তানিম আহমেদ, ঢাকা
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে বিতর্কের মাধ্যমে জনগণের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি বিএনপির প্রতিক্রিয়া দেখতে এবং ওই দলের প্রতি জনসমর্থন যাচাই করার চেষ্টা রয়েছে ক্ষমতাসীনদের।
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবরে তাঁর লাশ রয়েছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বিষয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন সংসদ ও সংসদের বাইরে। গত ২৬ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিষয়টি নিয়ে প্রথম কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিএনপি চন্দ্রিমা উদ্যানে বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি কি জানে না এখানে জিয়ার কবর বা লাশ নেই। তারা এটা খুব ভালো করেই জানে! যদি তাই হয়, তাহলে তারা নাটক করবে কেন? খালেদা জিয়াও এ বিষয়ে সচেতন।’
পরে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেখানে বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ দাফন করা হয়েছিল। এটা তো চাঁদের আলোর মতো পরিষ্কার। এর চেয়ে বড় সত্য আর কিছু হতে পারে না। কারণ, তৎকালীন সেনা অধিনায়ক জেনারেল এরশাদ নিজেই জিয়াউর রহমানের লাশ বহন করেছেন।
জিয়াউর রহমানের লাশের বিষয়টি শুধু আলোচনা সভা কিংবা সংবাদ সম্মেলনেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। জাতীয় সংসদের অধিবেশনেও প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির সাংসদেরা এ নিয়ে কথা বলেছেন। এর আগে দশম জাতীয় সংসদে লুই আই কানের নকশা বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সময় বলা হয়, লুই কানের নকশায় ওই এলাকায় কোনো কবর ছিল না। সেই অনুযায়ী জিয়ার কবর সরানোর জন্য আওয়ামী লীগের সাংসদেরা দাবিও করেছিলেন। পরে সেটি আর বাস্তবায়ন হয়নি।
এই বিতর্কের বিষয়ে আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ নেই—এ বিষয়টি উপস্থাপনের মাধ্যমে জনমত যাচাই করা হচ্ছে। জনমতের ওপর নির্ভর করবে তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ। জনমত পক্ষে থাকলে সেখান থেকে কবর সরিয়ে ফেলা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন ওই নেতা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘চন্দ্রিমা উদ্যানে যে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই, সেই সত্যটা জাতির সামনে তুলে ধরেছি। আমরা চাই ইতিহাসে বিকৃতি ও মিথ্যাচার না থাকুক। তাঁরা মিথ্যাচার করে জাতিকে ধোঁকা দিচ্ছে। সংসদ ভবন এলাকায় যাদের কবর রয়েছে তা সরানো উচিত।’
আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট নেতা ও সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘লাশ থাকলে তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে দেখানো হয়নি কেন? যদি লাশ থেকে থাকে, আগামী এক মাসের মধ্যে প্রমাণ দিতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি আমাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সংসদের পরে তো তারা সংবাদ সম্মেলন করতে পারত। তারা তো বলতে পারত প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ভুল তথ্য শুনিয়েছেন। কই সেটা তো তারা এখনো বলেনি।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্বাচন কাছে আসছে। তাই সরকার বিএনপিকে যেকোনোভাবে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে। এ জন্য তারা জিয়াউর রহমানের কবরে লাশ নেই—এ বিষয়টি সামনে এনেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিনাত হুদা ওয়াহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সরকারের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি। তারা একে অপরকে চ্যালেঞ্জে ফেলার চেষ্টা করছে। সেখানে দুই দল বিভিন্ন রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করছে। সেটা নিয়ে আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি করবার চেষ্টা করছে।’ তিনি বলেন, ‘এটাকে আমি শুধু রাজনৈতিক বিতর্ক হিসেবে মনে করি না, এটা একটা ঐতিহাসিক বিতর্ক।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে বিতর্কের মাধ্যমে জনগণের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি বিএনপির প্রতিক্রিয়া দেখতে এবং ওই দলের প্রতি জনসমর্থন যাচাই করার চেষ্টা রয়েছে ক্ষমতাসীনদের।
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবরে তাঁর লাশ রয়েছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বিষয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন সংসদ ও সংসদের বাইরে। গত ২৬ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিষয়টি নিয়ে প্রথম কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিএনপি চন্দ্রিমা উদ্যানে বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি কি জানে না এখানে জিয়ার কবর বা লাশ নেই। তারা এটা খুব ভালো করেই জানে! যদি তাই হয়, তাহলে তারা নাটক করবে কেন? খালেদা জিয়াও এ বিষয়ে সচেতন।’
