ফজলুল কবির
[কথাটা আমির হোসেনই শুরু করলেন। রিকশা তখন কাকরাইল মোড় থেকে কারাইল মসজিদের দিকে বাঁক নিচ্ছে। সে সময় পাশেই একটা পিক-আপ ভ্যানের ওপর গোটা দুই বা তার বেশি পরিবার বেশ ভালো করে বসলেও একজনের তখনো উঠতে বাকি। এদিকে পিক-আপ ভ্যান দিয়েছে ছেড়ে। আর ওই উঠতে না পারা লোকটি তার পেছনে ছুটতে ছুটতে তাতে চড়ার চেষ্টা করছে। ঈদের আগে আগে হঠাৎ ডানা পাওয়া গাড়িগুলো তখন বেদম গতিতে ছুটছে এদিক-ওদিক। বড় দুর্ঘটনা ঘটার মঞ্চ এমনই হয়। এ অবস্থাতেই হাতলটা শক্ত করে ধরে প্যাডেল মারতে মারতে কোনো রকমে নিখুঁত বাঁক নিয়ে কথাটা হাওয়ায় ছুড়ে দিলেন তিনি-]
আমির হোসেন: আহারে কী কষ্ট!
কার কাকা?
আমির হোসেন: এই যে লোকগুলা বাড়িত যাইতেছে। এটা কি ঠিক করল সরকারে? যে যেমনে পারে বাড়ি যাইতেছে। টাকাও যাইতেছে। কষ্টও পাইতেছে।
হ্যাঁ, কাকা। আজকে তো ঘাটে পাঁচজন মরছে।
আমির হোসেন: এটা ঠিক করে নাই। মানুষ তো যাইবই। সবাই জানে। আকাশে মেঘ। দিনে রইদ। আবার এহন দশ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা খরচ হইতেছে। হাঁটতেছে। বাসঅলারাও বইসা রইল। হেরাও টাকা পায় না। সব মাইক্রোঅলারা নিতেছে। করোনা করোনা কইয়া মানুষরে কষ্ট দেয়।
কিন্তু করোনা তো আছে।
আমির হোসেন: আছে তো। এইভাবে তো আরও বাড়ে। মানুষ যখন যাইব, এক সিটে একজন কইরা পাঠাইলেই হইত। এহন কি আটকাইতে পারছে? আমার দুই ছেলে আজকে বাড়ি গেছে।
বাড়ি কই কাকা?
আমির হোসেন: রাজবাড়ী। আরেক ছেলে গেছে গতকাইল। আরেকজন যাইব কাইল (আগামীকাল)।
বাড়িতে কে কে আছে?
আমির হোসেন: বাপ-মা ছাড়া সব।
ছেলে কি চারজন?
আমির হোসেন: হ্যাঁ, তারা বাড়িত থাকে না। সবাই ঢাকায়। একজন ঈশ্বরদী।
কী করে তারা?
আমির হোসেন: সব গার্মেন্টসে কাজ করে।
ঈশ্বরদীতে যে, সেও?
আমির হোসেন: হ্যাঁ। ছোটডা আইএ (এইচএসসি) পড়ত, হেও এহন গার্মেন্টসে।
আইএ ছাড়ল কেন?
আমির হোসেন: করোনা। আইএ ক্লাস শুরুর কয় মস পরই তো শুরু হইল। কলেজ বন্ধ হইল। কইলাম, কামে লাগতে। পরে টঙ্গীতে এক কারখানায় যোগ দিছে।
করোনার পর আর পড়ব না?
আমির হোসেন: হ, পরীক্ষা দিছে। অনলাইনে দিছে। (পরীক্ষা) নিল না?
ও, রেজাল্ট কী করছে?
আমির হোসেন: এডা জানি না।
কোন বিভাগে পড়ে?
আমির হোসেন: এইডাও কইতে পারমু না।
বড়জন কী করে?
আমির হোসেন: হে-ই ঈশ্বরদীতে। কোরিয়ান কারখানায় কাজ করে। আগে ঢাকায় ছিল।
সে কত দূর পড়ছে।
আমির হোসেন: ম্যাট্রিক। বেশি দূর পারে নাই।
পরের দুইজন?
আমির হোসেন: একজন আইএ। আরেকজন মাস্টার্স; তিতুমীরে পড়ত। করোনায় পরীক্ষা দিতে পারে নাই। এহন গার্মেন্টসে কাজ করে।
কোন গার্মেন্টস?
আমির হোসেন: বেক্সিকো
বেক্সিমকো?
আমির হোসেন: হ, হ, বেক্সিমকো। ওষুধ বেচে ঘুইরা ঘুইরা।
ওইটা তো গার্মেন্টস না কাকা।
আমির হোসেন: যা-ই হোক, কাম করে। সবাই। তারা বাড়ি গেছে। আমিও যামু ঈদের পরদিন।
কেমনে যাইবেন?
আমির হোসেন: এই ঝুইলা-ঝাইলা জামুগা। গেলবারও তো গেছি।
এত কষ্ট কইরা যাইবেন কেন?
আমির হোসেন: যামু না কেন? এহানে কে আছে, আছে কী? সবাই এর লাইগাই যায়। এই যে আপনের লগে এত কথা কইতেছি, আপনের লগে আর দেখা হইব? হইব না। এর লাইগাই যামু।
তা আপনি আর আপনার বড় ছেলে কষ্ট কইরা পরেরগুলারে পড়ালেখা করাইছেন না?
আমির হোসেন: কী যে মনে করাইলেন। কথা কই কই যায়! কত কষ্ট। বড়টার মাথা ভালো ছিল। কিন্তু ম্যাট্রিকের (এসএসসি) পর আর একলা পারলাম না। দুইজন মিলা পরেরগুলারে পড়ানো। সবগুলারে পড়াইছি। আর তো কিছু নাই। সবাই জানে ঢাকায় গাড়ি চালাই। কী চালাই, তা তো আমি জানি। কত কষ্ট!
ঢাকায় কত বছর?
আমির হোসেন: ৪৪ বছর।
কোন সালে আইছেন?
আমির হোসেন: ৭৭ সালে।
যুদ্ধের পরপর?
আমির হোসেন: হ, মুক্তিযুদ্ধের পরপর।
ওই সময় বয়স কত আপনের?
আমির হোসেন: যুদ্ধের বছর ফাইভে পড়ি। আমাগো এক মাস্টার গুলি খাইলে স্কুল বন্ধ হইল। বাড়ির লগেই মুক্তি ক্যাম্প আছিল। কত ডাব টাইনা দিছি। কী যে অভাব ওই বছর। যবের আটার রুটি না, চাটি খাইছি। বয়স কত ৮-১০ হইব। রুটি চিনেন তো, সেটা না চাটি, পাতলা। আটা পানিত গুইলা খোলায় ভাজা। সেইটা আবার পানিত ভিজাইয়া খাওয়া, তারপর আবার পানি। আর ছিল লবণের কষ্ট। লবণ নাই। দোকানে আছে। কিন্তু টাকা পামো কই।
কিন্তু আপনেগো ওইদিক দিয়া তো লবণের ঘের আছে-
আমির হোসেন: এগুলা তো এহন। আর এগুলা আরও দক্ষিণে।
আগে ছিল না এইসব ঘের-
আমির হোসেন: না। আর থাকলেও ওই লবণ তো দোকানে বেচে। কিনতে পয়সা লাগে। তখন আমরা খাইতাম মাইট্টা লবণ। আপনের মনে আছে? ওই লবণ খাওয়া যায় না। খাইতে কষ্ট হয়।
যুদ্ধের বছর যবের চাটি খাইতেন কেন? ধানের ফলন হয় নাই? আপনেরা ক্ষেতি করতেন না?
আমির হোসেন: হ ক্ষেতি করতাম। কিন্তু এহনকার মতো ধান তো হইতো না। আগে দশ মণ ধান হইতে যে জমি লাগত, তার এক কোণা কাটলেই এহন দশ মণ ধান হয়। এহন তো মাইনষের খাওয়ার কষ্ট তেমন নাই। আগে ছিল। ইরি আইল, বোরো আইল। এহন ওই দিনের কথা ভাবতে পারবেন না।
তাইলে এই নতুন জাত আইসা ভালো হইছে?
আমির হোসেন: তো ভালো হইছে না?
মানুষ যে কয় সার বেশি লাগে, পানি বেশি লাগে...
আমির হোসেন: যতই বেশি লাগুক। তাও লাভ।
কিন্তু অনেক ধঅনের জাত নাকি হারায়া গেছে?
আমির হোসেন: তা হারাইছে। এমন হারায়। ইরি-বোরো আসায় তো খাইতে পারতেছি। তা এহনো তো চিকন চাইল মোটা চাইল সব চাইলই হয়। পায়জাম হয়, মোটা চাল যেটা, ওইটাও হয়। অবশ্য কম। আগে এই মোটা চাইলই কত চাইত মানুষ। কিন্তু পাইত যবের আটার চাটি। তাও পাইত না। আমরা একটা চাটি পানিত ভিজাইয়া খাইয়া, আবার পানি খাইতাম। পেট ভরা লগব তো।
এই অবস্থা কি যুদ্ধের বছর?
আমির হোসেন: হ। তারপরও তো এক দশা। অভাব যায় না। ঢাকায় আইলাম। হ্যান্ডেল ধরলাম। এহনও প্যাডেল মারি। সব ভুইলা গেছে। এহন মোটা চাইল নাকি গলা দিয়া নামে না। যবের রুটির গলা দিয়া মোটা চাইলের ভাতও নামে না। কয়, এটা ভালো লাগে না। অভাবের ইতিহাস ভুইলা গেছে।
কে?
আমির হোসেন: আমরাই। আমারও নামে না।
[কথাটা আমির হোসেনই শুরু করলেন। রিকশা তখন কাকরাইল মোড় থেকে কারাইল মসজিদের দিকে বাঁক নিচ্ছে। সে সময় পাশেই একটা পিক-আপ ভ্যানের ওপর গোটা দুই বা তার বেশি পরিবার বেশ ভালো করে বসলেও একজনের তখনো উঠতে বাকি। এদিকে পিক-আপ ভ্যান দিয়েছে ছেড়ে। আর ওই উঠতে না পারা লোকটি তার পেছনে ছুটতে ছুটতে তাতে চড়ার চেষ্টা করছে। ঈদের আগে আগে হঠাৎ ডানা পাওয়া গাড়িগুলো তখন বেদম গতিতে ছুটছে এদিক-ওদিক। বড় দুর্ঘটনা ঘটার মঞ্চ এমনই হয়। এ অবস্থাতেই হাতলটা শক্ত করে ধরে প্যাডেল মারতে মারতে কোনো রকমে নিখুঁত বাঁক নিয়ে কথাটা হাওয়ায় ছুড়ে দিলেন তিনি-]
আমির হোসেন: আহারে কী কষ্ট!
কার কাকা?
আমির হোসেন: এই যে লোকগুলা বাড়িত যাইতেছে। এটা কি ঠিক করল সরকারে? যে যেমনে পারে বাড়ি যাইতেছে। টাকাও যাইতেছে। কষ্টও পাইতেছে।
হ্যাঁ, কাকা। আজকে তো ঘাটে পাঁচজন মরছে।
আমির হোসেন: এটা ঠিক করে নাই। মানুষ তো যাইবই। সবাই জানে। আকাশে মেঘ। দিনে রইদ। আবার এহন দশ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা খরচ হইতেছে। হাঁটতেছে। বাসঅলারাও বইসা রইল। হেরাও টাকা পায় না। সব মাইক্রোঅলারা নিতেছে। করোনা করোনা কইয়া মানুষরে কষ্ট দেয়।
কিন্তু করোনা তো আছে।
আমির হোসেন: আছে তো। এইভাবে তো আরও বাড়ে। মানুষ যখন যাইব, এক সিটে একজন কইরা পাঠাইলেই হইত। এহন কি আটকাইতে পারছে? আমার দুই ছেলে আজকে বাড়ি গেছে।
বাড়ি কই কাকা?
আমির হোসেন: রাজবাড়ী। আরেক ছেলে গেছে গতকাইল। আরেকজন যাইব কাইল (আগামীকাল)।
বাড়িতে কে কে আছে?
আমির হোসেন: বাপ-মা ছাড়া সব।
ছেলে কি চারজন?
আমির হোসেন: হ্যাঁ, তারা বাড়িত থাকে না। সবাই ঢাকায়। একজন ঈশ্বরদী।
কী করে তারা?
আমির হোসেন: সব গার্মেন্টসে কাজ করে।
ঈশ্বরদীতে যে, সেও?
আমির হোসেন: হ্যাঁ। ছোটডা আইএ (এইচএসসি) পড়ত, হেও এহন গার্মেন্টসে।
আইএ ছাড়ল কেন?
আমির হোসেন: করোনা। আইএ ক্লাস শুরুর কয় মস পরই তো শুরু হইল। কলেজ বন্ধ হইল। কইলাম, কামে লাগতে। পরে টঙ্গীতে এক কারখানায় যোগ দিছে।
করোনার পর আর পড়ব না?
আমির হোসেন: হ, পরীক্ষা দিছে। অনলাইনে দিছে। (পরীক্ষা) নিল না?
ও, রেজাল্ট কী করছে?
আমির হোসেন: এডা জানি না।
কোন বিভাগে পড়ে?
আমির হোসেন: এইডাও কইতে পারমু না।
বড়জন কী করে?
আমির হোসেন: হে-ই ঈশ্বরদীতে। কোরিয়ান কারখানায় কাজ করে। আগে ঢাকায় ছিল।
সে কত দূর পড়ছে।
আমির হোসেন: ম্যাট্রিক। বেশি দূর পারে নাই।
পরের দুইজন?
আমির হোসেন: একজন আইএ। আরেকজন মাস্টার্স; তিতুমীরে পড়ত। করোনায় পরীক্ষা দিতে পারে নাই। এহন গার্মেন্টসে কাজ করে।
কোন গার্মেন্টস?
আমির হোসেন: বেক্সিকো
বেক্সিমকো?
আমির হোসেন: হ, হ, বেক্সিমকো। ওষুধ বেচে ঘুইরা ঘুইরা।
ওইটা তো গার্মেন্টস না কাকা।
আমির হোসেন: যা-ই হোক, কাম করে। সবাই। তারা বাড়ি গেছে। আমিও যামু ঈদের পরদিন।
কেমনে যাইবেন?
আমির হোসেন: এই ঝুইলা-ঝাইলা জামুগা। গেলবারও তো গেছি।
এত কষ্ট কইরা যাইবেন কেন?
আমির হোসেন: যামু না কেন? এহানে কে আছে, আছে কী? সবাই এর লাইগাই যায়। এই যে আপনের লগে এত কথা কইতেছি, আপনের লগে আর দেখা হইব? হইব না। এর লাইগাই যামু।
তা আপনি আর আপনার বড় ছেলে কষ্ট কইরা পরেরগুলারে পড়ালেখা করাইছেন না?
আমির হোসেন: কী যে মনে করাইলেন। কথা কই কই যায়! কত কষ্ট। বড়টার মাথা ভালো ছিল। কিন্তু ম্যাট্রিকের (এসএসসি) পর আর একলা পারলাম না। দুইজন মিলা পরেরগুলারে পড়ানো। সবগুলারে পড়াইছি। আর তো কিছু নাই। সবাই জানে ঢাকায় গাড়ি চালাই। কী চালাই, তা তো আমি জানি। কত কষ্ট!
ঢাকায় কত বছর?
আমির হোসেন: ৪৪ বছর।
কোন সালে আইছেন?
আমির হোসেন: ৭৭ সালে।
যুদ্ধের পরপর?
