Ajker Patrika

পল্টনে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, ১৩: ২২
পল্টনে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

হরতালে সমর্থনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পল্টনের কেন্দ্রীয় সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ হরতালে সমর্থকদের ওপর লাঠিপেটা ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে। 

আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১১ টায় হরতালের সমর্থনে সমাপনী সমাবেশের শেষ মুহূর্তে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতা কর্মীরা। সংঘর্ষের ঘটনায় গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, একজন গণমাধ্যমকর্মীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ হরতালের শেষ মুহূর্তে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির পালন করা হবে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশের শেষ মুহূর্তে ছাত্র ইউনিয়নের একটি মিছিল সমাবেশে যোগ দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ তাঁদের ওপর লাঠিপেটা করে। জোটের নেতৃবৃন্দ একাধিকবার পুলিশকে হামলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানালেও পুলিশ তাতে কর্ণপাত করেনি। এ সময় বাম জোটের নেতা কর্মী এবং পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ চলতে থাকে।

হামলার ঘটনা শেষে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, সরকারের নানা উসকানি, সহিংসতা এবং পরিকল্পিত হামলা উপেক্ষা করে জনগণ হরতাল সফল করেছে। এই হরতালের মধ্য দিয়ে রাজপথে যে গণ ঐক্য তৈরি হয়েছে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুসংহত করতে ভবিষ্যতে এই ঐক্য আরও জোরদার হবে। শান্তিপূর্ণ হরতালে সরকার যেভাবে হামলা করেছে আমরা তার নিন্দা জানাই। আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় এই হামলা, সরকারি সহিংসতা তার প্রতিবাদে দেশব্যাপী সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত করব। তিনি জানান, এই সব হামলার দায়দায়িত্ব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সরকার এবং সরকারি দলকেই নিতে হবে। 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি হামলার পর বলেন, ‘সকাল থেকেই পুলিশ পল্টনসহ বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করতে বাধা দিচ্ছিল। সারা দেশের অন্তত ২৫টি জেলায় বামজোটের নেতা কর্মীদের পুলিশ হরতাল পালনে বাধা দিয়েছে। এখানেও (পল্টনে) কর্মসূচি শেষের সময় পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করল।’

হামলায় আহত বাচ্চু ভূঁইয়া

হামলা শুরুর আগে হরতালের সমাপনী সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ‘সারা দেশে শান্তিপূর্ণ হরতালের পরেও সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও পুলিশবাহিনী আমাদের নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করেছে, বাধা দিয়েছে। ভয় দেখাবেন না। আইয়ুব খান, মোনায়েম খানের মাস্তানদের আমরা প্রতিহত করেছি। ওই পানির গাড়ি দেখাবেন না। জনগণের বুলডোজার যখন চলবে তখন কোন কিছুর পরোয়া করবে না। গণ আন্দোলনের মাধ্যমে তদারকি সরকার প্রতিষ্ঠা করেই আমরা আগামী নির্বাচনে যাব।’

বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘হরতাল, ধর্মঘট, মিছিল করার অধিকার আমাদের সংবিধানের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছর পর শাসকশ্রেণি সেই চেতনাকে ধূলিসাৎ করেছে। দেশে বৈষম্য এখন পাহাড়সম। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বেসরকারি বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। সরকারকে এই হরতালের মাধ্যমে আমরা জানিয়ে দিলাম, জনগণ জেগেছে।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল সাত্তারসহ প্রমুখ।

পল্টন থানার ওসি সালাউদ্দিন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, পল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের চার পাঁচজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত