নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছয় মাস বয়সী অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে জনভোগান্তির পাশাপাশি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিএনপি। এরই মধ্যে এই উদ্বেগের কথা জানিয়ে সরকারকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিন বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলে দলটির বৈঠক। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠক সূত্র বলছে, বৈঠকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ সারা দেশে ভাঙচুরের ঘটনা, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ও সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে মব কালচার নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কোনো একসময় বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবে। সেখানে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ ও অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি এ বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেবে বিএনপি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি এখনো। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের বাইরে আছেন। তিনি ফিরে আসার পর এই বৈঠক হবে।
আজ বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে খোলাসা করে কিছু না বললেও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘বিএনপি আইনের শাসনে বিশ্বাস করে এবং কোনো অন্যায়কে সমর্থন করে না। সরকারের পাশে আছে এবং পাশে থেকেই সরকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে সেই বার্তাই দিতে চায় বিএনপি।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা ওই বিবৃতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে বলা হয়, ‘আমরা (বিএনপি) গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উসকানিমূলক আচরণ, জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী ছাত্র গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য মন্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকসমূহ ভেঙে ফেলার মতো জনস্পৃহা দৃশ্যমান হয়েছে।’
বিএনপির মতে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ছয় মাসেও পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি বলে জনমনে প্রতিভাত হয়েছে, ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে। একটি সরকার বহাল থাকা অবস্থায় জনগণ এভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিলে দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে। অথচ জুলাই ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নানান ধরনের দাবিদাওয়া নিয়ে যখন-তখন সড়কে ‘মব কালচারের’ মাধ্যমে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে; যা সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মুনশিয়ানা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বিএনপির উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রকাশ করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। এই পরিস্থিতিতে উগ্র নৈরাজ্যবাদী গণতন্ত্রবিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তির পাশাপাশি পরাজিত ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে, যার উপসর্গ এরই মধ্যে দৃশ্যমান। এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিরাজমান পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
সেখানে সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ‘পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করুন। অন্যথায় দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির প্রসার ঘটবে। সুতরাং, কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্র ও সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান করা এখন সময়ের দাবি।’
এদিকে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে সাম্যবাদী দলের এক আলোচনা সভায় দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা। এ ঘটনাকে ‘দেশের জন্য অশনিসংকেত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু।
সংকট নিরসনে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, ন্যূনতম সংস্কার করে জাতির যদি কোনো মতামত থাকে, আমরা সেটা মেনে নিতে চাই। কিন্তু সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পাঁয়তারা জাতি বরদাশত করবে না। মানুষের দাবি হচ্ছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। আপনারা সেই রাস্তা তৈরি করে দিন। আর সময়ক্ষেপণ না করে শিগগিরই নির্বাচনের রোডম্যাপ দিন।’
সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সারা দেশে হামলা-আক্রমণ-ভাঙচুর হয়েছে, দেশে একধরনের নৈরাজ্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর দায় অবশ্যই অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।’
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘জনগণের মধ্যে এই ধারণা তৈরি হয়েছে যে তবে কি সরকার দেশ চালাতে পারছে না? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নাই; আমাদের এলিট ফোর্স কি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নাই; তাহলে এখানে কি যা-কিছু করা যায়?’
ছয় মাস বয়সী অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে জনভোগান্তির পাশাপাশি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিএনপি। এরই মধ্যে এই উদ্বেগের কথা জানিয়ে সরকারকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিন বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলে দলটির বৈঠক। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠক সূত্র বলছে, বৈঠকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ সারা দেশে ভাঙচুরের ঘটনা, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ও সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে মব কালচার নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কোনো একসময় বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবে। সেখানে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ ও অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি এ বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেবে বিএনপি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি এখনো। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের বাইরে আছেন। তিনি ফিরে আসার পর এই বৈঠক হবে।
আজ বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে খোলাসা করে কিছু না বললেও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘বিএনপি আইনের শাসনে বিশ্বাস করে এবং কোনো অন্যায়কে সমর্থন করে না। সরকারের পাশে আছে এবং পাশে থেকেই সরকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে সেই বার্তাই দিতে চায় বিএনপি।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা ওই বিবৃতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে বলা হয়, ‘আমরা (বিএনপি) গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উসকানিমূলক আচরণ, জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী ছাত্র গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য মন্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকসমূহ ভেঙে ফেলার মতো জনস্পৃহা দৃশ্যমান হয়েছে।’
বিএনপির মতে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ছয় মাসেও পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি বলে জনমনে প্রতিভাত হয়েছে, ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে। একটি সরকার বহাল থাকা অবস্থায় জনগণ এভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিলে দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে। অথচ জুলাই ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নানান ধরনের দাবিদাওয়া নিয়ে যখন-তখন সড়কে ‘মব কালচারের’ মাধ্যমে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে; যা সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মুনশিয়ানা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বিএনপির উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রকাশ করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। এই পরিস্থিতিতে উগ্র নৈরাজ্যবাদী গণতন্ত্রবিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তির পাশাপাশি পরাজিত ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে, যার উপসর্গ এরই মধ্যে দৃশ্যমান। এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিরাজমান পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
সেখানে সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ‘পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করুন। অন্যথায় দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির প্রসার ঘটবে। সুতরাং, কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্র ও সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান করা এখন সময়ের দাবি।’
এদিকে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে সাম্যবাদী দলের এক আলোচনা সভায় দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা। এ ঘটনাকে ‘দেশের জন্য অশনিসংকেত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু।
সংকট নিরসনে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, ন্যূনতম সংস্কার করে জাতির যদি কোনো মতামত থাকে, আমরা সেটা মেনে নিতে চাই। কিন্তু সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পাঁয়তারা জাতি বরদাশত করবে না। মানুষের দাবি হচ্ছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। আপনারা সেই রাস্তা তৈরি করে দিন। আর সময়ক্ষেপণ না করে শিগগিরই নির্বাচনের রোডম্যাপ দিন।’
সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সারা দেশে হামলা-আক্রমণ-ভাঙচুর হয়েছে, দেশে একধরনের নৈরাজ্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর দায় অবশ্যই অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।’
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘জনগণের মধ্যে এই ধারণা তৈরি হয়েছে যে তবে কি সরকার দেশ চালাতে পারছে না? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নাই; আমাদের এলিট ফোর্স কি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নাই; তাহলে এখানে কি যা-কিছু করা যায়?’
পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তির উসকানি ও নাশকতা সৃষ্টির অপতৎপরতা মোকাবিলায় ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্টদের পথ অনুসরণ করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তির উসকানি ও নাশকতা সৃষ্টির অপতৎপরতা মোকাবিলায় ছাত্র-জনতা ফ
১ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবাকে ডিবি হেফাজতে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, কিছু কিছু বিষয়ে ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা সংশোধনের সুযোগ চেয়েছেন। পরে নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগেভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাকে মানুষের ক্ষোভ ও ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে
১৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমার শত শত ভাইদের হত্যা করে খুনি হাসিনা ভারতে বসে ভিডিও কনফারেন্সে নির্লজ্জের মত বক্তব্য দেয়, শত শত মানুষ হত্যা করে, গুম করে, খুন করে আবার নির্লজ্জের মতো বিচার চায়।
১ দিন আগে