পরে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেখানে বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ দাফন করা হয়েছিল। এটা তো চাঁদের আলোর মতো পরিষ্কার। এর চেয়ে বড় সত্য আর কিছু হতে পারে না। কারণ, তৎকালীন সেনা অধিনায়ক জেনারেল এরশাদ নিজেই জিয়াউর রহমানের লাশ বহন করেছেন।
জিয়াউর রহমানের লাশের বিষয়টি শুধু আলোচনা সভা কিংবা সংবাদ সম্মেলনেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। জাতীয় সংসদের অধিবেশনেও প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির সাংসদেরা এ নিয়ে কথা বলেছেন। এর আগে দশম জাতীয় সংসদে লুই আই কানের নকশা বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সময় বলা হয়, লুই কানের নকশায় ওই এলাকায় কোনো কবর ছিল না। সেই অনুযায়ী জিয়ার কবর সরানোর জন্য আওয়ামী লীগের সাংসদেরা দাবিও করেছিলেন। পরে সেটি আর বাস্তবায়ন হয়নি।
এই বিতর্কের বিষয়ে আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ নেই—এ বিষয়টি উপস্থাপনের মাধ্যমে জনমত যাচাই করা হচ্ছে। জনমতের ওপর নির্ভর করবে তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ। জনমত পক্ষে থাকলে সেখান থেকে কবর সরিয়ে ফেলা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন ওই নেতা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘চন্দ্রিমা উদ্যানে যে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই, সেই সত্যটা জাতির সামনে তুলে ধরেছি। আমরা চাই ইতিহাসে বিকৃতি ও মিথ্যাচার না থাকুক। তাঁরা মিথ্যাচার করে জাতিকে ধোঁকা দিচ্ছে। সংসদ ভবন এলাকায় যাদের কবর রয়েছে তা সরানো উচিত।’
আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট নেতা ও সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘লাশ থাকলে তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে দেখানো হয়নি কেন? যদি লাশ থেকে থাকে, আগামী এক মাসের মধ্যে প্রমাণ দিতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি আমাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সংসদের পরে তো তারা সংবাদ সম্মেলন করতে পারত। তারা তো বলতে পারত প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ভুল তথ্য শুনিয়েছেন। কই সেটা তো তারা এখনো বলেনি।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্বাচন কাছে আসছে। তাই সরকার বিএনপিকে যেকোনোভাবে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে। এ জন্য তারা জিয়াউর রহমানের কবরে লাশ নেই—এ বিষয়টি সামনে এনেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিনাত হুদা ওয়াহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সরকারের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি। তারা একে অপরকে চ্যালেঞ্জে ফেলার চেষ্টা করছে। সেখানে দুই দল বিভিন্ন রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করছে। সেটা নিয়ে আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি করবার চেষ্টা করছে।’ তিনি বলেন, ‘এটাকে আমি শুধু রাজনৈতিক বিতর্ক হিসেবে মনে করি না, এটা একটা ঐতিহাসিক বিতর্ক।’
১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি আছে প্রচারপত্র বিলি; ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ; ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ; ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি রয়েছে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতালের ডাক...
১ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতা নতুন দল গঠন করতে যাচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনা রাজনৈতিক অঙ্গনসহ দেশের সবখানে। উদ্যোক্তারা বলছেন, সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষার্ধেই আত্মপ্রকাশ করবে নতুন দল। নাম-প্রতীক এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে নাম যা-ই হোক, দলটির আদর্শ হবে ‘মধ্যম পন্থা’। চূড়ান্ত ডান বা বাম—কোনো দিকেই...
৪ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমানের লাশ পেয়েছে তাঁর পরিবার। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
৪ ঘণ্টা আগেপতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধসহ সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন এবং লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত বিচারের অভিপ্রায়ে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঘোষণাপত্রে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার পাশাপ
১২ ঘণ্টা আগে