আমির হোসেন: হ, মুক্তিযুদ্ধের পরপর।
ওই সময় বয়স কত আপনের?
আমির হোসেন: যুদ্ধের বছর ফাইভে পড়ি। আমাগো এক মাস্টার গুলি খাইলে স্কুল বন্ধ হইল। বাড়ির লগেই মুক্তি ক্যাম্প আছিল। কত ডাব টাইনা দিছি। কী যে অভাব ওই বছর। যবের আটার রুটি না, চাটি খাইছি। বয়স কত ৮-১০ হইব। রুটি চিনেন তো, সেটা না চাটি, পাতলা। আটা পানিত গুইলা খোলায় ভাজা। সেইটা আবার পানিত ভিজাইয়া খাওয়া, তারপর আবার পানি। আর ছিল লবণের কষ্ট। লবণ নাই। দোকানে আছে। কিন্তু টাকা পামো কই।
কিন্তু আপনেগো ওইদিক দিয়া তো লবণের ঘের আছে-
আমির হোসেন: এগুলা তো এহন। আর এগুলা আরও দক্ষিণে।
আগে ছিল না এইসব ঘের-
আমির হোসেন: না। আর থাকলেও ওই লবণ তো দোকানে বেচে। কিনতে পয়সা লাগে। তখন আমরা খাইতাম মাইট্টা লবণ। আপনের মনে আছে? ওই লবণ খাওয়া যায় না। খাইতে কষ্ট হয়।
যুদ্ধের বছর যবের চাটি খাইতেন কেন? ধানের ফলন হয় নাই? আপনেরা ক্ষেতি করতেন না?
আমির হোসেন: হ ক্ষেতি করতাম। কিন্তু এহনকার মতো ধান তো হইতো না। আগে দশ মণ ধান হইতে যে জমি লাগত, তার এক কোণা কাটলেই এহন দশ মণ ধান হয়। এহন তো মাইনষের খাওয়ার কষ্ট তেমন নাই। আগে ছিল। ইরি আইল, বোরো আইল। এহন ওই দিনের কথা ভাবতে পারবেন না।
তাইলে এই নতুন জাত আইসা ভালো হইছে?
আমির হোসেন: তো ভালো হইছে না?
মানুষ যে কয় সার বেশি লাগে, পানি বেশি লাগে...
আমির হোসেন: যতই বেশি লাগুক। তাও লাভ।
কিন্তু অনেক ধঅনের জাত নাকি হারায়া গেছে?
আমির হোসেন: তা হারাইছে। এমন হারায়। ইরি-বোরো আসায় তো খাইতে পারতেছি। তা এহনো তো চিকন চাইল মোটা চাইল সব চাইলই হয়। পায়জাম হয়, মোটা চাল যেটা, ওইটাও হয়। অবশ্য কম। আগে এই মোটা চাইলই কত চাইত মানুষ। কিন্তু পাইত যবের আটার চাটি। তাও পাইত না। আমরা একটা চাটি পানিত ভিজাইয়া খাইয়া, আবার পানি খাইতাম। পেট ভরা লগব তো।
এই অবস্থা কি যুদ্ধের বছর?
আমির হোসেন: হ। তারপরও তো এক দশা। অভাব যায় না। ঢাকায় আইলাম। হ্যান্ডেল ধরলাম। এহনও প্যাডেল মারি। সব ভুইলা গেছে। এহন মোটা চাইল নাকি গলা দিয়া নামে না। যবের রুটির গলা দিয়া মোটা চাইলের ভাতও নামে না। কয়, এটা ভালো লাগে না। অভাবের ইতিহাস ভুইলা গেছে।
কে?
আমির হোসেন: আমরাই। আমারও নামে না।
প্রায় ৪৫ বছর আগের কথা। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে ভালোই চলছিল শেফালী বেগমের সংসার। হঠাৎ করেই একদিন উধাও তাঁর স্বামী আলম হোসেন। এরপরই পাল্টে যায় শেফালীর জীবন।
৩ দিন আগেভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