মানা করে। সামনেই ঈদ

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতেই দেখা গেল তিনটি কাপড়ের ক্যানভাসে কয়েকজন শিক্ষার্থী কিছু একটা আঁকছেন। বোঝা গেল উদ্যানে হাঁটার পথ ও হোটেল নির্মাণের দোহাইয়ে গাছ কাটার প্রতিবাদে তাঁদের এ কর্মযজ্ঞ। এই শিল্পীদের মধ্যে একজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী শান্ত।

ভোরে এক পশলা বৃষ্টির পর আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ফের হঠাৎ বৃষ্টি। ঢাকার ব্যস্ত সড়কে তখনও অনেকে অফিসমুখী। বৃষ্টিতে যাতে ভিজতে না হয় সেজন্য রাজধানীর এয়ারপোর্ট সড়কের জিয়া কলোনাীর কাছে ফ্লাইওভারের নিচে আশ্রয় নিতে থাকেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। এক এক করে শতাধিক মানুষ নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে যান ফ্লাই

সব এমন রং করছেন কেন?আবু তাহের: ভাল্লাগে। এটা তো আর্জেন্টিনার পতাকার রং—আবু তাহের: হ। ভাল্লাগে। রং কে করছে?আবু তাহের: আমিই করছি। রিকশা নিজের?আবু তাহের: হ, আমারই রিকশা। নাইলে রং করা যাইত না। কেন ভালো লাগে?আবু তাহের: খেলে ভালো। কতো স্টার! কী খেলে?আবু তাহের: ফুটবল। (প্যাডেল দেওয়া বন্ধ করে অনেকটা বি

করোনাভাইরাসের করাল গ্রাসে বিপর্যস্ত বিশ্ব। বহু দেশের মতো বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্মরণকালে এত দীর্ঘদিনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার নজির নেই। শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাস না থাকলেও নিরাপত্তাকর্মীদের কাজ অব্যাহত রয়েছে

‘যে কয় টাকা কামাই কইরা আনছিলাম, লকডাউনে বাড়ি বইসা সব শ্যাষ হইয়া গেছে। সামনে ঈদ। পুলাপানসহ পরিবারের সবাই নতুন জামা–কাপড়ের আশায় থাকে ঈদে। নতুন জামাকাপড় দিতে না পারলে নিজের কাছেই খারাপ লাগব। কালকে থাইকা দোকান-পাট খুলব। তাই ঢাকা যাইতাছি। ঈদের খরচা জুগাইতে হইব।’ কথাগুলো মো. হাচেন মিয়ার।

বেশ কয়েক বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় একজনকে পতাকা ওড়াতে দেখেছেন অনেকেই। নাম তাঁর মো. সালামত হোসেন। মাঝেমধ্যে তাঁর সঙ্গে দু’চার কথা হলেও এবার জমেছে দীর্ঘ আলাপ। গল্প শেষে বারবার মনে হয়েছে—‘সালামত আসলে কে?’

দেশে হঠাৎ করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় গণপরিবহনে ২ সিটে ১ জন বসার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক যাত্রীকে অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত এ ভাড়া আদায় করতে গিয়ে ঘটছে নানা বিপত্তি। অনেক সময়ই যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া আদায়কারীর কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এক পক্ষ আরেক পক্ষ

মিরপুর–১ এর একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন পঞ্চাশোর্ধ আলমগীর হোসেন। আমিও চা নিলাম। হাসিমুখে তিনি বেঞ্চের একপাশে এগিয়ে আমাকেও বসার জায়গা করে দিলেন। তাঁর হাতে স্মার্টফোন দেখে জানতে চাইলাম—স্মার্টফোনে আপনি কী করেন? ফেসবুক চালান?

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মতো এবারও লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল। শেষ পর্যন্ত তেমন সিদ্ধান্ত আসেনি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তাকে সাধারণ মানুষ লকডাউন বলেই বিবেচনা করছেন।