নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি ও বিদেশে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। তবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না। আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য পরিবারের আবেদনের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই চিঠিতেও তাঁরা আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাচ্ছেন। ফাইলটি এসেছে, খালেদা জিয়ার পরিবার কী আবেদন করেছেন সেটা দেখে ভালো করে বিবেচনা করে অতিসত্বর নিষ্পত্তি করা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার নাগাদ হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ফাইল আজকেই পেয়েছি। আমাকে বিবেচনা করতে হবে, পড়তে হবে, দেখতে হবে। তবে একটা বিষয় বলতে পারি, সেটা হলো—বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না।’
আনিসুল হক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আইনিভাবে কিছু করার নেই। কিন্তু এরপরও প্রত্যেকবার দেখা যাচ্ছে, প্রথম যেভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সেভাবেই তাঁরা আবেদন করছেন। আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে।’ চিঠি যেহেতু একই, মতামতও কি একই হবে কি না—জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কাল (মঙ্গলবার) জানতে পারবেন।’
আনিসুল হক বলেন, বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। তার মানে তিনি বিদেশি যেতে পারবেন না। বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে তাঁকে চিকিৎসার করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। ডাক্তার চিকিৎসা করে তাঁকে সুস্থও করেছেন।
সরকারপ্রধান চাইলে খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘৪০১ ধারায় সরকারপ্রধান মানে প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার যখন নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন, এখন সেটি পরিবর্তন করার বিধান নেই। এটির পুনঃ নিষ্পত্তি করার কোনো অবকাশ নেই। আইনের বাইরে গিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মানবিকতা দেখাতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী মানবিকতা প্রথমবারই দেখিয়েছেন। এই যে বারবার রিনিউ হচ্ছে, সেটাও মানবিক কারণ থেকেই হচ্ছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘মেয়াদ বাড়ানোর আইনি সুযোগ আছে। অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। খালেদা জিয়া কিন্তু দুটি শর্তে (বিদেশে যেতে পারবে না ও ঢাকায় থেকে চিকিৎসা) মুক্ত। চলাফেরায় তাঁর কিন্তু কোনো অনুমতি নিতে হয় না। তাই তাঁকে আবার মুক্তির কথা বলাটা মনে হয় অপ্রাসঙ্গিক।’
ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না—এ দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়ানো হয়েছে। এবার বাড়ানো হলে নবমবারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে।
১৪ মার্চ রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। ১৩ মার্চ রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝেমধ্যে তাঁকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তাঁর ছোট ভাই শামীম এসকান্দার ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনে তাঁকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পরে সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি ও বিদেশে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। তবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না। আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য পরিবারের আবেদনের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই চিঠিতেও তাঁরা আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাচ্ছেন। ফাইলটি এসেছে, খালেদা জিয়ার পরিবার কী আবেদন করেছেন সেটা দেখে ভালো করে বিবেচনা করে অতিসত্বর নিষ্পত্তি করা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার নাগাদ হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ফাইল আজকেই পেয়েছি। আমাকে বিবেচনা করতে হবে, পড়তে হবে, দেখতে হবে। তবে একটা বিষয় বলতে পারি, সেটা হলো—বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না।’
আনিসুল হক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আইনিভাবে কিছু করার নেই। কিন্তু এরপরও প্রত্যেকবার দেখা যাচ্ছে, প্রথম যেভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সেভাবেই তাঁরা আবেদন করছেন। আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে।’ চিঠি যেহেতু একই, মতামতও কি একই হবে কি না—জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কাল (মঙ্গলবার) জানতে পারবেন।’
আনিসুল হক বলেন, বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। তার মানে তিনি বিদেশি যেতে পারবেন না। বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে তাঁকে চিকিৎসার করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। ডাক্তার চিকিৎসা করে তাঁকে সুস্থও করেছেন।
সরকারপ্রধান চাইলে খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘৪০১ ধারায় সরকারপ্রধান মানে প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার যখন নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন, এখন সেটি পরিবর্তন করার বিধান নেই। এটির পুনঃ নিষ্পত্তি করার কোনো অবকাশ নেই। আইনের বাইরে গিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মানবিকতা দেখাতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী মানবিকতা প্রথমবারই দেখিয়েছেন। এই যে বারবার রিনিউ হচ্ছে, সেটাও মানবিক কারণ থেকেই হচ্ছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘মেয়াদ বাড়ানোর আইনি সুযোগ আছে। অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। খালেদা জিয়া কিন্তু দুটি শর্তে (বিদেশে যেতে পারবে না ও ঢাকায় থেকে চিকিৎসা) মুক্ত। চলাফেরায় তাঁর কিন্তু কোনো অনুমতি নিতে হয় না। তাই তাঁকে আবার মুক্তির কথা বলাটা মনে হয় অপ্রাসঙ্গিক।’
ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না—এ দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়ানো হয়েছে। এবার বাড়ানো হলে নবমবারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে।
১৪ মার্চ রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। ১৩ মার্চ রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝেমধ্যে তাঁকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তাঁর ছোট ভাই শামীম এসকান্দার ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনে তাঁকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পরে সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়।
জুলাই সনদের বিষয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বিএনপি বলছে, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই। কিন্তু আমরা মনে করি, শুধু প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করলে হবে না। আইনি ভিত্তি না থাকলে এই চার্টার মূল্যহীন হয়ে পড়বে। সে জন্য আমরা কমিশন এবং সরকারের বিরুদ্ধে কমপেনসেট মামলা করব।’
১ ঘণ্টা আগেশক্তি যার, ক্ষমতা ও মালিকানা যার হাতে, তার হাতেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থ
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) এবং দলটির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের প্রাথমিক পদসহ সাংগঠনিক পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং শিবির নেতা সাদিক কায়েমের বক্তব্যকে খণ্ডন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ নিয়ে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে