Ajker Patrika

অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা পরিবর্তনের পরিকল্পনা ছিল বিএনপির, দূতাবাসগুলোকে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ২২: ৪৬
Thumbnail image

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করে ঢাকায় দূতাবাসগুলোতে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে সরকার। পত্রটি স্বাভাবিক কূটনৈতিক চর্চার অংশ হিসেবেই দেওয়া হয়েছে বলে আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সরকারের দুই মন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আজ বলেছেন, ‘বিএনপি বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে অতিরঞ্জিতভাবে নানা জিনিস উপস্থাপন করে থাকে। তাদের উসকানি দেয়, যাতে তারা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায়। এ কারণে দূতাবাসগুলোকে সঠিক তথ্য সরবরাহের স্বার্থেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন তথ্য জানানো হয়েছে।’ 

দূতাবাসগুলোকে গতকাল সোমবার দেওয়া পত্রে জানানো হয়েছে, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা ছিল বিএনপির। অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর আক্রমণ করতে দলের কর্মীদের প্ররোচিত করে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করার জন্য বিএনপির দুই নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

চিঠির বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘বড় কিছু ঘটলে বিদেশি কূটনীতিকদের জানিয়ে রাখা নতুন কিছু নয়। এটা স্বাভাবিক কূটনৈতিক চর্চার মধ্যেই পড়ে।’ 

গত ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের পর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বিদেশি দূতাবাসগুলোয় ‘সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা’ যাচ্ছেন, কূটনীতিকদের সঙ্গে দেনদরবার করছেন বলে সরকারের কাছে তথ্য আছে জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এসব বিষয়ে কূটনৈতিক ব্রিফিং বা অন্য কিছু করতে চায়নি। তবে এ সম্পর্কিত তথ্য দূতাবাসগুলোকে দেওয়া হয়েছে।’ 

গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের সমর্থনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিএনপির কর্মসূচি থাকলেও দলটি সরকারের নির্দেশনা না মেনে অতি উৎসাহী হয়ে তিন দিন আগে থেকে ৭ ডিসেম্বর থেকেই রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে দখলের চেষ্টা করেছে। এ বিষয়গুলোই কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে।’ 

বিএনপি মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তদন্তের জন্য ডিবি অফিসে নেওয়া হয়েছিল। আদালত তাঁদের বিষয়গুলো জামিনের অযোগ্য মনে করেছেন। এসব তথ্য দূতাবাসগুলোকে দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত